বুধবার ১২ দফা দাবিতে দেয়া স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়, দেশে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ৭ দফা দাবিকে সামনে রেখে আন্দোলনের এক পর্যায়ে নির্বাচনে অংশ নেয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে।
বিএনপিসহ রাজনৈতিক দল সমূহ দেশে একটি অবাধ সুষ্ঠু গ্রহণযোগ্য ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন চায়। বিগত দিনে দলীয় সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত নির্বাচনসমূহ জনগণের ভোটের অধিকার ছিনতাই হয়েছে।
তাই আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে সেই একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটাতে তফসিল ঘোষণার পরও মামলা, গ্রেপ্তার ও হয়রানির ঘটনা ঘটেছে।
তারা স্মারকলিপিতে নির্বাচনের পেছানোসহ গ্রেপ্তার অভিযান সম্পূর্ণ বন্ধ, গায়েবি মামলা প্রত্যাহার ও কারাগারে আটক নেতাকর্মীদের মুক্তি দাবি করে।
এছাড়া নির্বাচনে সকল দলের জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড সৃষ্টির ব্যবস্থা করা। দল নিরপেক্ষ নির্বাচনী কর্মকর্তা নিয়োগ, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নিরপেক্ষ রাখা ও মাঠ পর্যায়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের ঢেলে সাজানোর দাবি তুলে ধরা হয় স্মারকলিপিতে।
এতে আরও দাবি করা হয় প্রতীক প্রদান না করা পর্যন্ত সরকারি দলের প্রচারণা, মহড়া, মোটরসাইকেল র্যালি বন্ধ, কোনো পর্যায়ে ইভিএম ব্যবহার না করা, ভোটারদের নিরাপত্তা বিধানের প্রয়োজনীয় সকল ব্যবস্থা গ্রহণ করা, প্রকৃত সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার ও অস্ত্র উদ্ধার অভিযান পরিচালনা।
দলটি নির্বাচন আচরনবিধি লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানায়।
স্মারকলিপি প্রদানকালে বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও মহানগর সভাপতি সাবেক সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম মঞ্জু, মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও কেসিসির সাবেক মেয়র মোহাম্মদ মনিরুজ্জামানসহ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।