লাশ উদ্ধার
মাদারীপুরে এক দিনে পৃথক স্থান থেকে দুই শিশুর মরদেহ উদ্ধার
মাদারীপুরের শিবচর ও কালকিনি উপজেলা থেকে একই দিনে দুই শিশুর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তারা দুজনই পানিতে ডুবে নিহত হয়েছে।
মঙ্গলবারের (২ সেপ্টেম্বর) এই ঘটনাদুটির একটি ঘটনা ঘটেছে শিবচর পৌরসভার ডিসি রোড এলাকায়, অন্যটি কালকিনি উপজেলার চরফতেপুর বাহাদুর এলাকায়।
গতকাল দুপুরে শিবচরের ডিসি রোড এলাকার মাওলানা রফিকুল ইসলামের স্ত্রীকে অজ্ঞান করে তিন মাস বয়সী শিশু মারিয়ামকে দুর্বৃত্তরা নিয়ে গেছে বলে অভিযোগ পাওয়া যায়।
শিশুটির মা কানন বেগম বলেন, দুপুরে মারিয়ামকে নিয়ে ঘর থেকে রাস্তায় এলে তাকে অজ্ঞান করে দুর্বৃত্তরা শিশুটিকে নিয়ে যায়। পরে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তিন ঘণ্টা খোঁজ করে বাড়ি পাশের পুকুর থেকে শিশুর মরদেহ উদ্ধার করে।
আরও পড়ুন: শরীয়তপুরে পুকুরে ডুবে দুই শিশু নিহত
শিশুটির বাবা মাওলানা রফিকুল জানিয়েছেন, তার স্ত্রীর মাথায় সমস্যা রয়েছে।
শিবচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রকিবুল ইসলাম জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে সিসি ক্যামেরা খতিয়ে দেখেন। সেখানে দেওয়া যায়, মা কানন বেগম বাচ্চা নিয়ে ঘর থেকে বের হচ্ছেন এবং পরে একা ঘরে ঢুকছেন। পরে পুলিশ তিন ঘণ্টা খোঁজ করে সন্ধ্যায় পুকুর থেকে শিশুটির লাশ উদ্ধার করে।
অন্যদিকে, কালকিনির চরফতেপুর বাহাদুর এলাকার একটি খালে নিখোঁজ হওয়ার এক দিন পর মঙ্গলবার ওয়ালিদ (৩) নামে আরেকটি শিশুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
পরিবারে সদস্যরা জানান, সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বাড়ির পাশে খালের কাছে খেলতে গিয়ে পরিবারের অলক্ষে পানিতে পরে ডুবে যায় ওয়ালিদ। এরপর কালকিনি উপজেলা ফায়ার সার্ভিসের লোক ও ডুবুরি দিয়ে অনেক খোঁজাখুঁজি করেও তাকে উদ্ধার করা যায়নি। পরে মঙ্গলবার দুপুরে মরদেহ ভেসে উঠতে দেখা যায়।
কালকিনি থানার ওসি মাসুদ রানা বলেন, আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে পরিবারের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে।
৯৩ দিন আগে
মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় নিখোঁজ সাংবাদিক বিভুরঞ্জন সরকারের লাশ উদ্ধার
মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার চর বলাকি সংলগ্ন মেঘনা নদী থেকে নিখোঁজ সাংবাদিক বিভুরঞ্জন সরকারের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
শুক্রবার (২২ আগস্ট) দুপুরে মেঘনা নদীতে ভাসমান লাশ দেখতে পেয়ে জাতীয় জরুরি সেবা-৯৯৯’এ ফোন দেয় স্থানীয়রা। পরে নৌ পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে।
