চাঁপাইনবাবগঞ্জ
চাঁপাইনবাবগঞ্জে মাদরাসার খেলার মাঠ থেকে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের দাবিতে মানববন্ধন
চাঁপাইনবাবগঞ্জে সদর উপজেলার বাগডাঙ্গা দারুল উলুম দাখিল মাদরাসার খেলার মাঠ থেকে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়েছে।
সোমবার (২ ডিসেম্বর) সকালে মাদরাসার সামনে এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়।
প্রায় ঘণ্টাব্যাপী এ মানববন্ধন কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন, মাদরাসার সুপার আজিজুর রহমান, সহকারী সুপার মতিউর রহমান, শিক্ষক মাসুদ রানা, শিক্ষার্থী রুবেল আলী, হালিমা খাতুন, সুমাইয়া আক্তার প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, ‘দীর্ঘদিন যাবৎ মাদরাসার খেলার মাঠে জোরপূর্বক অবৈধভাবে বেশ অনেকগুলো দোকানপাট গড়ে উঠেছে। ফলে পড়াশোনার পাশাপাশি শিক্ষার্থীরা খেলাধুলার সুযোগ পাচ্ছে না। এসব অবৈধ দোকান পাট উচ্ছেদের জন্য প্রশাসনের দ্বারস্থ হলেও এখন পর্যন্ত এর সুরাহা হয়নি। তাই অবিলম্বে এইসব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে শিক্ষার্থীদের খেলাধুলার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য প্রশাসনের প্রতি দাবি জানান বক্তারা।
২ সপ্তাহ আগে
চাঁপাইনবাবগঞ্জে আমন ধানের ভালো ফলনে খুশি চাষিরা
চলতি মৌসুমে অনুকূল আবহাওয়া থাকায় চাঁপাইনবাবগঞ্জে রোপা আমন ধানের ফলন ভালো হয়েছে। পাশাপাশি বাজারে ধানের দামও সন্তোষজনক হওয়ায় অনেকটা স্বস্তিতে আছেন চাষিরা।
তবে উৎপাদন খরচ কমানোর লক্ষ্যে কীটনাশক, সেচ খরচ ও সারের দাম কমানোর জন্য সরকারের প্রতি দাবি জানিয়েছেন তারা। এদিকে কৃষি বিভাগের আশা এবার জেলায় প্রায় ২ লাখ মেট্রিক টন চাল উৎপাদন হবে।
বিভিন্ন এলাকা ঘুরে ও কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, চাষিরা এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন তাদের স্বপ্নের ফসল ঘরে তুলতে। মাঠে মাঠে চলছে ধান কাটাই-মাড়াইয়ের কাজ। আবাদ মৌসুমের শুরুতে বৃষ্টি নিয়ে শঙ্কা থাকলেও শেষ পর্যন্ত অনুকূল আবহাওয়া ও রোগ বালাই তুলনামূলক কম থাকায় চাঁপাইনবাবগঞ্জে রোপা আমন ধানের ফলন ভালো হয়েছে। বিঘা প্রতি ২২ মন থেকে ২৫ মন পর্যন্ত ফলন পাওয়া যাচ্ছে। বাজারে নতুন ধান বিক্রি হচ্ছে মন প্রতি সাড়ে ১২০০ টাকা থেকে ১৩০০ টাকা দরে। ফলন ও দর দুটোই আশানুরূপ থাকায় কৃষকদের মনে অনেকটা স্বস্তি বিরাজ করছে।
আরও পড়ুন: নওগাঁয় রোপা আমন ধান কাটায় ব্যস্ত কৃষকরা
তারা বলছেন, এবছর বীজ, সারের কোনো সংকট ছিল না। কিন্তু কীটনাশক, সেচ খরচ ও সারের দাম বেশি ছিল। তাছাড়া কৃষি শ্রমিকের দামও বেশি। সরকার কীটনাশক, সেচ খরচ ও সারের দাম কমানোর উদ্যোগ নিলে তারা আরও বেশি আমন ধান আবাদে আগ্রহী হবেন।
সদর উপজেলার আতাহার এলাকার চাষি জাহাঙ্গীর বলেন, ‘১০ বিঘা জমিতে আমি আমন করেছি। ধানের চেহারা খুব ভালো। কয়েক দিন পর কাটা শুরু করব। আবাদের শুরুতে বৃষ্টি ছিল না। সেচ দিয়ে আবাদ শুরু করেছিলাম। পরে ভালোই বৃষ্টি হয়েছে। পোকামাকড়ের তেমন উপদ্রব ছিল না। আবহাওয়া ভালো আছে। আশা করছি বিঘায় ২৪ মন করে ফলন পাব। বর্তমানে ধানের বাজার দর সাড়ে ১২শ টাকা থেকে ১৩০০ টাকা চলছে। এই দাম যদি না কমে তাহলে আমাদের জন্য ভালো হবে। ধানের আউড়(খড়) বিক্রি করেও ভালো টাকা পাওয়া যাবে, এতে আমাদের পোষাইয়ে যাবে।’
