নিহত ঘাতকের নাম নির্মল কর্মকার (৪০)। নিহত চা শ্রমিকদের মধ্যে তিনজন নারী এবং দুইজন পুরুষ রয়েছেন।
হত্যাকাণ্ডের শিকার চারজন হলেন- নির্মলের স্ত্রী জলি ব্যানার্জি (৩৫), তার শাশুড়ি লক্ষ্মী ব্যানার্জি (৫০), প্রতিবেশি বসন্ত ভৌমিক (৫৫) এবং বসন্তের মেয়ে শিউলি ভৌমিক (১৬)।
এ ছাড়া নির্মলের দায়ের কোপে গুরুতর আহত হয় বসন্ত ভৌমিকের স্ত্রী কানন ভৌমিককে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
রবিবার ভোরে বড়লেখা উপজেলার পাল্লাতল চা বাগানে এ ঘটনা ঘটে।
বড়লেখা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইয়াসিনুল হক গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ সূত্রে জানায়, পারিবারিক কলহের জেরে এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। দেশীয় ধারাল অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে তাদের হত্যা করা হয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দা সুনিল কর্মকার জানান, মদ্যপান করে মাতাল অবস্থায় চা শ্রমিক নির্মল এ হত্যাকাণ্ড ঘটায়। নির্মলের বাড়ি ওই এলাকায় নয়। এক বছর আগে জলির সাথে তার বিয়ে হয়। তারপর থেকে তিনি শ্বশুর বাড়িতেই থাকতেন।
প্রতিবেশীরা জানান, রবিবার ভোর ৫টার দিকে নির্মল ও জলির মধ্যে ঝগড়া শুরু হয়। এক পর্যায়ে জলিকে মারধর করতে থাকলে দৌড়ে অন্য ঘরে বাবা-মায়ের কাছে চলে যান তিনি। তখন নির্মল ধারাল অস্ত্র দিয়ে জলিকে কোপাতে থাকে। মেয়েকে রক্ষা করতে নির্মলের শাশুড়ি ছুঁটে আসলে তাকেও কোপায় সে। এসময়, প্রতিবেশী বসন্ত ও তার মেয়ে শিউলি সেখানে আসলে তাদেরকেও এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যা করে নির্মল। চারজনের মৃত্যু হলে নিজ ঘরে গিয়ে আত্মহত্যা করে সে।
ঘটনাস্থল থেকে লাশগুলো উদ্ধার করে সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠায় পুলিশ।