আত্মহত্যা
যশোরে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত কয়েদির আত্মহত্যা
যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারে মিজানুর রহমান (৫৫) নামে যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত এক কয়েদি আত্মহত্যা করেছেন।
শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৬টার দিকে এই ঘটনা ঘটে।
মিজান যশোরের শার্শা উপজেলার গাতিপাড়া আমতলা গ্রামের আক্কাচ আলীর ছেলে।
কারা সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৫টা থেকে ৬টার দিকে কারাগারের ভেতরে কার্পেট চত্বরের দরজা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করেন মিজান। সেখানে গলায় দড়ি পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করার চেষ্টায় ছিলেন তিনি। কর্তব্যরত কারারক্ষীরা বিষয়টি টের পেয়ে তাকে উদ্ধার করে দ্রুত যশোর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান, কিন্তু ততক্ষণে তিনি মারা যান।
যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার আবিদ আহমেদ বলেন, চলতি বছরের ২৪ জুলাই একটি হত্যা মামলায় আটক হয়ে কারাগারে যান মিজান। কারাগারের কপোতাক্ষ-৩ ভবনে থাকতেন তিনি। কিন্তু গোপনে তিনি কার্পেট চত্বরের দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে পড়েন। সেখানেই এই ঘটনা ঘটেছে। বিষয়টি তার পরিবারকে জানানো হয়েছে। পরিবারের সদস্যরা আসলে ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ তাদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
যশোর জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক সাকিবুল ইসলাম জানান, রক্ষীরা মৃত অবস্থায় এক কয়েদিকে জরুরি বিভাগে নিয়ে আসে। পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে অস্বাভাবিক মৃত্যু হওয়ায় লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।
৪ দিন আগে
পরকীয়ার অভিযোগে শালিসে মারধর, পরে মিলল গৃহবধূর মরদেহ
ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জে পরকীয়ার অভিযোগে শালিস বৈঠকে এক গৃহবধূকে মারধরের পরদিন তার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ইউপি চেয়ারম্যান, সদস্যসহ কয়েকজনের নির্যাতন ও সামাজিক অপমান সহ্য করতে না পেরে তৃপ্তি রায় (২৩) নামের ওই গৃহবধূ আত্মহত্যা করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
রবিবার (৭ ডিসেম্বর) উপজেলার বৈরচুনা ইউনিয়নের দক্ষিণ দোপাইল গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানান, ওই গ্রামের পবিত্র চন্দ্র রায়ের সঙ্গে একই এলাকার তৃপ্তি রায়ের প্রেমের সম্পর্ক আছে—এলাকায় এমন গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়ে। এর সূত্র ধরে শনিবার (৬ ডিসেম্বর) বিকেলে পবিত্র রায়ের বাড়িতে তৃপ্তি রায়কে ডেকে নিয়ে বৈরচুনা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান টেলিনা সরকার হিমুর উপস্থিতিতে শালিস বসে।
শালিসে চেয়ারম্যান হিমু ও ইউপি সদস্য মুসলিম উদ্দিন পরকীয়ার অভিযোগ তুলে তৃপ্তিকে চড়-থাপ্পড় মারতে থাকেন। এ সময় তাকে অশালীন ভাষায় গালিগালাজ করে অপমান করা হয় বলেও অভিযোগ রয়েছে। শালিস শেষে গৃহবধু তৃপ্তি রানীকে তার স্বামীর বাড়িতে পাঠানো হয়। তবে স্বামী যতীশ চন্দ্র রায় তাকে ঘরে তুলতে অস্বীকৃতি জানান।
পরদিন সকালে নওডাঙ্গা নয়াপাড়া এলাকার আনোয়ার হোসেনের পুকুরপাড়ের এক জাম্বুরা গাছে তৃপ্তি রায়ের ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পান স্থানীয়রা। পরে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে।
