খালেদা জিয়া
১২ বছর পর সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানে যাচ্ছেন খালেদা জিয়া
২১ নভেম্বর সশস্ত্র বাহিনী দিবসে সেনাকুঞ্জের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ দলটির ২৬ নেতাকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ। এর ফলে প্রায় ১২ বছর পর সেনাকুঞ্জে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যাচ্ছেন খালেদা জিয়া।
মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) রাজধানীর গুলশানের বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে বিএনপি চেয়ারপাসনের একান্ত সচিব এ বি এম আবদুস সাত্তারের কাছে চিফ অব জেনারেল স্টাফ (সিজিএস) লেফটেন্যান্ট জেনারেল মিজানুর রহমান শামীম ও প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার (পিএসও) লেফটেন্যান্ট জেনারেল এএসএম কামরুল আহসান এ আমন্ত্রণপত্র পৌঁছে দেন।
সেনাকুঞ্জে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক এ জেড এম জাহিদ হোসেন জানান, দুই সেনা কর্মকর্তা তাদের স্ত্রীদের নিয়ে গুলশানের বাসভবনে গিয়ে তার আমন্ত্রণপত্র পৌঁছে দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলা: খালেদা জিয়ার ১০ বছরের সাজা স্থগিত
বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান জানান, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ ২৬ নেতাকে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবার বিকাল ৩টায় খালেদা জিয়ার গুলশানের বাসা থেকে সেনাকুঞ্জের উদ্দেশে রওনা হওয়ার কথা রয়েছে বলে জানিয়েছেন এবিএম আবদুস সাত্তার।
২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে কারাভোগের পর এটাই খালেদা জিয়ার প্রথম রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ। সর্বশেষ ২০১২ সালে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন তিনি।
১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনী প্রতিষ্ঠার স্মরণে বৃহস্পতিবার উৎসবমুখর পরিবেশে নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে সশস্ত্র বাহিনী দিবস পালিত হবে।
২ দিন আগে
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলা: খালেদা জিয়ার ১০ বছরের সাজা স্থগিত
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ১০ বছরের সাজা বাতিল চেয়ে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি চেয়ে করা আবেদন) মঞ্জুর করেছেন আপিল বিভাগ। একইসঙ্গে খালেদা জিয়াকে দেওয়া ১০ বছরের সাজার কার্যকারিতা স্থগিত করেছেন আদালত।
সোমবার আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলামের নেতৃত্বে তিন বিচারপতির বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
এর আগে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় হাইকোর্টের দেওয়া ১০ বছরের কারাদণ্ডের রায়ের বিরুদ্ধে খালেদা জিয়ার লিভ টু আপিলের শুনানি শেষ হয়।
রবিবার শুনানি শেষে সোমবার (১১ নভেম্বর) আদেশের জন্য দিন ধার্য করেন।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে করা ১১ মামলা বাতিল
আদালতে এদিন আবেদনের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীন ও ব্যারিস্টার কায়সার কামাল। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান। দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী আসিফ হাসান।
