দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘জনসভায় দলের ভবিষ্যত নীতি নিয়ে আমাদের বক্তব্য তুলে ধরা হবে। আমাদের দলের ভবিষ্যত কৌশল ও কর্মসূচি সেখানে ঘোষণা করা হবে।’
বুধবার রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দল ও অঙ্গ-সংগঠনগুলোর যৌথসভা শেষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল জানান, তারা বৃহস্পতিবার সমাবেশ করার চেষ্টা করেছিলেন, কিন্তু ঢাকা মহানগর পুলিশ কর্তৃপক্ষ তাদের ছুটির দিন শনিবার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে তা আয়োজন করার সুপারিশ করেছিল। ‘এ জন্য আমরা জনসমাবেশটি শনিবারে স্থানান্তর করেছি।’
তিনি বলেন, একই দিনে মহানগর নাট্যমঞ্চে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় মহাজোটের সভা থাকায় পুলিশ এখন ভিন্ন সুরে কথা বলছে। ‘তাদের অনুষ্ঠানের জায়গা আমাদের থেকে অনেক দূরে। সুতরাং, একই দিনে আমাদের অনুষ্ঠান আয়োজনে সমস্যা কী তা বুঝতে পারছি না।’
বিএনপির এ নেতা আরো অভিযোগ করেন, বিএনপি নেতা-কর্মীদের সমাবেশে যোগদান করা ঠেকাতে ক্ষমতাসীন দলের নেতারা বিভিন্ন হুমকি দিচ্ছেন।
‘মোহাম্মদ নাসিম (১৪ দলের সমন্বয়ক) এক সভায় তাদের দলের লোকদের বিএনপি নেতা-কর্মীদের আটকে দেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন যাতে তারা জনসমাবেশে আসতে না পারেন। জাহাঙ্গীর কবির নানক (আওয়ামী লীগ নেতা) আমাদের কর্মীদের হাত-পা ভেঙে দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন...এটাই তাদের গণতান্ত্রিক ভাষা,’ যোগ করেন ফখরুল।
বর্তমান পরিস্থিতিতে বিএনপি শনিবার জনসমাবেশ করবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে ফখরুল বলেন, শনিবারের জনসভা সফল করার জন্য তারা দলের যৌথসভা করেছেন।
সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী জানান, দলের চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার কারামুক্তি এবং নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে আগামী সাধারণ নির্বাচন আয়োজনের দাবিতে বৃহস্পতিবার রাজধানীতে জনসমাবেশ করবে তাদের দল।
তবে পরে জনসমাবেশের জন্য বৃহস্পতিবারের পরিবর্তে শনিবার দিন ধার্য করা হয়।
এদিকে, বুধবার দুপুর ১টার দিকে বিএনপির কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানির নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল ডিএমপি কর্তৃপক্ষের সাথে সাক্ষাৎ করে তাদের জনসমাবেশের অনুমতি সম্পর্কে জানতে চান।
ইউএনবির সাথে আলাপকালে এ্যানি জানান, ডিএমপি কর্তৃপক্ষ শনিবার যেকোনো ধরনের সম্ভাব্য সংঘর্ষ এড়াতে তাদের সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের পরিবর্তে ইনস্টিটিউট অব ইঞ্জিনিয়ার্স, বাংলাদেশে অনুষ্ঠান আয়োজন করার কথা বলেছে।
এ্যানি বলেন, যদি অনুমতি দেয়া হয় তাহলে তারা ডিএমপি কর্তৃপক্ষকে রবিবার জনসমাবেশ করার বিকল্প প্রস্তাব দিয়েছেন। ‘কর্তৃপক্ষ বলেছে তারা তাদের সিদ্ধান্ত পরে জানাবে।’