‘আমি আশা করি, বিএনপি’র রাজনীতি বেগম খালেদা জিয়ার হাঁটুর ব্যথা, তারেক জিয়ার মামলা-এসব থেকে মুক্তি পাক। শহীদদের ত্যাগ ও স্বপ্নের প্রতি সম্মান জানিয়ে স্বাধীনতার চেতনায় উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়াই স্বাধীনতা দিবসের অঙ্গীকার হওয়া উচিত’, বলেন তিনি।
মহান স্বাধীনতা দিবসে জাতীয় স্মৃতিসৌধে বীর শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর পর সকালে বিএনপি মহসচিব সাংবাদিকদের বলেন, আন্দোলনের মধ্য দিয়ে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও দলের চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার মুক্তিই আজকের দিনে আমাদের অঙ্গীকার।
মির্জা ফখরুলের এই বক্তব্যের প্রতি ইঙ্গিত করে দুপুরে ঢাকায় কাকরাইলে তথ্য মন্ত্রণালয়ের চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তর আয়োজিত মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে প্রামাণ্যচিত্র, আলোকচিত্র প্রদর্শন ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ আরও বলেন, স্বাধীনতা দিবসে শহিদদের ত্যাগ ও স্বপ্নের প্রতি সম্মান না জানিয়ে দুর্নীতির দায়ে সাজাপ্রাপ্ত বেগম জিয়ার মুক্তির দাবিকে বিএনপি’র অঙ্গীকার হিসেবে বর্ণনা দুঃখজনক।
মন্ত্রী বলেন, পঁচাত্তরে বঙ্গবন্ধুকে নির্মমভাবে হত্যার পর থেকে তার নাম ইতিহাস থেকে মুছে ফেলার অপচেষ্টা চলেছে। কিন্তু সেই অপচেষ্টাকারীরাই ইতিহাস থেকে মুছে গেছে, আর বঙ্গবন্ধু রয়েছেন চিরঞ্জীব।
মন্ত্রী এসময় একাত্তরের মর্মান্তিক গণহত্যা প্রসঙ্গে বিএনপি’র সমালোচনা করে বলেন, গতকাল পঁচিশে মার্চ ছিল গণহত্যা দিবস। রাষ্ট্রীয়ভাবে ও আওয়ামী লীগসহ দেশের বিভিন্ন সংগঠন দিবসটি পালন করলেও বিএনপি করেনি। বেগম খালেদা জিয়া এবং পাকিস্তান উভয়েই ৩০ লক্ষ শহীদের সংখ্যা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল।
‘যারা শহীদের সংখ্যা নিয়ে প্রশ্ন তোলে, তারা দেশের স্বাধীনতা- সার্বভৌমত্বে কতটুকু বিশ্বাস করে?’, প্রশ্ন রাখেন তথ্যমন্ত্রী।
‘বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের বিস্ময়কর উন্নয়ন আজ বিশ্বে আমাদেরকে সম্মানজনক পরিচিতি দিয়েছে’ উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, দেশের অগ্রগতি আরও ত্বরান্বিত হতো, যদি বিএনপি-জামাত নেতিবাচক রাজনীতি না করতো। নেতিবাচক রাজনীতি পরিহার করে দেশের স্বার্থে স্বাধীনতার চেতনায় উন্নত ও সমৃদ্ধ দেশ গড়ার কাজে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হতে হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোহাম্মদ ইসতাক হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন তথ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ আজহারুল হক, গণযোগাযোগ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ও ভারপ্রাপ্ত প্রধান তথ্য অফিসার মো: জাকির হোসেন। অধিদপ্তরের পরিচালক স. ম. গোলাম কিবরিয়া সূচনা বক্তব্য দেন।