খুন
চট্টগ্রামে মাদকাসক্ত স্বামীর হাতে স্ত্রী খুনের অভিযোগ
জেলার আনোয়ারা উপজেলা ইমা দেবী (৩৫) নামের এক গৃহবধূকে মাদকাসক্ত স্বামী গলা টিপে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
এ ঘটনায় স্বামী সজল চক্রবর্তীকে (৪০) আটক করেছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: সিলেটের গোয়াইনঘাটে ভাইয়ের হাতে ভাই খুন
সোমবার (১ জুলাই) উপজেলার বারশত ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের বাদল চৌধুরীর বাড়িতে এই হত্যার ঘটনা ঘটে।
নিহত নারী ইমা দেবী চট্টগ্রাম নগরীর একটি গার্মেন্টস শ্রমিক।
ইমা দেবীর স্বামী সজল চক্রবর্তী বাঁশখালী গুনাগরী এলাকার শিবু চক্রবর্তীর ছেলে। তিনি পেশায় একজন কাটমিস্ত্রি।
আনোয়ারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহেল আহমেদ বলেন, সজল চক্রবর্তী মদ্যপ অবস্থায় ঘরে ঢুকে স্ত্রী ইমা দেবীকে গলা টিপে হত্যা করেছেন।
তিনি আরও বলেন, ঘাতক স্বামীকে আটক করা হয়েছে। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠিয়েছি।
আরও পড়ুন: নিত্যপণ্যের দাম নাগালে রাখতে সাপ্লাই-চেইন স্থিতিশীল রাখুন: এফবিসিসিআই
নাটোরে স্বামীর বিরুদ্ধে স্ত্রীকে খুনের অভিযোগ
৫ মাস আগে
নাটোরে স্বামীর বিরুদ্ধে স্ত্রীকে খুনের অভিযোগ
নাটোরের বাগাতিপাড়ায় পারিবারিক কলহের জেরে স্বামী আসমত আলীর বিরুদ্ধে স্ত্রী সুফিয়া বেগমকে (৩৫) গলাকেটে হত্যার অভিযোগ উঠেছে।
বাগাতিপাড়া উপজেলার হাঁপানিয়া গ্রামে শুক্রবার এই হত্যার ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: এমপি আনার হত্যা: দুই আসামি ৬ দিনের রিমান্ডে
নিহত সুফিয়া বেগম উপজেলার হাপানিয়া গ্রামের আসমত আলীর স্ত্রী।
পুলিশ জানায়, পারিবারিক কলহের জেরে আসমত তার স্ত্রীকে গলাকেটে হত্যা করে। পরে মেয়ে আসমানিকে নিয়ে পালিয়ে যায় সে। আসমত আলীর ভাতিজা আনোয়ার বাড়িতে মেঝেতে লাশ দেখতে পেয়ে থানায় খবর দেন।
বাগাতিপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নান্নু খান বলেন, লাশ উদ্ধার করে হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জে আ. লীগ নেতাসহ ২ জনকে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা
এমপি আনার হত্যাকাণ্ডে জড়িত ৭ আসামিই গ্রেপ্তার: ডিবিপ্রধান
৫ মাস আগে
সিলেটের গোয়াইনঘাটে ভাইয়ের হাতে ভাই খুন
গোয়াইনঘাটে দুই শতক জমিজমা নিয়ে বিরোধের জেরে বড় ভাই রুহুল আমিনের রডের আঘাতে ছোট ভাই ইব্রাহিমের মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে।
শনিবার (১৫ জুন) বিকাল সাড়ে ৪টায় উপজেলার লেঙ্গুড়া ইউনিয়নের নিয়াগুল গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: ভোলায় ছোট ভাইয়ের হাতে বড় ভাই খুনের অভিযোগ
নিহত ইব্রাহিম নিয়াগুল গ্রামের হোসেন আহমদ ওরফে হুরু হুনার ছেলে।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, হোসেন আহমদের দুই ছেলের মধ্যে দুই শতক জমিজমা নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। এরই জেরে রুহুল আমিনের হাতে থাকা একটি রডের টুকরো দিয়ে ইব্রাহিমের গলায় পোঁচ দেন রুহুল আমিন। এতে ইব্রাহীম মাটিতে লুটিয়ে পড়েন ও প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়।
