রবিবার সন্ধ্যা ৫টা ৫ মিনিটের দিকে রাজধানীর অ্যাপোলো হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন বিএনপির দুঃসময়ের এই সহযোদ্ধা।
খবরের সত্যতা নিশ্চিত করে বিএনপি চেয়ারপার্সনের মিডিয়া উইং সদস্য শায়রুল কবির খান জানান, হৃদ রোগ, কিডনির সমস্যা, ডায়াবেটিস ও বার্ধক্যজনিত বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে গত ১৩ অক্টোবর থেকে বেসরকারি ওই হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন তরিকুল।
বিএনপির এই সিনিয়র নেতার মৃত্যুতে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষনেতা ড. কামাল হোসেন ও বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর গভীর শোক প্রকাশ করেছেন।
বিএনপি নেতা তরিকুল ইসলাম স্ত্রী, দুই সন্তান এবং আত্মীয়স্বজনসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
এদিকে শায়রুল কবির জানিয়েছেন, তরিকুলের প্রথম নামাজে জানাজা সোমবার সকাল ১০টায় নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে অনুষ্ঠিত হবে। সোয়া ১১টায় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় অনুষ্ঠিত হবে দ্বিতীয় নামাজে জানাজা।
পরে তার দেহ নেয়া হবে যশোর। সেখানে যশোর ঈদগাহ ময়দানে আসর নামাজের পর তৃতীয় নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। পরে তাকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে।
অসুস্থতার কারণে দীর্ঘদিন ধরে রাজনীতিতে অনুপস্থিত তরিকুল। দুর্নীতির মামলায় আদালত গত ফেব্রুয়ারিতে খালেদা জিয়াকে কারাগারে পাঠানোর আগে সর্বশেষ স্থায়ী কমিটির বৈঠকে অংশ নেন তিনি।
তরিকুল যশোর থেকে চার বার এমপি নির্বাচিত হন। বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সময় তিনি তথ্য এবং পরিবেশ ও বন মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন।
১৯৯১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় আসার পর তরিকুল প্রথম সমাজকল্যাণ মন্ত্রীর দায়িত্ব পান। পরে তিনি ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রীরও দায়িত্ব পালন করেন।
১৯৪৬ সালের নভেম্বরে যশোরে জন্মগ্রহণ করেন তরিকুল ইসলাম।