মৌলভীবাজার
মৌলভীবাজারে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে পরিবারের ৫ সদস্যের পর চলে গেল শিশু সোনিয়াও
মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলার বসত ঘরের চালে বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে পড়ায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে আহত শিশু সোনিয়াও মারা গেছে। তার আগে একই ঘটনায় তার পরিবারের ৫ জনই মারা যান।
মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) ভোরে জেলার জুড়ী উপজেলার পূর্ব গোয়ালবাড়ি গ্রামে রহমত আলীর বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। মঙ্গলবার রাতে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে সোনিয়া মারা যায়।
আরও পড়ুন: মৌলভীবাজারে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২, আহত ৬
নিহত ৫ জন হলেন- ফয়জুর রহমান, স্ত্রী শিরি বেগম, মেয়ে সামিয়া বেগম, মেয়ে সাবিনা বেগম ও ছেলে সায়েম মিয়া। এদের মধ্যে মেয়ে সামিয়া বেগম নবম শ্রেণির ও সাবিনা বেগম সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিলেন।
এদিকে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ৫ জনের মৃত্যুর ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করেছে জেলা প্রশাসন। তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক হলেন- অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. আব্দুস সালাম চৌধুরী। অন্যান্য সদস্যরা হলেন- মো. ফজলুর রহমান, পিডিবির নির্বাহী প্রকৌশলী ও দীপংকর ঘোষ ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (কুলাউড়া সার্কেল)।
গঠিত তদন্ত কমিটি সরেজমিন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধান করে আগামী তিন কার্যদিবসের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করবেন।
জানা যায়, মঙ্গলবার রাত ২টা থেকে এই এলাকায় অনেক ঝড়-তুফান হয়। এ সময় বিদ্যুৎ ছিল না। পেশায় ঠেলা চালক ফয়জুর রহমানের বসত ঘরের ছাউনির টিনের উপর হাই ভোল্টের পল্লী বিদ্যুতের একটি তার ছিড়ে পড়েছিল।
রাত সাড়ে ৪টার দিকে বিদ্যুৎ আসলে তাদের ঘরে শর্টসার্কিটে সবাই বিদ্যুৎস্পৃষ্টে মারা যায়। পরে স্থানীয়রা খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস খবর দিলে একটি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে এনে ৫ জনের লাশ উদ্ধার করে।
জুড়ি উপজেলার পূর্ব গোয়ালবাড়ি সড়কের এক পাশে টিনের চালা ও বেড়ার তৈরি ঘরে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে থাকতেন ঠেলা চালক ফয়জুর রহমান। তার ঘরের উপর দিয়ে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির (পবিস) ১১ হাজার ভোল্টের বিদ্যুতের লাইন টানানো। নিজের জমি না থাকায় রহমত আলী নামের স্থানীয় এক ব্যক্তির পতিত জমিতে বাস করেছিলেন ফয়জুর।
আরও পড়ুন: মৌলভীবাজারে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে একই পরিবারের ৫ জনের মৃত্যু
মৌলভীবাজারে মাস শেষের আগেই ফুরিয়ে যায় গ্যাস, ভোগান্তিতে গাড়িচালক-যাত্রীরা
মৌলভীবাজারে মাস শেষের আগেই ফুরিয়ে যায় গ্যাস, ভোগান্তিতে গাড়িচালক-যাত্রীরা