আইনজীবী জয়নুল আবেদীন জানান, আদালত লিভ টু আপিল মঞ্জুর করে সাজার কার্যকারিতা স্থগিত করেছেন। একই সঙ্গে আপিল দায়ের করতে বলেছেন। এখন আপিল দাযের করার পর আপিলের ওপর শুনানি হবে। সে পর্যন্ত সাজার কার্যকারিতা স্থগিত থাকবে।
২০১৯ সালের ১৪ মার্চ আপিল বিভাগে দুটি লিভ টু আপিল করেন খালেদা জিয়া।
এর আগে ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি বকশীবাজারে কারা অধিদপ্তরের প্যারেড গ্রাউন্ডে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক ড. মো. আখতারুজ্জামান অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়ার পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন।
একই সঙ্গে খালেদা জিয়ার ছেলে ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, মাগুরার সাবেক এমপি কাজী সালিমুল হক কামাল, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ, ড. কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও মমিনুর রহমানকে ১০ বছর করে কারাদণ্ড দেন আদালত।
পরে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় ওই বছরের ২০ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়া আপিল করেন। একই বছরের ২৮ মার্চ খালেদার সাজা বৃদ্ধি চেয়ে দুদকের করা আবেদনে রুল দেন হাইকোর্ট।
সাজা বৃদ্ধিতে দুদকের আবেদনে জারি করা রুল যথাযথ ঘোষণা করে ২০১৮ সালের ৩০ অক্টোবর বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ খালেদা জিয়ার সাজা পাঁচ বছর থেকে বাড়িয়ে ১০ বছর করেন।
এছাড়া পাঁচ বছরের দণ্ড থেকে খালাস চেয়ে খালেদা জিয়া এবং ১০ বছরের দণ্ড থেকে খালাস চেয়ে মাগুরার সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) কাজী সালিমুল হক কামাল ওরফে কাজী কামাল ও ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদের আপিল খারিজ করেন আদালত।
আরও পড়ুন: চিকিৎসার জন্য শিগগিরই লন্ডনে নেওয়া হচ্ছে খালেদা জিয়াকে
১ সপ্তাহ আগে
খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে করা ১১ মামলা বাতিল
বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দায়ের করা নাশকতার ১০টি ও রাষ্ট্রদ্রোহের একটি মামলার কার্যক্রম বাতিল করেছেন হাইকোর্ট।
মামলা বাতিল চেয়ে করা আবেদনের শুনানি শেষে বুধবার বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
আদালতে খালেদা জিয়ার পক্ষে শুনানিতে ছিলেন সিনিয়র আইনজীবী জয়নুল আবেদীন, ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন, ব্যারিস্টার নাসির উদ্দিন অসীম, ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, ব্যারিস্টার রাগীব রউফ চৌধুরী, আইনজীবী গাজী কামরুল ইসলাম সজল, আইনজীবী মো. জাকির হোসেন, ব্যারিস্টার এইচ এম সানজিদ সিদ্দিকী, আইনজীবী তারেক ভূইয়া ও আইনজীবী এম সাব্বির আহমেদ।
আরও পড়ুন: গ্যাটকো দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়াসহ ২ জন খালাস
আইনজীবীরা বলেন, ২০১৫ সালে সরকারবিরোধী আন্দোলন চলাকালে নাশকতার অভিযোগে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থানায় তিনটি ও দারুস সালাম থানায় সাতটি মামলা দায়ের করা হয়। এসব মামলায় এফআইআরে খালেদা জিয়ার নাম ছিল বা অভিযোগপত্রে তার নাম ঢুকানো হয়। দীর্ঘদিন থেকে হাইকোর্টের আদেশে এসব মামলার কার্যক্রম স্থগিত ছিল। খালেদা জিয়ার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ বিষয়ে জারি করা রুল যথাযথ ঘোষণা করে নাশকতার ১০ মামলা বাতিল করলেন হাইকোর্ট।