তৃপ্তির স্বামী যতীশ চন্দ্র রায় বলেন, স্ত্রীকে পরকীয়ার অপবাদ দিয়ে দিনভর নির্যাতন করা হয়েছে। ঘটনার মীমাংসা না হওয়া পর্যন্ত আমি তাকে ঘরে তুলিনি। অপমান সইতে না পেরে হয়তো সে আত্মহত্যা করেছে।
তৃপ্তির বাবা শীরেন চন্দ্র রায় অভিযোগ করে বলেন, মেয়েকে শালিসের নামে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করা হয়েছে। এরপর থেকেই তাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। সকালে জামাই খবর দেয়, মেয়ের ঝুলন্ত মরদেহ পাওয়া গেছে।
দক্ষিণ দোপাইল গ্রামের বাসিন্দা দ্বীপঙ্কর রায় বলেন, এভাবে শালিস ডেকে একজন মেয়েকে চড়-থাপ্পড় মারা কোনোভাবেই ঠিক হয়নি। ঘটনার দিন অনেক লোক জড়ো হয়েছিল। সবাই চাপা গলায় কথা বলছিল। পরে শুনি মেয়েটা অপমান সহ্য করতে না পেরে লজ্জায় আত্মহত্যা করেছেন। খুব খারাপ লাগছে।
স্থানীয় মোসলেম উদ্দিন বলেন, শুনেছি সকাল থেকেই ওকে নিয়ে টানাটানি হচ্ছিল। বিকেলের দিকে শালিস বসে। যেভাবে গালিগালাজ আর মারধর করা হলো, মানুষ হলে তো কষ্ট লাগবেই। আত্মহত্যা করুক বা যাই হোক, খুব অন্যায় হয়েছে মেয়েটার সঙ্গে।
স্থানীয় কৃষক সাদেকুল বলেন, পরকীয়া নিয়ে গুঞ্জন ছিল, তাই বলে শালিসে মারধর করবে? ইউনিয়ন পরিষদ যদি বিচার করতে গিয়ে নিজেরাই অপমান করে, তাহলে মানুষ কোথায় যাবে?
ইমন আলী নামে আরেক বাসিন্দা বলেন, আমরা খবর পাই যে মেয়েটাকে রাতে বাড়িতে নেয়নি তার স্বামী। দিনভর অপমান আর রাতে কোথাও যাওয়ার জায়গা না থাকলে যে কেউ ভেঙে পড়বে।
অভিযোগ প্রসঙ্গে বৈরচুনা ইউপি চেয়ারম্যান টেলিনা সরকার বলেন, এ ব্যাপারে কিছু বলব না। থানায় এজাহার হয়েছে, পুলিশ তদন্ত করছে। তদন্তেই সব বেরিয়ে আসবে।
ঘটনা সম্পর্কে পীরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকতা (ওসি) মোহাম্মদ মাজহারুল ইসলাম জানান, মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় নিহতের বাবা বাদী হয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। এটি আত্মহত্যা নাকি কোনো ধরনের প্ররোচনা বা হত্যার ঘটনা—সবকিছুই খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
৯ দিন আগে
রাজশাহীতে আবাসিক হোটেলে যুবকের ঝুলন্ত মরদেহ
রাজশাহীর নিউমার্কেট এলাকার একটি আবাসিক হোটেলের কক্ষ থেকে সবুজ কুমার অধিকারী (২৮) নামে এক যুবকের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
শনিবার (২৯ নভেম্বর) বিকেলে ওয়ে হোম নামের ওই হোটেলের একটি কক্ষ থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ফ্যানের সঙ্গে গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় ঝুলছিল তার দেহ।
সবুজের বাড়ি সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলার আটঘরিয়া গ্রামে। তার বাবার নাম বিমল চন্দ্র অধিকারী। তিনি বগুড়ার একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করতেন।
হোটেল কর্তৃপক্ষ জানায়, এদ দিন আগে (শুক্রবার) ওই হোটেলের একটি কক্ষে উঠেছিলেন সবুজ। শনিবারই তার চেক-আউট করার কথা ছিল। কিন্তু নির্ধারিত সময় পেরিয়ে গেলেও তিনি কক্ষ ত্যাগ না করায় হোটেলের কর্মীরা ডাকাডাকি করেন। সাড়া না পেয়ে জানালা দিয়ে উঁকি দিলে তারা তাকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান। পরে পুলিশে খবর দেওয়া হয়।
বোয়ালিয়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত (ওসি) আবুল কালাম আজাদ জানান, কক্ষের দরজা ভেতর থেকে বন্ধ ছিল। ফায়ার সার্ভিস গিয়ে দরজা ভেঙে মরদেহ উদ্ধার করে। প্রাথমিকভাবে এটি আত্মহত্যা বলে মনে করা হলেও বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
