সোমবার লাকসাম উপজেলার পৌলাইয়া নামক স্থানে এ ঘটনা ঘটেছে। নিহত সুমন (২৬) মনোহরগঞ্জ উপজেলার হাতিমারা গ্রামের দুলাল মিয়ার ছেলে।
এ ঘটনায় পুলিশ সুমনের দুলাভাই মিজানুর রহমান (৩৪) ও তার প্রেমিকা সুমি আক্তার চুমকিকে (১৮) আটক করেছে। মিজানুর রহমান লাকসাম পৌরশহরের গাজীমুড়া গ্রামের আবদুল খালেকের ছেলে।
পুলিশ জানায়, মিজানুর রহমান ও চুমকির সাথে পরকীয়া প্রেম চলছিল। এ নিয়ে বেশ কয়েকবার এলাকায় সালিশ দরবারও হয়। সোমবার সকালে তারা পালিয়ে চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা হয়। খবর পেয়ে সুমন, তার বন্ধু ইমরান (২২) ও নাজমুস শাহাদাত নাঈম (১৮) লাকসাম জংশন এলাকায় তাদের ধরে ফেলে। সিএনজি অটোরিকশাযোগে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওয়ানা হলে পৌলাইয়া নামক স্থানে মিজানুর রহমান পেছনের সিটে বসা ইমরান হোসেনকে ছুরি মেরে গুরুতর আহত করে। তার চিৎকারে সিএনজি অটোরিকশাতে থাকা সুমন বাধা দিতে গেলে তাকেও এলোপাতাড়ি ছুরি মেরে রক্তাক্ত করে।
আহতাবস্থায় সুমন ও ইমরানকে লাকসামের একটি হাসপাতালে পরে আশংকাজনক অবস্থায় কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হলে পথিমধ্যে সুমন মারা যায়। ইমরানের অবস্থাও আশংকাজনক।
লাকসাম থানার ওসি মনোজ কুমার দে জানান, পুলিশ মিজান ও চুমকিকে আটক করে লাকসাম থানায় নিয়ে এসেছে। সুমনের লাশ কুমিল্লার মর্গে পাঠানো হয়েছে।