এদিকে, হাইকোর্টের একই বেঞ্চ মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের সংখ্যা নিয়ে মন্তব্যকে কেন্দ্র করে বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দায়ের করা রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা বাতিল করেছেন।
আইনজীবী জয়নুল আবেদীন সাংবাদিকদের বলেন, নাশকতার অভিযোগে করা মামলাগুলোর একটিতেও খালেদা জিয়া ঘটনাস্থলে ছিলেন বা কোনো নির্দেশ দিয়েছেন এমন কোনো প্রমাণ নেই। পুলিশ অহেতুক মামলাগুলোতে অভিযোগপত্র দিয়েছে। এসব মামলা বাতিল প্রশ্নে রুল জারি ছিল। আজ রুলগুলো অ্যাবসুলেট ঘোষণা করেছেন। এর অর্থ মামলাগুলোর কার্যকারিতা বাতিল করেছেন।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার গাড়িবহরে হামলার ঘটনায় ৭ বছর পর মামলা
৩ সপ্তাহ আগে
চিকিৎসার জন্য শিগগিরই লন্ডনে নেওয়া হচ্ছে খালেদা জিয়াকে
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য প্রথমে লন্ডন এবং পরে তৃতীয় কোনো দেশে নিয়ে যাওয়া হবে।
মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক এ জেড এম জাহিদ হোসেন বলেন, 'তার শারীরিক অবস্থা বিবেচনা করে আমরা যত দ্রুত সম্ভব তাকে বিদেশের একটি মাল্টিডিসিপ্লিনারি হাসপাতালে স্থানান্তরের প্রস্তুতি শুরু করেছি।’
তিনি বলেন, ‘এই প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে আমরা একটি দূরপাল্লার বিশেষায়িত এয়ার অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা করছি এবং প্রয়োজনীয় যোগাযোগ করছি। প্রাথমিকভাবে তাকে (খালেদা জিয়া) বিমানযোগে লন্ডনে নিয়ে যাওয়া হবে, সেখানে সংক্ষিপ্ত যাত্রাবিরতির পর তাকে বহুমুখী চিকিৎসা সুবিধা রয়েছে এমন কোনো দেশে নিয়ে যাওয়া হবে। আমরা আশা করছি শিগগিরই সব আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করতে পারব, যাতে ম্যাডাম দ্রুত বিদেশ ভ্রমণ করতে পারেন।’
আরও পড়ুন: বন্যার্তদের জন্য ২ লাখ টাকা অনুদান দিলেন খালেদা জিয়া
জাহিদ আরও বলেন, খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসার বিষয়ে চিকিৎসক, নার্স ও স্বজনদের বিস্তারিত তথ্য ইতোমধ্যে তার কার্যালয় থেকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে অবহিত করা হয়েছে।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে লিভার সিরোসিস, আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস এবং কিডনি, ফুসফুস, হার্ট ও চোখের সমস্যাসহ বিভিন্ন রোগে ভুগছেন।
গত বছরের ২৬ অক্টোবর খালেদা জিয়ার পেট ও বুকে পানি জমে যাওয়া ও লিভারে রক্তক্ষরণ বন্ধে ট্রান্সজুগুলার ইন্ট্রাহেপ্যাটিক পোর্টোসিস্টেমিক শান্ট (টিপস প্রসিডিউর) নামে পরিচিত হেপাটিক প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেন যুক্তরাষ্ট্রের তিন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক।
২০২১ সালের নভেম্বরে খালেদা জিয়ার লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত হওয়ার পর থেকে তার চিকিৎসকরা তাকে বিদেশে পাঠানোর পরামর্শ দিয়ে আসছেন।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫।
২০১৮ সালের ৩০ অক্টোবর হাইকোর্ট তার সাজা বাড়িয়ে ১০ বছর করেন। পরে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় তার সাজা হয়।
করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের মধ্যে সরকার ২০২০ সালের ২৫ মার্চ এক নির্বাহী আদেশে খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিত করে ৭৭৬ দিন পর তাকে সাময়িকভাবে মুক্তি দেয়। তবে শর্ত দেওয়া হয় যে তিনি গুলশানের বাসায় থাকবেন এবং দেশত্যাগ করতে পারবেন না।
