খালেদা জিয়া
লন্ডনে খালেদা জিয়ার ‘পূর্ণাঙ্গ স্বাস্থ্য পরীক্ষা’ শুরু
যুক্তরাজ্যের লন্ডন ক্লিনিকের চিকিৎসকরা খালেদা জিয়ার পূর্ণাঙ্গ স্বাস্থ্য পরীক্ষা শুরু করেছেন। লন্ডনে অবস্থানরত তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক এজেডএম জাহিদ হোসেন বুধবার (২ এপ্রিল) গণমাধ্যমকে এ কথা জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘আজ (বুধবার) থেকে ম্যাডামের পূর্ণাঙ্গ স্বাস্থ্য পরীক্ষা শুরু হয়েছে। আগামী চারদিন উনার বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা হবে। এ সময় উনার ডাক্তাররা (লন্ডন ক্লিনিকের চিকিৎসকরা) বাসায় উনাকে দেখতে আসবেন।’
তিনি বলেন, ‘কিছু পরীক্ষা করার জন্য হয়তো উনাকে লন্ডনে ক্লিনিকেও নিয়ে যাওয়া হবে। আগামী কয়েকটি দিন বেশ কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা আছে, যা চিকিৎসকদের পরামর্শক্রমে করা হচ্ছে।’
কবে দেশে ফিরতে পারেন জানতে চাইলে জাহিদ হোসেন বলেন, ‘যেসব পরীক্ষা করতে বলেছেন, সেগুলোর রিপোর্ট পর্যালোচনা করে এখানকার ডাক্তাররা পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবেন—কত দ্রুত ছুটি দেওয়া যায়।’
আরও পড়ুন: গণতান্ত্রিক বাংলাদেশের জন্য ঐক্যবদ্ধ হোন: খালেদা জিয়া
এখন কেমন আছেন জানতে চাইলে এই চিকিৎসক বলেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ, ম্যাডামের মানসিক ও শারীরিক অবস্থা এখন স্থিতিশীল। মানসিকভাবে উনি আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে অনেক বেশি ভালো। মাচ বেটার।’
সম্প্রতি লন্ডনের একটি পার্কে খালেদা জিয়ার হুইল চেয়ারে বসা একটি ভিডিও ছড়িয়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘গতকাল (মঙ্গলবার) হুইল চেয়ারে করে জাস্ট উনাকে (খালেদা জিয়া) গাড়ি থেকে নামিয়ে ঘোরানো হয়েছিল। শীত কম ছিল, সেজন্য কিছুক্ষণ ঘোরানো হয়েছিল। একুট মন ভালো লাগার জন্য, উনাকে স্থানীয় একটি পার্কে (সাউথ-ওয়েস্ট ইনার লন্ডনে) গাড়ি থেকে নামিয়ে ঘোরানো হয়েছিল এই আর কি। পার্কের নানা রঙের ফুল, বাগান দেখালে ম্যাডামের একটু ভালো লাগবে—এই চিন্তা করে এটা করা হয়েছিল।’
তারেক রহমানের বাসায় থেকে লন্ডন ক্লিনিকের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অধ্যাপক প্যাট্রিক কেনেডি ও অধ্যাপক জেনিফার ক্রসের তত্ত্বাবধায়নে চিকিৎসাধীন রয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া।
উন্নত চিকিৎসার জন্য চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে লন্ডনে যান তিনি। গত ৮ থেকে ২৪ জানুয়ারি পর্যন্ত তিনি লন্ডনের দ্য ক্লিনিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। এরপর থেকে তারেক রহমানের বাসায় থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
আরও পড়ুন: লন্ডনের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়লেন খালেদা জিয়া
৭৯ বছর বয়সী সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী দীর্ঘদিন ধরে লিভার সিরোসিস, কিডনি, হার্ট, ডায়াবেটিস, আর্থ্রাইটিসসহ শারীরিক নানা অসুস্থতায় ভুগছেন।
লন্ডনে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপন করেছেন বেগম খালেদা জিয়া। ছেলে তারেক রহমানের বাসায় আনন্দঘন পরিবেশে সময় কাটছে তার। ছেলে, পুত্রবধূ ও নাতনিদের সান্নিধ্যে এবার উৎসবের আমেজে ঈদ উদযাপন করেছেন তিনি।
১৪ দিন আগে
৮ বছর পর পরিবারের সঙ্গে ঈদ উদযাপন করবেন খালেদা জিয়া
দীর্ঘ প্রায় আট বছর পর লন্ডনে পরিবারের সঙ্গে ঈদ উদযাপন করতে যাচ্ছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।
