মঙ্গলবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জের কায়েমপুর এলাকায় জেলা কারাগারের পাশে জেলা রেজিস্ট্রেশন কমপ্লেক্সের নবনির্মিত ৪ তলা ভবনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।
ঐক্যফ্রন্টের সাথে প্রধানমন্ত্রীর সংলাপ প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, ‘কিছুদিন আগে ঐক্যফ্রন্ট বলে একটা জোট হয়েছে, ভালো কথা। গণতান্ত্রিক দেশে রাজনীতি করার অধিকার সকলের আছে। তাদের অতীত ইতিহাস সকলের জানা, তারা দিনের বেলায় এক কথা বলে, রাতের বেলায় এক কথা বলে।’
‘তারা প্রধানমন্ত্রীকে পত্র দিয়েছেন তারা সংলাপ চান। প্রধানমন্ত্রী সেই সংলাপের প্রত্যাশার উত্তর দিয়েছেন, অনেক রক্তের বিনিময়ে, অনেক ত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত গণতন্ত্রের ধারাবাহিকতা রক্ষায় সংবিধান সম্মত রেখে আলোচনার দরজা সবসময় উন্মুক্ত,’ যোগ করেন তিনি।
খালেদা জিয়ার নির্বাচনে অংশ নেয়ার বিষয়ে আনিসুল হক বলেন, ‘সংবিধানে বলা আছে নৈতিক স্খলনের জন্য কোনো ব্যক্তিকে যদি আদালত দুই বছরের অধিক সাজা দেন তাহলে তিনি সাজা খাটার পর পাঁচ বছর পর্যন্ত জাতীয় নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না। এ বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের দুটি রায় আছে। একটি রায়ে বলা আছে যদি তিনি উচ্চ আদালতে আপিলের আবেদনের প্রেক্ষিতে সাজা স্থগিত করেন তাহলে নির্বাচন করতে পারবেন। আরো একটি বিভক্ত রায়ে একজন বিচারক বলেছেন নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন, অপর একজন বিচারক বলেছেন তিনি নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না। সুতরাং বেগম খালেদা জিয়ার নির্বাচন করার ব্যাপারে আদালতই সিদ্ধান্ত দিতে পারবেন।’
বাংলাদেশ নিবন্ধন এর মহাপরিদর্শক ড. খান মো. আবদুল মান্নানের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন সদর-বন্দর আসনের সংসদ সদস্য সেলিম ওসমান, আড়াইহাজার আসনের সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম বাবু, সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট হোসনে আরা বাবলি, জেলা প্রশাসক রাব্বি মিয়া, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মনিরুল ইসলাম, জেলা সাব রেজিস্টার সাবিকুন নাহার, জেলা পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট ওয়াজেদ আলী খোকন, নারায়ণগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি খালেদ হায়দার খান কাজল, জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট হাসান ফেরদৌস জুয়েল, মহানগর আওয়ামীলীগের যুগ্ম সম্পাদক শাহ নিজাম, শহর যুবলীগের সভাপতি শাহাদাৎ হোসেন ভূইয়া সাজনু, জেলা মহিলা লীগের সভানেত্রী প্রফেসর ড. শিরিন বেগম প্রমুখ।