৬ আগস্ট রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিনের নির্দেশে খালেদা জিয়াকে পুরোপুরি মুক্তি দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: ৫ মামলা থেকে খালাস পেলেন খালেদা জিয়া
৩ সপ্তাহ আগে
বন্যার্তদের জন্য ২ লাখ টাকা অনুদান দিলেন খালেদা জিয়া
দেশের উত্তরাঞ্চলে বন্যা দুর্গতদের সহায়তায় দলের কেন্দ্রীয় ত্রাণ তহবিলে দুই লাখ টাকা অনুদান দিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।
বুধবার (৯ অক্টোবর) দুপুরে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ত্রাণ সংগ্রহ কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক এ জেড এম জাহিদ হোসেনের হাতে এ টাকা তুলে দেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
ফখরুল বলেন, খালেদা জিয়া তাকে তার গুলশানের বাসায় আসার অনুরোধ করার পর মঙ্গলবার তার সঙ্গে দেখা করেছি।
বিএনপির এই নেতা বলেন, 'আমি যখন তার সঙ্গে দেখা করি, তখন তিনি আমাকে দলের ত্রাণ তহবিলে দুই লাখ টাকা দেন এই বলে যে, এটা বন্যার্তদের জন্য তার ব্যক্তিগত সহায়তা।’
তিনি বলেন, খালেদা জিয়া সব সময় জনগণের পাশে দাঁড়িয়েছেন এবং দেশের সংকটময় সময়ে নেতৃত্ব দিয়েছেন।
ফখরুল বলেন, ‘দুর্ভাগ্যজনকভাবে ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগ সরকার মিথ্যা অভিযোগে তাকে ছয় বছর আটকে রেখেছে। কারাগারে থাকাকালীন তিনি গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং এখনও শারীরিক অসুস্থতায় ভুগছেন।’
খালেদা জিয়ার দ্রুত সুস্থতার জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন বিএনপি মহাসচিব।
এর আগে গত ২৩ আগস্ট দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের জেলাগুলোতে বন্যার্তদের জন্য ত্রাণ সংগ্রহের জন্য স্থায়ী কমিটির সদস্য জাহিদ হোসেনের নেতৃত্বে আট সদস্যের কমিটি গঠন করে বিএনপি।
সে সময় ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, কুমিল্লা, খাগড়াছড়ি, হবিগঞ্জ এবং চট্টগ্রাম ও চাঁদপুরসহ পূর্বাঞ্চলীয় জেলাগুলোতে বন্যার্তদের জন্য নগদ প্রায় ২০ কোটি টাকা ও ত্রাণ সামগ্রী সংগ্রহ করে দলটি।
উত্তরাঞ্চলের কয়েকটি জেলাও বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় দলটি এখন ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তা এবং তাদের দুর্ভোগ লাঘবে আবারও তহবিল সংগ্রহ শুরু করেছে।
আরও পড়ুন: হিন্দুদের নিপীড়নের ঘটনাগুলোর বিচারের প্রতিশ্রুতি বিএনপির
১ মাস আগে
শেখ হাসিনার প্রতিরক্ষা উপদেষ্টা সিদ্দিকসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে মামলা
খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত নিরাপত্তা বাহিনীর প্রধান কর্নেল (অব.) মো. তৌহিদুল ইসলাম চৌধুরীকে অপহরণ, গুম ও হত্যার উদ্দেশ্যে ষড়যন্ত্রের পরিকল্পনার অভিযোগে শেখ হাসিনার প্রতিরক্ষা উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারেক আহমেদ সিদ্দিকসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. জাকির হোসাইনের আদালতে ভুক্তভোগী নিজে বাদী হয়ে এ মামলা করেন। পরে আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে অভিযোগটি নিউমার্কেট থানা পুলিশকে এজাহার হিসেবে গ্রহণের নির্দেশ দেন।
আরও পড়ুন: হত্যা মামলার ১৩ বছর পর ১৬ আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
