মৌলভীবাজার
মৌলভীবাজারে দুই মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে প্রবাসীর মৃত্যু
মৌলভীবাজারে দুই মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে সাকিব চৌধুরী সোহান (১৭) নামে এক কিশোর নিহত হয়।
বুধবার (১৩ নভেম্বর) রাতে সদর উপজেলার কামালপুর নতুন ব্রিজ এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত সাকিব চৌধুরী সোহান মৌলভীবাজার সদর উপজেলার আখাইলকুরা গ্রামের মৃত কমরু মিয়া চৌধুরীর ছেলে। তিনি আমেরিকা থাকে।
আরও পড়ুন: সিলেটে ৩ গাড়ির সংঘর্ষ, মোটরসাইকেল আরোহীর মৃত্যু
সোহানের মামা এমদাদুর রহমান রেনু জানান, সোহান কিছুদিন হলো তার মাকে নিয়ে আমেরিকা থেকে দেশে বেড়াতে এসেছে। বুধবার রাতে তার নানাবাড়ি নালিহুরী থেকে মোটরসাইকেল করে বাড়ি ফিরছিল। এ সময় কামালপুর নতুন ব্রিজের মধ্যস্থানে বিপরীত দিক থেকে আসা আরেকটি মোটরসাইকেলের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
মৌলভীবাজার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গাজী মাহবুবুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় মোটরসাইকেলসহ যুবককে পুড়িয়ে হত্যার অভিযোগ
১ সপ্তাহ আগে
ময়মনসিংহ ও মৌলভীবাজারে ১৯৮ সরকারি আইন কর্মকর্তা নিয়োগ
ময়মনসিংহ ও মৌলভীবাজারের বিভিন্ন আদালতে ১৯৮ জন আইনজীবীকে নিয়োগ দিয়েছে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়।
সরকারি আইন কর্মকর্তা-সরকারি কৌঁসুলি (জিপি), অতিরিক্ত সরকারি কৌঁসুলি, সহকারী সরকারি কৌঁসুলি, পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি), অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর ও সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর- এসব পদে নিয়োগ পেয়েছেন তারা।
এদের মধ্যে ৪২ জনকে মৌলভীবাজার ও ১৫৬ জনকে ময়মনসিংহ জেলার জেলা ও দায়রা জজ ও এর অধীন আদালত, বিভিন্ন পর্যায়ের ট্রাইব্যুনাল ও বিশেষ জজ আদালতে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
ময়মনসিংহের জেলা ও দায়রা জজ আদালতে জিপি ও পিপি হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন যথাক্রমে মো. আজহারুল হক ও মো. আনোয়ার আজিজ (টুটুল)।
আরও পড়ুন: ট্রাফিক আইন অমান্য করায় ১৫৩৮ মামলা, জরিমানা ৬২ লাখ টাকা: ডিএমপি
মৌলভীবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতে জিপি ও পিপি হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন যথাক্রমে মামুনুর রশিদ ও মো. আব্দুল মতিন চৌধুরী ।
বুধবার রাতে (২৩ অক্টোবর) আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগের সলিসিটর উইং থেকে এ সম্পর্কিত পৃথক নিয়োগাদেশ জারি করা হয়।
উপসলিসিটর (জিপি-পিপি) সানা মো. মাহরুফ হোসাইনের সই করা এই নিয়োগাদেশে, জেলা দুটির জেলা ও দায়রা জজ আদালত ও এদের অধীন আদালত, বিভিন্ন পর্যায়ের ট্রাইব্যুনাল এবং বিশেষ জজ আদালতে এর আগে নিয়োগ করা সব আইন কর্মকর্তার নিয়োগাদেশ বাতিলক্রমে তাদের নিজ নিজ পদের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: আরও তিন জেলায় ২০০ আইন কর্মকর্তা নিয়োগ
৪ সপ্তাহ আগে
উপমহাদেশের একমাত্র লাল দুর্গা দেবীর পূজার আয়োজন মৌলভীবাজারে
