খালেদা জিয়া
মুক্ত খালেদাকে কীভাবে মুক্তি দেব, বুঝে উঠতে পারছি না: আইনমন্ত্রী
আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, ‘মুক্ত বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে কিভাবে মুক্তি দেব, তা বুঝে উঠতে পারছি না।’
বিএনপির পক্ষ থেকে খালেদা জিয়ার শর্তহীন মুক্তির দাবির বিষয়ে জানতে চাইলে মঙ্গলবার (৯ জুলাই) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের একথা বলেন আইনমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: ড. ইউনূস অসত্য ও আক্রমণাত্মক কথা বলছেন: আইনমন্ত্রী
আনিসুল হক বলেন, ‘দেখুন, আমি একটা কথা বুঝতে পারছি না! খালেদা জিয়া মুক্ত, এই মুক্ত মানুষকে আবার কী করে মুক্তি দেব?’
সোমবার ‘খালেদা জিয়ার সঠিক চিকিৎসা হচ্ছে না’ উল্লেখ করে তার মুক্তি দাবি করেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
উল্লেখ্য, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট এবং জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত খালেদা জিয়ার দণ্ড বর্তমানে স্থগিত রয়েছে। তার দণ্ড স্থগিত করে মুক্তির মেয়াদ ছয় মাস ছয় মাস করে বাড়ানো হচ্ছে।
খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, লিভার, ফুসফুস ও চোখের সমস্যাসহ নানা শারীরিক জটিলতায় ভুগছেন। অসুস্থতা বাড়লে মাঝে মাঝে তাকে হাপাতালে নিতে হচ্ছে। সম্প্রতি তার হৃদযন্ত্রে পেসমেকার বসানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: কোটা নিয়ে সব পক্ষের বক্তব্য শুনে ন্যায়বিচার করবেন আদালত: আইনমন্ত্রী
খালেদা জিয়া উন্নত চিকিৎসা পাচ্ছেন না, এমন অভিযোগ হাস্যকর: আইনমন্ত্রী
খালেদা জিয়া স্বেচ্ছায় বেসরকারি হাসপাতালে গেছেন, এর দায় সরকারের নয়: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপিনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া স্বেচ্ছায় বেসরকারি হাসপাতালে গেছেন, সেখানে চিকিৎসা সেবার বিষয়ে দায় সরকারের নয়।
'সম্প্রতি এভারকেয়ার হাসপাতালে বেগম জিয়ার চিকিৎসা নিয়ে বিএনপি নেতা রুহুল কবির রিজভীর সরকারের ওপর বিষোদগার' বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) দুপুরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে অনার্য প্রকাশনী প্রকাশিত ড. সুবল রোজারিও প্রণীত গবেষণাগ্রন্থ 'হায়ার এডুকেশন ইন বাংলাদেশ' এবং নাট্যব্যক্তিত্ব জুয়েল কবির রচিত 'আমি প্রীতিলতা' নাট্যগ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দেন মন্ত্রী।
আরও পড়ুন: জ্বালানি-তথ্যপ্রযুক্তিসহ বিভিন্ন খাতে সুইডেনকে বিনিয়োগের আহ্বান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর
প্রকাশক সফিক রহমান অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন।
'বেগম জিয়ার অসুস্থতায় রিজভীও ফখরুলের মতো কেঁদেছেন কি না' প্রশ্ন রেখে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এভারকেয়ার হাসপাতাল সরকারি নয়, বেসরকারি। সেখানে চিকিৎসার বিষয়ে সরকারের কোনো দায় নেই। তারা যদি অ্যাম্বুলেন্স, ইনজেকশন না দিয়ে থাকে সে বিষয়ে তারাই বলতে পারবে।
এ সময় বাংলাদেশের মধ্য দিয়ে ভারতের সঙ্গে রেল যোগাযোগ নিয়ে প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ঢাকা-কলকাতা, খুলনা-কলকাতা রেল যোগাযোগ তো রয়েছেই। শুধু ভারত নয়, নেপাল, ভুটানসহ আঞ্চলিক 'কানেক্টিভিটি'র জন্য কাজ চলছে। আর আমাদের সঙ্গে ভারতের নানা অঞ্চলের যোগাযোগ বহুদিন ধরে। ১৯৬৫ সালের পরে অনেক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। সেগুলো আবার চালু করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: দেশের স্বার্থ রক্ষা করেই ভারতের সঙ্গে সমঝোতা সই-নবায়ন করা হয়েছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