নাচোল উপজেলার নেজামপুর এলাকার আমন চাষি সেরাজুল জানান, এবার ধানের ফলন ২২ মন থেকে ২৫ মন পর্যন্ত হচ্ছে। এখন পর্যন্ত দামটাও মোটামুটি ভালো। কিন্তু কীটনাশক, সেচ খরচ, সার ও কৃষি শ্রমিকের দাম বেশি। এতে উৎপাদন খরচ বেশি হয়েছে। সরকার যদি কীটনাশক, সেচ খরচ ও সারের দাম কমায় তাহলে আমরা কৃষকরা লাভবান হতে পারব। তাই আমাদের টিকিয়ে রাখতে সরকারের এদিকে নজর দেওয়া দরকার। একি ধরনের কথা জানালেন অন্যান্য কৃষকরাও।
জেলা কৃষি বিভাগ জানায়, এ বছর চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলায় ৫৩ হাজার ৯৫০ হেক্টর জমিতে রোপা আমন ধান আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়। তবে শেষ পর্যন্ত লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে আবাদ হয়েছে ৫৪ হাজার ৪শ ১৫ হেক্টর জমিতে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক ড. পলাশ সরকার বলেন, ‘আমাদের এবার আমন আবাদের লক্ষ্যমাত্রা থেকে শতকরা ১০১ ভাগ বেশি অর্জিত হয়েছে। এবার গত বছরের থেকে ফলন বেশি হয়েছে। গত বছর ফলন ছিল প্রতি হেক্টরে ৩ দশমিক ৫১ মেট্রিক টন চাল। আর এবার ৩ দশমিক ৬১ মেট্রিক টন। এ ফলন বৃদ্ধির কারণ হলো, আমরা প্রণোদনার মাধ্যমে আধুনিক জাতের যে বীজগুলো কৃষকদের মাঝে দিয়েছিলাম সেটার একটা দিক রয়েছে এবং আমরা মাঠ পর্যায়ে বিভিন্ন প্রকল্প এবং পরামর্শের মাধ্যমে উফসি জাতগুলো চাষ করার জন্য কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করেছি। কৃষকরা সময়মতো বীজ ও সার পেয়েছে এবং সেটি মাঠে প্রয়োগ করেছে। কৃষক এখন কাটাই-মাড়াইয়ে ব্যস্ত। এখন পর্যন্ত শতকরা ১৬ ভাগ জমির ধান কাটা হয়েছে। আমরা আশা করছি এ বছর আমাদের উৎপাদন গত বছরের চেয়ে বেশি হবে। আশা করছি আমরা এবার প্রায় দুই লাখ মেট্রিক টন চাল উৎপাদন করতে সক্ষম হব। যেটি গত বছর ছিল ১ লাখ ৮৯ হাজার মেট্রিক টন।’
আরও পড়ুন: ‘ভবদহের জলাবদ্ধতায় অভয়নগরে পূরণ হয়নি আমন ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা’
৩ সপ্তাহ আগে
চাঁপাইনবাবগঞ্জে নিখোঁজের ৪ দিন পর আদিবাসী শিশুর লাশ উদ্ধার
চাঁপাইনবাবগঞ্জে গোমস্তাপুরে নিখোঁজের চারদিন পর নেপাল টপ্পো নামে ৫ বছরের এক আদিবাসী শিশুর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
বুধবার (২০ নভেম্বর) সকালে উপজেলার পার্বতীপুর ইউনিয়নের শেখপুরা গ্রামের একটি পুকুর থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
নেপাল টপ্পো শেখপুরার দুলাল টপ্পোর ছেলে।
পুলিশ জানায়, নেপাল টপ্পো গত ১৬ নভেম্বর বাড়ি থেকে বের হয়ে আর ফেরেনি। অনেক খোঁজাখুঁজির পর তাকে না পেয়ে ১৭ নভেম্বর গোমস্তাপুর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়।
বুধবার সকালে বাড়ির অদূরে একটি পুকুরে তার লাশ ভাসতে দেখে পুলিশকে খবর দেয় স্থানীয়রা। পরে পুলিশ গিয়ে নেপালের লাশ উদ্ধার করে।
গোমস্তাপুর থানার ওসি খায়রুল বাসার বলেন, লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। নেপাল টপ্পো ডুবে মারা গেছে নাকি কেউ তাকে হত্যা করেছে এ ব্যাপারে নিশ্চিত নয় পুলিশ। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