উপমহাদেশের একমাত্র লাল বর্ণের জাগ্রত দুর্গা দেবীর পূজা উদযাপিত হয় মৌলভীবাজারের রাজনগর উপজেলার পাঁচগাঁওয়ে। লাল রঙের দুর্গা দেবীকে দেখতে দেশ-বিদেশের পূণ্যার্থীরা ছুটে আসেন এখানে।
বুধবার ষষ্ঠীর বোধনের মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মহা উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা। প্রতিবছরের মতো দেবীর পূজা দেখতে দেশের বিভিন্ন জেলার বিভিন্ন প্রত্যন্ত অঞ্চলের হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের পাশাপাশি ভারতের বিভিন্ন অঙ্গরাজ্য থেকেও ভক্তরা এসেছেন এখানে।
অষ্টমী ও নবমীর দিন এত ভক্তের আগমন ঘটে যে, সারিবদ্ধভাবে গাড়ি পার্কিং ও মেলা বসায় মানুষের চাপের কারণে ২ কিলোমিটার রাস্তা পায়ে হেঁটে দেবী দর্শন করতে যেতে হয়।
প্রায় ৩০০ বছর একইভাবে পূজার আয়োজন হয়ে আসছে পাঁচগাঁওয়ে। ৯ অক্টোবর এ পূজা শুরু হয়ে ১২ অক্টোবর বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হবে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে পূজামণ্ডপে ইসলামী গানের ঘটনায় আটক ২: পুলিশ
আয়োজকরা জানায়, মৌলভীবাজার থেকে প্রায় ১৭ কিলোমিটার ও রাজনগর থেকে প্রায় ৪ কিলোমিটার উত্তরে পাঁচগাঁও গ্রামে স্বর্গীয় সর্বানন্দ দাস (বর্তমান সঞ্জয় দাসের) বাড়িতে পালিত হয়ে আসছে ব্যতিক্রম এই পূজা।
প্রতি বছর পূজার সময় মহিষ বলির পাশাপাশি শত-শত পাঁঠা, হাঁস-কবুতর বলি দেওয়া হয়। তাছাড়া দুর্গার জন্য নগদ টাকা, শাড়ি, গহনা সোনা রৌপ্য অলংকারসহ প্রচুর পরিমাণ দক্ষিণা নিয়ে আসেন পূজার্থীরা।
স্থানীয়রা জানায়, জনশ্রুতি আছে পাঁচগাঁও পূজা মণ্ডপের তত্ত্বাবধায়ক সঞ্জয় দাসের পূর্বপুরুষ সাধক সর্বানন্দ দাস আসামের শিবসাগরে মুন্সিপদে চাকরি করতেন। তিনি আসামের কামরূপ-কামাক্ষ্যায় এক বাড়িতে গিয়ে কুমারী পূজা করেন। ছয় ঘণ্টা পূজার পর প্রণাম করার সময় সর্বানন্দ দাস দেখতে পান, কুমারীর গায়ের রং পরিবর্তন হয়ে লালবর্ণ ধারণ করেছে। সেসময় তিনি ওই কুমারীকে জিজ্ঞেস করেন, ‘মা আমার পূজা সুপ্রসন্ন হয়েছে কি?’ উত্তরে কুমারী রূপে ভগবতী বলেন, ‘হ্যাঁ তোর পূজা সিদ্ধ হয়েছে, আমি তোর পূজায় সন্তুষ্ট হয়েছি। এই বর্ণে তোর গ্রামের বাড়ি পাঁচগাঁও পূজামণ্ডপে আবির্ভূত হয়েছিলাম।’ সর্বানন্দ দাস এর প্রমাণ চাইলে ওই কুমারী হাতের পাঁচ আঙুলে রক্তের ছাপ দেন আর মাথা থেকে স্বর্ণের টিকলি খুলে দিয়ে বলেন, ‘তোর বাড়ির বেড়ায় পাঁচ আঙুলে ছাপ আছে আর এই টিকলি দিয়ে প্রতি বছর মহাষ্টমী তিথিতে স্নান দিয়ে ভগবতীকে লাল বর্ণে পূজা করবি।’
পরবর্তী বছর দুর্গাপূজার আগে সর্বানন্দ দাস বাড়ি ফিরে বেড়ায় হাতের পাচঁ আঙুলে ছাপ দেখতে পান। সেই লাল বর্ণের সঙ্গে সাদৃশ্য রেখে লাল বর্ণে রঞ্জিত করেন দেবীদুর্গাকে। এভাবেই প্রায় ৩০০ বছর ধরে সঞ্জয় দাসের বাড়ির মণ্ডপে লাল বর্ণের দুর্গার পূজা হচ্ছে।
এই পূজাকে কেন্দ্র করে ইউনিয়ন পরিষদের ভেতর ও মণ্ডপের আশেপাশের প্রায় এক কিলোমিটার এলাকা জুড়ে পোশাক, বই, ফার্নিচার, খই, মুড়ি-মুড়কি, বাতাসা, জিলাপি, মিষ্টি, খেলনা ইত্যাদি বিভিন্ন রকমের পণ্যের পসরা সাজিয়ে বসেন প্রায় ৬ শতাধিক বিক্রেতা।
বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ রাজনগর উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক এবং হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাবেক অর্থ সম্পাদক টিংকু পুরকায়স্থ বলেন, প্রশাসনিক কর্মকর্তারা ছাড়াও সব ধর্ম-বর্ণের মানুষ ও রাজনৈতিক নেতাদের সার্বক্ষণিক সাহায্য সহযোগিতায় কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে দিয়ে পালন হবে এবারের শারদীয় দুর্গাপূজা।
রাজনগর উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি অসিত দেব বলেন, উপজেলা বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামী আমাদের আশ্বস্ত করেছেন এবার অধিকতর আনন্দ উৎসবমুখর পরিবেশে পূজা উদযাপন হবে।
হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক বিশ্বজিৎ দেব বলেন, দুর্গাপূজায় নিরাপত্তা অত্যন্ত লক্ষ্যণীয়। অন্তর্বর্তী সরকারকে ধন্যবাদ জানাই। সব জাতি-গোষ্ঠী সম্প্রদায়ের সহযোগিতা আন্তরিকতায় আমরা অভিভূত।
তিনি আরও বলেন, দুর্বৃত্ত কোনো জাতির নয়, সমাজের নয়, গোটা দেশের জন্য ক্ষতির কারণ। হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান-মুসলমান সব সম্প্রদায়ের আনন্দমুখর পরিবেশে উদযাপিত হোক শারদীয় দুর্গাপূজা।
রাজনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ মোহাম্মদ মোবাশ্বির হোসেন বলেন, পুলিশ ও আনসার সদস্যরা পূজা চলাকালে প্রত্যেক মণ্ডপে নিরাপত্তা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত আছে। পাশাপাশি সেনাবাহিনী, র্যাব ও বিজিবিও টহল দিচ্ছে।
এছাড়াও নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ চালু রাখতে পল্লী বিদুৎ অফিসকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
রাজনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুপ্রভাত চাকমা বলেন, দুর্গাপূজায় কঠোর নিরাপত্তার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তাছাড়া অধিকাংশ মণ্ডপে সিসি ক্যামেরার ব্যবস্থা করা হয়েছে। সরকারিভাবে ৭৫টি পূজা মণ্ডপে ৫০০ কেজি করে চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: বাগেরহাটে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে
১ মাস আগে
মৌলভীবাজারে বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত, ৪ লাখ মানুষ পানিবন্দি
মৌলভীবাজারের বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। এছাড়া বন্যায় সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েছে কুলাউড়া, জুড়ী ও বড়লেখার মানুষ। এতে করে জেলার ৭ উপজেলার ৪৭ ইউনিয়নের ৪৭৪টি গ্রামের ৪ লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।
বন্যায় অধিকাংশ রাস্তা তলিয়ে গেছে। প্লাবিত হয়েছে বাড়িঘর, ফসলের মাঠ ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এছাড়া অনেকে অবস্থান করছেন আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে। এদিকে ঝুকিপূর্ণ স্থানগুলোতে বালি ও বস্তা ফেলা হচ্ছে। যাতে লোকালয়ে পানি প্রবেশ করতে না পারে।
আরও পড়ুন: টেকনাফে ভারী বৃষ্টিতে ৫০ হাজার মানুষ পানিবন্দি
মৌলভীবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী জাবেদ ইকবাল বলেন, কুশিয়ারা-জুড়ী নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে মনু ও ধলাই নদীর পানি বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