এ সময় ভারতের মধ্য দিয়ে নেপাল ও ভুটানে চলাচল সম্ভব হবে কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইতিবাচক সাড়া দিয়ে বলেন, ভারতের ওপর দিয়ে আমরা ইতোমধ্যেই নেপাল থেকে জলবিদ্যুৎ আমদানির চুক্তি করেছি। পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রীর সদ্যসমাপ্ত ভারত সফরে সে দেশের ওপর দিয়ে নেপাল ও ভুটানে মালামাল পরিবহন বিষয়েও আলোচনা হয়েছে।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে লন্ডন থেকে ফিরিয়ে আনার বিষয়ে সংসদে প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া বক্তব্য নিয়ে প্রশ্নে ড. হাছান বলেন, আমাদের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে কাজ করে যাচ্ছে। যুক্তরাজ্যের সঙ্গে আমাদের বন্দি বিনিময় চুক্তি নেই, সেটি একটি প্রতিবন্ধকতা। কিন্তু সাজাপ্রাপ্ত আসামি হিসেবে তাকে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
বইয়ের মোড়ক উন্মোচনের সময় দেশে উচ্চশিক্ষা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বাংলাদেশে বিশেষত, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি ডিগ্রি দেওয়ার ক্ষেত্রে আরও যাচাই-বাছাই প্রয়োজন। দেশের বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সঙ্গে কথা বলবেন বলেও জানান তিনি।
এ সময় 'আমি প্রীতিলতা' নাট্যগ্রন্থ প্রসঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান বলেন, বৃটিশবিরোধী আন্দোলনে প্রথম নারী আত্মোৎসর্গকারী প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার দেশমাতৃকার জন্য আত্মত্যাগের চিরোজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। গ্রন্থ দুটি প্রকাশের জন্য প্রকাশককে ধন্যবাদ জানান মন্ত্রী।
আরও পড়ুন: এমপি আনার হত্যা: দুই আসামি ৬ দিনের রিমান্ডে
খালেদা জিয়ার পেসমেকার প্রতিস্থাপন সম্পন্ন
হৃদস্পন্দনের অস্বাভাবিকতা কমাতে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বুকে পেসমেকার প্রতিস্থাপন করা হয়েছে।
তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক এ জেড এম জাহিদ হোসেন জানান, রবিবার (২৩ জুন) রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে সফলভাবে খালেদা জিয়ার বুকে পেসমেকার বসিয়েছেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা।
সন্ধ্যা ৭টার দিকে জাহিদ হোসেন ইউএনবিকে বলেন, 'আলহামদুলিল্লাহ, আমরা ম্যাডামের বুকে পেসমেকার বসানোর প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছি।’
আগামী ৭২ ঘণ্টা খালেদা জিয়াকে ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) চিকিৎসকদের নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হবে বলে জানান তিনি।
এর আগে বিকালে খালেদা জিয়ার পেসমেকার বসানোর প্রক্রিয়া শুরু করেন চিকিৎসকরা।
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান জাহিদ বলেন, স্টেন্টিং দিয়ে চিকিৎসা করা হলেও তার হার্টের ব্লকেজ সমস্যা ছিল।
আরও পড়ুন: হাসপাতাল থেকে বাসায় ফিরেছেন খালেদা জিয়া
ডা. জাহিদ আরও বলেন, ‘পুঙ্খানুপুঙ্খ পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর মেডিক্যাল বোর্ড তার হৃদযন্ত্রে পেসমেকার বসানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’
বিএনপি ও খালেদা জিয়ার পরিবারের পক্ষ থেকে দ্রুত সুস্থতার জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন অধ্যাপক জাহিদ।