কলাগাছিয়া নৌপুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ সালেহ আহম্মেদ পাঠান জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে লাশটি নিখোঁজ সাংবাদিক বিভুরঞ্জন সরকারের। লাশের ছবি রমনা থানায় পাঠানো হয়েছে এবং তার স্বজনরা খবর পেয়ে মুন্সীগঞ্জের পথে রওনা হয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, লাশের পরনে হাফ হাতা শার্ট ছিল। গলায় ঝুলানো ছিল ফিতাবাধা চশমা। মাথায় টাক ও কাঁচাপাঁকা চুল। ময়নাতদন্তের জন্য লাশটি মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
পড়ুন: সিনিয়র সাংবাদিক বিভুরঞ্জন সরকারের খোঁজ পাচ্ছে না পরিবার: ডিইউজের উদ্বেগ
জানা যায়, সিনিয়র সাংবাদিক ও কলাম লেখক বিভুরঞ্জন সরকার বৃহস্পতিবার (২১ আগস্ট) সকালে দৈনিক আজকের পত্রিকার অফিসের উদ্দেশে বাসা থেকে বের হন। এরপর থেকে তার কোনো খোঁজ না পাওয়ায় বৃহস্পতিবার রাতে রাজধানীর রমনা থানায় তার ছেলে ঋত সরকার সাধারণ ডায়েরি করেন।
তিনি দৈনিক আজকের পত্রিকার জৈষ্ঠ সহকারী সম্পাদক।
১০৪ দিন আগে
জয়পুরহাটে নৈশপ্রহরীর হাত-পা বাঁধা লাশ উদ্ধার
জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল উপজেলার কলিঙ্গা মাঠের গভীর নলকূপের ঘর থেকে সাঈদ ফকির (৬১) নামে এক নৈশপ্রহরীর হাত-পা বাঁধা লাশ (মরদেহ) উদ্ধার করেছে পুলিশ।
শুক্রবার (১৫ আগস্ট) লাশটি উদ্ধার করা হয়।
নিহত সাঈদ ফকিরের বাড়ি একই উপজেলার কলিঙ্গা মাঠের পার্শ্ববতী বেলগাড়ি গ্রামে।
পুলিশের ধারণা, তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে।
ক্ষেতলাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল করিম জানান, কলিঙ্গা গ্রামের মোহাম্মদ আলীর গভীর নলকূপের নৈশপ্রহরীর দায়িত্ব পালন করেন সাঈদ ফকির। মৌসুম শেষ হওয়ায় বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমার পাহারা দিতে তিনি রাতে গভীর নলকুপের ঘরে ছিলেন। গতরাতে দুর্বৃত্তরা দড়ি দিয়ে হাত-পা বেধে তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে।
খবর পেয়ে আজ (শুক্রবার) সকালে তার মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য জয়পুরহাটের ২৫০শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে মামলা হলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
১১১ দিন আগে
চট্টগ্রামে গেস্ট হাউসে সাবেক সেনাপ্রধান হারুন অর রশিদের মৃত্যু, লাশ উদ্ধার
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সাবেক সেনা প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) এম হারুন অর রশিদের মৃত্যু হয়েছে। সোমবার (৪ আগস্ট) দুপুরে চট্টগ্রাম ক্লাবের গেস্ট হাউসের একটি রুমের দরজা ভেঙ্গে পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তবে পুলিশ ও সংশ্লিষ্টদের ধারণা হার্ট অ্যাটাক হারুন অর রশিদের মৃত্যু হয়েছে (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজেউন)।
সাবেক সেনাপ্রধানের পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, একটি মামলা সংক্রান্ত কাজে হারুন-অর-রশিদ রবিবার (২ আগস্ট) চট্টগ্রামে যান। তিনি চট্টগ্রাম ক্লাবের গেস্টহাউজে রাতযাপন করছিলেন। তিনি সকালে রুম থেকে বের না হওয়ায় এবং অনেকক্ষণ সাড়া না পেয়ে পুলিশকে খবর দিলে সিএমপির কোতোয়ালি থানা পুলিশ দরজা ভেঙ্গে বিছানায় তার নিথর দেহ পড়ে থাকতে দেখেন।
পড়ুন: ৫ আগস্ট নিয়ে সরকার সতর্ক, শঙ্কার কারণ নেই: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
পরে গেস্ট হাউজের কর্মকর্তাদের সহযোগিতায় পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করেছে।
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের কোতোয়ালি জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) মোহাম্মদ মাহফুজ জানান, চট্টগ্রাম ক্লাব থেকে ফোন পেয়ে পুলিশ গিয়ে সাবেক সেনাপ্রধান হারুন অর রশিদের লাশ উদ্ধার করে সম্মিলিত সাময়িক হাসপাতালে পাঠিয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে তার স্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে।
১৯৪৮ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি জন্ম গ্রহণ করেন হারুন অর রশিদ। তিনি ২০০০ সালের ২৪ ডিসেম্বর থেকে ২০০২ সালের ১৬ জুন পর্যন্ত বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
স্বাধীনতা যুদ্ধে তার সাহসিকতার জন্য বাংলাদেশ সরকার তাকে বীর প্রতীক উপাধিতে ভূষিত করে। অবসর গ্রহণের পর তিনি রাষ্ট্রদূত হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন।
মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিলো ৭৭ বছর। তার স্ত্রী ও এক ছেলে এক মেয়েসহ অসংখ্য আত্মীয় ও গুনগ্রাহী রয়েছেন।
১২২ দিন আগে
চাঁপাইনবাবগঞ্জের সীমান্তে পদ্মা নদী থেকে দুই বাংলাদেশির লাশ উদ্ধার
চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার মাসুদপুর সীমান্তে পদ্মা নদী থেকে দুই বাংলাদেশির লাশ উদ্ধার করেছে বর্ডার গার্ড অব বাংলাদেশ (বিজিবি)।শনিবার (২ আগস্ট) বিকালে লাশগুলো উদ্ধার করা হয়। স্থানীয়দের অভিযোগ ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের নির্যাতনে তাদের মৃত্যু হয়েছে।
নিহতরা হলো- শিবগঞ্জ উপজেলার মনাকষা ইউনিয়নের তারাপুর গ্রামের সিরাজুলের ছেলে শফিকুল(৪৫) ও একই এলাকার মৃত মর্তুজার ছেলে সেলিম(৩৫)। তবে বিএসএফের নির্যাতনে তাদের মৃত্যু হয়েছে কিনা—তা নিশ্চিত করেনি বিজিবি।
স্থানীয়রা জানান, আজ দুপুর আড়াইটার দিকে বাতাসি মোড় এলাকায় পদ্মা নদীতে দুই জনের লাশ ভাসতে দেখে মাসুদপুর বিজিবি ক্যাম্পে খবর দেওয়া হয়। এরপর লাশ দুটি উদ্ধার করা হয়।
মনাকষা ইউনিয়ন পরিষদের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য সমির উদ্দিন জানান, গত বৃহস্পতিবার গরু আনার জন্য ভারতে যান সফিকুল ইসলাম ও সেলিম। এরপর থেকেই নিখোঁজ ছিলেন তারা। আজ শনিবার পদ্মা নদীতে লাশ ভাসতে দেখে স্থানীয়রা খবর দিলে লাশ শনাক্ত করা হয়। দুজনের পুরো শরীর অ্যাসিড দিয়ে পোড়ানো এবং শরীরে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
পড়ুন: পুলিশের ভয়ে নদীতে লাফ, দুদিন পর কিশোরের লাশ উদ্ধার
স্থানীয়দের দাবি ভারতের বিএসএফ সদস্যরা হত্যাকাণ্ডে কৌশল পরিবর্তন করে অপরাধ ঢাকতে নির্যাতণ করে মৃত্যু নিশ্চিতের পর লাশ নদীতে ভাসিয়ে দিয়েছে।
