শনিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা) আয়োজিত এক সমাবেশে তিনি এ আহ্বান জানান।
'বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার মুক্তি ও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের' দাবিতে এ সমাবেশের আয়োজন করা হয়।
ফখরুল বলেন, আমরা সরকারকে বলতে চাই আপনারা সোজা পথে আসুন। আমাদের নেত্রী খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিন এবং তিনিসহ অন্য রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে আলোচনায় বসুন। সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের একটি পন্থা বের করুন।
জনগণের কল্যাণ ও শান্তি নিশ্চিতকরণ এবং গণতান্ত্রিক ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার জন্য আলোচনার বিকল্প নেই বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
অন্যথায় যেকোনো পরিস্থিতি সৃষ্টির জন্য এই সরকারকেই তার দায়দায়িত্ব নিতে হবে বলেও সতর্ক করে দেন বিএনপি মহাসচিব।
ফখরুল বলেন, দেশের মানুষ আজ ঐক্যবদ্ধ। তারা সরকারের পরিবর্ত চায়। আর এই পরিবর্তনের মাধ্যম হলো নির্বাচন। তাই আগামী নির্বাচন অবশ্যই নিরপেক্ষভাবে এবং সব দলের অংশগ্রহণে হতে হবে। অন্যথায় কোনো নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হবে না।
বামদলসহ অন্য রাজনৈতিক দলগুলোকে আহ্বান জানিয়ে ফখরুল বলেন, আসুন আমরা ক্ষমতার পালবদল করি এবং দেশে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করি।
নির্বাচন কমিশন দ্বিধা-বিভক্ত হওয়ায় দেশ আরেক সংকটে পড়েছে উল্লেখ করে বিএনপি নেতা বলেন, স্বয়ং নির্বাচন কমিশন বিভক্ত হয়ে গেছে। কমিশনের অভ্যন্তরের এই সংকট মানেই এটি রাষ্ট্রের সংকট।
গণমাধ্যমের বরাত দিয়ে ফখরুল বলেন, নির্বাচন কমিশনের একজন কমিশনার প্রকাশ্যে বলেছেন, সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য তার দেয়া প্রস্তাবগুলো বিবেচনা করা হচ্ছে না। আরেকজন কমিশনার তার প্রস্তাবকে অসাংবিধানিক বলেছেন। নির্বাচন কমিশন তো নিজেরাই বিভক্ত হয়ে পড়েছে।
২০১৪ সালের মতো আরেকটি একতরফা নির্বাচন অনুষ্ঠান করতে সরকার নির্বাচন কমিশনের মাধ্যমে বিভিন্ন নিয়ম ও নীতি তৈরি করছে বলেও অভিযোগ করেন বিএনপি মহাসচিব।