আত্মহত্যা
হবিগঞ্জে দুই সন্তানকে হত্যার পর বাবার আত্মহত্যা
হবিগঞ্জের চুনারুঘাটে দাম্পত্য কলহের জেরে দুই শিশু সন্তানকে বিষ খাইয়ে হত্যার পর বাবার আত্মহত্যার অভিযোগ উঠেছে।
বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত মধ্যরাতে উপজেলার রাণীগাও ইউনিয়নের আতিকপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে ওই এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।
নিহতরা হলেন— আতিকপুর গ্রামের আব্দুর রউফ (৩৫) এবং তার শিশু সন্তান খাদিজা আক্তার (৫) ও আয়েশা আক্তার (৩)।
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে হবিগঞ্জের সহকারী পুলিশ সুপার (মাধবপুর-চুনারুঘাট সার্কেল) এ কে এম সালিমুল হক জানান, আব্দুর রউফ ও তার স্ত্রীর মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে কলহ চলছিল। তিনি ঋণগ্রস্তও ছিলেন। গতরাতে স্ত্রীর সঙ্গে ঝগড়া হয় আব্দুর রউফের। ঝগড়ার একপর্যায়ে কোলের সন্তানকে নিয়ে ঘর থেকে বেরিয়ে যান তার স্ত্রী। এরপর আব্দুর রউফ অপর দুই শিশু সন্তান খাদিজা ও আয়েশাকে বিষ খাওয়ানোর পর নিজেও বিষপান করেন।
আরও পড়ুন: আদালত ভবন থেকে লাফিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা আসামির
বিষয়টি আঁচ করতে পেরে প্রতিবেশীরা তাদের উদ্ধার করে চুনারুঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। তবে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার আগেই দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে বলে নিশ্চিত করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক।
এরপর আশঙ্কাজনক অবস্থায় আব্দুর রউফকে হবিগঞ্জ জেলা সদর আধুনিক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন চিকিৎসক। সেখানে শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে মারা যান তিনিও।
আব্দুর রউফের ছোট ভাই সোহাগ মিয়া বলেন, আমরা পাশের ঘরে ঘুমাচ্ছিলাম। হঠাৎ চিৎকার-চেচামেচি শুনে গিয়ে দেখি আমার দুই ভাতিজি ও ভাই বিষ খেয়ে পড়ে রয়েছে। সঙ্গে সঙ্গে তাদের আমরা হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক ভাতিজিদের মৃত বলে ঘোষণা করেন।
তিনি জানান, আমার ভাই ও ভাবির মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে নানা বিষয় নিয়ে ঝগড়া লেগেই থাকত।
আরও পড়ুন: পল্লবীতে ২ সন্তানকে হত্যার পর বাবার আত্মহত্যার চেষ্টা
হবিগঞ্জ জেলা সদর ২৫০ শয্যা হাসাপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. সাফায়াতুল ইসলাম বলেন, ‘গতকাল রাত ১টার দিকে আব্দুর রউফ বিষাক্রান্ত অবস্থায় হাসপাতালে আসেন। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ (শুক্রবার) বেলা সাড়ে ১০টার দিকে তিনি মারা যান।’
৪ দিন আগে
যৌন নিপীড়নের ২০ বছর পর ১০ বছরের কারাদণ্ড
নাটোরে শিশুকে যৌন নিপীড়ন ও আত্মহত্যায় প্ররোচিত করার প্রায় ২০ বছর পর কাজেম আলী ও আতিকুর রহমান নামে দুই ব্যক্তিকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
রবিবার (১৯ জানুয়ারি) দুপুরে নাটোরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মুহাম্মদ আব্দুর রহিম এ রায় দেন। একইসঙ্গে তাদের প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: অর্থ আত্মসাত: ডেসটিনির রফিকুল আমীনসহ ১৯ জনের ১২ বছরের কারাদণ্ড
বিশেষ সরকারি কৌসুঁলি (পিপি) আব্দুল কাদের মিয়া বলেন, ‘এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর বাবা বাদী হয়ে মামলা করলে প্রয়োজনীয় তথ্যপ্রমাণ ও শুনানি শেষে বিচারক প্রায় ২০ বছর পর আজ (রবিবার) এ রায় দেন।’