লাশ উদ্ধারের ঘটনায় আপাতত থানায় অপমৃত্যু মামলা করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
৪ সপ্তাহ আগে
চাঁপাইনবাবগঞ্জে শাশুড়িকে খুনের অভিযোগ জামাইয়ের বিরুদ্ধে
চাঁপাইনবাবগঞ্জে মেয়ে জামাইয়ের হাতে শাশুড়ি খুনের অভিযোগ উঠেছে। বুধবার (১৩ নভেম্বর) দিবাগত রাতে জেলার শিবগঞ্জ উপজেলার নয়ালাভাঙ্গা ইউনিয়নের মিরাটুলি বাবুপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত শাশুড়ি সাকিনা বেগম শিবগঞ্জ উপজেলার গোয়াবাড়ি চাঁদপুর এলাকার মৃত সফিকুল ইসলামের স্ত্রী।
শিবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) গোলাম কিবরিয়া জানান, তিন মাস আগে সকিনা বেগম উপজেলার নয়ালাভাঙ্গা ইউনিয়নের মিরাটুলি বাবুপুর এলাকায় তার মেয়ের বাড়িতে বেড়াতে যান। তবে তার জামাই টুটুল ইসলাম মানসিক ভারসাম্যহীন।
আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জে ট্রাক্টরচাপায় মাদরাসাছাত্র নিহত
বুধবার রাত সোয়া ১০টার দিকে সাকিনা বেগম ঘরে শুয়ে ছিলেন। এমন সময় মানসিক ভারসাম্যহীন টুটুল ইসলাম সাবল দিয়ে শাশুড়ির মাথায় আঘাত করে। এতে সাকিনা বেগম ঘটনাস্থলেই মারা যান।
খবর পেয়ে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য ২৫০ শস্যা বিশিষ্ট জেলা হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে।
ঘটনার পর থেকেই ঘাতক টুটুল ইসলাম পলাতক। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার ব্যবস্থা চলছে বলে জানান ওসি।
আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জে জমি নিয়ে বিরোধে যুবক নিহত, আহত ১০
১ মাস আগে
চাঁপাইনবাবগঞ্জে জমি নিয়ে বিরোধে যুবক নিহত, আহত ১০
চাঁপাইনবাবগঞ্জে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের হামলায় আলমগীর হোসেন নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও ১০ জন।
শনিবার (৯ নভেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার চককীর্তি ইউনিয়নের রানীবাড়ি চাঁদপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আলমগীর রানীবাড়ি চাঁদপুর-গাবতলার মৃত গোলাম মোস্তফার ছেলে।
আরও পড়ুন: মেহেরপুরে মাইক্রোবাসের ধাক্কায় যুবক নিহত
স্থানীয়রা জানান, দীর্ঘদিন ধরে প্রতিবেশী মংলুর সঙ্গে আলমগীরের জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। সকালে প্রতিপক্ষের লোকজন বিরোধপূর্ণ জমিতে আমগাছ কাটতে গেলে বাধা দেন আলমগীরসহ তার ভাইয়েরা।
এ নিয়ে কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে উভয় পক্ষ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে প্রতিপক্ষের হামলায় আলমগীর ঘটনাস্থলেই মারা যান।
আহতদের উদ্ধার করে শিবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। উন্নত চিকিৎসার জন্য ৩ জনকে রাজশাহী মেডিকেলে পাঠানো হয়েছে।
শিবগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আরমান হোসেন বলেন, নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেলা হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
আরও পড়ুন: লালমনিরহাটে সেতু থেকে পড়ে মোটরসাইকেল আরোহী নিহত
১ মাস আগে
চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে কৃষিজাত পণ্যের জন্য বিশেষ ট্রেন স্থগিত
নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি ঠেকাতে চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে কৃষিপণ্য কম খরচে ঢাকায় পরিবহনের লক্ষ্যে চালু করা বিশেষ ট্রেন স্থগিত করা হয়েছে।
রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের প্রধান বাণিজ্যিক ব্যবস্থাপক সুজিত কুমার বিশ্বাস জানান, শুক্রবার রাতে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ বিষয়টি সংশ্লিষ্ট সবাইকে অবহিত করেছে।
গত ২৬ অক্টোবর থেকে কৃষিপণ্য নিয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জ-ঢাকা রুটে ট্রেন চলাচল শুরু হয়।
ট্রেনটি প্রতি শনিবার কৃষিপণ্য পরিবহন করার কথা ছিল। ঢাকার তেজগাঁও স্টেশনে পৌঁছানোর আগে নাচোল ও আমনুরা জংশনসহ ১৩টি স্টেশনে যাত্রাবিরতি করার কথা ছিল।
প্রথম দিন চাঁপাইনবাবগঞ্জের রহনপুর স্টেশন থেকে কোনো ধরনের কৃষিপণ্য ছাড়াই ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যায় বিশেষ ট্রেনটি।
স্পেশাল ট্রেন চালুর পর চাষিদের কাছ থেকে কোনো সাড়া মেলেনি জানিয়ে সুজিত বলেন, ‘তারা ট্রেনে করে কৃষিপণ্য পরিবহনে আগ্রহী নয়, কর্তৃপক্ষ এটি স্থগিত করতে বাধ্য হয়েছে।’
আরও পড়ুন: ট্রেনের সময়সূচিতে বিপর্যয় কাটেনি, ২ ট্রেনের যাত্রা বাতিল
১ মাস আগে
৬ দিন বন্ধের পর সোনামসজিদ স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি শুরু
শারদীয় দুর্গোৎসব উপলক্ষে টানা ছয়দিন বন্ধ থাকার পর চাঁপাইনবাবগঞ্জের সোনামসজিদ স্থলবন্দরে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের কর্মকর্তা আলিমুজ্জামান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ২৩১৮৪০ ডিম আমদানি
তিনি জানান, হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজা উপলক্ষে গত ৯ অক্টোবর থেকে ১৪ অক্টোবর পর্যন্ত এই বন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য কার্যক্রম বন্ধ ছিল। মঙ্গলবার সকাল থেকে বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে যথারীতি বন্দরের আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
সকাল থেকে আমদানি পণ্য নিয়ে ভারতীয় ট্রাক বন্দরে প্রবেশ করছে বলেও জানান স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের কর্মকর্তা আলিমুজ্জামান।
আরও পড়ুন: বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ২ দিনে ভারতে ৯৯ মেট্রিক টন ইলিশ রপ্তানি
২ মাস আগে
বেড়েছে পদ্মাসহ তিন নদীর পানি, চাঁপাইনবাবগঞ্জে ১৩৫৪ হেক্টর জমির ফসল ক্ষতিগ্রস্ত
চাঁপাইনবাবগঞ্জে পদ্মাসহ তিন নদীতে বেড়েছে পানি। এতে করে তলিয়ে গেছে নদীর তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলের ফসলের জমি।
নদী তীরবর্তী এলাকাগুলোর বাসিন্দারা জানায়, চাঁপাইনবাবগঞ্জের পদ্মা, মহানন্দা ও পুনর্ভবা এই তিনটি নদীতে গত ১০ দিন থেকে পানি বাড়তে শুরু করেছে। এর ফলে নদী তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল চরাঞ্চলের বিভিন্ন ফসলের খেত পানিতে তলিয়ে যাচ্ছে। চলতি মৌসুমের ফসল মাসকলাই ও বিভিন্ন শাকসবজির জমিতে পানি ঢুকে পড়েছে।
তবে এখন পর্যন্ত কোনো বাড়ি ঘরে পানি ঢুকেনি।