চলতি বছরের ৮ জানুয়ারি লন্ডনে যান খালেদা জিয়া। এবারের ঈদুল ফিতর উদযাপন করবেন তার বড় ছেলে তারেক রহমান, পুত্রবধূ জোবাইদা রহমান, তাদের মেয়ে জাইমা রহমান, ছোট ছেলে প্রয়াত আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী শর্মিলা রহমান, তাদের দুই মেয়ে জাফিয়া ও জাহিয়া রহমানের সঙ্গে।
লন্ডন থেকে ইউএনবির সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলতে গিয়ে খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক এজেডএম জাহিদ হোসেন জানান, ‘দীর্ঘদিন পর পরিবারের সঙ্গে ঈদ উদযাপনের প্রস্তুতি নিতে গিয়ে তিনি মানসিকভাবে বেশ প্রাফুল্ল ও স্থিতিশীল অবস্থায় রয়েছেন।’
তিনি বলেন, ‘২৫ জানুয়ারি হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পাওয়ার পর থেকে খালেদা জিয়া লন্ডনের ক্লিনিকের অধ্যাপক প্যাট্রিক কেনেডি ও অধ্যাপক জেনিফার ক্রসের তত্ত্বাবধানে বাড়িতে চিকিৎসাধীন আছেন। চিকিৎসকদের একটি দল নিয়মিত তার স্বাস্থ্যের খবরাখবর রাখছেন এবং প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সেবা দিচ্ছেন।’
বাংলাদেশে ফেরার বিষয়ে জানতে চাইলে ডা. জাহিদ বলেন, ‘ঈদের পর যেকোনো সময় তিনি দেশে ফিরতে পারেন, তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত চিকিৎসক দলের অনুমতির ওপর নির্ভর করছে।’
‘তার বর্তমান অবস্থা স্থিতিশীল, তাই আমি আশা করছি, মেডিকেল বোর্ডের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তিনি খুব শিগগিরই দেশে ফিরবেন।’
যুক্তরাজ্যে চাঁদ দেখার ওপর নির্ভর করে রবিবার অথবা সোমবার ঈদুল ফিতর উদযাপিত হবে সেখানে।
২০১৭ সালে চিকিৎসার জন্য লন্ডনে গিয়ে তিনি তিন মাস অবস্থান করেছিলেন এবং সেসময় ঈদুল আজহা তার পরিবারের সঙ্গে উদযাপন করেন। কিন্তু ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি কারাবন্দি হওয়ার পর থেকে তিনি আর পরিবারের সঙ্গে ঈদ উদযাপন করতে পারেননি।
৭৯ বছর বয়সী এই সাবেক প্রধানমন্ত্রী দীর্ঘদিন ধরে লিভার সিরোসিস, কিডনি ও হৃদযন্ত্রের সমস্যা, ডায়াবেটিস এবং বাতের সমস্যায় ভুগছেন।
১৮ দিন আগে
জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়ার খালাসের রায় বহাল
জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় ৭ বছরের কারাদণ্ড ও ১০ লাখ টাকা অর্থদণ্ড থেকে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে খালাস দিয়ে হাইকোর্ট যে রায় দিয়েছেন, তা বহাল রয়েছে আপিল বিভাগেও।
হাইকোর্টের ওই রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ ও দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা পৃথক তিনটি লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন) খারিজ করে দিয়েছেন আপিল বিভাগ।
সোমবার (৩ মার্চ) জ্যেষ্ঠ বিচারপতি আশফাকুল ইসলামের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আপিল বিভাগ এ রায় দিয়েছেন।
এর আগে গত ২৩ ফেব্রুয়ারি জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে ৭ বছরের দণ্ড থেকে খালাসের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ ও দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়াকে খালাসের বিরুদ্ধে আপিলের শুনানি ৩ মার্চ
এদিন আপিলের শুনানির জন্য ২ মার্চ ধার্য করেন আপিল বিভাগ।
এর আগে, ২০২৪ সালের ২৭ নভেম্বর চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে সাত বছরের দণ্ড থেকে খালাস দেন হাইকোর্ট। সাজার বিরুদ্ধে খালেদা জিয়ার আপিল মঞ্জুর করে বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন। এই রায়ের বিরুদ্ধে করা আপিলের ওপর আজ শুনানি হয়েছে।