২০০৫ সালের ১৮ মার্চ নাটোর সদর উপজেলার মাঝদিঘা শীবপুর গ্রামে ১১ বছর বয়সী রিপা খাতুন শিউলি নামে এক শিশু বাড়ির পাশে ভেড়া চরাতে গেলে প্রতিবেশী আতিকুর ও কাজেম তাকে যৌন নিপীড়ন করেন। এরপর লজ্জায় বাড়ি ফিরে শিশুটি কীটনাশক পানে আত্মহত্যা করে।
৪ সপ্তাহ আগে
ছোট ২ ভাইয়ের পর বড় ভাইয়েরও আত্মহত্যা
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় ছোটো দুই ভাইয়ের পর একইভাবে আত্মঘাতী হলেন বড় ভাই মো. জুয়েল। পারিবারিক কলহের জেরে আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছেন তিনি।
শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) দাপা ইদ্রাকপুর রেলস্টেশন এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
নিহত মো. জুয়েল বুয়েটের ওয়ার্কশপে চাকরি করতেন। তিনি দাপা এলাকার আব্দুল আজিজের ছেলে। সংসারে দুটি শিশু ছেলে রয়েছে তার।
এর আগে, পারিবারিক কলহের কারণেই ২০০৫ সালে রুবেল ও ২০১৮ আত্মহত্যা করেন তার ছোট ভাই সাকিব।
আরও পড়ুন: ময়মনসিংহে অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে কুপিয়ে হত্যার পর স্বামীর আত্মহত্যার অভিযোগ
স্থানীয়রা জানান, শনিবার জমি সংক্রান্ত বিষয়ে বাবা ও বড় বোনের সঙ্গে জুয়েলের কথা-কাটাকাটি হয়। পরিবার থেকে জমির জন্য টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে জুয়েল ঘরের চালের আড়ার সঙ্গে রশি পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেন।
ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শরীফুল ইসলাম জানান, ঘটনাটি আইনি প্রক্রিয়ার আওতায় আনা হয়েছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
১ মাস আগে
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিষপানে ২ শিশুসহ মায়ের ‘আত্মহত্যা’
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দুই শিশু সন্তানসহ এক নারী বিষপান করে আত্মহত্যার অভিযোগ উঠেছে। তবে কী কারণে তারা মৃত্যুবরণ করেছেন তা জানা যায়নি।
বুধবার (১৩ নভেম্বর) বেলা ১১টার দিকে সদর উপজেলার সুহিলপুর ইউনিয়নের ঘাটুরা সরকার বাড়ি এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- ঘাটুরা সরকার বাড়ি এলাকার শারমিন আক্তার এবং তার দুই মেয়ে রওজা ও নওরিন।
আরও পড়ুন: সিলেট কারাগারে গলায় লুঙ্গি পেঁচিয়ে হাজতির আত্মহত্যা
ব্রাহ্মণবাড়িয়া ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক রিয়াজ উদ্দিন মিতুল বলেন, ‘বিষ খাওয়া অবস্থায় এক নারীকে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে আনা হয়। কিছু সময় পর দুই শিশুকে আনা হয়, তাদের পরীক্ষা করে মৃত পাওয়া যায়। কিছুক্ষণ পর মাও মারা যান।’
হাসপাতালের জরুরি বিভাগে দায়িত্বরত কর্মচারীরা জানান, স্ত্রী ও দুই শিশুকে নিয়ে আশরাফ নামের এক ব্যক্তি হাসপাতালে আসেন। তিনি জানান, স্ত্রী তার দুই শিশুকে বিষপান করিয়ে নিজে বিষপান করেন।
তবে কী কারণে এই ঘটনা ঘটেছে, তা নিহতের স্বজনরা বলতে পারেননি বলে জানান জরুরি বিভাগে দায়িত্বরতরা। তিনজনের মৃত্যুর খবর শুনে স্বামীসহ তার স্বজনরা হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যান।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মামুনুর রশীদ বলেন, ‘আমরা হাসপাতালে এসেছি। তারা বিষপান করেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে কী কারণে এই ঘটনা ঘটেছে তা জানা যায়নি।’
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জ জেলা কারাগারে হাজতির ‘আত্মহত্যা’
৩ মাস আগে
সিরাজগঞ্জ জেলা কারাগারে হাজতির ‘আত্মহত্যা’