এদিকে ৫৩ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল ফাহাদ মাহমুদ রিংকু জানান, স্থানীয়দের কাছ থেকে তথ্য পেয়ে বিজিবি সদস্যরা বিকাল ৩টার দিকে মাসুদপুর সীমান্তের ৪/২-এস নম্বর সীমান্ত পিলার থেকে আনুমানিক আড়াই কিলোমিটার বাংলাদেশের অভ্যন্তরে পদ্মা নদীতে ২টি লাশ ভাসমান অবস্থায় দেখতে পায়। লাশ উদ্ধার করে তাদের পরিচয় শনাক্ত করা হয়েছে। থানা পুলিশকে খবর দেওয়া হয়েছে লাশ নিয়ে যাবার জন্য। তবে কিভাবে তাদের মৃত্যু হয়েছে এটি নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
বিজিবির পক্ষ থেকে এ বিষয়ে বিএসএফকে জানানো হলো তারা কিছু জানেনা বলে জানিয়েছে বলে জানান বিজিবির এই কর্মকর্তা।
১২৪ দিন আগে
বরিশালে শিক্ষকের লাশ উদ্ধার, ‘মৃত্যু’ নিয়ে সন্দিহান পরিবার
বরিশাল নগরীর ভাড়া বাসা থেকে মো. মহিউদ্দিন নামে এক স্কুলশিক্ষকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এই শিক্ষককে হত্যা করা হয়ে থাকতে পারে বলে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন তার স্বজনরা। মৃত্যুর আগে মহিউদ্দিন হত্যার হুমকি পেয়েছিলেন বলেও জানা গেছে।
বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) দিবাগত রাতে নগরের করিম কুটির মসজিদ গলির একটি ভাড়া বাসা থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান।
মৃত মহিউদ্দিন নগরীর হালিমা খাতুন বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষক ছিলেন। তিনি বরিশালের উজিরপুর উপজেলার হরিদ্রাপুর গ্রামের মৃত আব্দুল আজিজ মাঝির ছেলে।
নগরের আলেকান্দা পুলিশ ফাঁড়ির সদস্যরা জানান, করিম কুটির মসজিদ গলির স্মরণিকা ভিলার নিচতলায় ভাড়া বাসায় একা বসবাস করতেন মহিউদ্দিন। বৃহস্পতিবার দুপুরের পর থেকে তাকে বিছানার ওপর শুয়ে থাকতে দেখেন আশপাশের লোকজন। রাত পর্যন্ত একই অবস্থায় শুয়ে থাকতে দেখে ৯৯৯-এ কল করে বিষয়টি জানান তারা।
আরও পড়ুন: খাগড়াছড়িতে নদীতে ডুবে শিশুর মৃত্যু
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। সেখানে খাটের ওপর মৃত অবস্থায় পাওয়া যায় মহিউদ্দিনকে। পরে সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ মর্গে পাঠানো হয়।
ওসি মিজানুর রহমান জানান, ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর আসল কারণ বলা যাবে। তাছাড়া স্বজনরা অভিযোগ দিলে সে অনুযায়ী তদন্তের ব্যবস্থাও করা হবে।
ওই শিক্ষকের বড় ভাই, পিরোজপুর জিলা স্কুলের অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক জসিমউদ্দিন বলেন, ‘আমার ভাইয়ের হঠাৎ মৃত্যু কেউ মেনে নিতে পারছে না। তাকে হত্যা করা হয়ে থাকলে আল্লাহ যেন হত্যাকারীর বিচার করেন। মহিউদ্দিনের মৃত্যুর খবর আমরা সবাই পেয়েছি, ওর স্কুলের সবাইকে জানিয়েছি কিন্তু তারা কেউ এলো না।’
মৃতের ছোট ভাই বরিশাল বিএম স্কুলের শিক্ষক মোহাম্মদ আলাউদ্দিন বলেন, ‘হালিমা খাতুন বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সাবেক ও বর্তমান প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে দুর্নীতিসহ নানা অনিয়ম নিয়ে ভাইয়ের বিবাদ ছিল। কিছুদিন আগে স্কুলের অনিয়ম ও দুর্নীতি নিয়ে বরিশাল বিভাগীয় কমিশনারের কাছে লিখিত অভিযোগও দিয়েছেন, সাংবাদিকদেরও জানিয়েছেন তিনি।’