মৌলভীবাজারে পেট্রোল পাম্পের জন্য নির্ধারিত গ্যাস বরাদ্দ শেষ হয়ে যাওয়ায় প্রতিমাসে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে গাড়ি চালক ও যাত্রীদের।
জালালাবাদ গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন লিমিটেডের আঞ্চলিক বিতরণ কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, মৌলভীবাজার, কুলাউড়া ও শ্রীমঙ্গল কার্যালয়ের আওতাধীন ১১টি সিএনজি পাম্প রয়েছে। মৌলভীবাজার কার্যালয়ের আওতাধীন ৬টি, কুলাউড়ার আওতাধীন ২টি ও শ্রীমঙ্গলের আওতাধীন ৩টি রয়েছে।
প্রতি মাসের শেষের দিকে মৌলভীবাজার ও শ্রীমঙ্গল কার্যালয়ের আওতাধীন ৪ থেকে ৫টি পাম্পের নির্ধারিত গ্যাস বরাদ্দ শেষ হয়ে যাওয়ায় বন্ধ থাকে। এ কারণে চালু পাম্পগুলোতে গ্যাস নিতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হচ্ছে চালকদের।
কুলাউড়ায় গর্নভেলি সিএনজি স্টেশনে অপেক্ষারত এক সিএনজি অটোরকিশা চালক বলেন, রাত ৩টা কেউ রাত ২টা পর্যন্ত অপেক্ষা করে সিরিয়াল ধরে গ্যাস নিতে হচ্ছে। সকাল ৬টা থেকে ১১টা পর্যন্ত পাম্প বন্ধ থাকে। বন্ধের সময়টা কমিয়ে দিলে আমাদের জন্য খুবই ভালো হয়।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে সমুদ্রে তেল-গ্যাস অনুসন্ধানে আন্তর্জাতিক দরপত্রে ৫৫ কোম্পানিকে আমন্ত্রণ
মৌলভীবাজার মেসার্স সাজ্জাদুর রহমান সিএনজি স্টেশনে অপেক্ষারত গাড়ির চালক রফিক মিয়া জানান, সকাল থেকে পাম্প বন্ধ থাকার কারণে আমাদেও জ্বালানি সংগ্রহ করতে ভোগান্তির স্বীকার হতে হয়। পাম্প বন্ধের সময়টা কমানো হলে খুবই ভালো হয়। নিদিষ্ট পাম্পে গ্যাস না পেয়ে অনেক পরিবহন চালক এলপিজি ব্যবহার করছে। এলপিজির দাম একটু বেশি এতে বাধ্য হয়ে ভাড়া বাড়িয়ে দিচ্ছেন চালকরা।
মৌলভীবাজার জ্বালানি ব্যবসায়ীরা জানান, ২০০৭ থেকে ২০১০ সালের মধ্যে মৌলভীবাজারে সিএনজি ফিলিংস্টেশনগুলো গড়ে ওঠে। ওই সময় জালালাবাদ গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন লিমিটেডের সঙ্গে প্রতিটি পাম্পের বরাদ্দের বিষয়ে চুক্তি হয়। চুক্তি অনুযায়ী এক লাখ থেকে তিন লাখ কিউবিক ফুট গ্যাস পায় ফিলিংস্টেশনগুলো। শুরুর দিকে সমস্যা না হলেও কয়েক বছর ধরে এর চাহিদা বাড়ছে।
বাংলাদেশ সিএনজি ফিলিং স্টেশন অ্যান্ড কনভার্সন ওয়ার্কশপ ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সিলেট বিভাগীয় সভাপতি আমিরুজ্জামান চৌধুরী জানান, গ্যাস বরাদ্দ বাড়ানোর জন্য জালালাবাদ গ্যাসের কাছে বারবার চিঠি দেওয়া হয়েছে। বৈঠক ও করা হয়েছে। কিন্তু কোনো সমাধান মিলছে না।
জালালাবাদ গ্যাস আঞ্চলিক বিতরণ কার্যালয় মৌলভীবাজারের উপ-মহাব্যবস্থাপক মো. রুহুল করিম চৌধুরী জানান, ব্যবসায়ীরা নিয়ম না মেনে সময়ের আগেই গ্যাস বিক্রি করে দেন। ফলে মাস শেষে অনেক পাম্প বন্ধ হয়ে যায়।
বিষয়টি নিয়ে জনসাধারনের ভোগান্তি কথা বিবেচনা করে গ্যাস কর্তৃপক্ষকে ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ করেন চালক ও জনগণ।
আরও পড়ুন: অফশোর তেল-গ্যাস অনুসন্ধানে দরপত্র আহ্বান করেছে পেট্রোবাংলা
মৌলভীবাজারে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২, আহত ৬