তিনি জানান, ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা প্রক্রিয়াধীন। পরিবারের সদস্যরা এলে মরদেহ হস্তান্তর করা হবে।
১৭ দিন আগে
আত্মহত্যা-চেষ্টার এক মাস পর চলে গেলেন সেই নারী ফুটবলার
আত্মহত্যা-চেষ্টার এক মাস পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় মেহেরপুর জেলা নারী ফুটবল দলের অধিনায়ক সুস্মিতা খাতুনের মৃত্যু হয়েছে।
সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে সে মারা যায়।
সুস্মিতা মেহেরপুর জেলা নারী ফুটবল দলের অধিনায়ক এবং মেহেরপুর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্রী ছিল।
পরিবারের সদস্যরা জানান, প্রায় এক মাস আগে ঘুমের ওষুধ সেবন করে আত্মহত্যার চেষ্টা চালিয়েছিল সুস্মিতা। সে সময় মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে তাকে প্রথমে মেহেরপুর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে, এরপর সেখান থেকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়। কিন্তু দীর্ঘ চিকিৎসার পরও অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় তাকে ঢামেক হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানেই সুস্মিতা মারা যায়।
আরও পড়ুন: ঢাবিতে জগন্নাথ হলের ছাদ থেকে লাফিয়ে শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা
চিকিৎসকরা জানান, অতিরিক্ত ঘুমের ওষুধ সেবনের কারণে কিডনিতে জটিলতা দেখা দেওয়ার কারণে তার মৃত্যু হয়েছে।
সুস্মিতা মেহেরপুর সদর উপজেলার হরিরামপুর গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সালামের নাতনি। ফুটবলের পাশাপাশি ক্রিকেট ও ব্যাডমিন্টনেও জেলা পর্যায়ে একাধিকবার চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করেছিল সে।
তার অকালমৃত্যুতে হরিরামপুর গ্রাম, মেহেরপুর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় এবং জেলার ক্রীড়াঙ্গনে গভীর শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
১০৬ দিন আগে
রাজশাহীতে এক পরিবারের চারজনের মরদেহ উদ্ধার
রাজশাহীর পবা উপজেলায় ঋণের চাপে এবং অভাবের তাড়নায় দুই সন্তানসহ স্ত্রীকে হত্যার পর আত্মহত্যা করেছেন মিনারুল ইসলাম (৩০) নামের এক ব্যক্তি।
বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) দিবাগত রাতে পারিলা ইউনিয়নের বামনশেখর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আজ (শুক্রবার) সকাল ৯টার দিকে নিজ বাড়ি থেকে তাদের লাশ উদ্ধার করা হয়।
নিহতরা হলেন— মিনারুল ইসলাম এবং তার স্ত্রী সাধিনা বেগম (২৮), ছেলে মাহিম (১৩) ও মেয়ে মিথিলা (দেড় বছর)। মাহিম খড়খড়ি উচ্চ বিদয়ালয়ের অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল।
রাজশাহী নগরীর মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: সিলেটে স্ত্রীকে হত্যা করে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেওয়ার অভিযোগ, স্বামী গ্রেপ্তার
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মনিরুল ইসলাম কৃষি কাজ করতেন। তার ঋণ রয়েছে ছিল জানা গেছে। তারা মাটির ঘরে বসবাস করতেন।
পুলিশ জানায়, পরিবারের চারজন সদস্যই মারা গেছেন। এর মধ্যে এক ঘরে মা ও মেয়ে এবং অন্য ঘরে ছেলে ও বাবা মিনারুল ফ্যানের সঙ্গে ঝুলছিলেন। এ সময় একটি চিরকুট উদ্ধার করা হয়েছে।
চিরকুটে মিনারুল লিখেছেন, ‘আমি নিজ হাতে সবাইকে মারলাম। এই কারণে যে আমি যদি মরে যাই, তাহলে আমার ছেলেমেয়ে কার আশায় বেঁচে থাকবে। কষ্ট আর দুঃখ ছাড়া কিছুই পাবে না। আমরা মরে গেলাম ঋণের দায়ে আর খাওয়ার অভাবে। তাই আমরা বেঁচে থাকার চেয়ে মরে গেলাম সেই ভালো।’
