রবিবার দুপুরে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আকবর হোসেন মৃধার আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করলে আদালত তা নাকচ করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেয়।
আমীর খসরুর আইনজীবী মফিজুল হক ভূঁইয়া বিষয়টি নিশ্চিত করে ইউএনবিকে বলেন, সিএমপির কোতোয়ালী থানায় দায়ের হওয়া তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইন এবং বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলায় আমীর খসরুর ছয় সপ্তাহের জামিন শেষ হয়েছে গত ৭ অক্টোবর। সেদিন আদালতে হাজির হয়ে তিনি জামিনের মেয়াদ বৃদ্ধির আবেদন করেন। জামিন আবেদনের শুনানি শেষে বিচারক ২১ অক্টোবর পর্যন্ত তার জামিন মঞ্জুর করেন।
এছাড়া নিম্ন আদালত থেকে মামলার নথিও পূর্ণাঙ্গ জামিন শুনানিতে উপস্থাপনের জন্য আদালত নির্দেশনা দেন। এরই ধারাবাহিকতায় আজ রবিবার আদালতে হাজির হয়ে জামিনের জন্য তিনি আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেয়।
এ আদেশের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করা হবে বলে জানান মফিজুল হক ভূঁইয়া।
এদিকে আমীর খসরুর জামিন আবেদনকে ঘিরে আদালত এলাকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়। অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়।
উল্লেখ্য, গত ৪ আগস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি অডিও ক্লিপ ভাইরাল হয়। এটি বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর বলে অভিযোগ উঠেছে। সেই ক্লিপে কুমিল্লা থেকে নওমী নামের বিএনপির এক কর্মীর সাথে একজনকে কথা বলতে শোনা যায়। নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মধ্যে লোকজনকে নামানোর জন্য কথা বলতে শোনা যায় সেই অডিও ক্লিপে। তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করে আসছেন আমীর খসরু।
এনিয়ে ছাত্র অন্দোলনে উসকানির অভিযোগে গত ৪ আগস্ট নগরীর কোতোয়ালী থানায় তথ্য প্রযুক্তি আইনে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর বিরুদ্ধে মামলা করেন চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক জাকারিয়া দস্তগীর।