একই সঙ্গে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগেই গণতান্ত্রিক আবহ সৃষ্টির গ্যারান্টি চেয়েছেন সাবেক রাষ্ট্রপতি।
প্রধানমন্ত্রীর সাম্প্রতিক বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় বি. চৌধুরী মঙ্গলবার গণমাধ্যমে দেয়া এক বিবৃতিতে বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যুক্তফ্রন্ট ও গণফোরামের ঐক্য সম্পর্কে তার বক্তব্যের যে অংশে ইতিবাচক মন্তব্য করেছেন এর জন্য অভিনন্দন জানাই।
তিনি বলেন, আামরা প্রধানমন্ত্রীর এই কথা, কথার কথা না হয়ে কার্যক্ষেত্রে সরকারের গণতান্ত্রিক মনোভাব প্রমাণ করার প্রচেষ্টা হিসেবে দেখতে চাই।
মিটিং, মিছিল প্রচারণায় বাধা প্রদান না করা এবং রাজবন্দীদের মুক্তি দেয়ার আহ্বান জানিয়ে সাবেক এই রাষ্ট্রপতি প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে বলেন, আমরা আশা করি, সকল গণতান্ত্রিক শক্তির মধ্যে বৃহত্তর একতা সৃষ্টির লক্ষ্যে আমাদের প্রচেষ্টাকে প্রতিহত করার চেষ্টা করা হবে না।
তিনি বলেন, নির্বাচনের সময় নিরপেক্ষ সরকার ও নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন থাকতে হবে। সংসদ অন্তত দুই মাস আগে ভেঙ্গে দিতে হবে।
বিবৃতিতে সরকারি আদেশে বন্ধ টেলিভিশন চ্যানেল ও সংবাদপত্র মুক্ত করে সমস্ত সংবাদপত্র ও টিভি চ্যানেলকে স্বাধীনভাবে কাজ করতে দেয়ার আহ্বান জানান এই যুক্তফ্রন্ট নেতা। তিনি বলেন, আমরা সকল ক্ষেত্রে গণতান্ত্রিক আবহ সৃষ্টির গ্যারান্টি চাই।
সাবেক রাষ্ট্রপতি বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রয়োজনে ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতাসহ নির্বাচনের আগে ৩০ দিন এবং নির্বাচনের পর ১০ দিনসহ মোট ৪০ দিন সামরিক বাহিনীকে শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্ব দিবে হবে।