রবিবার শহরের মালতিনগর জেলা আনসার ও ভিডিপি কার্যালয়ের নিজ কক্ষ থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
জানা যায়, গত ৯ সেপ্টেম্বর বৃক্ষ রোপণ কর্মসূচিতে আনসার ও ভিডিপির ১২ জন ওয়ার্ড লিডার অনুপস্থিত ছিলেন। অনুপস্থিতির কারণে সদর উপজেলা আনসার-ভিডিপি কর্মকর্তা তাদেরকে কৈফিয়ত তলব করেন। এরপর ওই ১২ জনের কাছে ১০ হাজার টাকা করে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা ঘুষ দাবি করেন আনিছুর রহমান। গত ২২ অক্টোবর ওই ১২ জনকে অফিসে ডেকে ১০ হাজার করে টাকা না দিলে তাদেরকে চাকরিচ্যুত করা হবে বলে হুমকি দেন তিনি। চাকরি বাঁচানোর জন্য ১২ জন আনসার সদস্য প্রত্যেকে ৫ হাজার করে ৬০ হাজার টাকা দিতে রাজি হন।
ভুক্তভোগীরা এ নিয়ে দুদকের বগুড়া সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে একটি অভিযোগ দাখিল করলে রবিবার বিকালে দুদকের একটি টিম অফিসে অভিযান চালায়। দুদক টিমের উপস্থিতি টের পেয়ে আনিছুর রহমান পালানোর চেষ্টা করলে দুদক সদস্যরা তাকে আটক করে এবং তার কাছ থেকে ঘুষের ২০ হাজার টাকা উদ্ধার করে।
দুদক বগুড়া জেলা সমন্বিত কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক ওয়াহিদ মঞ্জুর সোহাগ বলেন, ১২ জন আনসার সদস্যের অভিযোগের ভিত্তিতে আনিছুর রহমানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।