২০২২ সালের ১১ জুন এভারকেয়ার হাসপাতালে খালেদা জিয়ার হৃদযন্ত্রে একাধিক ব্লক ধরা পড়ে। এই ব্লকেজগুলোর মধ্যে একটিতে ৯৫ শতাংশ ব্লক ছিল এবং সেই সময় স্টেন্ট বসানো হয়েছিল।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মেডিকেল বোর্ডের এক সদস্য বলেন, শনিবার ভোরে বিএনপি চেয়ারপারসনকে হাসপাতালে ভর্তির পর থেকে তারা তার হৃদস্পন্দনের অস্বাভাবিকতার বিষয়ে কয়েক দফা বৈঠক করেছেন। অবশেষে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর বুকে পেসমেকার বসানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
এর আগে শনিবার দিবাগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে গুলশানের বাসভবন 'ফিরোজা'য় হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন খালেদা জিয়া। তাকে এভারকেয়ার হাসপাতালে দ্রুত সিসিইউতে ভর্তি করা হলে যেখানে একটি মেডিকেল বোর্ডের তত্ত্বাবধানে তার চিকিৎসা শুরু হয়।
দীর্ঘদিন ধরে লিভার সিরোসিস, আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস এবং কিডনি, ফুসফুস, হার্ট এবং চোখের সমস্যাসহ বিভিন্ন রোগে ভুগছেন ৭৯ বছর বয়সী সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী।
২০২০ সালে শর্তসাপেক্ষে কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়ার পর হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বাধীন মেডিকেল বোর্ডের তত্ত্বাবধানে বারবার হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা নিচ্ছেন বিএনপি চেয়ারপারসন।
২০২১ সালের নভেম্বরে তার লিভার সিরোসিস ধরা পড়ার পর থেকে চিকিৎসকরা বিদেশে পাঠানোর পরামর্শ দিয়ে আসছিলেন।
এর আগে খালেদা জিয়ার পেট ও বুকে পানি জমে যাওয়া ও লিভারে রক্তক্ষরণ বন্ধে গত বছরের ২৬ অক্টোবর যুক্তরাষ্ট্রের তিন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ট্রান্সজুগুলার ইন্ট্রাহেপ্যাটিক পোর্টোসিস্টেমিক শান্ট (টিআইপিএস পদ্ধতি) নামে পরিচিত হেপাটিক প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেন।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার অবস্থা অত্যন্ত সংকটাপন্ন, দেশবাসীর কাছে দোয়া চাইলেন ফখরুল
গভীর রাতে অসুস্থ হয়ে পড়লে খালেদা জিয়াকে হাসপাতালে ভর্তি
খালেদা জিয়া কেন জিয়া হত্যার বিচার করেননি: প্রশ্ন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর
দুই পূর্ণ মেয়াদে ক্ষমতায় থেকেও বিএনপি বা খালেদা জিয়া কেন জিয়াউর রহমান হত্যার বিচার করেননি- সেই বিষয়ে প্রশ্ন তুলেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের গুলশান টেরাসে নিউইয়র্ক স্টেট আওয়ামী লীগ আয়োজিত মত বিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ প্রশ্ন তোলেন।
আরও পড়ুন: জ্যামাইকা ও ডোমিনিকান প্রজাতন্ত্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে হাছান মাহমুদের বৈঠক
মন্ত্রী বলেন, 'বিএনপি ৩০ মে জিয়াউর রহমানের মৃত্যু দিবসে নানা বক্তব্য দেয়। কিন্তু তারা ক্ষমতায় থেকেও এই হত্যার বিচার করেননি। বরং এই হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন আওয়ামী লীগ নেত্রী শেখ হাসিনা।'
তিনি বলেন, জিয়া হত্যায় তার কাছের ও পরিবারের কারো হাত ছিল কি না- সে প্রশ্নও তুলেছেন কেউ কেউ।
হাছান বলেন, 'জিয়া হত্যায় তার পরিবার যেভাবে লাভবান হয়েছিল তা নজিরবিহীন। বেগম জিয়া পেয়েছিলেন ৭ একর জমির ওপর বাড়ি ও বিপুল ব্যাংকসুবিধা আর জাতিকে দেখানো জিয়াউর রহমানের ভাঙা ব্রিফকেস থেকে পরে বেরিয়ে এসেছিল বহু জাহাজ ও ব্যবসা-বাণিজ্য।'
