মৃত দুলাল কালিয়াকৈর উপজেলার চন্দ্রা মন্ডলপাড়ার সুনাম উদ্দিনের ছেলে। আয়েশা ছিল তার দ্বিতীয় স্ত্রী।
আয়েশা বেগমের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে এবং দুলাল উদ্দিনের লাশ উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মরগা পাঠিয়েছে পুলিশ।
কালিয়াকৈর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনোয়ার হোসেন চৌধুরী জানান, বুধবার রাতে দুলাল তার দ্বিতীয় স্ত্রী আয়শাকে হত্যার পর নিজে ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। দুলাল তার প্রথম স্ত্রী রেহেনা বেগম এবং তাদের দুই সন্তানকে রেখে দিনাজপুরের আয়েশা বেগমকে বিয়ে করেন। তার দ্বিতীয় ঘরেও দুই সন্তান রয়েছে। দুলালের প্রথম স্ত্রী রেহেনাও পারিবারিক কলহের জেরে প্রায় সাত বছর আগে আত্মহত্যা করেন।
দুলাল তার দ্বিতীয় স্ত্রী আয়েশা বেগমকে নিয়ে পাশেই তাদের অন্য এক বাড়িতে থাকতেন। বেশ কিছুদিন ধরে তাদের মধ্যে কলহ চলে আসছিল। এর জেরেই দুলাল তার স্ত্রী আয়েশাকে শ্বাসরোধে হত্যা এবং নিজেও আত্মহত্যা করেছেন বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।
গাজীপুর রেলওয়ে পুলিশের উপ-পরিদর্শক আব্দুল মান্নান জানান, খবর পেয়ে কালিয়াকৈর উপজেলার কালামপুর এলাকা থেকে ট্রেনের নিচে কাটা পড়া দুলাল উদ্দিনের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।