মৌলভীবাজার সদর উপজেলায় সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও মিনিবাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে দুইজন নিহত হয়েছেন।
শুক্রবার (১৯ জানুয়ারি) বিকালে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- সদর উপজেলার ব্রাহ্মণপাড়ার বাসিন্দা অটোরিকশা চালক আব্বাস মিয়া ও যাত্রী মধু মিয়া।
আহতরা হলেন- মধু মিয়ার মেয়ে সুমি বেগম, মেঘনা বেগম , নাতনি মিম আক্তার (১৮), সুমা বেগম (১২), ফাইজা (৩) ও নাতি ফাহিম (১২)।
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধু এক্সপ্রেসওয়েতে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় জবি শিক্ষার্থী নিহত
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে মৌলভীবাজার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কেএম নজরুল জানান, দুপুর পৌনে ২টার দিকে দুর্লভপুর এলাকায় দ্রুতগামী মিনিবাসটি বিপরীত দিক থেকে অটোরিকশাটিকে ধাক্কা দেয়।
আহতদের মধ্যে চারজনকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং বাকিদের মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
অটোচালক ছাড়া হতাহতরা সবাই একই পরিবারের সদস্য এবং তারা এক আত্মীয়ের বাড়িতে যাচ্ছিলেন বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: গজারিয়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেল আরোহী নিহত
চায়ের রাজধানী মৌলভীবাজারে এবারের ‘ইত্যাদি’
আমাদের ইতিহাস, ঐতিহ্য ও শিকড়ের সন্ধানে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে ইত্যাদি আয়োজনের ধারাবাহিকতায় এবারের পর্ব ধারণ করা হয়েছে চায়ের রাজধানী হিসেবে পরিচিত অপূর্ব সুন্দর জেলা মৌলভীবাজারে।
মঞ্চ নির্মাণ করা হয়েছে ১৮৯৫ সালে প্রতিষ্ঠিত মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জে অবস্থিত কুরমা চা বাগান আবৃত মাঠে।
ইত্যাদির ধারণ উপলক্ষে পুরো মৌলভীবাজার জেলায় ছিল উৎসবের আমেজ। অনুষ্ঠানস্থলকে ঘিরে বসে জমজমাট মেলা। বিভিন্ন পণ্যের পসরা সাজিয়ে বসে দোকানিরা। দূর থেকে দেখলে মনে হয় চা বাগানের মাঝখানে একখণ্ড জনসমুদ্র।
কমলগঞ্জে ধারণ হলেও দর্শকরা আসেন ৫০ থেকে ১০০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত বিভিন্ন উপজেলা থেকেও। স্থানীয় প্রশাসন ও সাধারণ মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত সহযোগিতায় বিকাল ৩টা থেকেই আমন্ত্রিত অতিথিরা অনুষ্ঠানস্থলে আসতে শুরু করেন। কিছুক্ষণের মধ্যেই কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায় অনুষ্ঠানস্থল।
আমন্ত্রিত দর্শক ছাড়াও অনেক দর্শক আশেপাশের টিলা, রাস্তা ও লেকের পাড়ে দাঁড়িয়ে অত্যন্ত সুশৃঙ্খলভাবে ইত্যাদির শুটিং উপভোগ করেন; যা চলে রাত ১১টা পর্যন্ত। তীব্র শীত উপেক্ষা করে এই দীর্ঘ সময়ে অবাক বিস্ময়ে উপভোগ করেছেন তাদের প্রিয় অনুষ্ঠানের ভিডিওচিত্র ধারণ।
এবারের অনুষ্ঠানে মৌলভীবাজারের সন্তান কণ্ঠশিল্পী সেলিম চৌধুরী ও সিলেটের সন্তান তসিবা আঞ্চলিক ভাষায় একটি ভিন্নরকম প্রেমের গানে কণ্ঠ দিয়েছেন। গানটির কথা লিখেছেন রামাচরণ, সুর করেছেন আকাশ মাহমুদ।