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী রাখতে ও দেশের বিরুদ্ধে অপপ্রচার রুখতে সবাইকে তৎপর ও ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক।
নিউইয়র্ক স্টেট আওয়ামী লীগের সভাপতি মজিবুর রহমান মিয়ার সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক শাহীন আজমলের সঞ্চালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক আবদুস সামাদ আজাদ, যুক্তরাষ্ট্রের আওয়ামী লীগ নেতা নিজাম চৌধুরী, ফজলুর রহমান প্রমুখ।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা বিষয়ে ওআইসি দেশগুলোর রাষ্ট্রদূতদের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ব্রিফিং
বঙ্গবন্ধুর বৈদেশিক নীতি অনুযায়ী শান্তির প্রচেষ্টায় জাতিসংঘের অগ্রভাগে বাংলাদেশ: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিতের মেয়াদ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত মঙ্গলবার: আনিসুল হক
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিত রাখার মেয়াদ বৃদ্ধি ও বিদেশে চিকিৎসার নির্দেশনা চেয়ে করা আবেদনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানা যাবে মঙ্গলবার।
সোমবার নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
আইনমন্ত্রী বলেন, ‘আবেদনে তারা আগের মতোই খালেদা জিয়ার স্থায়ী মুক্তি চেয়েছেন। স্থায়ী মুক্তি মানে বুঝলাম না। তাকে বিদেশে পাঠানোর অনুমতি চাওয়া হচ্ছে? আজ ফাইল হাতে পেয়েছি। তারা (খালেদা জিয়ার পরিবার) কী অনুরোধ করেছে, তা যাচাই-বাছাই করে শিগগিরই আমি এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেব। আগামীকালের মধ্যে তা হয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ।’
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিত করার সময় বাড়ানো ও বিদেশে চিকিৎসার অনুমতি চেয়ে আবেদন
তিনি আরও বলেন, ‘একটা জিনিস বুঝতে পারছি না। ফৌজদারি কার্যবিধির ৪০১ ধারায় তাকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে বলে আমি আইনে বহুবার ব্যাখ্যা করেছি। এর বাইরে আমাদের কিছু করার নেই। কিন্তু তারপরও প্রতিবারই দেখছি তারা প্রথমে যেভাবে আবেদন করেছিল সেভাবেই আবেদন করছে।’
তিনি আরও বলেন, তার বিদেশ যেতে যাওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্তে কোনো পরিবর্তন হবে না এটা স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। ‘তার মানে তিনি বিদেশে যেতে পারবেন না। আমরা বিদেশ থেকে আসা চিকিৎসকদের তার চিকিৎসার অনুমতি দিয়েছি।’
সরকার প্রধানের ইচ্ছায় খালেদা জিয়া বিদেশ যেতে পারেন কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী আইনের বাইরে গিয়ে মানবিকতা দেখাতে পারেন না।
তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী সবার আগে মানবিকতা দেখিয়েছেন। মানবিক কারণে তার সাজা স্থগিতের মেয়াদ বাড়ানো হচ্ছে।’
এর আগে রবিবার বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিতের মেয়াদ আরও একবার বাড়ানো এবং উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে বিদেশে নেওয়ার অনুমতি চেয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদন করা হয়েছে।
খালেদা জিয়ার জীবন ঝুঁকিতে রয়েছে- দাবি করে তার ছোট ভাই শামীম ইস্কান্দার এই আবেদন করেন।
এর আগে ২০২৩ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর শর্তসাপেক্ষে খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিতের মেয়াদ আরও ছয় মাস বাড়িয়েছিল সরকার। এ নিয়ে তার সাজার মেয়াদ আটবারের মতো বাড়ানো হলো।
