তিনি বলেছেন, ‘অক্টোবরে নির্বাচনকালীন সরকার গঠনের সম্ভাবনা বেশি।’
বুধবার সচিবালয়ে ঈদ পরবর্তী পর্যালোচনা সভা শেষে সাংবাদিকদের করা প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার সাথে সাথে নির্বাচনকালীন সরকার দায়িত্ব গ্রহণ করবে। নির্বাচনকালীন সরকার বলতে নতুন কোনো সরকার গঠিত হবে না। বর্তমান সরকারই নির্বাচনকালীন সরকারের দায়িত্ব নেবে। তখন মন্ত্রিসভার আকার ছোট হবে, তখন ঢাউস মন্ত্রিসভার প্রয়োজন নেই।’ ‘তবে এ বিষয়টি পুরোপুরি প্রধানমন্ত্রীর এখতিয়ারে। চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত তিনি নেবেন,’ যোগ করেন মন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘নির্বাচনকালীন সরকার শুধু রুটিন কাজ করবে। মন্ত্রীরা কোনো প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করতে পারবেন না।’
বিএনপির আন্দোলনের ঘোষণা বিষয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘দেশে কোনো আন্দোলন হবে না এটা জানি। কারণ বিএনপির আন্দোলনে দেশের মানুষ সাড়া দেবে এমন কোনো বস্তুগত পরিস্থিতি দেশে বিরাজমান নেই। বিএনপিরও সাবজেক্টিভ প্রিপারেশন বা প্রস্তুতিমূলক কিছু নেই। সাবজেক্টিভ প্রিপারেশন মানে সুসংগঠনগত প্রস্তুতি, সেটাও তাদের নেই। আবার অবজেক্টিভ কন্ডিশন হলো দেশের জনগণের মুড, সেখানেও কোনো অবস্থা নেই।’
এক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিএনপি না এলেই একতরফা নির্বাচন হয় এমন নয়। এবার বিএনপির জন্য অন্যরা অপেক্ষা করবে না, বহু দল অংশ (নেবে)...এবার পার্টিসিপেশন অনেক বেশি। ইনক্লুসিভ নির্বাচন হবে। বিএনপিও তো বলেছে তারা আন্দোলনও করবে, নির্বাচনেরও প্রস্তুতি নিচ্ছে। তাহলে অসুবিধা কী? একতরফা কেন হবে, বাংলাদেশে কি আর কোনো দল নেই? আপনি যাবেন না বলে কি অন্যরা আসবে না?’
বিএনপিকে উদ্দেশ করে তিনি আরো বলেন, জাতীয় নির্বাচনকে তারা ভয় পাচ্ছে কেন? সিটি নির্বাচনকে তো ভয় পাচ্ছে না।
রাস্তা বিষয়ে সেতুমন্ত্রী বলেন, যেখানেই রাস্তা সমস্যা তা দ্রুত সমাধান করবেন। এবার ঈদ সব মিলিয়ে মানুষ স্বস্তিতে যাতায়াত করতে পেরেছে। তেমনি কোরবানির ঈদেও যাতে মানুষ নির্বিঘ্নে যাতাযোত করতে পারে সে প্রস্তুতি নিতে হবে।
তিনি বলেন, ঈদে মহাসড়ক গুলোতে যাতে গরুর হাট বসতে না পারে সেজন্য সংশ্লিষ্টদের নজর রাখতে হবে আগে থেকেই। গরুর হাটের কারণে রাস্তায় যানজট তৈরি হয় ।