উল্লেখ্য তসিবার প্রথম টেলিভিশন যাত্রা শুরু হয়েছিল এই ইত্যাদির মাধ্যমেই। এছাড়াও মৌলভীবাজারকে নিয়ে মনিরুজ্জামান পলাশের কথায়, হানিফ সংকেতের সুরে এবং মেহেদির সংগীতায়োজনে একটি গানের সঙ্গে নৃত্য পরিবেশন করেছেন মৌলভীবাজারেরই স্থানীয় শতাধিক নৃত্যশিল্পী।
নাচটির কোরিওগ্রাফি করেছেন খাজা সালাউদ্দিন ঝন্টু, কণ্ঠ দিয়েছেন পুলক, তানজিনা রুমা, মোমিন বিশ্বাস ও নোশিন তাবাসসুম স্মরণ।
আরও পড়ুন: ফের আরটিভিতে সিসিমপুর
সাফারি পার্ক নির্মাণের ফলে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে: পরিবেশমন্ত্রী
মৌলভীবাজারের জুড়ীতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্ক নির্মাণের ফলে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে এক নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে বলে জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন।
তিনি বলেছেন, সাফারি পার্ক নির্মাণের ফলে দেশ-বিদেশের পর্যটক আসবে, কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হবে এবং সর্বোপরি এলাকার মানুষের জীবনমানের উন্নয়ন হবে। সাফারি পার্ক এলাকায় বসবাসরতদের সুরক্ষা দিয়েই এখানে সাফারি পার্ক নির্মাণ করা হবে।
বৃহস্পতিবার (৯ নভেম্বর) একনেক সভায় মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলার লাঠিটিলায় একটি সাফারি পার্ক নির্মাণের জন্য ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্ক, মৌলভীবাজার (প্রথম পর্যায়)’- প্রকল্পটি অনুমোদনের পর তার সরকারি বাসভবন থেকে এক ভিডিও বার্তায় পরিবেশমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
প্রকল্পটি অনুমোদনের জন্য তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, একনেক সভার মন্ত্রী ও সদস্যরা, পরিবেশ সচিব, বন অধিদপ্তরসহ সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
এসময় পরিবেশমন্ত্রী বলেন, এ সাফারি পার্কে বাংলাদেশের বিপদাপন্ন ও বিপন্ন বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ করার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। লাঠিটিলার বনভূমিকে জবরদখলমুক্ত করে বন্যপ্রাণী বিশেষ করে হাতি, মেছো বিড়াল, বনরুই, খাটলেজি বানর, আসামি বানর, গন্ধগকুল, মায়া হরিণ, চশমাপরা হনুমান, ভল্লুক, সজারু ইত্যাদির বসবাস উপযোগী প্রাকৃতিক পরিবেশ সৃষ্টি করা হবে।
আরও পড়ুন: পরিবেশদূষণ রোধে প্লাস্টিকের ব্যবহার কমাতে হবে: পরিবেশমন্ত্রী
তিনি বলেন, বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও ব্যবস্থাপনা বিষয়ে শিক্ষা ও গবেষণার সুযোগ সৃষ্টি করা হবে। হাতি উদ্ধার কেন্দ্র স্থাপনের মাধ্যমে অসহায় এতিম ও উদ্ধার করা মহাবিপন্ন হাতির চিকিৎসা দেওয়া হবে। বিপদাপন্ন প্রজাতির বাঘ, গণ্ডার, সিংহ, কুমির, ঘড়িয়াল, প্যারা হরিণ, সম্বর হরিণ, নীলগাই, ভাল্লুক ইত্যাদি বন্যপ্রাণীর জন্য নিরাপদ আশ্রয়স্থল গড়ে তোলা হবে।
বনমন্ত্রী বলেন, আহত ও উদ্ধার করা বন্যপ্রাণী চিকিৎসার নিমিত্তে বন্যপ্রাণী হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা এবং বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ বিষয়ে জনগণের মধ্যে গণসচেতনতা সৃষ্টি করা হবে। জলচর ও পরিযায়ী পাখির আবাসস্থল উন্নয়নের জন্য পুকুর ও লেক খনন এবং বন্যপ্রাণীর জন্য খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত ও আবাসস্থল উন্নয়নের জন্য ফলের গাছ, তৃণভূমি ও বিভিন্ন প্রজাতির বৃক্ষরোপণ করা হবে।