‘কারো কাছে কিছুই চাইতে হবে না। আমার জন্য কাউকে কারো কাছে ছোট হতে হবে না। আমার জন্য আমার বাবা অনেক লোকের কাছে ছোট হয়েছে। আর হতে হবে না। চিরদিনের জন্য চলে গেলাম। আমি চাই সবাই ভালো থাকবেন। ধন্যবাদ।’
১২৪ দিন আগে
সিলেটে স্ত্রীকে হত্যা করে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেওয়ার অভিযোগ, স্বামী গ্রেপ্তার
সিলেটে নিশাত ফাতিমা চৌধুরী (৩২) নামে এক গৃহবধূকে নির্যাতন করে হত্যার দায়ে তার স্বামী শফি আহমদ চৌধুরী সুমনকে (৪৮) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বুধবার (১৬ জুলাই) দুপুরে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এর আগে, গতকাল সকালে নগরীর আরামবাগ এলাকার একটি বাসা থেকে দুই সন্তানের ওই জননীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
সাংসারিক জীবনে সুমন ও নিশাতের দুই ছেলে রয়েছে। বর্তমানে তারা নগরীর বালুচর এলাকার আরামবাগে ভাড়া বাসায় থাকতেন।
এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের (এসএমপি) অতিরিক্ত উপকমিশনার (মিডিয়া) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম।
তিনি জানান, মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) রাত ১০টার দিকে পারিবারিক কলহের জেরে নিশাতকে এলোপাথাড়ি কিলঘুষি ও লাথি মেরে গুরুতর আহত করেন স্বামী সুমন। পরে বুধবার ভোর ৪টা থেকে সাড়ে ৪টার মধ্যে তার স্ত্রী আত্মহত্যা করেছেন বলে নিশাতের ফুফাতো ভাইকে ফোন করেন সুমন। খবর পেয়ে নিশাতের বাপের বাড়ির আত্মীয়স্বজন দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে নিশাতকে মৃত অবস্থায় দেখতে পান। সে সময় নিহতের কপাল, গলা, দুই হাতের তালু ও বাহুতে আঘাতের চিহ্ন এবং কালচে জখম দেখা যায়।
নিহতের স্বজনদের দাবি, নিশাত আত্মহত্যা করেছেন বলে তাদের ভুল বোঝানো হয়েছে।
এরপর বুধবার সকালে শাহপরাণ থানা পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করে। পরবর্তীতে স্বামী সুমনের আচরণ ও কথাবার্তায় সন্দেহ হলে তাকে আটক করা হয়।
আরও পড়ুন: হত্যার পর স্ত্রীকে ১১ টুকরো: ‘ঘাতক’ স্বামী গ্রেপ্তার
সাইফুল ইসলাম জানান, নিশাতের মৃত্যুর ঘটনায় তার পরিবারের পক্ষ থেকে শাহপরাণ থানায় হত্যা মামলা করা হয়। সেই মামলায় সুমনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) সুমনকে আদালতে প্রেরণ করা হবে।
তিনি আরও জানান, সুমন কী কারণে স্ত্রীকে মারধর করেছেন, সেটি এখনো জানা যায়নি।
শাহপরাণ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনির হোসেন জানান, ময়নাতদন্তের জন্য লাশ ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
১৫৩ দিন আগে
ছয় বন্ধুর পাঁচজন পেল জিপিএ ৫, আরেকজনের আত্মহত্যা
মানিকগঞ্জের শিবালয়ে জিপিএ ফাইভ না পাওয়ায় তানহা মুনতাজ প্রভা (১৬) নামে এক এসএসসি পরিক্ষার্থী গলায় ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা করেছে। তার ঘনিষ্ঠ পাঁচ সহপাঠী জিপিএ ফাইভ পেলেও ওই শিক্ষার্থী না পাওয়ার ক্ষোভ থেকে আত্মহত্যা করেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
শনিবার (১২ জুলাই) বিকালে মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলার ধুতরাবাড়ি এলাকার নিজ বাসার ফ্যানের সঙ্গে ঝুলে আত্মহত্যা করে ওই শিক্ষার্থী।
নিহত শিক্ষার্থী তানহা নালী বড়রিয়া কৃষ্ণচন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. মুনতাজ উদ্দিনের ছোট মেয়ে। সে সম্প্রতি প্রকাশিত এসএসসি পরীক্ষায় ৪.৯৪ পেয়েছে।
আরও পড়ুন: ঝালকাঠিতে এসএসসি পরীক্ষার্থীর আত্মহত্যা
