ধুনট থানায় আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে মামলা দু’টি দায়ের করা হয়।
জানা যায়, মঙ্গলবার রাতে মথুরাপুর বাজারে বিএনপি নেতা নিক্সনের গুদাম ঘরে ধানের শীষের নির্বাচনী কার্যালয়ের তালা ভেঙ্গে সেখানে তল্লাশি চালায় পুলিশ। পরে তারা ওই কার্যালয় থেকে একটি ককটেল ও দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করেছে মর্মে সাংবাদিকদের খবর দেয়।
এ ঘটনায় মথুরাপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম মর্তুজা বাদী হয়ে আজ ধুনট থানায় মামলা দায়ের করেন।
মামলায় ধানের শীষের কর্মী ডা. শাহজালালকে প্রধান আসামি করে ৩৬ বিএনপি-জামায়াত নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়া ২০/২৫জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।
অপরদিকে নৌকার নির্বাচনী কার্যালয়ে আগুন দেয়ার অভিযোগে এলাঙ্গী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ইউপি চেয়ারম্যান এম এ তারেক হেলাল বাদী হয়ে ধুনট থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলায় এলাঙ্গী ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক রাসেল মাহমুদকে প্রধান আসামি করে ৭৯ জনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাত ৩০/৪০ জন বিএনপি-জামায়াত নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়েছে। মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে, মঙ্গলবার রাত ১২টায় এলাঙ্গী ইউনিয়নের বিলচাপড়ী গ্রামে নৌকা প্রতীকের নির্বাচনী কার্যালয়ে অগ্নিসংযোগ করে পুড়িয়ে দিয়েছে আসামিরা।
এদিকে ভান্ডারবাড়ী ইউনিয়নের ওয়ার্ড বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুব ওরফে সোহেলকে (৪৫) পুলিশ পূর্বের একটি মামলায় গ্রেপ্তার করেছে। মঙ্গলবার দিবাগত রাত ৭টায় ভান্ডারবাড়ী বাজারের তাঁর ওষূধের দোকান থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। সে ওই গ্রামের গোলাম মান্নানের ছেলে।
উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক তৌহিদুল আলম মামুন বলেন, বিএনপিকে নির্বাচন থেকে দূরে রাখতে আওয়ামী লীগের পরিকল্পনার অংশ হিসেবে ধুনটে বিভিন্ন ঘটনার নাটক সাজিয়ে ধানের শীষের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা করা হচ্ছে। নেতাকর্মীদের বাড়িতে বাড়িতে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। প্রতিদিনই কাউকে না কাউকে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে।
ধুনট থানার ওসি ইসমাইল হোসেন জানান, বিএনপি অফিস থেকে ককটেল উদ্ধারের ঘটনায় ৬১জন এবং নৌকার কার্যালয়ে অগ্নিসংযোগের অভিযোগে ১১৯জনের বিরুদ্ধে থানায় পৃথক দু’টি মামলা দায়ের হয়েছে। মামলার এজাহার তদন্ত এবং আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশ তৎপর রয়েছে।