শতবর্ষী ওই বৃদ্ধার নাম রাহেলা বেগম। যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার নাভারন ইউনিয়নের মৃত নবী মণ্ডলের স্ত্রী তিনি। মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে প্রশাসনিক সকল কার্যক্রম শেষে গোমস্তাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে শতবর্ষী বৃদ্ধাকে তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেন গোমস্তাপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মিজানুর রহমান। এসময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গোমস্তাপুর সার্কেল) জাহিদুর রহমান, রহনপুর পৌর মেয়র তারিক আহম্মেদসহ গনমাধ্যম কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে সোমবার সকালে ওই বৃদ্ধার ছেলে কাশেম খবর পেয়ে শনাক্ত করতে এসেও সঠিকভাবে চিনতে পারেনি তার মাকে। এ নিয়ে প্রশাসনের মাঝে নানা প্রশ্ন সৃষ্টি হয়। পরে বৃদ্ধার পুত্রবধূ রহিমা বেগম, নাভারন ইউপি সদস্য বিল্লাল হোসেন ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা ওমর হোসেন সরদার হাসপাতালে এসে বৃদ্ধাকে শনাক্ত করেন।
বৃদ্ধার ছেলে কাশেম দাবি করেন, যশোরের বেনাপলে বসবাসরত তার ছোটভাইয়ের বাড়িতে অক্টোবর মাসের শেষ দিকে বেড়াতে গিয়েছিলেন তার মা রাহেলা বেগম। এর কয়েকদিন পর বাড়ি ফেরার জন্য রাহেলাকে বাসে তুলে দেয় তার ছোট ছেলে। কিন্তু নাভারনে না নামিয়ে ভুল করে তাকে যশোর শহরে নামিয়ে দেয় বাসের সুপারভাইজার। এরপর থেকেই নিখোঁজ হন রাহেলা। দীর্ঘদিন মাকে দেখতে না পাওয়ায় প্রথম অবস্থায় চিনতে অসুবিধা হয়েছে বলে জানান তার অন্য ছেলে কাশেম।
গোমস্তাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বলেন, ‘যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলা প্রশাসনের সহযোগিতা নিয়ে আমরা নিশ্চিত হয়েছি যে ওই শতবর্ষী বৃদ্ধা কাশেমের মা। আমরা রাহেলা বেগমকে তার পরিবারের কাছে হস্থান্তর করেছি এবং সেখানকার প্রশাসনের নজরদারিতে থাকবেন তিনি।’
উল্লেখ্য, গত ১২ জানুয়ারি রহনপুর রেলস্টেশন থেকে উদ্ধার করার পর হাসপাতালে ভর্তি করা হয় শতবর্ষী ওই বৃদ্ধাকে।