বাদীপক্ষের আইনজীবী মাসুদ আহমেদ তালুকদার এ তথ্য জানান।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন- ডিজিএফআইয়ের সাবেক ডিজি মেজর জেনারেল (অব.) মো. সাইফুল আবেদীন, মেজর জেনারেল (বরখাস্ত) জিয়াউল আহসান, ডিবির সাবেক ডিসি মো. আব্দুল বাতেন, মো. মোখলেসুর রহমান, ডিবির সাবেক এডিসি গোলাম মোস্তফা রাসেল, গোলাম সাকলাইন, ডিবির সাবেক এসি মাহমুদ নাসের জনি, ডিবির সাবেক পরিদর্শক মো. আবু আজিফ ও সিরাজুল ইসলাম খান।
মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, মো. তৌহিদুল ইসলাম চৌধুরীকে ২০১৮ সালের ২৭ ডিসেম্বর এলিফ্যান্ট রোডের বাসা থেকে সাদা পোশাকে তুলে নিয়ে যায় আসামিরা। দুই দিন গুম করে রাখার পর ২৯ ডিসেম্বর তাকে দুইটি ভুয়া মামলা দিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়। পরবর্তীতে জামিন পেয়ে তিনি এসব বিষয়ে অভিযোগ জানাতে থানায় গেলেও সাধারণ ডায়েরিও (জিডি) নথিভুক্ত করা হয়নি।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে বাসের হেলপার হত্যা মামলায় ৫ জনের যাবজ্জীবন
৮৩ মিলিয়ন ডলার পাচারের অভিযোগে সালমান এফ রহমানসহ ২৮ জনের বিরুদ্ধে ১৭ মামলা
২ মাস আগে
৫ মামলা থেকে খালাস পেলেন খালেদা জিয়া
মিথ্যা তথ্য দিয়ে ভুয়া জন্মদিন পালন এবং যুদ্ধাপরাধীদের মদদ দেওয়াসহ মানহানিসংক্রান্ত পৃথক পাঁচটি মামলা থেকে খালাস পেয়েছেন খালেদা জিয়া।
মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) ঢাকার অ্যাডিশনাল চিফ মেট্রোপলিট ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুবুল হকের আদালত ৪টি এবং তোফাজ্জল হোসেনের আদালত একটি মামলা খারিজ করে তাকে খালাসের আদেশ দেন।
এ অবস্থায় খালেদা জিয়াকে মামলা থেকে খালাসের আবেদন করেন তার আইনজীবী মাসুদ আহমেদ তালুকদার ও সৈয়দ জয়নাল আবেদীন মেজবাহ।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়াকে বিদেশে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে, গন্তব্য চূড়ান্ত হয়নি: ডা. জাহিদ
এদিন মামলাগুলো শুনানির জন্য ছিল। তবে মামলার বাদীরা আদালতে হাজির হননি। কয়েকটি মামলার বাদী এবি সিদ্দিকী মারা গেছেন।
খালেদা জিয়ার আইনজীবী জয়নাল আবেদীন এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
জানা গেছে, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গাজী জহিরুল ইসলাম ২০১৬ সালের ৩০ আগস্ট ভুয়া জন্মদিন পালনের অভিযোগে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে মামলাটি করেন। ২০১৬ সালের ৩ নভেম্বর বাংলাদেশ জননেত্রী পরিষদের সভাপতি এবি সিদ্দিকী স্বীকৃত স্বাধীনতা বিরোধীদের গাড়িতে জাতীয় পতাকা তুলে দিয়ে দেশের মানচিত্র এবং জাতীয় পতাকার মানহানি ঘটানোর অভিযোগে আদালতে একটি মানহানির মামলা দায়ের করেন।
আরও পড়ুন: সন্ধ্যায় হাসপাতাল থেকে বাসায় ফিরবেন খালেদা জিয়া
অন্যদিকে, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে নিয়ে কটুক্তির অভিযোগে ২০১৭ সালের ২৫ জানুয়ারি এবি সিদ্দিকী মানহানির মামলা করেন।
এছাড়া, মুক্তিযুদ্ধে শহীদ ও শহীদ বুদ্ধিজীবীদের নিয়ে মানহানিকর মন্তব্যের অভিযোগে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও দলটির স্থায়ী কমেটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের বিরুদ্ধে ২০১৬ সালের ৫ জানুয়ারি এবি সিদ্দিকী আরেকটি মামলা করেন।
একই বছরের ৩ নভেম্বর বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে মানহানি ও হত্যার হুমকির অভিযোগ এবি সিদ্দিকী আরও একটি মামলা করেন।