তিনি জানান, বিরল ও বিলুপ্তপ্রায় উদ্ভিদ প্রজাতির সংরক্ষণের জন্য এক লাখ চারা রোপণ, ভূমিক্ষয় রোধে পাহাড়ের ঢালে ও পাদদেশে রিটেইনিং ওয়াল নির্মাণ করা হবে। এ ছাড়াও, এখানে নেচার হিস্ট্রি মিউজিয়াম ও প্রকৃতিবীক্ষণ কেন্দ্র নির্মাণ করা হবে।
তিনি আরও জানান, মাধবকুণ্ড ইকোপার্কে দুই কিলোমিটার বেশি কেবল কার স্থাপনের প্রকল্প একনেকে অনুমোদনের অপেক্ষায় আছে।
আরও পড়ুন: জাহাজ ভাঙ্গা শিল্পকে নিরাপদ ও পরিবেশবান্ধব করতে কাজ করছে সরকার: পরিবেশমন্ত্রী
পরিবেশবান্ধব ইট উৎপাদনকারীদের প্রণোদনা দেবে সরকার: পরিবেশমন্ত্রী
লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান ভ্রমণ গাইড: যাওয়ার উপায় ও যাবতীয় খরচ
সত্যিকার অর্থেই যদি বনভোজনের স্বাদ পেতে হয়, তাহলে জীববৈচিত্র্যে ভরপুর বন-জঙ্গলের কোনো বিকল্প নেই। অরণ্যের আনাচে-কানাচে কিছু পাহাড়ি টিলা উঁকি দিলে মন্দ হয় না। এমন প্রাকৃতিক নিদর্শনের সন্ধান পাওয়া যায় সিলেটের পথে বাংলাদেশের চা বাগানগুলোতে। আর তা যদি হয় বাংলাদেশে সবচেয়ে বড় বৃষ্টিবন এলাকা তাহলে তো কথাই নেই! বলছি দেশের ১০টি জাতীয় উদ্যান এবং ৭টি বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্যের মধ্যে অন্যতম লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানের কথা। চলুন, জেনে নেওয়া যাক- এই বুনো বাস্তুতন্ত্রে পদচিহ্ন এঁকে দেওয়ার উপায়।
লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানের নামকরণ
ভানুগাছ অঞ্চলে জুম চাষকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছিল ত্রিপুরা গ্রাম। ত্রিপুরা ভাষায় লাউয়াছড়া বনকে মৈলপতুইসা বলা হয়। মৈলপ মানে লাউ, আর তুইসা শব্দের অর্থ পাহাড়ি ছড়া। যে বনের ছড়ার ধারের জুমে লাউয়ের ফলন ভালো হয়, সেই এলাকাকে বলা হতো মৈলপতুইসা।
আরও পড়ুন: বান্দরবানের নাফাখুম জলপ্রপাত ভ্রমণ: বাংলার নায়াগ্রাতে যাওয়ার উপায় ও আনুষঙ্গিক খরচ
১৯২৫ সালে তৎকালীন ব্রিটিশ সরকার পুরো অঞ্চলটি অধিকার করে এখানে বৃক্ষায়ন শুরু করে। ইতোমধ্যে অরণ্যে রূপ নেওয়া মৈলপতুইসা ঘোষিত হয় সংরক্ষিত বন হিসেবে। ভানুগাছের পশ্চিমে থাকার কারণে এর নাম ছিল পশ্চিম ভানুগাছ সংরক্ষিত বন। ১৯২৭ সালে উপনিবেশিক বন আইন জারির পর এখানকার বিভিন্ন স্থানের নামে পরিবর্তন আনা হয়। আর এ সময়েই মৈলপতুইসা বদলে হয়ে যায় লাউয়াছড়া।
১৯৯৬ সালে ১৯৭৪-এর বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ সংশোধন আইন অনুসারে বনের নামের সঙ্গে আনুষ্ঠানিকভাবে যুক্ত হয় জাতীয় উদ্যান শব্দ দুটি।
মৌলভীবাজারে জামায়াত আমির-সাধারণ সম্পাদকসহ আটক ৫
মৌলভীবাজার সদর উপজেলায় গোপন বৈঠকের সময় জামায়াতে ইসলামীর ৫ নেতা-কর্মীকে আটক করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে মৌলভীবাজার সদর উপজেলার কনকপুর ইউনিয়নের শাহবন্দর এলাকার জাকির হোসেন নামে এক ব্যক্তির বাড়ি থেকে তাদের আটক করা হয়।