৫ মাস আগে
মৌলভীবাজারের সব নদীর পানি বিপৎসীমার ওপরে, পানিবন্দি ২ লাখ মানুষ
টানা বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে মৌলভীবাজারের ছয়টি উপজেলা প্লাবিত হয়েছে। এতে জেলার প্রায় দুই লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।
জেলার রাজনগর, কুলাউড়া, জুড়ী, বড়লেখা, শ্রীমঙ্গল ও সদর উপজেলার ৩৭ ইউনিয়নের ৪৩২টি গ্রাম বর্তমানে পানির নিচে।
বন্যা কবলিত এলাকার অধিকাংশ রাস্তা তলিয়ে গেছে। আঞ্চলিক সড়কের অনেক স্থানে পানি উঠেছে। ডুবে গেছে বাড়িঘর, ফসলের মাঠ ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। অনেকেই আবার নিজের বাড়িঘর রক্ষায় সেচ্ছাশ্রমে বাঁধের ওপর বালির বস্তা ফেলছেন।
মৌলভীবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সূত্রে জানা গেছে, বুধবার দুপুর ১২টার দিকে মনু নদীর পানি শহরের চাঁদনীঘাট এলাকায় বিপৎসীমার ২১ সেন্টিমিটার, কুশিয়ারা নদী শেরপুর পয়েন্টে বিপৎসীমার ১৮ সেন্টিমিটার, ধলাই নদীর পানি বিপৎসীমার ৫ সেন্টিমিটার এবং জুড়ী নদীর পানি বিপৎসীমার ২০২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসক উর্মি বিনতে সালাম জানান, বন্যা মোকাবিলায় জেলার মোট ৯৮টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। বর্তমানে এগুলোতে ৫৭১টি পরিবারে আশ্রয় নিয়েছে।
৫ মাস আগে
মৌলভীবাজারে প্রতিবন্ধী যুবকের লাশ উদ্ধার
মৌলভীবাজারের রাজনগরে প্রদীপ দেব নামে প্রতিবন্ধী এক যুবকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
শুক্রবার রাত ৯টায় উপজেলার ক্ষেমসহস্র গ্রামের কালিবাড়ির পাশ থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
আরও পড়ুন: ভালুকায় গৃহবধূর লাশ উদ্ধার
প্রদীপ উপজেলার সদর ইউনিয়নের ক্ষেমসহস্র গ্রামের প্রণয় দেবের ছেলে।
রাজনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুছ সালেক বলেন, ধারণা করা যাচ্ছে প্রদীপকে হত্যা করা হয়েছে। লাশ উদ্ধার করে মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে আমরা তদন্ত করছি।
আরও পড়ুন: নিখোঁজের ২ দিন পর মালয়েশিয়ান নাবিকের লাশ উদ্ধার
৬ মাস আগে
মৌলভীবাজার বজ্রপাতে কৃষকের মৃত্যু
মৌলভীবাজারে বজ্রপাতে আব্দুল হাই নামে এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে।
আরও পড়ুন: সিলেটে মাছ শিকারে গিয়ে বজ্রপাতে যুবকের মৃত্যু
রবিবার (৫ মে) রাত ৮টার দিকে সদর উপজেলার আপার কাগাবলা ইউনিয়নের পদুনাপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
আপার কাগাবালা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইমন মোস্তফা বলেন, কৃষক আব্দুল হাই রাতে মাঠ থেকে বাড়ি ফেরার পথে হঠাৎ কালবৈশাখী ঝড় শুরু হলে বজ্রপাতে তার মৃত্যু হয়।
আরও পড়ুন: খাগড়াছড়িতে বজ্রপাতে মা ও শিশু নিহত
৬ মাস আগে
মৌলভীবাজারে শিলাবৃষ্টি ও কালবৈশাখীর তাণ্ডব
মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল ও বড়লেখায় শিলাবৃষ্টি ও কালবৈশাখী ঝড়ে কয়েক শতাধিক বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এছাড়া গাছপালা উপড়ে গেছে ও বিভিন্ন স্থানে বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙে পড়েছে।
লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানে রেললাইনের উপর গাছ পড়ে সিলেটের সঙ্গে সারাদেশের ট্রেন যোগাযোগ তিন ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর স্বাভাবিক হয়।
আরও পড়ুন: কালবৈশাখীতে বাগেরহাটে বজ্রপাতে কৃষকের মৃত্যু, আহত ৮
শ্রীমঙ্গল রেলওয়ে স্টেশনের স্টেশন মাস্টার সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ঢাকা থেকে সিলেটগামী আন্তনগর জয়ন্তিকা এক্সপ্রেস শ্রীমঙ্গল রেলওয়ে স্টেশনে এবং সিলেট থেকে ঢাকাগামী আন্তনগর পারাবত এক্সপ্রেস ভানুগাছ স্টেশনে আটকা পড়ে। রেললাইন থেকে গাছ সরিয়ে তারপর রেল যোগাযোগ স্বাভাবিক করা হয়।
জানা গেছে, রবিবার বিকালে সাড়ে ৫টার দিকে হঠাৎ মৌলভীবাজার সদর শ্রীমঙ্গল, বড়লেখা, কমলগঞ্জ ও কুলাউড়া উপজেলার উপর দিয়েও কালবৈশাখী ঝড় বয়ে যায়। প্রায় ৫ মিনিটের স্থায়ী ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে গাছপালা রাস্তার উপর পড়ে ও কাঁচাপাকা ঘরের চাল উড়ে যায়।
কালবৈশাখী ঝড়ে গাছ উপড়ে পড়ে অনেকের বসতঘর বিধ্বস্ত হয়েছে। বিভিন্ন দোকান ও বাড়ি-ঘরের চাল উড়ে গেছে। লন্ডভন্ড হয়ে গেছে বৈদুতিক লাইন। এরপর থেকে অধিকাংশ এলাকায় বিদ্যুৎবিহীন রয়েছে।
শ্রীমঙ্গল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আবু তালেব বলেন, কয়েক মিনিটের কালবৈশাখী ঝড়ে ব্যাপক তাণ্ডব ঘটায়। হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি। ক্ষয়ক্ষতি নিরুপণের জন্য মাঠে কয়েকটি টিম কাজ করছে।
সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাসরিন চৌধুরী বলেন, মিনিট ৬ এর কালবৈশাখী ঝড়ে ব্যাপক তাণ্ডব ঘটায়। নাজিরাবাদ ও গিয়াসনগর ইউপির কাঁচাঘর ভেঙে ১৩ আহত হয়।
ক্ষয়ক্ষতি নিরুপণের জন্য মাঠে কয়েকটি দল কাজ করছে।
আরও পড়ুন: বরিশাল বিভাগে কালবৈশাখী ঝড়ে নিহত ৭
কালবৈশাখী ঝড়ে ভোলায় ৫ শতাধিক ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত, নিহত ২
৬ মাস আগে
মৌলভীবাজারে আগুনে পুড়ে এক নারীর মৃত্যু
মৌলভীবাজারে বসতঘরে আগুন লেগে নূরজাহান বেগম নামে এক নারীর মৃত্যু হয়েছেন। এ সময় দুইটি গরু ও একটি ছাগল পুড়ে মারা যায়।
সোমবার (১ এপ্রিল) সকালে রাজনগরে প্রবাসী মিন্টু মিয়ার বাড়ির কেয়ারটেকার ময়না মিয়ার বসত ঘরে ঘটনাটি ঘটে গতকাল
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা ৪০ ছুঁই ছুঁই
নিহত নারী নূরজাহান বেগম ৬ সদস্যদের পরিবার নিয়ে প্রবাসীর বাড়িতে একটি টিনশেডের ঘরে থাকতেন।
স্থানীয়রা জানায়, ময়না মিয়ার পরিবারের সবাই সেহেরি খেয়ে ঘুমানোর পর বসতঘরে আগুন লাগে। এসময় প্রাণে বাঁচতে পরিবারের ছয় সদস্যের মধ্যে পাঁচজন বের হতে পারলেও নূরজাহান বের হতে পারেননি। তিনি ঘরের ভেতরেই দগ্ধ হয়ে মারা যান।
খবর পেয়ে রাজনগর ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে এবং নূরজাহানের লাশ উদ্ধার করে। তবে কী কারণে আগুন লেগেছে তা এখনো নিশ্চিতভাবে জানা যায়নি।
রাজনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুস ছালেক বলেন, আগুন লাগার কারণ বের করতে ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশ তদন্ত করছে।
