একই সঙ্গে ওই সংশোধনী চ্যালেঞ্জ করে মোজাম্মেল হোসেন নামে এক ব্যক্তির করা আবেদন আগামী এক মাসের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে ইসিকে আদেশ দেয়া হয়েছে।
রাজধানীর কাফরুল এলাকার বাসিন্দা মোজাম্মেল হোসেনের দায়ের করা রিট আবেদনের শুনানি শেষে বুধবার বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম ও বিচারপতি মোহাম্মদ আলীর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
এই আদেশের ফলে দুর্নীতি মামলায় দণ্ডিত বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া এবং তার ছেলে ও দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্বের পথ ও তাদের নির্বাচনের মনোনয়ন হুমকির মুখে পড়ল।
বিএনপির সংশোধিত গঠনতন্ত্রে ৭ নং ধারা বাদ দেয়া হয়। যেখানে বলা ছিল, দুর্নীতিবাজ কোনো ব্যক্তি বিএনপির নেতা বা নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারবেন না।
এটি যে বিধান দ্বারা প্রতিস্থাপিত হয়েছে তাতে বলা হয়েছে, বিএনপি প্রধান চেয়ারপার্সনের পদে অধিষ্ঠিত থাকবেন এবং ৩০ বছরের কম বয়সী কোনো ব্যক্তি দলের প্রধান হতে পারবেন না।
অ্যাডভোকেট মমতাজ উদ্দিন আহমেদ মেহেদী আবেদনকারীর পক্ষে ছিলেন। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আল আমিন সরকার ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল কেএম মাসুদ রুমি।
অ্যাডভোকেট মমতাজ উদ্দিন আহমেদ মেহেদী বলেন, বিএনপি কর্মী মোজাম্মেল দলের গঠনতন্ত্রের সংশোধনী মঞ্জুর না করতে মঙ্গলবার নির্বাচন কমিশনের কাছে একটি আবেদন করেন।
তিনি আরও বলেন, সংশোধনী গৃহীত হলে এটি দুর্নীতিবাজ ও অযোগ্য ব্যক্তিকে বিএনপির নেতা হওয়ার অনুমোদন দেবে। এছাড়া, এই সংশোধনী গঠনতন্ত্রের ৬৬ (২) (গ) ধারার সাথেও সাংঘর্ষিক।
মোজাম্মেল একই দিনে হাইকোর্টে এটি নিষ্পত্তি করতে রিট আবেদন করেন।
যেহেতু বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া ও তার ছেলে তারেক রহমান দুর্নীতি মামলায় দোষী সাব্যস্ত, সেজন্য সম্প্রতি বিএনপি দলের গঠনতন্ত্র সংশোধন করে। পরে এটি অনুমোদনের জন্য নির্বাচন কমিশনে পাঠানো হয়।