সুজন সোনাগাজী উপজেলার আমিরাবাদ ইউনিয়নের চরকৃষ্ণজয় গ্রামের জাহাঙ্গীর আলমের ছেলে।
ছাগলনাইয়ায় থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. মাহবুবুর রহমান জানান, মধ্যরাতে উপজেলার রাধানগর ইউনিয়নের উত্তর আঁধার মানিক গ্রাম এলাকায় দুটি ডাকাত দলের মধ্যে গোলাগুলি হচ্ছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ ওই এলাকায় পৌঁছায়। এসময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ডাকাতেরা গুলি ছুঁড়তে ছুঁড়তে পালিয়ে যায়।
পরে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে আহত অবস্থায় এক যুবককে উদ্ধার করে ফেনী ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
ঘটনাস্থল থেকে দেশি বন্দুক ও দুটি গুলি উদ্ধার করেছে পুলিশ।
গত ২৭ ফেব্রুয়ারি জিআর ১২৭/১৮ মামলায় হাজিরা শেষে সুজনসহ তিনজন নিখোঁজ হয়। সুজন নিখোঁজের ঘটনায় তার মা ফুলরা বেগম সোনাগাজী মডেল থানায় গত শুক্রবার নিখোঁজ ডায়েরি করেন। এর আগে তার সাথে নিখোঁজ অপর দুইজন শরিফ ও নিশানের গুলিবিদ্ধ লাশ শুক্রবার সোনাগাজী থেকে উদ্ধার করে পুলিশ।
ফেনী ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) মো. ইকবাল হোসেন ভূঁঞা জানান, রাতে পুলিশ গুলিবিদ্ধ অবস্থায় এক যুবককে হাসপাতালে নিয়ে আসে। তাঁর শরীরে গুলির চিহ্ন রয়েছে। হাসপাতালে নিয়ে আসার আগেই ওই যুবক মারা যান।
ছাগলনাইয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মেজবাহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, দুই ডাকাত দলের মধ্যে গোলাগুলিতে একজন নিহত ও অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে থানায় পৃথক মামলা করবে। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ফেনী সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে সোনাগাজী উপজেলার উত্তর মঙ্গলকান্দি গ্রামে গোলাগুলির ঘটনায় দুই যুবক গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। পুলিশ ‘বন্দুকযুদ্ধের’ কথা বললেও ওই দুই যুবকের পরিবারের দাবি, বৃহস্পতিবার দুপুরে দুই যুবক একটি ডাকাতির মামলায় ফেনী আদালতে হাজিরা দেয়ার পর নিখোঁজ হন।