২০১৮ সালের ২৯ অক্টোবর জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় খালেদা জিয়াকে সাত বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেন ঢাকার ৫ নম্বর বিশেষ আদালত। রায়ে সাত বছরের কারাদণ্ড ছাড়াও খালেদা জিয়াকে ১০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। জরিমানা অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দেন আদালত। পরে এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেন খালেদা জিয়া।
এরপর কারান্তরীণ অবস্থায়ই ২০১৮ সালের ৬ অক্টোবর ও ২০১৯ সালের ১ এপ্রিল চিকিৎসার জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে নেওয়া হয় খালেদা জিয়াকে। প্রয়োজনীয় পরীক্ষা শেষে তাকে আবারও কারাগারে পাঠানো হয়।
আরও পড়ুন: কুমিল্লার নাশকতা মামলা থেকে অব্যাহতি পেলেন খালেদা জিয়া
এভাবে কয়েক দফায় তাকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে এবং হাসপাতাল থেকে কারাগারে নেওয়া হয়। তবে এরই মাঝে দেশে করোনা পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করলে খালেদা জিয়ার মুক্তি চেয়ে তার পরিবার সরকারের কাছে আবেদন জানায়। পরে কয়েক দফায় খালেদা জিয়ার দণ্ড স্থগিত রাখে সরকার।
গত ৩ নভেম্বর আইনজীবী জয়নুল আবেদীন বলেন, খালেদা জিয়া কোনো অনুকম্পা চান না। তিনি আইনিভাবে মামলা নিষ্পত্তি করতে চান। এ কারণে আমরা জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলার সাজার রায়ের বিরুদ্ধে দ্রুত আপিল শুনানি করতে চেয়েছি।
৪৫ দিন আগে
খালেদা জিয়াকে খালাসের বিরুদ্ধে আপিলের শুনানি ৩ মার্চ
জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে ৭ বছরের দণ্ড থেকে খালাসের রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ ও দুদকের আপিলের শুনানির জন্য সোমবার (৩ মার্চ) দিন ধার্য করেছেন আপিল বিভাগ।
দুদকের আইনজীবীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে রবিবার (২ মার্চ) বিচারপতি আশফাকুল ইসলামের নেতৃত্বে তিন বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
এ সময় আদালতে দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী আসিফ হোসাইন। খালেদা জিয়ার পক্ষে ছিলেন আইনজীবী ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল, আইনজীবী আমিনুল ইসলাম, আইনজীবী জাকির হোসেন, আইনজীবী মাকসুদ উল্লাহ।
এর আগে গত ২৩ ফেব্রুয়ারি জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে ৭ বছরের দণ্ড থেকে খালাসের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ ও দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
এদিন আপিলের শুনানির জন্য ২ মার্চ ধার্য করেন আপিল বিভাগ।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়াসহ আটজনের বিরুদ্ধে নাইকো মামলায় আরও ৬ জনের সাক্ষ্য
এর আগে, ২০২৪ সালের ২৭ নভেম্বর চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে সাত বছরের দণ্ড থেকে খালাস দেন হাইকোর্ট। সাজার বিরুদ্ধে খালেদা জিয়ার আপিল মঞ্জুর করে বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন। এই রায়ের বিরুদ্ধে করা আপিলের ওপর সোমবার শুনানি হবে।
২০১৮ সালের ২৯ অক্টোবর জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় খালেদা জিয়াকে সাত বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেন ঢাকার ৫ নম্বর বিশেষ আদালত। রায়ে সাত বছরের কারাদণ্ড ছাড়াও খালেদা জিয়াকে ১০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। জরিমানা অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দেন আদালত। পরে এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেন খালেদা জিয়া।