আরও পড়ুন: পাঁচ মাস পর হাসপাতাল থেকে বাসায় ফিরলেন খালেদা জিয়া
করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের মধ্যে সরকার ২০২০ সালের ২৫ মার্চ খালেদা জিয়ার গুলশানের বাসায় অবস্থান এবং দেশত্যাগ না করার শর্তে তার সাজা স্থগিত করে নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে তাকে সাময়িক মুক্তি দেওয়া হয়। এরপর থেকে পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে প্রতি ছয় মাস অন্তর তার মুক্তির মেয়াদ বাড়ানো হয়।
২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন বিচারিক আদালত। পরে ওই বছরই আরেকটি দুর্নীতির মামলায় দোষী সাব্যস্ত হন তিনি।
৭৮ বছর বয়সী সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে লিভার সিরোসিস, আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, ফুসফুস, হার্ট, চোখের সমস্যাসহ নানা রোগে ভুগছেন।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার পানি বৃদ্ধি-রক্তক্ষরণ রোধে টিআইপিএস দিয়েছেন মার্কিন চিকিৎসকরা
খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিত করার সময় বাড়ানো ও বিদেশে চিকিৎসার অনুমতি চেয়ে আবেদন
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সাজার স্থগিতাদেশ আরও একবার বাড়ানো এবং উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে বিদেশে নেওয়ার অনুমতি চেয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদন করা হয়েছে।
তার জীবন ঝুঁকিতে রয়েছে- দাবি করে এই আবেদন করেন খালেদা জিয়ার ছোট ভাই শামীম ইস্কান্দার।
এর আগে ২০২৩ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর শর্তসাপেক্ষে খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিতের মেয়াদ আরও ছয় মাস বাড়িয়েছিল সরকার। এ নিয়ে তার সাজা স্থগিতের মেয়াদ আটবারের মতো বাড়ানো হলো।
আরও পড়ুন: পাঁচ মাস পর হাসপাতাল থেকে বাসায় ফিরলেন খালেদা জিয়া
করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের মধ্যে সরকার ২০২০ সালের ২৫ মার্চ খালেদা জিয়ার গুলশানের বাসায় অবস্থান এবং দেশত্যাগ না করার শর্তে তার সাজা স্থগিত করে নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে তাকে সাময়িক মুক্তি দেয়। এরপর থেকে পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে প্রতি ছয় মাস অন্তর তার মুক্তির মেয়াদ বাড়ানো হয়।
এর আগে ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন বিচারিক আদালত। পরে ওই বছরই আরেকটি দুর্নীতির মামলায় দোষী সাব্যস্ত হন তিনি।
দীর্ঘদিন ধরে লিভার সিরোসিস, আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, ফুসফুস, হার্ট, চোখের সমস্যাসহ নানা রোগে ভুগছেন ৭৮ বছর বয়সী সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার পানি বৃদ্ধি-রক্তক্ষরণ রোধে টিআইপিএস দিয়েছেন মার্কিন চিকিৎসকরা
স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে রাতেই বাসায় ফিরেছেন খালেদা জিয়া
রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছে।
বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান জানান, সন্ধ্যা ৬টা ৪৮ মিনিটের দিকে তিনি গুলশানের বাসা থেকে হাসপাতালে আসেন এবং সেখানে প্রায় ৫ ঘণ্টা অবস্থান করেন।
তিনি বলেন, মেডিকেল বোর্ডের পরামর্শ অনুযায়ী বিএনপি চেয়ারপার্সনের বেশ কয়েকটি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করানো হয়েছে। পরে হাসপাতাল ছেড়ে রাত সোয়া ১২টার দিকে তিনি বাসায় পৌঁছান।
খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন বলেন, এর আগে অধ্যাপক ডা. শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে গঠিত মেডিকেল বোর্ড তাকে হাসপাতালে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছে।
আরও পড়ুন: বিকালে স্বাস্থ্য পরীক্ষায় হাসপাতাল যাবেন খালেদা জিয়া
তিনি বলেন, ‘হাসপাতালে তার বিভিন্ন প্রয়োজনীয় মেডিকেল টেস্ট করানো হয়েছে।’
জাহিদ বলেন, রিপোর্ট পর্যালোচনা করে মেডিকেল বোর্ড তার চিকিৎসার পরবর্তী বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে।
পাঁচ মাসেরও বেশি সময় শারীরিক নানা জটিলতায় চিকিৎসা শেষে ১১ জানুয়ারি এভারকেয়ার হাসপাতাল থেকে বাসায় ফেরেন তিনি।
আরও পড়ুন: পাঁচ মাস পর হাসপাতাল থেকে বাসায় ফিরলেন খালেদা জিয়া
এরপর থেকে তিনি তার গুলশানের বাসায় এভারকেয়ার হাসপাতালে আগে গঠিত মেডিকেল বোর্ডের অধীনে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
গত বছরের ৯ আগস্ট হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
৭৮ বছর বয়সী সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে লিভার সিরোসিস, আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস এবং কিডনি, ফুসফুস, হার্ট ও চোখের সমস্যাসহ বিভিন্ন স্বাস্থ্য জটিলতায় ভুগছেন।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে এভারকেয়ারের সিসিইউতে স্থানান্তর
বিকালে স্বাস্থ্য পরীক্ষায় হাসপাতাল যাবেন খালেদা জিয়া
স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য আজ বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) বিকালে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে যাবেন বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া।
বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান বলেন, ‘মেডিকেল বোর্ডের পরামর্শ অনুযায়ী স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ম্যাডাম (খালেদা জিয়া) বিকাল ৪টার দিকে এভারকেয়ার হাসপাতালে যাবেন।’
তিনি বলেন, হাসপাতালে বিএনপি চেয়ারপার্সনের কিছু প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হবে।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার অবনতি, সিসিইউতে স্থানান্তর
পাঁচ মাসেরও বেশি সময় শারীরিক নানা জটিলতায় চিকিৎসা শেষে ১১ জানুয়ারি এভারকেয়ার হাসপাতাল থেকে বাসায় ফেরেন তিনি।
এরপর থেকে তিনি তার গুলশানের বাসায় এভারকেয়ার হাসপাতালে আগে গঠিত মেডিকেল বোর্ডের অধীনে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
গত বছরের ৯ আগস্ট হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
৭৮ বছর বয়সী সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে লিভার সিরোসিস, আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস এবং কিডনি, ফুসফুস, হার্ট ও চোখের সমস্যাসহ বিভিন্ন স্বাস্থ্য জটিলতায় ভুগছেন।
আরও পড়ুন: আবারও সিসিইউতে খালেদা জিয়া
খালেদা জিয়ার চিকিৎসার জন্য বিদেশে নেওয়ার আবেদন নাকচ আইন মন্ত্রণালয়ের
খালেদা জিয়ার জীবন ঝুঁকির মুখে পড়লে সরকারকে ভয়াবহ পরিণামের হুঁশিয়ারি ফখরুলের
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর তাদের দলের অসুস্থ চেয়ারপার্সন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার জীবন বিদেশে যথাযথ চিকিৎসার অভাবে ঝুঁকির মুখে পড়লে সরকারকে ভয়াবহ পরিণামের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।