পরিবার সূত্রে জানা যায়, তানহা ওই উচ্চ বিদ্যালয়ের বিজ্ঞান বিভাগ থেকে এবারের এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে ৪.৯৪ পেয়ে উক্তীর্ণ হয়। সে বরাবরই ক্লাস পরীক্ষায় প্রথম স্থান অর্জন করে আসছিল। গত ১০ জুলাই প্রকাশিত ফলাফলে তার বিদ্যালয় থেকে ১৩ জন জিপিএ ৫ পায়। তবে তানহা তার কাঙ্ক্ষিত ফল না পেয়ে মনোকষ্টে ভুগছিল।
বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক (কৃষি শিক্ষা) রাজিব উদ্দিন বলেন, ‘নিহত তানহাসহ ওরা ৬ জন সহপাঠী একসঙ্গে চলাফেরা করত। তানহা বাদে প্রত্যেকেই এ প্লাস পেয়েছে। এই ক্ষোভ থেকেই আত্মহত্যার ঘটনা ঘটতে পারে।’
এ ঘটনায় শিবালয় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামাল হোসেন বলেন, ‘বিষয়টি স্বাভাবিক একটি আত্মহত্যার ঘটনা। এ বিষয়ে একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে এবং আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ময়নাতদন্ত ছাড়াই লাশ দাফনের ব্যবস্থা করা হয়েছে।’
১৫৭ দিন আগে
কামরাঙ্গীরচরে ছয়তলা ভবন থেকে পড়ে যুবকের আত্মহত্যা
রাজধানীর কামরাঙ্গীরচরের একটি ছয়তলা ভবনের ষষ্ঠ তলার একটি ঘরের জানালা থেকে লাফিয়ে পড়ে এক যুবক আত্মহত্যা করেছেন বলে জানা গেছে।
শনিবার (২৮ জুন) দিবাগত রাত ২টার দিকে কামরাঙ্গীরচরের রসুলপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত যুবকের নাম ইমাম হোসেন (২৮)। তিনি ভোলা জেলার দক্ষিণ উপজেলার চরপসোন গ্রামের তাজউদ্দিনের ছেলে।
ইমাম কামরাঙ্গীরচরের রসুলপুর এলাকায় একটি ভাড়া বাসায় থাকতেন এবং একটি ফার্নিচারের দোকানে কাজ করতেন।
আরও পড়ুন: ঝালকাঠিতে এসএসসি পরীক্ষার্থীর আত্মহত্যা
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (ঢামেক) সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে নিহতের বাবা তাজউদ্দিন জানান, পারিবারিক কলহের জেরে শনিবার রাত ২টার দিকে ইমাম ছয়তলার কক্ষের জানালা থেকে লাফিয়ে পড়েন। সে সময় তার স্ত্রীর চিৎকারে স্থানীয়রা নিচ থেকে গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে রাত আড়াইটার দিকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে আসেন। তবে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ঢামেক পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. ফারুক জানান, লাশ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।
১৭১ দিন আগে
ঝালকাঠিতে এসএসসি পরীক্ষার্থীর আত্মহত্যা
ঝালকাঠি শহরের খেয়াঘাট এলাকায় ফ্যানের সঙ্গে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেছে সুরাইয়া (১৬) নামের এক এসএসসি পরীক্ষার্থী। মঙ্গলবার (১৭ জুন) রাতে ঝালকাঠি পৌর শহরের ঘেয়াঘাট এলাকার একটি ভাড়া বাসায় এ ঘটনা ঘটে।
সে নলছিটি উপজেলার বাড়ইকরণ গ্রামের সৌদি প্রবাসী মো. জাকির মেয়ে এবং ঝালকাঠি হরচন্দ্র বালিকা বিদ্যালয়ের ছাত্রী। শহরের স্কুলে পড়ালেখার জন্য তার পরিবার ঝালকাঠি শহরের খেয়াঘাট এলাকায় বাসা ভাড়া করে থাকত।
পড়ুন: কারাগারে আত্মহত্যা করলেন সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান সুজন
পরিবার জানায়, গতকাল সন্ধ্যায় এক সহপাঠী ছেলে বন্ধুকে বই দিতে গিয়ে মনোমালিন্য ও অপমানিত হয় সুরাইয়া। এরপর বাসায় ফিরে নানির কাছে আইসক্রিম খাওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করে। নানী বাইরে গেলে, ফ্যানের সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করে। পরে হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