পরে স্থানীয়রা ইব্রাহিমকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য গোয়াইনঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ঘটনার পরপরই মূল ঘাতক রুহুল আমিন ও তার স্ত্রী রাবেয়া বেগম পালিয়ে গেছে। তাদের গ্রেপ্তারে পুলিশের একাধিক টিম কাজ শুরু করেছে।
এদিকে ঘটনার খবর পেয়ে গোয়াইনঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থলে একদল পুলিশ পাঠান।
এ ব্যাপারে গোয়াইনঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম বলেন, জমি সংক্রান্ত ঘটনার জেরে দুই ভাইয়ের মধ্যে বিরোধ ও হামলার ঘটনা ঘটে। এতে দুই ভাইয়ের একজনের মৃত্যু হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
মূল ঘাতকসহ জড়িতদের গ্রেপ্তারে আমাদের অভিযান চলছে বলে জানান গোয়াইনঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা।
আরও পড়ুন: জমি নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে ছোট ভাইয়ের হাতে বড় ভাই খুন
জমি নিয়ে বিরোধ: বাগেরহাটে ভাইয়ের হাতে ভাই খুন
৬ মাস আগে
জমি নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে ছোট ভাইয়ের হাতে বড় ভাই খুন
গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে জমি নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে ছোট ভাইয়ের কোদালের আঘাতে বড় ভাই মারা গেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এ সময় আহত হয়েছেন অপর ভাই শাহীন মিয়া।
শনিবার (৮ জুন) ভোরের দিকে বগুড়ার টিএমএসএস হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান সামছুল হুদা।
আরও পড়ুন: প্রস্তাবিত বাজেট: রবিবার প্রতিক্রিয়া জানাবে বিএনপি
নিহত সামছুল হুদা তালুককানুপুর গ্রামের হাবিজার রহমানের ছেলে।
ঘটনায় অভিযুক্ত আনোয়ারুল ইসলাম শ্যামল পলাতক থাকলেও তার স্ত্রী গোলাপী বেগমকে আটক করেছে পুলিশ।
এর আগে, গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার তালুককানুপুর গ্রামে ছোট ভাই আনোয়ারুল ইসলামের কোদালের আঘাতে গুরুতর আহত হন তার দুই ভাই সামছুল হুদা ও শাহীন মিয়া।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, বেশ কিছুদিন ধরে জমি নিয়ে বড় ভাই সামছুল হুদার সঙ্গে ছোট ভাই আনোয়ারুল ইসলামের বিরোধ চলছিল। এই বিরোধের জেরে আনোয়ারুল ইসলামের সঙ্গে সামছুল ও শাহীনের মধ্যে কথা কাটাকাটির ঘটনা ঘটে। এক পর্যায়ে আনোয়ারুল তার হাতে থাকা একটি কোদাল দিয়ে সামছুলের মাথায় ও শাহীনের শরীরে আঘাত করে। এতে গুরুতর আহত অবস্থায় সামছুলকে বগুড়ার টিএমএসএস মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ও শাহীনকে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার ভোরের দিকে মারা যান সামছুল হুদা।