এরপর কারান্তরীণ অবস্থায়ই ২০১৮ সালের ৬ অক্টোবর ও ২০১৯ সালের ১ এপ্রিল চিকিৎসার জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে নেওয়া হয় খালেদা জিয়াকে। প্রয়োজনীয় পরীক্ষা শেষে তাকে আবারও কারাগারে পাঠানো হয়।
এভাবে কয়েক দফায় তাকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে এবং হাসপাতাল থেকে কারাগারে নেওয়া হয়। তবে এরই মাঝে দেশে করোনা পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করলে খালেদা জিয়ার মুক্তি চেয়ে তার পরিবার সরকারের কাছে আবেদন জানায়। পরে কয়েক দফায় খালেদা জিয়ার দণ্ড স্থগিত রাখে সরকার।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার গাড়ি বহরে হামলায় মামলা: রিমান্ডে ফারুক খান, ইনু ও মেনন
গত ৩ নভেম্বর আইনজীবী জয়নুল আবেদীন বলেন, খালেদা জিয়া কোনো অনুকম্পা চান না। তিনি আইনিভাবে মামলা নিষ্পত্তি করতে চান। এ কারণে আমরা জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলার সাজার রায়ের বিরুদ্ধে দ্রুত আপিল শুনানি করতে চাই।
৪৬ দিন আগে
গণতান্ত্রিক বাংলাদেশের জন্য ঐক্যবদ্ধ হোন: খালেদা জিয়া
বাংলাদেশে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বলেছেন, ফ্যাসিবাদের দোসররা তাদের চক্রান্তে সক্রিয় রয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) বিএনপির বর্ধিত সভায় লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি দেওয়া বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
নেতাকর্মীদের সতর্ক বার্তা দিয়ে স্বৈরাচারী শাসনের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ঐক্যের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন খালেদা জিয়া।
তিনি বলেন, ‘আমাদের সংগ্রাম এখনও শেষ হয়নি। গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়া শক্তিগুলো এখনো ষড়যন্ত্র করছে। সত্যিকার অর্থে গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়তে আমাদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।’
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা এখন অনেক ভালো: ডা. জাহিদ
স্থানীয় নির্বাচনের ফাঁদে পা দেবে না বিএনপি: তারেক
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান নির্বাচন নিয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টির অভিযোগ করে বলেছেন, স্থানীয় কোনো নির্বাচনের ফাঁদে অংশ নেবে না বিএনপি।
লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি একই বৈঠকে যোগ দিয়ে তারেক রহমান বলেন, জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় নির্বাচনকে প্রাধান্য দিয়ে দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করা হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, ‘জাতীয় নির্বাচনের আগে ক্ষমতাসীন দল স্থানীয় নির্বাচনকে রাজনৈতিক পরিস্থিতিকে ঘোলাটে করার হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে। এটা শেখ হাসিনার ফ্যাসিবাদকে পুনর্বাসিত করার প্রক্রিয়ার অংশ। কিন্তু বিএনপি এই ফাঁদে পা দেবে না।’
জাতির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে জনগণকে সজাগ থাকার আহ্বানও জানান বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান।
আরও পড়ুন: সন্ধ্যায় লন্ডন ক্লিনিক থেকে ছাড়পত্র পাচ্ছেন খালেদা জিয়া
তিনি বলেন, কতিপয় উপদেষ্টার কিছু বিভ্রান্তিকর বক্তব্য স্বাধীনতাকামী মানুষের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করছে। এদিকে দেশে সহিংসতা চলছে এবং সরকার আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় ব্যর্থ হয়েছে। দ্রব্যমূল্যের অনিয়ন্ত্রিত বৃদ্ধিও তারা রোধ করতে পারছে না।’
