সোমবার বেলা ১১টার দিকে কর্মাস কলেজ রোডে আর বি ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কশপ সংলগ্ন একটি বাসায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
তারা হলেন- সদরঘাট থানাধীন কমার্স কলেজ রোডের কাটা বট গাছ এলাকার মৃত আমির হোসেন ভুইয়ার ছেলে শাহাদাত ভূঁইয়া (৫৫), একই এলাকার জমির উদ্দিন লেনের মৃত আব্দুল হাইয়ের ছেলে গোলাম মাওলা (৫১) এবং চৌমুহনীর মতিয়ার পুল এলাকার নুরুল ইসলামের ছেলে মো. মিজান (৩৮)।
ভাড়া বাসায় গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে দাবি করেন দগ্ধ শাহাদাত ভূঁইয়ার চাচাতো ভাই ফারুক ভূঁইয়া।
আগ্রাবাদ ফায়ার সার্ভিসের উপসহকারী পরিচালক ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেন, বিস্ফোরণের খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে যাই। সিলিন্ডারের সাথে থাকা পাইপ সেখানে পাওয়া গেলেও কোনো সিলিন্ডার পাওয়া যায়নি। পরে তাদের আহত অবস্থায় উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
চমেক হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ সহকারী পরিদর্শক (এসআই) জহিরুল হক জানান, বিস্ফোরণে দগ্ধ তিনজনকে চমেক হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। তাদের মধ্যে গোলাম মাওলার অবস্থা আশংকাজনক। অন্য দুজনের শরীরের ৪০ শতাংশ পুড়ে গেছে।
চমেকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়ার পর তাদেরকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে, বলেন তিনি।
চমেক বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটের সহকারী অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ খালেদ জানান, আহত তিনজনের মধ্যে দু’জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাদের শ্বাসনালীসহ শরীরের বেশিরভাগ অংশ পুড়ে গেছে। গোলাম মাওলার ৬৫ শতাংশ ও মিজানের শরীরের ৫০ শতাংশ পুড়ে গেছে। এছাড়া আরেকজনের মুখসহ শরীরের ২৫ শতাংশ পুড়ে গেছে।
তিনি আরও জানান, চমেকের বার্ন ইউনিটে কোনো আইসিইউ না থাকায় উন্নত চিকিৎসার জন্য তাদের ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।