গোবিন্দগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শামসুল আলম শাহ্ বলেন, নিহতের লাশ ময়নাতদন্ত করে স্বজনরা বাড়িতে নিয়ে গেছে। ঘটনার দিনেই নিহত সামছুল হুদার স্ত্রী লাবনী বেগম বাদী হয়ে দুইজনকে আসামি করে থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। এই মামলার প্রধান আসামি আনোয়ারুল ইসলাম পলাতক থাকলেও তার স্ত্রী গোলাপি বেগমকে আটক করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: দিল্লি পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী
৬ মাস আগে
জমি নিয়ে বিরোধ: বাগেরহাটে ভাইয়ের হাতে ভাই খুন
বাগেরহাটের কচুয়ায় জমি ভাগাভাগি নিয়ে বিরোধের জেরে ভাইয়ের ছুরিকাঘাতে মশিউর রহমান হাজরা নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।
বুধবার (২৯ মে) সকালে কচুয়া উপজেলার টেংরাখালী গ্রামে ওই হত্যাকাণ্ড ঘটে। এ ঘনায় অভিযুক্ত দুই ফুফাতো ভাইকে আটক করেছে পুলিশ।
নিহত মশিউর রহমান হাজরা বাগেরহাট জেলার কচুয়া উপজেলার টেংরাখালী গ্রামের মাসুদ হাজরার ছেলে।
আরও পড়ুন: সিলেটে যুবক খুন, চাচাতো ভাইসহ আটক ৪
আটক দুই ভাই হলেন- একই গ্রামের হাজরা পাড়া এলাকার ইনদাদ শেখের ছেলে মো. সাব্বির ও মো. বায়েজিদ।
স্থানীয়রা জানায়, সম্পত্তি নিয়ে ফুফাতো ভাইদের সঙ্গে বিরোধ চলে আসছিল মশিউরদের। এর জেরে বুধবার সকালে মশিউরকে ছুরি মেরে পালিয়ে যান তারা। পরে স্থানীয়রা মশিউরকে উদ্ধার করে কচুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন।
কচুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার মনি শংকর পাইক বলেন, মশিউরকে মৃত অবস্থায় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনা হয়। তার ফুসফুসের বামপাশে ছুরিকাঘাতের চিহৃ রয়েছে।
কচুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মহসীন হোসেন বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে সম্পত্তি নিয়ে বিরোধের জেরে এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। অভিযুক্ত দুই ফুফাতো ভাইকে আটক করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, পুলিশ লাশের সুরতহাল করে ময়নাতদন্তের জন্য বাগেরহাট জেলা হাসপাতালে পাঠিয়েছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
আরও পড়ুন: ভোলায় ছোট ভাইয়ের হাতে বড় ভাই খুনের অভিযোগ
নরসিংদীতে স্বামীর হাতে স্ত্রী খুনের অভিযোগ
৬ মাস আগে
নরসিংদীতে স্বামীর হাতে স্ত্রী খুনের অভিযোগ
নরসিংদী সদর উপজেলায় শিলা বেগম নামে এক নারীকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্বামী ইসতিয়াক হোসেনের বিরুদ্ধে।
মঙ্গলবার(১৪ মে) দিবগত রাত আনুমানিক আড়াইটার দিকে সদর উপজেলার শিলমান্দী ইউনিয়নের সাহেপ্রতাব গ্রামে ঘটনাটি ঘটে।
আরও পড়ুন: বিয়ে না দেওয়ায় মাকে খুনের ঘটনায় ছেলে গ্রেপ্তার
নিহত শিলা বেগম সাহেপ্রতাব গ্রামের আব্দুল কাদির মৃধার মেয়ে।
নিহত শিলা বেগমের বড় ভাই মো. কাইয়ুম মৃধা বলেন, শিলা বেগমের বাবা মারা যাবার আগে শিলার ১ কোটি ৫০ লাখ টাকার এফডিআর এবং দুইটি তিনতলা বাড়ি লিখে দিয়ে যান। শিলার স্বামী ও তার শশুর শহীদুল্লাহ মুন্সি এফডিআর থেকে টাকা তুলে দেওয়ার জন্য শিলা বেগমের উপর চাপ সৃষ্টি করে। শিলা বেগম এতে অপারগতা প্রকাশ করলে স্বামী ও তার শশুর মিলে লোহার রড ও লাঠি দিয়ে পিটাতে থাকলে ঘটনাস্থলেই শিলা বেগমের মৃত্যু হয়।