৪৯ দিন আগে
খালেদা জিয়ার গাড়ি বহরে হামলায় মামলা: রিমান্ডে ফারুক খান, ইনু ও মেনন
বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার গাড়ি বহরে হামলার ঘটনায় মতিঝিল থানার হত্যাচেষ্টা মামলায় সাবেক মন্ত্রী ফারুক খান, হাসানুল হক ইনু ও রাশেদ খান মেননের ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এম এ আজহারুল ইসলামের আদালত শুনানি শেষে রিমান্ডের আদেশ দেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা প্রত্যেকের পাঁচ দিন করে রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষে ঢাকা মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর ওমর ফারুক ফারুকী রিমান্ডের পক্ষে শুনানি করেন।
আসামি পক্ষের আইনজীবীরা রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত তাদের ৫ দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন।
রিমান্ড শেষে সাবেক মন্ত্রী ফারুক খান ঢাকার সিএমএম আদালতে হাজতখানায় নিয়ে যাওয়ার পথে কারাগার থেকে তার ভেরিফায়েড ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেওয়া সম্পর্কে জানতে চান সাংবাদিকরা।
এসময় ফারুক খান বলেন, ‘কারাগার থেকে কীভাবে স্ট্যাটাস দিবো? কারাগার থেকে কি স্ট্যাটাস দেওয়া যায়? এটা মিথ্যা কথা।’
মামলার সূত্রে জানা গেছে, ২০১৫ সালের ২০ এপ্রিল নির্বাচনী প্রচারণার সময় বিএনপি কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত পথসভায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে হত্যার উদ্দেশ্যে আসামিরা অস্ত্রসহ তার গাড়িবহরে হামলা চালান।
এসময় তারা খালেদা জিয়ার গাড়িবহরের ১২ থেকে ১৪টি গাড়ি ভাঙচুর করে, ৪টি মোটরসাইকেলে আগুন দেয় এবং নেতাকর্মীদের মারধর করেন।
আরও পড়ুন: সাবেক জনপ্রশাসনমন্ত্রী ফরহাদের স্ত্রী মোনালিসা তিন দিনের রিমান্ডে
হামলায় খালেদা জিয়ার নিরাপত্তারক্ষীরা আহত হন।
অভিযোগে আরো বলা হয়, খালেদা জিয়াকে লক্ষ্য করে আসামিরা ইট-পাথর নিক্ষেপ করলে সাধারণ পথচারীরা আহত হয়।
আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোট এবং এর অঙ্গ সংগঠনগুলোর ২০০ থেকে ৩০০ নেতাকর্মী দেশি অস্ত্র হাতে নিয়ে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়।
হামলার সময় আসামিরা মূল্যবান জিনিস ছিনিয়ে নেয় ও জোরপূর্বক আটকে রেখে মুক্তিপণ দাবি করে।
৫৬ দিন আগে
খালেদা জিয়াসহ আটজনের বিরুদ্ধে নাইকো মামলায় আরও ৬ জনের সাক্ষ্য
সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ আটজনের বিরুদ্ধে দায়ের করা নাইকো দুর্নীতি মামলায় সাক্ষ্য দিয়েছেন আরও ছয়জন।
সোমবার (১৩ জানুয়ারি) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক আব্দুল্লাহ আল মামুনের কাছে সাক্ষ্য দেন তারা। এ নিয়ে মামলাটিতে ৬৮ সাক্ষীর মধ্যে ৩৮ জনের সাক্ষ্য শেষ হলো।
নাইকো দুর্নীতি মামলায় পরবর্তী সাক্ষ্য গ্রহণের তারিখ ধার্য করা হয়েছে আগামী ২১ জানুয়ারি।
আরও পড়ুন: জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় খালাস পেলেন খালেদা জিয়া
উল্লেখ্য, ২০০৭ সালের ৯ ডিসেম্বর রাজধানীর তেজগাঁও থানায় খালেদা জিয়াসহ আটজনের বিরুদ্ধে মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
মামলা তদন্তের পর ২০০৮ সালের ৫ মে খালেদা জিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হয়। গেল বছরের ১৯ মার্চ একই আদালত খালেদা জিয়াসহ আট আসামির অব্যাহতি আদালত নাকচ করে চার্জ গঠনের আদেশ দেন।
অপর আসামিরা হলেন- তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব কামাল উদ্দীন সিদ্দিকী, বাপেক্সের সাবেক মহাব্যবস্থাপক মীর ময়নুল হক, নাইকোর দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট কাশেম শরীফ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব খন্দকার শহীদুল ইসলাম, সাবেক সিনিয়র সহকারী সচিব সিএম ইউসুফ হোসাইন, ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুন ও বাগেরহাটের সাবেক সংসদ সদস্য এম এ এইচ সেলিম। এদের মধ্য প্রথম তিনজন পলাতক আছেন।
আরও পড়ুন: গ্যাটকো দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়াসহ ২ জন খালাস
৯২ দিন আগে
বিমানবন্দরের পথে খালেদা জিয়া
উন্নত চিকিৎসার জন্য লন্ডন যাওয়ার জন্য হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের উদ্দেশে রওনা হয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। রাত সোয়া ৮টায় তিনি গুলশানের বাসভবন থেকে বিমানবন্দরের উদ্দেশে রওনা হয়েছেন বলে জানিয়েছেন বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান।
তিনি জানিয়েছেন, গুলশান-২ মোড় হয়ে বনানী-কাকলী ক্রসিং দিয়ে বিমানবন্দরে যাচ্ছেন বিএনপি চেয়ারপারসন।
সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীকে বিদায় জানাতে এদিন বিকেল থেকেই তার গুলশানের বাসভবনের সামনে দলের নেতাকর্মীরা ভিড় করতে শুরু করেন। এছাড়া গুলশান-২, কাকলী ও বিমানবন্দর সড়ক পর্যন্ত ফুটপাতে অপেক্ষায় রয়েছেন দলটির কয়েক হাজার নেতাকর্মী।
শায়রুল জানান, রাত ৯টায় খালেদা জিয়া বিমানবন্দরে পৌঁছাবেন এবং মেডিকেল টিমের ছয়জন চিকিৎসকসহ তার সফরসঙ্গীদের নিয়ে রাত ১০টায় কাতারের আমিরের পাঠানো বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে বিমানবন্দর ত্যাগ করবেন। এরপর ৮ জানুয়ারি বাংলাদেশ সময় সকাল ১০টায় এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি যুক্তরাজ্যের হিথ্রো বিমানবন্দরে অবতরণ করবে।
এর আগে, খালেদা জিয়াকে বিদায় জানানোর সময় জনদুর্ভোগ এড়াতে নেতাকর্মীদের প্রতি বিশেষ নির্দেশনা দেয় বিএনপি। ঢাকা মহানগর (উত্তর ও দক্ষিণ) বিএনপি এবং সব অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীকে সুশৃঙ্খলভাবে রাস্তার ফুটপাতে দাঁড়িয়ে খালেদা জিয়াকে বিদায় জানানোর জন্য অনুরোধ করেছে দলটি, যাতে রাস্তায় যানবাহন ও পথচারী চলাচলে কোনো বিঘ্ন না ঘটে।
সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীর জন্য বিমানবন্দরে কয়েক স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থার সমম্বয়ে বৈঠক করেছে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)।
বেবিচক কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ১০ প্লাটুন পুলিশের পাশাপাশি এয়ারপোর্ট আর্মড পুলিশ, র্যাব, বেবিচকের অ্যাফসেক বাহিনীসহ সোয়াটের মতো স্পেশাল টিমও মোতায়েন থাকবে।
বিএনপির বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মীর জমায়েতে যাতে নিরাপত্তা বিঘ্নিত না হয়, সে জন্য বিশেষ এই সতর্কাবস্থা বলে জানিয়েছেন তারা।
আরও পড়ুন: রাতে লন্ডন যাচ্ছেন খালেদা জিয়া
যুক্তরাজ্যে পৌঁছানোর পর সরাসরি খালেদা জিয়াকে লন্ডন ক্লিনিকে ভর্তি করা হবে। সেখানে কিছুদিন চিকিৎসার পর যুক্তরাষ্ট্রের মেরিল্যান্ডে জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয় হসপিটালে তার চিকিৎসা নেওয়ার কথা রয়েছে।
হিথ্রো বিমানবন্দরে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, তার স্ত্রী এবং যুক্তরাজ্য শাখার বিএনপি নেতারা খালেদা জিয়াকে স্বাগত জানাবেন।
২০০৮ সাল থেকে সপরিবারে লন্ডনে বসবাস করছেন তারেক রহমান। কারাবন্দি হওয়ার আগে সবশেষ ২০১৭ সালে লন্ডন সফরে যান বিএনপি চেয়ারপারসন। তখনই শেষবার সরাসরি দেখা হয়েছিল মা-ছেলের।
৯৯ দিন আগে