সিরাজগঞ্জ জেলা কারাগারে মেহেদী হাসান পাপ্পু (৩২) নামে এক হাজতির আত্মহত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
শুক্রবার (৯ আগস্ট) সকালে এ ঘটনা ঘটনা ঘটে। পাপ্পু সিরাজগঞ্জ পৌর এলাকার ধানবান্দি মহল্লার আবুল হোসেনের ছেলে।
আরও পড়ুন: কোম্পানীগঞ্জে বিষপানে গৃহবধূর আত্মহত্যা, স্বামী পলাতক
সিরাজগঞ্জ জেলা কারাগারের জেলার রেজা বলেন, ‘পাপ্পু মাদক ও মারামারির পৃথক ২টি মামলায় ১ বছর ২ মাস ধরে জেল হাজতে ছিল। শুক্রবার সকালের দিকে কারাগারের বাথরুমে গলায় লুঙ্গি পেঁচিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন তিনি। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে হাজতি ও কারারক্ষীরা উদ্ধার করেন।’
তিনি বলেন, ‘পরে শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথে তিনি মারা যান। তার লাশ ওই হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।’
আরও পড়ুন: সিলেট কারাগারে কয়েদির আত্মহত্যা
মাগুরায় বোনের বাসায় বেড়াতে গিয়ে শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা
৬ মাস আগে
সিলেট কারাগারে কয়েদির আত্মহত্যা
সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারে দুই বছরের সাজাপ্রাপ্ত মো. ইউনুস আলী নামে এক কয়েদির আত্মহত্যার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় দুই কারারক্ষীসহ তিনজনকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে।
সোমবার (৩ জুন) বেলা সাড়ে ১২টার দিকে সিলেট বাদাঘাট এলাকার কেন্দ্রীয় কারাগারে এ ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কারাগারে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত কয়েদির মৃত্যু
কয়েদি মো. ইউনুস আলী সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার কালীবাড়ি গ্রামের নূর ইসলামের ছেলে।
সিলেট বিভাগের কারা উপমহাপরিদর্শক মো. ছগির মিয়া বলেন, মাদক মামলায় দুই বছরের সাজাপ্রাপ্ত ইউনুস আলী প্রায় ছয় মাস ধরে কারাগারে ছিলেন। তিনি ‘সিজোফ্রেনিয়া’ রোগে আক্রান্ত। সোমবার কারাগারের অভ্যন্তরের একটি ওয়ার্ডে ইউনুসের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়।
তিনি আরও বলেন, প্রাথমিকভাবে জানা যায় তিনি নিজে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। এ ঘটনায় কারাগারে দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে দুই কারারক্ষী এবং একজন সহকারী হেড ওয়ার্ডকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে।
তিনি বলেন, নিহতের ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাওয়ার পর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।
মঙ্গলবার নিহতের লাশ ময়নাতদন্ত এবং আইনী প্রক্রিয়া শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রাম কারাগারে কয়েদির আত্মহত্যা, ৩ কারারক্ষী বরখাস্ত
ঝিনাইদহে কারাগারে কয়েদির মৃত্যু
৮ মাস আগে
আত্মহত্যা নিরসনে সরকারি-বেসরকারি সবার প্রচেষ্টা প্রয়োজন: সিমিন হোসেন
মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী সিমিন হোসেন (রিমি) বলেছেন, বাংলাদেশে আত্মহত্যা একটি জটিল সামাজিক সমস্যা হিসেবে দেখা দিয়েছে। সরকারি-বেসরকারি সকলের প্রচেষ্টায় একযোগে কাজের মাধ্যমে আত্মহত্যা নিরসন করা সম্ভব।