নরসিংদী সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তানভীর আহমেদ বলেন, ময়নাতদন্ত শেষে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।
আরও পড়ুন: সিলেটে যুবক খুন, চাচাতো ভাইসহ আটক ৪
চট্টগ্রামে কিশোর গ্যাং নেতা খুন
৭ মাস আগে
হাসপাতালের প্রিজন সেলে আসামির হাতে আসামি খুনের অভিযোগ
বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালের প্রিজন সেলে মো. মোতাহার নামে হত্যা মামলার এক আসামিকে হত্যা করার অভিযোগ উঠেছে তরিকুল ইসলাম নামে অপর এক আসামির বিরুদ্ধে। এসময় অজিত নামে আরও একজন আহত হয়েছেন।
রবিবার (১৪ এপ্রিল) ভোরে হাসপাতালের নিচতলার প্রিজন সেলে এই ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: ঠাকুরগাঁওয়ে নদীতে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু
নিহত মো. মোতাহার বরগুনা জেলার বেতাগী উপজেলার কাউনিয়া গ্রামের রফিজউদ্দিনের ছেলে। তিনি বরগুনার একটি হত্যা মামলার আসামি ছিলেন।
এছাড়া আহত অজিত হাসপাতালের সার্জারি ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন রয়েছে। তিনি মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলার রাজারচর গ্রামের গৌরাঙ্গ মন্ডলের ছেলে।
হামলাকারী তরিকুল ইসলাম পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলার কলাগাছিয়া গ্রামের ফারুক সরদারের ছেলে। তিনি পটুয়াখালীর একটি হত্যা মামলার আসামি।
বরিশাল কোতয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এটিএম আরিচুল হক বলেন, হাসপাতালের প্রিজন সেলে চিকিৎসাধীন মানসিক রোগী ওই আসামি অপর দুই আসামিকে স্যালাইনের স্টিলের স্ট্যান্ড দিয়ে পিটিয়েছেন। এতে দুইজন আহত হন। তাদের মধ্যে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ডেপুটি জেলার নুর ই আলম সিদ্দিকী বলেন, প্রিজন সেলে একটি ঘটনা ঘটেছে। আমরা বিষয়টি নিয়ে কাজ করছি। এ বিষয়ে আজ কিছু বলতে পারব না।
এদিকে হাসপাতালের একটি সূত্র বলছে, প্রিজন সেলের দায়িত্বে এক নায়েক ও দুই কনস্টেবল ছিলেন। মানসিক রোগীসহ তিনজন প্রিজন সেলের একটি কক্ষে ছিলেন। ভোরে আকস্মিকভাবে মানসিক রোগী অপর দুই আসামিকে ঘুমন্ত অবস্থায় স্ট্যান্ড দিয়ে বেধড়কভাবে পেটাতে থাকেন।
এতে মোতাহারের মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম হয়। অজিত আঘাত পেলেও ততটা গুরুতর নয়। ঘটনার সময় সেলের তালার চাবি নিয়ে একজন বাইরে নাস্তা করতে গিয়েছিলেন। তাই দায়িত্বরতরা দ্রুত সময়ে প্রিজন সেলে ঢুকতে পারেননি।
হাসপাতাল প্রশাসন বলছে, মানসিক প্রতিবন্ধী ওই রোগীকে নিয়মানুযায়ী হাসপাতালের মানসিক ওয়ার্ডে রাখার কথা। আর সেখানে রাখলে এমনটা হতো না। কিন্তু সেখানে না রেখে সুস্থ মানুষের মধ্যে এভাবে রাখাটা আদৌ উচিত হয়নি কারা কর্তৃপক্ষের। রাখলেও সেভাবে ব্যবস্থা রাখা উচিত ছিল।
এ বিষয়ে বরিশাল কেন্দ্রীয় কারাগারের জ্যেষ্ঠ জেল সুপার রত্না রায় বলেন, কী ঘটনা ঘটেছে তদন্ত ছাড়া বলা যাবে না। আমরা ঘটনা তদন্ত করছি। তদন্ত শেষ করে বলতে পারব। দায়িত্বরতদের অবহেলার বিষয়টিও তদন্ত করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: খুলনায় কার্গোডুবির ঘটনায় আরও ১ জনের লাশ উদ্ধার