আরও পড়ুন: সৌদি থেকে ফিরে পরিবারের খোঁজে সরোয়ার
ঝিনাইদহে ইটভাটার ট্রাক্টর চাপায় কলেজশিক্ষক নিহত
৭ মাস আগে
মৌলভীবাজারে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে পরিবারের ৫ সদস্যের পর চলে গেল শিশু সোনিয়াও
মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলার বসত ঘরের চালে বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে পড়ায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে আহত শিশু সোনিয়াও মারা গেছে। তার আগে একই ঘটনায় তার পরিবারের ৫ জনই মারা যান।
মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) ভোরে জেলার জুড়ী উপজেলার পূর্ব গোয়ালবাড়ি গ্রামে রহমত আলীর বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। মঙ্গলবার রাতে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে সোনিয়া মারা যায়।
আরও পড়ুন: মৌলভীবাজারে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২, আহত ৬
নিহত ৫ জন হলেন- ফয়জুর রহমান, স্ত্রী শিরি বেগম, মেয়ে সামিয়া বেগম, মেয়ে সাবিনা বেগম ও ছেলে সায়েম মিয়া। এদের মধ্যে মেয়ে সামিয়া বেগম নবম শ্রেণির ও সাবিনা বেগম সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিলেন।
এদিকে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ৫ জনের মৃত্যুর ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করেছে জেলা প্রশাসন। তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক হলেন- অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. আব্দুস সালাম চৌধুরী। অন্যান্য সদস্যরা হলেন- মো. ফজলুর রহমান, পিডিবির নির্বাহী প্রকৌশলী ও দীপংকর ঘোষ ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (কুলাউড়া সার্কেল)।
গঠিত তদন্ত কমিটি সরেজমিন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধান করে আগামী তিন কার্যদিবসের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করবেন।
জানা যায়, মঙ্গলবার রাত ২টা থেকে এই এলাকায় অনেক ঝড়-তুফান হয়। এ সময় বিদ্যুৎ ছিল না। পেশায় ঠেলা চালক ফয়জুর রহমানের বসত ঘরের ছাউনির টিনের উপর হাই ভোল্টের পল্লী বিদ্যুতের একটি তার ছিড়ে পড়েছিল।
রাত সাড়ে ৪টার দিকে বিদ্যুৎ আসলে তাদের ঘরে শর্টসার্কিটে সবাই বিদ্যুৎস্পৃষ্টে মারা যায়। পরে স্থানীয়রা খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস খবর দিলে একটি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে এনে ৫ জনের লাশ উদ্ধার করে।
জুড়ি উপজেলার পূর্ব গোয়ালবাড়ি সড়কের এক পাশে টিনের চালা ও বেড়ার তৈরি ঘরে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে থাকতেন ঠেলা চালক ফয়জুর রহমান। তার ঘরের উপর দিয়ে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির (পবিস) ১১ হাজার ভোল্টের বিদ্যুতের লাইন টানানো। নিজের জমি না থাকায় রহমত আলী নামের স্থানীয় এক ব্যক্তির পতিত জমিতে বাস করেছিলেন ফয়জুর।
আরও পড়ুন: মৌলভীবাজারে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে একই পরিবারের ৫ জনের মৃত্যু
মৌলভীবাজারে মাস শেষের আগেই ফুরিয়ে যায় গ্যাস, ভোগান্তিতে গাড়িচালক-যাত্রীরা
৭ মাস আগে