তিনি আরও জানান, মহিউদ্দিনকে বিভিন্ন সময় হত্যার হুমকিও দেওয়া হয়েছিল, এমনকি তাকে থামানোর জন্য হুমকি দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া কয়েক মাস আগে মহিউদ্দিনকে বহিরাগতদের দিয়ে মারধর করা হয়েছিল বলেও জানান তিনি।
আলাউদ্দিন বলেন, ‘এসব ঘটনা পরিবারের কাউকে বলতে চাইতেন না ভাই, নিজেই সমাধান করতে চাইতেন। সম্প্রতি স্কুলের অনিয়ম-দুর্নীতির প্রতিবাদ জানিয়ে কোনো সুরাহা না পেয়ে চাকরি থেকেও পদত্যাগ করেন। আমাদের ধারণা, ওর আকস্মিক মৃত্যুর সঙ্গে হালিমা খাতুন বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অনিয়ম-দুর্নীতি নিয়ে প্রতিবাদ করার বিষয়টির সম্পর্ক আছে।’
আরও পড়ুন: দিনাজপুরে কারাগারে কয়েদির মৃত্যু
তিনি জানান, তার ভাইয়ের মৃত্যু অস্বাভাবিক বলেই তাদের মনে হচ্ছে। এ ঘটনায় পরিবারের সবাই মিলে সিদ্ধান্ত নিয়ে সামনের দিকে এগোবেন। আপাতত লাশ উদ্ধার করে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে নিয়ে যাওয়া হবে।
এদিকে, মৃতের স্ত্রী বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সেকশন অফিসার রিপা আক্তার জানান, তাদের একটি ছেলে সন্তান রয়েছে। যাকে নিয়ে তিনি নগরের আলেকান্দা বুক ভিলা এলাকায় বাসা ভাড়া নিয়ে থাকেন। তবে সম্প্রতি তার স্বামী করিম কুটির এলাকার ওই বাসা ভাড়া নেন এবং সেখানে থাকাও শুরু করেন। তবে তাদের মধ্যে কোনো পারিবারিক কলহ ছিল না।
অন্যদিকে, নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্কুলের এক শিক্ষক জানান, সাবেক প্রধান শিক্ষক ফকরুজ্জামানের নিয়মবহির্ভূত কাজের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতেন শিক্ষক মহিউদ্দিন। এরপর থেকেই তার বিরুদ্ধে অনেকেই জোটবদ্ধ হন এবং নানাভাবে হয়রানি করতে শুরু করেন। এ নিয়ে তিনি বেশ চিন্তিত থাকতেন। পাশাপাশি তিনি শারীরিকভাবেও বেশ কিছুদিন ধরে অসুস্থ ছিলেন।
১৪০ দিন আগে
ময়মনসিংহে মা ও দুই সন্তানকে গলা কেটে হত্যার অভিযোগ
ময়মনসিংহের ভালুকায় দুই শিশু সন্তান ও মাকে গলা কেটে হত্যার খবর পাওয়া গেছে।
সোমবার (১৪ জুলাই) সকাল ৯টার দিকে ভালুকা পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের পনাশাইল রোড এলাকার একটি ভাড়া বাসা থেকে তাদের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহতরা হলেন— ময়না আক্তার (২৫), শিশু কন্যা রাইসা (৭) ও নিরব (২)।
স্থানীয়রা জানান, নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলার জেনের বাজার এলাকার রফিকুল ইসলাম স্ত্রী ও দুই সন্তানসহ ছোট ভাই নজরুল ইসলামকে নিয়ে ভালুকা পৌরসভার পনাশাইল এলাকায় একটি ভাড়া বাসায় থাকতেন। রফিকুল ইসলাম স্থানীয় রাসেল স্পিনিং মিলে কাজ করতেন।
আরও পড়ুন: খুলনায় ব্যবসায়ীকে গলা কেটে হত্যা