ফেনীতে চুরির অভিযোগে মাকে বেঁধে ছেলেকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ
৮ মাস আগে
যশোরে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা খুন
যশোরে আধিপত্য বিস্তার ও রাজনৈতিক কন্দোলের জেরে সদর উপজেলার চুড়ামনকাটি ইউনিয়নের স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক জিল্লুর রহমান শিমুলকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) রাত সোয়া ৮টার দিকে চুড়ামনকাটির আমবটতলার গোবিলা গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
নিহত শিমুল গোবিলা গ্রামের সাবেক মেম্বার মোকলেছুর রহমানের ছেলে এবং আমবটতলা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির অভিভাবক সদস্য।
আরও পড়ুন: নাটোরে আদালত চত্বরে যুবককে কুপিয়ে জখম, আসামিদের ৩ দিনের রিমান্ড
স্থানীয়রা জানিয়েছে, জিল্লুর রহমান শিমুল এলাকায় রাজনৈতিক একটি পক্ষের অনুগত হিসেবে চলাফেরা করেন। দুইদিন আগে রাতে মোটরসাইকেল চালিয়ে যাচ্ছিলেন তিনি। এ সময় গাড়িতে লাইট না থাকায় প্রতিপক্ষের একই এলাকার বুলবুল, বিল্লাল, নাইম, সোহরাব, শিমুল ও মনিরুলের সঙ্গে তার কথা কাটাকাটি হয়। তখন তারা জিল্লুর রহমানকে হত্যার হুমকি দেয়।
স্থানীয়রা আরও জানান, বৃহস্পতিবার রাত সোয়া ৮টার দিকে গোবিলা গ্রামের তরিকুল ইসলামের বাড়ির সামনে দিয়ে একা যাচ্ছিলেন জিল্লুর রহমান। আগে থেকে ওৎ পেতে থাকা কয়েকজন তাকে একা পেয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে মারাত্মক জখম করে। এ সময় জিল্লুর রহমানের চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে তারা পালিয়ে চলে যায়। পরে তাকে উদ্ধার করে যশোর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কয়েক মিনিটের মধ্যেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন জিল্লুর রহমান।
আরও পড়ুন: নড়াইলের ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে জখম, ৪ দিন পর মৃত্যু
নিহতের স্ত্রী নাসিমা খাতুন বলেন, ‘রাজনৈতিক আধিপত্য নিয়ে বেশ কয়েকদিন ধরে এলাকার বুলবুল, বিল্লাল, নাইম, সোহরাব, শিমুল ও মনিরুল তার স্বামীকে হত্যার হুমকি দিয়ে আসছিল। এদিন রাত সোয়া ৮টার দিকে তিনি বাইরে থেকে বাড়ির উদ্দেশ্যে আসছিলেন। পথিমধ্যে ওই সন্ত্রাসীরা তাকে কুপিয়ে হত্যা করেছে।’
হাসপাতালটির ইমার্জেন্সি মেডিকেল অফিসার সাইফুর রহমান বলেন, অতিরিক্ত রক্ষক্ষরণে জিল্লুর রহমান মারা গেছেন।
কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক বলেন, কী কারণে এ হত্যাকাণ্ড তা এখনই বলা সম্ভব হচ্ছে না। পুলিশের একাধিক টিম জড়িতদের গ্রেপ্তারে মাঠে নেমেছে।
আরও পড়ুন: বগুড়ায় প্রকাশ্যে যুবককে কুপিয়ে হত্যা
৯ মাস আগে
সিলেটে বাবাকে খুনের অভিযোগে ছেলে আটক
সিলেটের দক্ষিণ সুরমায় পারিবারিক কলহের জেরে বাবাকে হত্যার অভিযোগে ছেলেকে আটক করেছে পুলিশ।