রাতে লন্ডন যাচ্ছেন খালেদা জিয়া
কাতারের আমিরের পাঠানো বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে আজ (মঙ্গলবার) রাতে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে লন্ডনের উদ্দেশে রওনা হবেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া।
এ বিষয়ে বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান বলেছেন, ম্যাডাম (খালেদা জিয়া) রাত ৮টায় গুলশানের বাসা থেকে বের হবেন এবং রাত ৯টার মধ্যে বিমানবন্দরে পৌঁছানোর কথা রয়েছে তার।
বিএনপি চেয়ারপারসনের মেডিকেল টিমের ছয়জন চিকিৎসকসহ তার সফরসঙ্গীদের নিয়ে রাত ১০টায় এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটির বিমানবন্দর ত্যাগ করার কথা রয়েছে বলে জানান তিনি।
এদিকে, খালেদা জিয়াকে বিদায় জানানোর সময় জনদুর্ভোগ এড়াতে নেতাকর্মীদের প্রতি বিশেষ নির্দেশনা দিয়েছে বিএনপি।
ঢাকা মহানগর (উত্তর ও দক্ষিণ) বিএনপি এবং সব অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীকে সুশৃঙ্খলভাবে রাস্তার ফুটপাতে দাঁড়িয়ে খালেদা জিয়াকে বিদায় জানানোর জন্য অনুরোধ করেছে দলটি, যাতে রাস্তায় যানবাহন ও পথচারী চলাচলে কোনো বিঘ্ন না ঘটে।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়া লন্ডন যাচ্ছেন মঙ্গলবার রাতে
এছাড়া, খালেদা জিয়ার গাড়িবহর কোন পথে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যাবে, ইতোমধ্যে সেই রুটের তথ্যও জানানো হয়েছে।
পরিকল্পনা অনুযায়ী, গুলশান-২ নম্বরের বাসা ফিরোজা থেকে রাত ৮টায় বিএনপি চেয়ারপারসনকে নিয়ে গাড়িটি গুলশান-২ নম্বর গোলচত্বর হয়ে কাকলী গোলচত্বর হয়ে বিমানবন্দরে পৌঁছাবে।
সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীর জন্য বিমানবন্দরে কয়েক স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থার সমম্বয়ে বৈঠক করেছে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)।
বেবিচক কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ১০ প্লাটুন পুলিশের পাশাপাশি এয়ারপোর্ট আর্মড পুলিশ, র্যাব, বেবিচকের অ্যাফসেক বাহিনীসহ সোয়াটের মতো স্পেশাল টিমও মোতায়েন থাকবে।
বিএনপির বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মীর জমায়েতে যাতে নিরাপত্তা বিঘ্নিত না হয়, সে জন্য বিশেষ এই সতর্কাবস্থা বলে জানিয়েছেন তারা।
যুক্তরাজ্যে পৌঁছানোর পর সরাসরি খালেদা জিয়াকে লন্ডন ক্লিনিকে ভর্তি করা হবে। সেখানে কিছুদিন চিকিৎসার পর যুক্তরাষ্ট্রের মেরিল্যান্ডে জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয় হসপিটালে তার চিকিৎসা নেওয়ার কথা রয়েছে।
সোমবার বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন জানান, যুক্তরাজ্যের হিথ্রো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছানোর পর সরাসরি লন্ডন ক্লিনিকে ভর্তি হবেন খালেদা জিয়া। সেখানকার চিকিৎসকরা উনাকে দেখার পর পরবর্তী সিদ্ধান্ত ঠিক করা হবে। সেখান থেকে সুপারিশ করা হলে জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয় হসপিটালে নিয়ে যাওয়া হতে পারে।
ডা. জাহিদ বলেন, হিথ্রো বিমানবন্দরে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, তার স্ত্রী এবং যুক্তরাজ্য শাখার বিএনপি নেতারা খালেদা জিয়াকে স্বাগত জানাবেন।
আরও পড়ুন: খালেদা লন্ডনে পৌঁছেই সরাসরি হাসপাতালে ভর্তি হবেন
২০০৮ সাল থেকে সপরিবারে লন্ডনে বসবাস করছেন তারেক রহমান। কারাবন্দি হওয়ার আগে সবশেষ ২০১৭ সালে লন্ডন সফরে যান বিএনপি চেয়ারপারসন। তখনই শেষবার সরাসরি দেখা হয়েছিল মা-ছেলের।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও দলীয় প্রধান উন্নত চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়ে দেশে ফিরবেন; আবারও এগিয়ে নেবেন সবকিছু— এমন প্রত্যাশায় বুক বেঁধে আছে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের লাখো কর্মী-সমর্থক।