সোমবার সকাল ৯টার দিকে কর্মস্থল থেকে বাসায় ফিরে রফিকুল দেখেন মূল ফটকে তালা ঝুলছে। এ সময় ডাকাডাকি করা হলেও ঘরের ভেতর থেকে কোনো সাড়া না পেয়ে তালা ভেঙে ঘরে ঢুকে তিনি স্ত্রী ও দুই সন্তানের গলাকাটা লাশ দেখতে পান। পরে তিনি পুলিশে খবর দেন।
খবর পেয়ে ভালুকা মডেল থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে নিহতদের লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।
ভালুকা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হুমায়ূন কবির বলেন, ‘মা ও দুই সন্তানের গলাকাটা লাশ তিনটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। খুনের রহস্য উদঘাটনে তদন্ত চলছে।’
১৪৩ দিন আগে
সিলেটে গাছে ঝুলছিল যুবকের লাশ
সিলেটের দক্ষিণ সুরমার মোগলাবাজারে রেল লাইনের পাশে গাছে ঝুলন্ত অবস্থায় এক যুবকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৮ জুলাই) সকাল ১০টার দিকে মোগলাবাজার থানাপুলিশ লাশটি উদ্ধার করেছ।
নিহত যুবকের নাম জাহাঙ্গীর আলম। তার বাড়ি সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলায়।
মোগলাবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বলেন, লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এটি হত্যা না আত্মহত্যা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
১৪৯ দিন আগে
গাছে বাঁধা অবস্থায় মিলল শ্রীমঙ্গলের নিখোঁজ এইচএসসি পরীক্ষার্থীর লাশ
মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলার কাকিয়াছড়া চা বাগান থেকে এক কলেজছাত্রের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
সোমবার (৭ জুলাই) সকালে চা বাগানের একটি গাছের সঙ্গে বাঁধা অবস্থায় লাশটি দেখতে পেয়ে থানা পুলিশে খবর দেয় বাগান শ্রমিকরা। খবর পেয়ে ফিনলে কোম্পানির কাকিয়াছড়া চা বাগানের ১ নম্বর সেকশন থেকে গাছের সঙ্গে বেল্ট দিয়ে বাঁধা অবস্থায় হৃদয় আহমেদ ইয়াছিন (১৯) নামের ওই কলেজপড়ুয়া ছাত্রের লাশ উদ্ধার করে শ্রীমঙ্গল থানা পুলিশ।
নিহত হৃদয় উপজেলার সদর ইউনিয়নের শাহীবাগ এলাকার লিটন মিয়ার ছেলে। কমলগঞ্জ গণমহাবিদ্যালয়ে ২০২৫ সালের এইচএসসি পরীক্ষার্থী ছিলেন তিনি।
শ্রীমঙ্গল থানা পুলিশ জানায়, রবিবার সন্ধ্যা থেকে খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না হৃদয়ের। সোমবার সকালের দিকে বাগান শ্রমিকরা কাজে গেলে গাছের সঙ্গে বাঁধা অবস্থায় লাশ দেখতে পান। পরে আতঙ্কিত হয়ে পুলিশে খবর দেন তারা।
বাগানের শ্রমিকরা জানান, বেশ কয়েক বছর থেকেই মাঝে মাঝে চা বাগানে লাশ পাওয়া যাচ্ছে। বাগানে বড় সীমানা প্রাচীর না থাকায় যে কেউ বাগানে ঢুকতে পারে। আর এ সুযোগেই এমন ঘটনা ঘটতে পারে বলে মনে করেন তারা।
হৃদয়ের মা হাসিনা বেগম জানান, পরিবারের একমাত্র সন্তান ছিল হৃদয়। দেশের মানুষ ও প্রশাসনের কাছে তিনি ছেলের জন্য ন্যায়বিচার প্রার্থনা করেছেন।
শ্রীমঙ্গল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘চা বাগানে লাশের খবর পেয়ে আমরা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে তদন্ত শুরু করি। এ ঘটনার আলামত সংগ্রহের জন্য কাজ করছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, ওই ব্যক্তিকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে।