সোমবার (১৮ মার্চ) দুপুর দেড়টার দিকে উপজেলার মোগলাবাজার থানার সিলাম ইউনিয়নের রুস্তমপুর গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। নিহত তপন মিয়া রুস্তমপুর গ্রামের বাসিন্দা।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে দোকান কর্মচারীর হাতে আরেক কর্মচারী খুনের অভিযোগ
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, পারিবারিক কহলের জেরে ছেলে আনছার মিয়া তার বাবা তপন মিয়াকে বালিশ চাপা দিয়ে হত্যা করেন। পরে আশপাশের লোকজন এসে ছেলেকে আটক করে পুলিশে খবর দেন। সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ এসে তাকে আটক করে।
মোগলাবাজার থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মুকুল আহমদ জানান, পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে। এছাড়া ঘাতক ছেলেকে আটক করে থানায় নিয়ে এসেছে।
তিনি আরও জানান, এবিষয়ে এখনো কোনো মামলা হয়নি। মামলা দায়েরের পর আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: পাবনায় ১ হাজার টাকার জন্য বন্ধুর হাতে বন্ধু খুন!
সিলেটে প্রবাসী যুবক খুন!
৯ মাস আগে
পাবনায় ১ হাজার টাকার জন্য বন্ধুর হাতে বন্ধু খুন!
পাবনায় মাত্র এক হাজার টাকার জন্য বন্ধুকে খুনের অভিযোগে আব্দুস সামাদ ওরফে সম্রাট নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
রবিবার (১৭ মার্চ) সকালে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মাসুদ আলম।
এর আগে শনিবার (১৬ মার্চ) তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় হত্যা মামলায় ইউপি চেয়ারম্যানসহ আটক ৬
নিহত আজাদ পাবনা সদর উপজেলার দাপুনিয়া ইউনিয়নের ছয়ঘরিয়া গ্রামের আব্দুল হাকিমের ছেলে এবং গ্রেপ্তার আব্দুস সামাদ ওরফে সম্রাট একইগ্রামের রবিউল ইসলামের ছেলে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাসুদ আলম জানান, গত ১১ মার্চ সাড়ে ৭টায় আজাদ তার মোটরসাইকেল নিয়ে বের হয়ে আর ফিরে আসেননি। ১৩ মার্চ দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে আজাদের লাশ দাপুনিয়া ইউনিয়নের ছয়ঘরিয়া গ্রামের মোশাররফ চেয়ারম্যানের খামারের পাশে লিচু বাগানে পাওয়া যায়। পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাবনা জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
এ ঘটনায় নিহতের বাবা আব্দুল হাকিম বাদি হয়ে ১২ মার্চ বিকালে পাবনা সদর থানায় নিখোঁজ জিডি করেন।
তদন্তের পর অভিযুক্ত আব্দুস সামাদ ওরফে সম্রাটকে শনিবার দুপুরে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে আজাদ হত্যার কথা স্বীকার করেন সম্রাট।
সম্রাট জানান, সম্রাটের কাছ থেকে এক হাজার টাকা পেতেন আজাদ। টাকা চাওয়ার পর থেকেই তাদের দন্দ্ব। তারই জের ধরে আজাদকে হত্যা করেন সম্রাট।
এ ঘটনায় হত্যার দায় স্বীকার করে শনিবার বিকেলে বিজ্ঞ আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন সম্রাট। পরে তাকে সদর থানার মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়।
আরও পড়ুন: ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে জবি শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা
মোবাইল চুরির অপবাদে অটোরিকশাচালককে পিটিয়ে হত্যা, গ্রেপ্তার ৩
৯ মাস আগে