ফখরুল বলেন, আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই, আমাদের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার জীবনের কোনো হুমকি থাকলে এ দেশের জনগণ এই ঘৃণ্য লুটেরা সরকারকে কখনো ক্ষমা করবে না।
সোমবার (৯ অক্টোবর) এক সমাবেশে বক্তৃতায় এই বিএনপি নেতা বলেন, জনগণ এতটা বোকা নয় যে তারা বুঝতে পারবে না যে সরকার তার প্রধান প্রতিপক্ষ খালেদা জিয়াকে রাজনীতি থেকে সরাতে এবং ক্ষমতা নিশ্চিত করতে কারাগারে পাঠিয়েছে।
তিনি অভিযোগ করেন, কারাগারে থাকা অবস্থায় তাকে ইচ্ছাকৃতভাবে বসবাসের অযোগ্য কক্ষে আটকে রেখে সরকার তাকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়েছে।
দলের দেশব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসেবে খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাওয়ার অনুমতি দেওয়ার দাবিতে বিএনপির ঢাকা দক্ষিণ ও উত্তর মহানগর শাখা নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশের আয়োজন করে।
খালেদাকে বিদেশে যেতে দিতে সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে ১৪ সেপ্টেম্বর ঢাকাসহ সারাদেশে টোকেন অনশন কর্মসূচি পালন করবে দলটি।
আগের দিন, খালেদার চিকিৎসার জন্য এভারকেয়ার হাসপাতালে তার চিকিৎসার জন্য গঠিত মেডিকেল বোর্ড তাকে অবিলম্বে বিদেশে একটি মাল্টিডিসিপ্লিনারি সেন্টারে পাঠানোর সুপারিশ করেছিল। কারণ বাংলাদেশে এখন তার জন্য কোনো চিকিৎসার বিকল্প নেই।
বোর্ড আরও বলেছে, ৭৮ বছর বয়সী প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর জীবন ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। কারণ তার পেট ও বুকে পানি বৃদ্ধি, অভ্যন্তরীণ রক্তক্ষরণ এবং তার লিভার সিরোসিস সমস্যার কারণে সংক্রমণ বন্ধ করার জন্য যথাযথ চিকিৎসার ব্যভস্থা নেই।
আরও পড়ুন: বর্তমান সরকারের অধীনে বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন সম্ভব নয়: মার্কিন প্রাক-নির্বাচন পর্যবেক্ষক দলকে বিএনপি
ফখরুল বলেন, মেডিকেল বোর্ড যখন খালেদাকে জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে বলে জানায়, তখন রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে সরকার বলছে, তাকে বিদেশে পাঠানোর সুযোগ নেই।
বিএনপি নেতা বলেন, আওয়ামী লীগ এখন একটি ফ্যাসিবাদী সংগঠনে পরিণত হয়েছে, যারা দমন-পীড়নে লিপ্ত আমলা ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতিনিধিত্ব করে এবং কিছু ব্যবসায়ী যারা লুণ্ঠনে লিপ্ত।
তিনি বলেন, মিথ্যা অভিযোগে খালেদাকে দোষী সাব্যস্ত করে আওয়ামী লীগ সন্তুষ্ট নয়, কারণ তারা এখন রাজপথে আন্দোলনকারী বিএনপি নেতাদের জেলে ও গ্রেপ্তার করছে।
প্রায় আট বছর আগে ঢাকায় দায়ের করা ‘মিথ্যা’ নাশকতার মামলায় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক সংসদ সদস্য মো. শাহজাহান এবং চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিবসহ ১৫ জন নেতা-কর্মীকে সাজা দিয়ে নিম্ন আদালতের রায়ের তীব্র প্রতিবাদ করেন ফখরুল।
তিনি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের জেলে ও দমন-পীড়ন করে প্রতিহত করা সম্ভব হবে না।
এই বিএনপি নেতা বলেন, ‘তারা ভেবেছিল আমাদের নেত্রী খালেদা জিয়াকে কারাগারে রাখার পর বিএনপি আর থাকবে না। তবে বিএনপি আরও শক্তিশালী হয়েছে এবং আন্দোলনের মাধ্যমে সরকারের পতন নিশ্চিত করতে জেগে উঠেছে।’
তিনি অভিযোগ করেন, জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে রাজনীতি থেকে সরানোর জন্য সরকার ইতোমধ্যে স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু ও ঢাকা উত্তর মহানগর দলের আহ্বায়ক আমানুল্লাহ আমানসহ বিএনপির অনেক নেতাকে সাজা দিয়েছে।