আরও পড়ুন: নদী ভাঙন রোধে দ্রুত কার্যক্রম শুরু হবে: পানিসম্পদ উপদেষ্টা
চাঁপাইনবাবগঞ্জের কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক ড. পলাশ সরকার জানান, তিন নদীর পানি বাড়ায় এ পর্যন্ত জেলা সদর, শিবগঞ্জ ও গোমস্তাপুর উপজেলার নদীতীরবর্তী ১ হাজার ৩৫৪ হেক্টর জমির ফসল পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে। এসব ফসলের মধ্যে রয়েছে রোপা আউশ, মাসকলাই, গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ ও শাকসবজি। প্রায় ৪ হাজার ৫৮৫ কৃষক ক্ষতির মুখে পড়েছেন।
চাঁপাইনবাবগঞ্জের পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আহসান হাবিব জানান, উজানে ভারতে অধিক বৃষ্টিপাতের কারণে পদ্মাসহ তিনটি নদীর পানি বাড়ছে। তবে বিপৎসীমার নিচেই রয়েছে।
আগামী কয়েক দিনের মধ্যে পানি কমতে পারে বলে জানান তিনি।
গত ২৪ ঘণ্টায় পদ্মায় ৫ সে.মি., মহানন্দায় ৬ সে. মি. ও পুনর্ভবায় ১০ সে. মি. পানি বেড়েছে বলে জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।
আরও পড়ুন: মেঘনা নদী থেকে ২ জেলের লাশ উদ্ধার
২ মাস আগে
চাঁপাইনবাবগঞ্জে ১ কেজি ১০ গ্রাম হেরোইন উদ্ধার
চাঁপাইনবাবগঞ্জে ১ কেজি ১০ গ্রাম হেরোইন উদ্ধার করেছে র্যাব। তবে এ ঘটনায় কেউ আটক হয়নি।
সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) রাত ১০টায় জেলার সদর উপজেলার ডালিমবাড়িয়া এলাকা থেকে এই হেরোইন উদ্ধার করেছে র্যাব-৫।
মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) সকালে র্যাব-৫ এর চাঁপাইনবাবগঞ্জ ক্যাম্পের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব সদস্যরা সোমবার রাত ১০টায় ডালিমবাড়িয়ার এলাকায় একটি আম বাগানে অভিযান চালায়। এ সময় র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে মাদক কারবারিরা একটি ব্যাগ ফেলে পালিয়ে যায়। ব্যাগ থেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় ১ কেজি ১০ গ্রাম হেরোইন উদ্ধার করে র্যাব।
এ ঘটনায় চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর থানায় সাধারণ ডায়রি করা হয়েছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
৩ মাস আগে
চাঁপাইনবাবগঞ্জে ৭ হাজার ৯৩৫ পিস ইয়াবা উদ্ধার
চাঁপাইনবাবগঞ্জে ৭ হাজার ৯৩৫ পিস ইয়াবা উদ্ধার করেছে র্যাব। এ ঘটনায় কেউ আটক হয়নি।
রবিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) সকালে র্যাব-৫ এর চাঁপাইনবাবগঞ্জ ক্যাম্প এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, শনিবার রাতে জেলার সদর উপজেলার চাদলাই গোপাপাড়া এলাকা থেকে ইয়াবাগুলো উদ্ধার করা হয়।
র্যাব জানায়, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে র্যাবের একটি দল শনিবার রাত ১০টার দিকে চাদলাই গোপাপাড়া এলাকায় অবস্থান নেয়। এসময় র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে মাদক কারবারিরা পালিয়ে যায়। তল্লাশি চালিয়ে পরিত্যক্ত অবস্থায় ৭ হাজার ৯৩৫ পিস ইয়াবা উদ্ধার করে র্যাব সদস্যরা।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর থানায় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে র্যাব।
আরও পড়ুন: সোনারগাঁওয়ে ২৩৮৯২ ইয়াবা জব্দ, যুবক গ্রেপ্তার
৩ মাস আগে