তিনি বলেন, ‘আমাদের মনে রাখা প্রয়োজন যে আমরা যদি কিছু ছাড় না দেই তাহলে বৃহত্তর ঐক্য তৈরি হবে না। এখন আমাদের সবাইকে অবশ্যই ছাড় দিয়ে একটি ঐক্যবদ্ধ অবস্থানে পৌঁছাতে হবে এবং আমরা সেটা করার চেষ্টা করছি।’
বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে শনিবার রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল আয়োজিত মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপির এ নেতা বলেন, পুরো দেশের মানুষ বৃহত্তর ঐক্য চায়। ‘আমি বিশ্বাস করি স্বৈরাচারী সরকারের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ চেষ্টার মাধ্যমে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার এবং আমাদের নেত্রীকে (খালেদা) মুক্ত করার জন্য খুব শিগগিরই জাতীয় ঐক্য গড়ে উঠবে।’
ফখরুল জানান, অন্যান্য রাজনৈতিক দলের সাথে ঐক্য সৃষ্টির মাধ্যমে তারা বর্তমান ‘দানব’ সরকারকে পরাজিত করবেন।
বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া কারাগারে যাওয়ার আগে জাতীয় ঐক্যের ডাক দিয়ে গেছেন জানিয়ে তিনি বলেন, ‘তার নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা জাতীয় ঐক্য সৃষ্টি করতে অন্যান্য রাজনৈতিক দলের সাথে আলোচনা করছি। প্রক্রিয়া চলছে এবং আশা করি আমরা সফল হব।’
জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার বিচারের জন্য পুরান ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগারে আদালত স্থানান্তরের প্রতিবাদ জানিয়ে তিনি আবারো বলেন, এটা সরকারের অসাংবিধানিক ও অমানবিক পদক্ষেপ। কারাগারের ভেতরে একটি ছোট কক্ষে বিচার হতে পারে না। এটা ক্যামেরা ট্রায়াল ছাড়া আর কিছু নয়।
তিনি সরকারের কাছে অসুস্থ খালেদা জিয়াকে মুক্তি এবং বিশেষায়িত হাসপাতালে চিকিৎসা নেয়ার অনুমতি দেয়ার আহ্বান জানান।
ফখরুল অভিযোগ করেন, সরকার বিএনপি নেতাকর্মীদের দমন করে ক্ষমতায় আঁকড়ে থাকার জন্য কোনো ঘটনা ছাড়াই দেশব্যাপী অনেক মিথ্যা মামলা দায়ের করছে।
সরকার তাদের আসন্ন পতন বুঝতে পেরে ‘পাগল’ হয়ে গেছে দাবি করে তিনি বলেন, ‘এই সরকার ক্ষমতায় থাকতে পারবে না, কারণ জনগণ তাদের সাথে নেই। তাদের প্রতি জনগণের কোনো আস্থা নেই। সুতরাং আমাদের জয় সুনিশ্চিত।’
দেশ এখন গুরুতর সংকটের মাঝ দিয়ে যাচ্ছে উল্লেখ করে ফখরুল দেশকে রক্ষা এবং জনগণের হারানো অধিকার প্রতিষ্ঠায় মুক্তিযোদ্ধাদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান।