রবিবার সকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে অবস্থিত নির্বাচন কমিশনে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের (সিইসি) কাছে এই তালিকা জমা দেয় বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের মামলা ও তথ্য সংরক্ষণ কর্মকর্তা মো. সালাহ উদ্দিন খানের নেতৃত্বে দুই সদস্যের প্রতিনিধি দল।
ইসির কাছে অভিযোগ করে বিএনপি বলেছে, প্রধানমন্ত্রী তার প্রতিশ্রুতি রক্ষা করেননি। তফসিল ঘোষণার পর থেকে এখন পর্যন্ত তাদের নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার, মামলা ও হয়রানি অব্যাহত আছে। সেই সঙ্গে নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ উপেক্ষা করে বিএনপি নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার অব্যাহত রেখেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
ইসিতে জমা দেয়া তালিকা অনুযায়ী, গত ৮ নভেম্বর নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর থেকে এখন পর্যন্ত গ্রেপ্তার করা হয়েছে ৭৭৩ জন বিএনপির নেতাকর্মী।
মৃত, অসুস্থ, হজ্ব পালনরত, বিদেশে অবস্থান করা ব্যক্তিদের মামলা করা হয়েছে উল্লেখ করে চিঠিতে বলা হয়, ১ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সংলাপে মিথ্যা ও গায়েবি মামলা এবং গ্রেপ্তারের তালিকা দেয়ার জন্য বলেন সরকার প্রধান। সেই আলোকে বিএনপির পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রী কার্যালয় এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বরাবর ৭ নভেম্বর প্রথম দফায় ১ হাজার ৪৬টি মামলার তালিকা দেয় বিএনপি। দলটি পরবর্তীতে দ্বিতীয় দফায় ১ হাজার ২টি মামলার নম্বর, ধারাসহ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পাঠায় ১৩ নভেম্বর।
প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী, দুই দফায় মামলার তালিকা জমা দেয়া মামলাগুলো প্রত্যাহার ও গ্রেপ্তার হওয়া নেতাকর্মীদের অব্যাহতি দেয়া হয়েছে কি না, তা এখন পর্যন্ত জানানো হয়নি বলেও চিঠিতে উল্লেখ করে বিএনপি।
চিঠিতে বলা হয়, ‘প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী, মামলাগুলো প্রত্যাহার এবং গ্রেপ্তার হওয়া নেতাকর্মীদেরকে অব্যাহতি না দেয়া নিঃসন্দেহে উদ্বেগজনক। তফসিল ঘোষণার পর আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নির্বাচন কমিশনের অধীনে হলেও কমিশনের নির্দেশ উপেক্ষা করে ধারাবাহিকভাবে বিএনপি নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার ও বাড়িতে পুলিশি তল্লাশি অব্যাহত রয়েছে। এ কারণে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে দেয়া তালিকা আপনার (প্রধান নির্বাচন কমিশনার) বরাবর দেয়া হলো।’
এর আগে ১৬ নভেম্বর সিইসির কাছের ৪৭২ জন নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তারের একটি তালিকা জমা দেয় বিএনপি।
৮ নভেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়। পুনঃতফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন ২৮ নভেম্বর। মনোনয়নপত্র বাছাই ২ ডিসেম্বর, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ৯ ডিসেম্বর ও ভোট গ্রহণ ৩০ ডিসেম্বর।