৯৯ দিন আগে
৭ জানুয়ারি লন্ডন যাচ্ছেন খালেদা জিয়া
উন্নত চিকিৎসার জন্য আগামী ৭ জানুয়ারি লন্ডন যাচ্ছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া।
এ বিষয়ে খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক এ জেড এম জাহিদ হোসেন ইউএনবিকে বলেছেন, ‘ম্যাডাম (খালেদা জিয়া) বিমানযাত্রার জন্য ফিট থাকলে ৭ জানুয়ারি লন্ডন যেতে পারেন।’
এদিকে, কাতার এয়ারওয়েজের একটি এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে বিএনপি চেয়ারপারসনকে লন্ডনে নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক খালেদা জিয়ার ঘনিষ্ঠ এক বিএনপি নেতা।
তিনি বলেন, লন্ডন সফরে খালেদার জিয়ার ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী সৈয়দা শর্মিলা রহমান, কয়েকজন চিকিৎসক, বিএনপি নেতা, তার ব্যক্তিগত সচিব ও দুজন গৃহকর্মীসহ ১৫ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল তার সফরসঙ্গী হবে।
বেগম খালেদা জিয়ার কার্যালয় ইতোমধ্যে তার সফরসঙ্গীদের বিষয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে অবহিত করেছে বলে জানান এই বিএনপি নেতা।
আরও পড়ুন: ৬ বছর পর রাজনৈতিক অনুষ্ঠানে যোগ দিচ্ছেন খালেদা
তিনি বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসনকে লন্ডনে পাঠানোর জন্য অন্যান্য প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা সম্পন্ন করা হয়েছে। ২০০৮ সালের ১২ সেপ্টেম্বর থেকে লন্ডনে তার বড় ছেলে ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান পরিবারসহ বসবাস করছেন।
দীর্ঘদিন ধরে লিভার সিরোসিস, আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস এবং কিডনি, ফুসফুস, হার্ট ও চোখের সমস্যাসহ বিভিন্ন রোগে ভুগছেন বেগম খালেদা জিয়া। গত বছরের ২৬ অক্টোবর তিন মার্কিন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক বেগম খালেদা জিয়ার পেট ও বুকে জমা পানি এবং লিভারে রক্তক্ষরণ বন্ধ করতে ট্রান্সজুগুলার ইন্ট্রাহেপ্যাটিক পোর্টোসিস্টেমিক শান্ট বা টিআইপিএস পদ্ধতি নামে পরিচিত হেপাটিক প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেন।
২০২১ সালের নভেম্বরে বেগম খালেদা জিয়ার লিভার সিরোসিস ধরা পড়ার পর থেকে চিকিৎসকরা তাকে বিদেশে পাঠানোর পরামর্শ দিয়ে আসছেন।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিশেষ আদালত পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দিলে ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি বেগম খালেদা জিয়াকে পুরান ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়। ওই বছরের ৩০ অক্টোবর হাইকোর্ট তার শাস্তি বাড়িয়ে ১০ বছর করে। পরে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় দোষী সাব্যস্ত হন তিনি।
কোভিড-১৯ প্রাদুর্ভাবের মধ্যে ২০২০ সালে ২৫ মার্চ গুলশানের বাড়ি ফিরোজায় থাকবেন এবং দেশ ত্যাগ করবেন না- এমন শর্তে একটি নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে ৭৭৬ দিন পর বেগম খালেদা জিয়াকে কারাগার থেকে সাময়িকভাবে মুক্তি দেয় সরকার।
তবে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর গত ৬ আগস্ট রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিনের আদেশে বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: বড় পুকুরিয়া কয়লাখনি মামলা থেকে খালেদা জিয়াসহ তিনজনকে অব্যাহতি
১১২ দিন আগে