১৪৯ দিন আগে
খুলনায় খুন-লাশ উদ্ধারের ঘটনা বাড়ছে, জনমনে আতঙ্ক
খুলনায় নদ-নদী থেকে একের পর এক অজ্ঞাত লাশ উদ্ধারের ঘটনায় জনমনে আতঙ্ক বাড়ছে। অধিকাংশ লাশের হাতের টিস্যু পচে যাওয়ায় আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করেও পরিচয় শনাক্ত করতে পারছে না পুলিশ। ফলে এসব লাশ বেওয়ারিশ হিসেবে দাফন করতে হচ্ছে।
জেলা পুলিশের তথ্য অনুসারে, গত ৪৭ দিনে খুলনায় ১৮টি হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। এর মধ্যে ৯ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে নদী থেকে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পুলিশ, সেনাবাহিনী, নৌ-পুলিশ ও র্যাবের সমন্বয়ে যৌথবাহিনীর অভিযানও চলছে। অভিযানে শীর্ষ সন্ত্রাসী, তাদের সহযোগী এবং কথিত কিশোর গ্যাং সদস্যরা ধরা পড়লেও থামছে না হত্যার ঘটনা।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের বরাতে পাওয়া তথ্য বিশ্লেষণে খুলনার পরিস্থিতির ভয়াবহ চিত্র উঠে এসেছে।
গত ৯ জুন বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে রূপসা উপজেলার আঠারোবেকী নদী থেকে অজ্ঞাতনামা এক যুবকের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। স্থানীয়রা শ্রীফলতলা ইউনিয়ন পরিষদ-সংলগ্ন নদীতে কচুরিপানার মধ্যে লাশটি ভেসে থাকতে দেখে থানায় খবর দেয়।
আরও পড়ুন: ঝিনাইদহে বটগাছ থেকে ট্রাকচালকের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
নৌ-পুলিশ রূপসার ইনচার্জ মো. ফারুক হোসেন জানান, ঘটনাস্থল পাইকগাছা নৌ-ফাঁড়ির আওতায় পড়লেও এখনও পর্যন্ত নিহতের পরিচয় শনাক্ত হয়নি। সিআইডি ও পিবিআইয়ের বিশেষজ্ঞ দল ঘটনাস্থলে গেলেও হাতের টিস্যু পচে যাওয়ায় পরিচয় নিশ্চিত করা যায়নি।
তার আগে ৮ জুন দুপুরে শ্রীফলতলা গ্রামের দাউদ মার্কেটের পাশের কলাবাগান থেকে ভ্যানচালক রবিউল মোল্লার অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করা হয়। পুলিশ জানায়, ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্যে দুর্বৃত্তরা তাকে হত্যা করেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
সেই দিন সকালেই রূপসা উপজেলার আইচগাতি উত্তরপাড়ায় প্রবাসীর স্ত্রী সুমাইয়া খাতুন জান্নাত (২৩) শ্বাসরোধে খুন হন। রাতের কোনো একসময় অজ্ঞাত দুর্বৃত্তরা গলায় গামছা পেঁচিয়ে তাকে হত্যা করে।
৪ জুন সকালে সদর থানার মতিয়াখালী স্লুইচগেট খালে অজ্ঞাত এক ব্যক্তির লাশ দেখতে পান স্থানীয়রা। পরে নৌ-পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে। এর আগে, ২ জুন দিবাগত রাতে ময়লাপোতা হরিজন কলোনিতে দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাতে সবুজ হাওলাদার (৩০) নামের এক যুবক নিহত হন।
আরও পড়ুন: মাছের ঘেরে যুবকের গলাকাটা লাশ, পুলিশ হেফাজতে ২