শুক্রবার (১৭ মে) মহাখালীর ব্র্যাক সেন্টারে 'কান পেতে রই' আয়োজিত সুইসাইড প্রিভেনশন পলিসি ব্রিফিং অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের এই প্রেসিডিয়াম সদস্য আরও বলেন, আত্মহত্যার সঙ্গে মানসিক স্বাস্থ্যের একটি নিবিড় সম্পর্ক রয়েছে। শেখ হাসিনা স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে অন্যান্য খাতের পাশাপাশি স্বাস্থ্যসেবার প্রতি বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করেছেন। বর্তমানে ইন্টারনেটের সহজলভ্যতার কারণে মানসিক স্বাস্থ্যবিষয়ক তথ্য আগের চেয়ে অনেক সহজে পাওয়া যাচ্ছে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, মানসিক সমস্যা থেকে আত্মহত্যার প্রবণতা সৃষ্টি হয়। বয়ঃসন্ধিকালে আসা হরমোনাল পরিবর্তনের কারণে সে সময় কিশোর-কিশোরীরা সংবেদনশীল অবস্থায় থাকে।
আত্মহত্যার কারণ উল্লেখ করতে গিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, লেখাপড়া নিয়ে মা-বাবার উচ্চাকাঙ্ক্ষা, প্রেমে ব্যর্থতা, সাইবার বুলিং, প্রোফাইল হ্যাক, চাকরি না পাওয়ায় হতাশার কারণে অনেকে আত্মহত্যা করছে।
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, আত্মহত্যা নিরসনে মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয় বাংলাদেশের প্রতিটি ইউনিয়নে ক্লাবের মাধ্যমে কিশোর-কিশোরীদের মানসিক স্বাস্থ্য উন্নয়নে কাজ করছে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মাধ্যমে মানসিক স্বাস্থ্য উন্নয়নে সরকার নিরলস কাজ করছে।
অনুষ্ঠানে আরও ছিলেন- বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জাফর ইকবাল, ড. মোহাম্মদ রোবেদ আমিন ও জাহিদ ফিজা কবির।
৯ মাস আগে
কোম্পানীগঞ্জে বিষপানে গৃহবধূর আত্মহত্যা, স্বামী পলাতক
সিলেটের কোম্পানীগঞ্জে রুবিনা বেগম (২৭) নামে এক গৃহবধূ বিষপান করে আত্মহত্যা করেছেন বলে খবর পাওয়া গেছে। ঘটনার পর থেকেই নিহতের স্বামী জুবের আহমদ পলাতক রয়েছেন।
রবিবার (৩১ মার্চ) রাতে উপজেলার টুকেরগাঁও গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। ওই গ্রামের আবুল হোসেনের বাসায় ভাড়া থাকতেন এই দম্পতি।
রুবিনা বেগম গোয়াইনঘাট উপজেলার রাউতগ্রামের আব্দুস সালামের মেয়ে। তার স্বামী একই উপজেলার লাবুগ্রামের গিয়াস উদ্দিনের ছেলে।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, রবিবার রাত ১২টার পর থেকে সকাল সাড়ে ৮টা পর্যন্ত ঘরের দরজা না খোলায় প্রতিবেশীরা ডাকাডাকি করে কোনো সাড়াশব্দ না পেয়ে অন্য ঘর দিয়ে তার রুমে প্রবেশ করেন। তারা রুবিনাকে মাটিতে পড়ে থাকতে দেখে দ্রুত কোম্পানীগঞ্জ হাসপাতালে নিয়ে যান।
সোমবার সকাল ৯টায় কোম্পানীগঞ্জ হাসপাতালের চিকিৎসক রুবিনাকে মৃত ঘোষণা করেন।
কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম দস্তগীর আহমদ জানান, নিহতের পরিবারকে খবর দিয়ে গোয়াইনঘাট থেকে কোম্পানীগঞ্জ থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ সিলেট ওসমানী হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
নিহতের স্বামীকে আটক করার চেষ্টা চলছে বলেও জানান ওসি।
১০ মাস আগে
অবন্তিকার আত্মহত্যা: জামিন পাননি দ্বীন ইসলাম, রিমান্ড শেষে জেলে আম্মান
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ফাইরোজ সাদাত অবন্তিকার আত্মহত্যা প্ররোচনার মামলার আসামি সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলামের জামিন আবেদন বাতিল করেছেন আদালত।
এদিকে অবন্তিকার আত্মহত্যা প্ররোচনার মামলার অপর আসামি রায়হান সিদ্দিকী আম্মানকে রিমান্ড শেষে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: অবন্তিকার আত্মহত্যা: রিমান্ডে জবি’র সহকারী প্রক্টর ও সহপাঠী
বুধবার (২০ মার্চ) দুপুরে আইনজীবীদের শুনানি শেষে চিফ জুডিশিয়াল আদালতের বিচারক আবু বকর সিদ্দিক এ নির্দেশ দেন।
অন্যদিকে আজ দুপুরে দুই দিনের রিমান্ড শেষে পুলিশ রায়হান সিদ্দিক আম্মানকে আদালতে হাজির করলে জেলে পাঠানো হয়। এরআগে মঙ্গলবার একদিনের রিমান্ড শেষে দ্বীন ইসলামকে জেলে পাঠান আদালত।