আরও পড়ুন: ১৭ বছর পর সচল খালেদা জিয়ার সব ব্যাংক হিসাব
২ মাস আগে
খালেদা জিয়ার গাড়িবহরে হামলা: জায়েদ খান-জয়-সাজু খাদেমসহ ৫০ জনের বিরুদ্ধে মামলা
২০১৫ সালে নির্বাচনি প্রচারণার সময় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার গাড়িবহরে হামলার অভিযোগে চিত্রনায়ক জায়েদ খান, অভিনেতা শাহরিয়ার নাজিম জয় ও অভিনেতা সাজু খাদেমসহ ৫০ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
রবিবার (২৫ আগস্ট) মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জাকী-আল-ফারাবীর আদালতে বাদী হয়ে মামলার আবেদন করেন শিল্পী আসিফ ইমাম।
আদালত বাদীর জবানবন্দি নিয়ে অভিযোগটি মতিঝিল থানা পুলিশকে এজাহার হিসেবে গ্রহণের নির্দেশ দেন।
আরও পড়ুন: বরিশালে সাবেক প্রতিমন্ত্রী, মেয়রসহ ১১০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা
মামলার অপর আসামিরা হলেন- শেখ সেলিম, শেখ হেলাল, কর্নেল ফারুক খান, ফজলে নূর তাপস, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, রাশেদ খান মেনন, হাসানুল হক ইনু, সাবের হোসেন চৌধুরী, মজিবুর রহমান নিক্সন চৌধুরী, সাইদ খোকন, বাফুফের সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন, সাংবাদিক শাবান মাহমুদ, আবু আহম্মেদ মন্নাফী, মতিঝিল জোনের তৎকালীন এডিসি মেহেদী হাসান, একে এম মমিনুল হক সাঈদ ও মোস্তফা জামান পপি।
মামলার অভিযোগে বাদী উল্লেখ করেন, ২০১৫ সালের ২০ এপ্রিল নির্বাচনি প্রচারণার সময় বিএনপির কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত পথসভায় বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে হত্যার উদ্দেশ্যে অস্ত্রসহ তার গাড়িবহরে হামলা চালায় আসামিরা। এসময় খালেদা জিয়ার গাড়িবহরের ১২-১৪টি গাড়ি ভাঙচুর করে, ৪টি মোটরসাইকেলে আগুন দেয় এবং নেতাকর্মীদের মারধর করে তারা। খালেদা জিয়ার নিরাপত্তারক্ষীরা আহত হন। খালেদা জিয়াকে উদ্দেশ্য করে আসামিরা ইট-পাথর নিক্ষেপ করলে সাধারণ পথচারীরা আহত হন। আওয়ামী লীগের ১৪ দলীয় জোট এবং এর অঙ্গ সংগঠনসমূহের ২০০-৩০০ জন নেতাকর্মী দেশি অস্ত্র হাতে নিয়ে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়।
আরও পড়ুন: রাজশাহীতে শিক্ষার্থী হত্যা মামলায় লিটনসহ ৪২ জনের নামে মামলা
চট্টগ্রামে থানায় হামলা ও অস্ত্র লুটের ঘটনায় মামলা, আসামি ৪০ হাজার
২ মাস আগে
খালেদা জিয়াকে বিদেশে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে, গন্তব্য চূড়ান্ত হয়নি: ডা. জাহিদ
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন জানিয়েছেন, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে, তবে এখনও গন্তব্য চূড়ান্ত হয়নি।
তিনি আরও বলেন, 'আমাদের দলের মহাসচিব ইতোমধ্যে এ বিষয়ে (খালেদাকে বিদেশে পাঠানো) নিয়ে কথা বলেছেন। এটি বর্তমানে প্রক্রিয়াধীন রয়েছে, তবে কোন দেশের কোন হাসপাতালে তাকে নেওয়া হবে সেটি এখনও চূড়ান্ত হয়নি।’
রাজধানীর জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে বিএনপির এই নেতা বলেন, খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে নানা জটিল রোগে ভুগছেন তাই পুঙ্খানুপুঙ্খ পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে তার চিকিৎসার জন্য উন্নত চিকিৎসা কেন্দ্র বেছে নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার পেসমেকার প্রতিস্থাপন সম্পন্ন
এর আগে শুক্রবার বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জানান, শিগগিরই উন্নত চিকিৎসার জন্য খালেদা জিয়াকে বিদেশে পাঠানো হবে।
