বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
সংলাপে যারা যাচ্ছেন অধিকাংশই আওয়ামী লীগের নেতা, এটি ঘরের লোকদের ঘরে ফেরানোর চেষ্টা কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, রাজনীতিতে শেষ কথা বলে কিছু নেই।
সকল রাজনৈতিক বিবেচনায় বন্দিদের মুক্তির দাবি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ৭৫ সালের পর আমরা অনেকেই বন্দী ছিলাম, আমাদের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ ছিল না। বঙ্গবন্ধুও বন্দী ছিলেন, যেটা মানুষ গণঅভ্যুথান করে তাকে মুক্ত করেছিল। কিন্তু বেগম জিয়া ও তারেক জিয়াসহ অন্য যারা আছেন তারা সুনির্দিষ্ট অভিযোগ বন্দী আছেন। যাদের বিরুদ্ধে মামলা থাকে তারা তো রাজনবন্দী নয়।
সংলাপ যেন আসন ভাগাভাগির না হয় মুজাহিদুল ইসলাম সেলিমের এমন মন্তব্যের প্রেক্ষিতে তোফায়েল আহমেদ বলেন, কমিউনিস্ট পার্টি যখন আমাদের সঙ্গে ছিলন, একসঙ্গে আমরা তিন জোট মিলে রূপরেখা করেছিলাম। তখন বিএনপির সঙ্গে আমাদের আসন ভাগাভাগির সিদ্ধান্ত হয়েছিল। তখন দুই নেত্রী ১৫০টি করে সিটে নির্বাচনের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। কিন্তু এখন সেই দিন নেই।
বাণিজ্য মন্ত্রী বলেন, আমাদের ভবিষ্যৎ সুনির্দিষ্ট। একটি অবাধ, অংশগ্রহণমূলক, গ্রহণযোগ্য নির্বাচন সম্পন্ন করা আমাদের সকলের লক্ষ্য। এই কাজটি করে নির্বাচন কমিশন, সরকার নির্বাচন কমিশনকে সহায়তা করে। সুতরাং আমাদের লক্ষ্য সুনির্দিষ্ট। আলোচনা যাই হোক আমরা সবাই নির্বাচনে অংশ নেবো এই সরকারের অধিনে এবং নির্বাচন কমিশনের তত্বাবধানে। এখানে সমস্যার কিছু দেখি না।