উল্লেখ্য, শুক্রবার (১৫ মার্চ) অবন্তিকা সহকারী প্রক্টর দীন ইসলাম ও তার সহপাঠী আম্মান সিদ্দিকীকে দায়ী করে ফেইসবুকে পোস্ট করে আত্মহত্যা করেন।
এ ঘটনায় অবন্তিকার মা তাহমিনা শবনম বাদী হয়ে কোতোয়ালি মডেল থানায় আত্মহত্যা প্ররোচনার অভিযোগ এনে দ্বীন ইসলাম ও তার সহপাঠী আম্মানের নাম উল্লেখসহ বেশ কয়েকজনকে অজ্ঞাত আসামি করে কোতয়ালি থানায় মামলা দায়ের করেন।
আরও পড়ুন: অবন্তিকার আত্মহত্যা: রিমান্ড শেষে কারাগারে প্রক্টর দ্বীন ইসলাম
অবন্তিকার আত্মহত্যা: বিচারের দাবিতে জবি আইন বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন
১০ মাস আগে
চট্টগ্রাম কারাগারে কয়েদির আত্মহত্যা, ৩ কারারক্ষী বরখাস্ত
চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে ইব্রাহিম নেওয়াজ (৩০) নামে এক কয়েদির আত্মহত্যার ঘটনায় ৩ কারারক্ষীকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এছাড়া অপর ৩ কারারক্ষীর বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা দায়ের করা হয়েছে। দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে এ ব্যবস্থা নেওয়া হয়।
সাময়িক বরখাস্ত কারারক্ষীরা হলেন- এরশাদ উল্লাহ, হাবিবুর রহমান ও আল আমিন। এছাড়া প্রধান কারারক্ষী মো. জসিম, সহকারী প্রধান কারারক্ষী আবদুল লতিফ এবং কারারক্ষী মাসুদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) রাতে এ তথ্য নিশ্চিত করে কারাকর্তৃপক্ষ।
আরও পড়ুন: ঝিনাইদহে কারাগারে কয়েদির মৃত্যু
এর আগে সোমবার রাতে ইব্রাহিম নেওয়াজ নামে ১৭ বছরের সাজাপ্রাপ্ত এই কয়েদি চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে গলায় ফাঁস দেয়। উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
মৃত ইব্রাহিম নেওয়াজ রাঙামাটি সদর উপজেলার আলম ডক এলাকার আলী নেওয়াজের ছেলে। চট্টগ্রামের রাউজান থানার এক অস্ত্র মামলায় ১৭ বছরের সাজাপ্রাপ্ত আসামি হয়ে গত বছরের ১৯ সেপ্টেম্বর থেকে কারাবন্দি ছিলেন তিনি।
কারা সূত্রে জানা গেছে, সোমবার সন্ধ্যায় কারাগারের ভেতরে বন্দি গণনার সময় একজন কম পাওয়া যায়। তাকে অনেক খোঁজাখুঁজির পর খাদ্য গুদামের সামনে চৌবাচ্চার টিনশেডের রডের সঙ্গে প্লাস্টিকের বস্তা ও কম্বলের বর্ডারের অংশ দিয়ে ঝুলে থাকতে দেখা যায়। পরে দ্রুত তাকে উদ্ধার করে চমেক হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কারাগারে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত কয়েদির মৃত্যু
নিহত ইব্রাহিম নেওয়াজের মামাতো ভাই নাইমুর রহমান তুর্য বলেন, ‘আমার ভাইকে অস্ত্র মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। এর মধ্যে জেল সুপার হঠাৎ ফোন করে জানান আমার ভাই মারা গেছেন। এরপর সকালে আমরা কারাগারে যাই। আমরা এর সঠিক তদন্ত চাই।’
চট্টগ্রাম কারা বিভাগের উপমহাপুলিশ পরিদর্শক (ডিআইজি) টিপু সুলতান বলেন, ‘কারাগারের ভেতরে এক কয়েদি আত্মহত্যা করেছে। ওই বন্দির আত্মহত্যার চেষ্টা ও পরে মৃত্যুর কারণ উদঘাটনের জন্য ৪ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্তে কারো বিরুদ্ধে অবহেলার প্রমাণ পাওয়া গেলে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
কারা হাসপাতালের সহকারী সার্জন ডা. রেজা মো. সরোয়ার আকবর বলেন, ‘বন্দির গলায় ফাঁসের দাগ রয়েছে। আমাদের কাছে আনার সঙ্গে সঙ্গে তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেলে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছিল।’
আরও পড়ুন: যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারে কয়েদির মৃত্যু
১০ মাস আগে