৮ জুলাই রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়ার ছয় দিন পর বিভিন্ন জটিলতা নিয়ে আবারও একই হাসপাতালে খালেদা জিয়াকে ভর্তি করা হয়।
এর আগে গত ২৩ জুন অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে একদল বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক খালেদা জিয়ার বুকে সফলভাবে পেসমেকার স্থাপন করেন।
খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে লিভার সিরোসিস, আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, ফুসফুস, হার্ট ও চোখের সমস্যাসহ বিভিন্ন রোগের সঙ্গে লড়াই করে আসছেন।
খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা. জাহিদ জানান, তাকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসকদের নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।
শিক্ষার্থীদের নেতৃত্বাধীন গণআন্দোলন চলাকালে চোখে আঘাতপ্রাপ্তদের দেখতে জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে যান ডা. জাহিদ।
ডা. জাহিদ বলেন, আন্দোলনের সময় চোখে আঘাত পাওয়া প্রায় ৭৬৫ জনকে জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। তাদের মধ্যে ৬১০ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে এবং ৩৯৫ জনের বিভিন্ন অস্ত্রোপচার করা হয়েছে।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ৫২ জন রোগীর অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন হবে বলে জানান বিএনপির এই নেতা।
তিনি আরও বলেন, ১১ জন রোগীর অবস্থা অত্যন্ত সংকটাপন্ন। তারা গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর দুই চোখে দেখতে পাচ্ছেন না।
সরকার আহতদের প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দিচ্ছে বলে জানান ডা. জাহিদ।
তিনি আরও বলেন, 'আমি যখন এখানে আসছিলাম, ম্যাডাম (খালেদা জিয়া) আমাকে আহতদের বিএনপির পক্ষ থেকে সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস দিতে বলেছিলেন। আমাদের সামর্থ্য অনুযায়ী যা যা করা দরকার আমরা তা করব।’
আরও পড়ুন: বৃহস্পতিবার ৮০ বছরে পা দিচ্ছেন খালেদা জিয়া
৩ মাস আগে
২০১৫ সালে খালেদা জিয়ার গাড়িবহরে হামলা: হাসিনাসহ ১১৩ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার গাড়িবহরে হামলার ঘটনায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ১১৩ জনের বিরুদ্ধে তেজগাঁও থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
রবিবার (১৮ আগস্ট) ঢাকা উত্তরের ২৬ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক বেলাল হোসেন বাদী হয়ে এ অভিযোগ দাখিল করেন।
আরও পড়ুন: বগুড়ায় হাসিনা-কাদেরসহ আওয়ামী লীগের ১০১ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা
২০১৫ সালে ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচনের প্রচারণার সময় রাজধানীর কারওয়ান বাজারে খালেদা জিয়ার গাড়িবহরে হামলার ঘটনা ঘটে।
তেজগাঁও থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সারোয়ার আলম খান জানান, বিষয়টি নিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে পরামর্শ করা হবে।
অভিযোগটি মামলা হিসেবে এগিয়ে যাওয়ার অনুমতি পেলে আনুষ্ঠানিকভাবে রেকর্ড করা হবে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: নাটোরে শিক্ষার্থী হত্যা: শেখ হাসিনা, সাবেক এমপি শিমুলসহ ১১১ জনের বিরুদ্ধে মামলা
৩ মাস আগে