ঝালকাঠি সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুজ্জামান জানান, ‘ঘটনাটি আমরা গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করছি। একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।’
১৮২ দিন আগে
কারাগারে আত্মহত্যা করলেন সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান সুজন
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে নির্বিচারে হামলা করা সাভারের বিরুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান সাইদুর রহমান সুজন (৪৫) কারাগারে আত্মহত্যা করেছেন।
রবিবার (১৫ জুন) বেলা ১১টার দিকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের সূর্যমুখী ভবনের একটি কক্ষে নিজের গলায় গামছা পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস দেন তিনি।
ঘটনার পরপরই তাকে কারা হাসপাতালে নেওয়া হয়। এরপর তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক বেলা সাড়ে ১২টার দিকে তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ঢামেক পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. ফারুক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
কারাগার সূত্র জানায়, বন্দি হিসেবে সুজন সূর্যমুখী ভবনের একটি সাধারণ কক্ষেই ছিলেন। তার ব্যবহৃত গামছা দিয়ে তিনি আত্মহত্যা করেন। তাৎক্ষণিকভাবে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে কারা হাসপাতালে এবং পরবর্তীতে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে মারা যান তিনি।
কারা মহাপরিদর্শক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ মোতাহের হোসেন বলেন, সুজন ডিটেনশনে সূর্যমুখী ভবনের একটি কক্ষে ছিলেন। এদিন সকালে সুজন নাস্তাও করেছেন। ওই কক্ষের তিনজন বন্দির একজন আদালতে হাজিরা দিতে গিয়েছেন এবং আরেকজন ঘুমিয়ে ছিলেন। এই সুযোগে সুজন নিজের গামছা পেঁচিয়ে জানালার সঙ্গে গলায় ফাঁস দেন।
আরও পড়ুন: পিট্টি মারার পুলিশ চাচ্ছি না: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
কারা মহাপরিদর্শক বলেন, পরে তাকে উদ্ধার করে কারা হাসপাতাল থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে মারা যায় সে।
তিনি আরও বলেন, ‘সুজনের বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি মামলা আছে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনেরও একাধিক মামলা রয়েছে। সম্ভবত অবসাদগ্রস্ত হয়ে তিনি এমন কাজ করতে পারেন। কিন্তু এটি অবশ্যই অনাকাঙ্ক্ষিত। আমরা তদন্ত কমিটি করে বিষয়টি খতিয়ে দেখব।’
১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনে বন্দি সুজনের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের মামলাসহ মোট ১৫টি মামলা রয়েছে।
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান চলাকালে সুজনকে প্রকাশ্যে আন্দোলনকারীদের ওপর গুলি ছুড়তে দেখা যায়। এ ছাড়া, এলাকায় জমি দখলসহ আধিপত্য বিস্তারের ঘটনায় তার বিরুদ্ধে জুলাই বিপ্লবের আগে থেকেই একাধিক অভিযোগ পাওয়া যায়।
৫ আগস্ট আওয়ামী লীগের ফ্যাসিবাদী শাসনের পতন ও শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে গেলে সুজনও আত্মগোপনে চলে যান। তবে জানুয়ারির তৃতীয় সপ্তাহে রাজধানীর উত্তরার একটি ফ্ল্যাটে অভিযান চালিয়ে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের একটি দল তাকে গ্রেপ্তার করে। চলতি বছরের ২৯ জানুয়ারি থেকে তিনি কারাবন্দি ছিলেন।
এর আগে, শেখ হাসিনার শাসনামলে ২০২০ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর চাঁদাবাজির অভিযোগে বিরুলিয়া ইউনিয়নের কাকাবর এলাকায় গ্রেপ্তার হয়েছিলেন সুজন।
১৮৫ দিন আগে