ফখরুল বলেন, ‘আমরা এই সরকারকে ক্ষমতা থেকে না সরিয়ে থামব না এবং আমরা অবশ্যই এই সরকারকে পরাজিত করব।’
তিনি বলেন, ডলারের সংকটের মধ্যে মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বৃদ্ধির কারণে সরকার গুরুতর অগ্নিপরীক্ষার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে।
ফখরুল বলেন, ‘মজুদ যেভাবে কমছে, কয়েকদিন পর পণ্য আমদানির আর টাকা থাকবে না… সরকার এখনও বুঝতে পারছে না কী পরিণতি অপেক্ষা করছে। ইতিহাস ভুলে যাবেন না। এভাবে কেউ দেশ চালাতে পারবে না।’
আরও পড়ুন: আমাদের সর্বোচ্চটা করেছি, প্রয়োজন অনুযায়ী চিকিৎসা পাচ্ছেন না খালেদা জিয়া: মেডিকেল বোর্ড
সরকারের হাতিয়ার হিসেবে কাজ করছেন সিইসি: খসরু
খালেদা জিয়ার চিকিৎসার জন্য বিদেশে নেওয়ার আবেদন নাকচ আইন মন্ত্রণালয়ের
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর অনুমতি চেয়ে করা আবেদন নাকচ করে দিয়েছে আইন মন্ত্রণালয়।
রবিবার (১ অক্টোবর) সচিবালয়ে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়কমন্ত্রী আনিসুল হক সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ তথ্য জানান।
তিনি জানান, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর পরিবারের অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো একটি আবেদন পাওয়ার পর আইন মন্ত্রণালয় এ অভিমত ব্যক্ত করে।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার শর্তসাপেক্ষে মুক্তির মেয়াদ ৬ মাস বাড়ানো হবে: আইনমন্ত্রী
এর আগে শনিবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে নেওয়ার বিষয়ে আইনি জটিলতা রয়েছে।
রাজধানীর ইনস্টিটিউট অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ (আইডিইবি) ভবনে এক অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, খালেদা জিয়া বেশ কয়েকটি মামলায় দণ্ডিত হয়েছেন এবং তিনি কারাগারে ছিলেন। কিন্তু তার স্বজনদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী তার সাজা স্থগিত করে বাসায় চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন। তার জন্য সম্ভাব্য সর্বোত্তম চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
তিনি বলেন, খালেদা জিয়াকে বিদেশে নেওয়ার জন্য তার ভাই আবেদন করলেও কিছু আইনি জটিলতা রয়েছে।
গত ২৪ সেপ্টেম্বর বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠাতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সরকারকে আল্টিমেটাম দেন।
এর আগে গত ১৮ সেপ্টেম্বর খালেদা জিয়ার সাজার মেয়াদ আরও ছয় মাস বাড়ানো হয়।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, খালেদা জিয়াকে তার ঢাকার বাসভবন থেকে চিকিৎসা নিতে হবে এবং এই সময়ের মধ্যে তাকে বিদেশে যেতে দেওয়া হবে না।
ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে শুক্রবার বিকালে কেবিন থেকে করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) স্থানান্তর করা হয়েছে।
খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক এ জেড এম জাহিদ হোসেন বলেন, মেডিকেল বোর্ডের সুপারিশ অনুযায়ী বিকালে খালেদা জিয়াকে সিসিইউতে স্থানান্তর করা হয়।
লিভার সিরোসিস, আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, ফুসফুস, হার্ট ও চোখের সমস্যাসহ বিভিন্ন রোগে ভুগছেন ৭৮ বছর বয়সী সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: আবারও সিসিইউতে খালেদা জিয়া
খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার অবনতি, সিসিইউতে স্থানান্তর