আরও পড়ুন: মৌলভীবাজারে মিনিবাসচাপায় মায়ের মৃত্যু, মেয়ে গুরুতর আহত
আটক ৫ নেতা-কর্মী হলেন- মৌলভীবাজার জেলা জামায়াতের আমির ইঞ্জিনিয়ার মো. শাহেদ আলী, সাধারণ সম্পাদক ইয়ামির আলী, মৌলভীবাজার সদর উপজেলা শাখার আমির ফখরুল ইসলাম, মৌলভীবাজার পৌর জামায়াতের সাধারণ সম্পাদক মোরশেদ চৌধুরী ও মৌলভীবাজার জেলা জামায়াতের সদস্য শেখ শাহাবুদ্দিন।
মৌলভীবাজার সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ হারুন অর রশিদ চৌধুরী জানান, আটকদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে।
আরও পড়ুন: চবিতে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত ১৫
আসাদগেটে গাড়ির গ্যাস সিলিন্ডারে আগুন লেগে আহত ২
'অপারেশন হিলসাইড': নতুন জঙ্গি সংগঠন 'ইমাম মাহমুদের কাফেলা'র ১০ সদস্য আটক
মৌলভীবাজারের কুলাউড়ার দুর্গম এলাকায় ‘অপারেশন হিলসাইড’ নামে অভিযান চালিয়েছে নবগঠিত জঙ্গি সংগঠন 'ইমাম মাহমুদের কাফেলা'র ১০ সদস্যকে আটক করেছেন কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিটের সদস্যরা।
শনিবার (১২ আগস্ট) উপজেলার পূর্ব টাট্রিউলি গ্রামেও জঙ্গিদের ওই আস্তানায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। এ ছাড়া গোপন ওই আস্তানা থেকে তিন শিশুকেও উদ্ধার করা হয়।
আটকরা হলেন- সাতক্ষীরার তালা উপজেলার শরিফুল ইসলাম (৪০), তার স্ত্রী আমিনা বেগম (৪০), তাদের ২০ বছরের মেয়ে হাবিবা বিনতে শরিফুল; কিশোরগঞ্জের ইটনা উপজেলার হাফিজ উল্লাহ (২৫); নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা উপজেলার খায়রুল ইসলাম (২২) ও তার স্ত্রী মেঘনা (২২); সিরাজগঞ্জের কাজিপুর উপজেলার রফিউল ইসলাম (২২); পাবনার আটঘরিয়া উপজেলার আব্দুস সাত্তারের স্ত্রী শাপলা বেগম (২২); নাটোরের সোহেল তানজিম রানার স্ত্রী মাইশা ইসলাম (২০) এবং বগুড়ার সারিয়াকান্দি উপজেলার সুমন মিয়ার স্ত্রী সানজিদা খাতুন (১৮)।
অভিযানের পর শনিবার বেলা ১১টার দিকে এক সংবাদ সম্মেলনে সিটিটিসি ইউনিটের প্রধান ও ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার মো. আসাদুজ্জামান বলেন, তারা চার পুরুষ ও ছয় নারীকে আটক করেছেন এবং গোপন আস্তানা থেকে তিন শিশুকে উদ্ধার করেছেন।
আরও পড়ুন: মৌলভীবাজারে জঙ্গি আস্তানায় ‘অপারেশন হিলসাইড’ চালাচ্ছে সিটিটিসি
তিনি বলেন, আটকরা নবগঠিত জঙ্গি সংগঠন ‘ইমাম মাহমুদের কাফেলা’র সদস্য।
সিটিটিসি প্রধান বলেন, তারা গোপন আস্তানা থেকে আড়াই কেজি বিস্ফোরক জাতীয় পদার্থ, ৫০টি বিস্ফোরক, প্রশিক্ষণ ম্যানুয়াল, যুদ্ধের বুট, জঙ্গিবাদী বই, স্থানীয়ভাবে তৈরি ধারালো অস্ত্র, নগদ ৩ লাখ ৬১ হাজার টাকা ও অলংকার জব্দ করেছেন।
আসাদুজ্জামান বলেন, তাদের কাছে তথ্য ছিল, একটি জঙ্গি সংগঠন জেলার একটি পাহাড়ে আস্তানা তৈরি করে নতুন করে সদস্য সংগ্রহ করে সংগঠিত হচ্ছে।
সিটিটিসি প্রধান বলেন, আটকদের কাছ থেকে তারা জঙ্গি সংগঠনের মূল পরিকল্পনাকারীর নাম জানতে পেরেছেন এবং তাকে গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
এর আগে শুক্রবার রাতে জেলা পুলিশের সহায়তায় গ্রামের ওই ভবন ঘেরাও করেন সিটিটিসি সদস্যরা। পরে শনিবার সকালে গোপন ওই আস্তানায় অভিযান চালাতে সব ধরনের প্রস্তুতি নেন তারা।