সদর নৌ-পুলিশের ওসি বাবুল আক্তার জানান, ৪ জুন অজ্ঞাত এক নারীর লাশ উদ্ধারের পর প্রযুক্তির সহায়তায় পরিচয় শনাক্ত করা যায়নি। পরে লাশটি বেওয়ারিশ হিসেবে দাফন করা হয়। এখন একজন এসে ওই লাশ তার আত্মীয়ের দাবি করায় ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে পরিচয় নিশ্চিতের প্রক্রিয়া চলছে।
এ ছাড়া, গত ১০ মে বিকালে খানজাহান আলী থানার ভৈরব নদ থেকে অজ্ঞাত (৪০) এক ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করা হয়। ১১ মে রাতে হিরনের ঘাট এলাকা থেকে আরও এক অজ্ঞাতনামা (৪২) ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করা হয়। ওই ঘটনার বিষয়ে রূপসা নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ আবুল খায়ের জানান, রাত ৮টার দিকে জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯ থেকে খবর পেয়ে পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে।
৭ মে হরিণটানায় পারিবারিক কলহের জেরে স্বামীর নির্যাতনে জান্নাতি আক্তার (২০) নামের এক গৃহবধূর মৃত্যু হয়। ২৩ মে ভোরে লবণচরা থানাধীন শিপইয়ার্ড মেইন রোডে মোশারফের বাড়ির পাশে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় অজ্ঞাত আরও এক এক যুবকের লাশ পাওয়া যায়। পরে পুলিশ নিশ্চিত করে, মৃত ব্যক্তির নাম নাঈম মোল্লা।
২৬ মে রাতে রূপসা উপজেলার মোছাব্বরপুর গ্রামে দুর্বৃত্তদের গুলিতে কালো রনি (৩৬) নামে এক যুবক নিহত হন। একই রাতে সোনাডাঙ্গা ২২ তলা এলাকায় ছুরিকাঘাতে নিহত হন গোলাম (২৫)। ১৭ মে দুপুরে মীরেরডাঙ্গা খেয়াঘাট এলাকা থেকে উদ্ধার করা হয় ১৩ বছর বয়সী এক অজ্ঞাত কিশোরের লাশ।
২৯ মে খালিশপুর থানাধীন ৬ নম্বর মাছ ঘাট এলাকা থেকে আরও একটি অজ্ঞাত লাশ উদ্ধার করা হয়। পুলিশ জানায়, মৃতের পরনে ছিল নীল রঙের গেঞ্জি ও কালো প্যান্ট। পচে যাওয়া মুখ ও হাতের কারণে পরিচয় নিশ্চিত করা যায়নি। ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: খুলনার আঠারো বেকী নদী থেকে অজ্ঞাত যুবকের লাশ উদ্ধার
২৭ মে কয়রা নদীর চর থেকে বাঁশের খুঁটির সঙ্গে শিকলে বাঁধা অবস্থায় আব্দুল মজিদ সানার (৬০) লাশ উদ্ধার হয়। ২২ মে টুটপাড়া দারোগার বস্তির একতলা ভবন থেকে নিলু বেগম (৫৬) নামের এক নারীর ক্ষতবিক্ষত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এলাকাবাসীর ধারণা, লুটেরারাই তাকে হত্যা করেছে।
২৩ মে রূপসায় স্ত্রীর প্রেমের ঘটনায় প্রতিবেশী আবদার শেখকে (৪৫) কুপিয়ে হত্যা করেন স্বামী মনি শেখ। ওই ঘটনায় স্ত্রী তানজিলাও গুরুতর জখম হন। ৩১ মে কয়রায় পারিবারিক কলহের জেরে ছোট ভাইকে হত্যা করে বড় ভাই শহীদুল গাজী গ্রেপ্তার হন।
সার্বিক বিষয়ে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের (কেএমপি) সহকারী কমিশনার (মিডিয়া অ্যান্ড সিপি) খোন্দকার হোসেন আহমদ বলেন, ‘খুলনায় প্রতিটি ঘটনার তদন্ত চলছে এবং আসামিরাও গ্রেপ্তার হচ্ছে। শহরে টহল টিম, সিটিএসবি ও ডিবি সক্রিয় রয়েছে। পাশাপাশি জনসচেতনতা বাড়াতে সুধী সমাবেশও করা হচ্ছে। ভবিষ্যতে এমন ঘটনা প্রতিরোধে আমাদের সর্বোচ্চ চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
১৬৯ দিন আগে