স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুহিবুল ইসলাম জানান, আটক সন্দেহভাজন জঙ্গিরা অন্য জেলার বাসিন্দা এবং তারা গত দুই মাস ধরে দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় বাড়ি তৈরি করে ওই এলাকায় বসবাস করে আসছিলেন।
আরও পড়ুন: জঙ্গি সংগঠন ‘জামায়াতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়া' নিষিদ্ধ
মৌলভীবাজারে জঙ্গি আস্তানায় ‘অপারেশন হিলসাইড’ চালাচ্ছে সিটিটিসি
মৌলভীবাজারের পূর্ব তাকতিউলিতে জঙ্গি আস্তানায় অভিযান শুরু করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
শনিবার (১২ আগস্ট) সকালে‘অপারেশন হিলসাইড’ নামে এ অভিযান শুরু করা হয়।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে নতুন জঙ্গি সংগঠনের ৪ সদস্য গ্রেপ্তার
ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-কমিশনার ফারুক হোসেন চলমান অভিযানের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিট শনিবার সকালে গোপন আস্তানা থেকে উদ্ভূত সম্ভাব্য ঝুঁকি এড়াতে এই অভিযান শুরু করে।
আরও পড়ুন: আদালত থেকে ছিনিয়ে নেওয়া জঙ্গি সোহেলের স্ত্রী গ্রেপ্তার
বান্দরবানে জামাতুল আনসারের প্রশিক্ষক কমান্ডারসহ ৮ জঙ্গি গ্রেপ্তার: র্যাব
৪ ঘণ্টা পর সিলেটের সঙ্গে সারাদেশের ট্রেন চলাচল শুরু
আবারও ৪ ঘন্টা পর সারাদেশের সঙ্গে সিলেটের ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে। মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলায় লাইনচ্যুত হওয়া ট্রেনের বগি ও ইঞ্জিন উদ্ধার কাজের জন্য প্রায় চার ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর সিলেটের সঙ্গে সারা দেশের রেল চলাচল স্বাভাবিক হয়।
রবিবার (২১ মে) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে লাইনচ্যুত হওয়া দুটি বগি ও ইঞ্জিন লাইনে তুলে নিয়ে যাওয়ার পর ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয় বলে জানিয়েছেন শমশেরনগর রেল স্টেশন মাস্টার উত্তম কুমার দেব।
এর আগে রবিবার সকাল ৮টা ৪০ মিনিটে লাইনচ্যুত ট্রেনের বগি ও ইঞ্জিন স্টেশনে নিয়ে যাওয়ার জন্য কাজ শুরু করে রেলওয়ের উদ্ধারকারী দল। কুলাউড়া ও আখাউড়া থেকে আসা দুটি উদ্ধারকারী ট্রেন বগি ও ইঞ্জিন লাইনে তুলে শ্রীমঙ্গল রেলওয়ে স্টেশনে নিয়ে যায়। এ কাজের জন্য সকাল থেকে ট্রেন যোগাযোগ বন্ধ ছিল। পরে ভানুগাছ স্টেশনে আটকে পড়া কালনী এক্সপ্রেস ট্রেনটি দুপুর সাড়ে ১২টায় ঢাকার উদ্দেশে রওনা হয়।
এরআগে শনিবার ভোরে লাউয়াছড়া এলাকায় গাছের সঙ্গে ধাক্কা লেগে চট্টগ্রাম থেকে সিলেটগামী উদয়ন এক্সপ্রেস ট্রেনের ইঞ্জিন ও দুটি বগি লাইনচ্যুত হলে রেল যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। পরে সন্ধ্যা ৭টা ৪০ মিনিটে উদ্ধারকারী ট্রেন লাইনচ্যুত বগি ও ইঞ্জিন রেললাইন থেকে উঠিয়ে পাশে রাখা হয়। এতে প্রায় ১৫ ঘণ্টা পর রেল যোগাযোগ স্বাভাবিক হয়েছিল।
আরও পড়ুন: সারাদেশের সঙ্গে ফের সিলেটের রেল যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন
১৫ ঘন্টা পর সিলেটের সঙ্গে সারাদেশের ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক