শুক্রবার রাতে স্বামীর বাড়ির সামনের রাস্তায় সন্তান শুইয়ে রেখে সারারাত বসে কাটিয়েছেন তিনি।
রেবিনা বেগমের অভিযোগে, গত বৃহস্পতিবার দুপুরে স্বামীর বাড়িতে গেলে শ্বশুরবাড়ির লোকজন তাকে মারধর করে তাড়িয়ে দেয়। এরপর থেকে সন্তানকে নিয়ে অনশন শুরু করেন তিনি।
স্থানীয়রা জানায়, ২০০৬ সালে উপজেলার ফকিরপাড়া গ্রামের মৃত তরিফ উদ্দিনের ছেলে এমদাদুল ইসলামের (২৮) সাথে একই উপজেলার বড়খাতা ইউনিয়নের পুর্ব সারডুবী গ্রামের ইউনুস আলীর মেয়ে রেবিনা বেগমের ৮০ হাজার টাকা যৌতুক দিয়ে বিয়ে হয়।
পরে এমদাদুল ইসলাম ব্যবসার কথা বলে স্ত্রীকে আবারও যৌতুকের টাকার জন্য চাপ দেন। রেবিনার বাবা গরিব হওয়ায় টাকা দিতে না পারায় স্ত্রীর ওপর নির্যাতন শুরু করেন এমদাদুল। স্থানীয়ভাবে কয়েকবার সালিশ হলেও তা কাজে আসেনি।
রেবিনা স্বামীর নির্যাতন সইতে না পেরে বাবার বাড়ি এসে আদালতে একটি মামলা করেন। এর মধ্যে আদালতে মামলা চলাকলীন এমদাদুল ইসলাম নীলফামারী জেলার চাপানী এলাকার নাজলী নামে এক নারীকে বিয়ে করে ঘরে নিয়ে আসেন। স্বামীর বিয়ের খবর শুনে রেবিনা সন্তান রাহুলকে (৭) নিয়ে স্বামীর বাড়ির সামনে অনশন শুরু করেন।
রেবিনা বেগম বলেন, ‘স্বামীর বাড়িতে গেলে শ্বশুরবাড়ির লোকজন মারধর করে আমাকে বাড়ি থেকে বের করে দেন। আমার স্বামীর সাথে তালাক হয়নি তাই স্বামীর অধিকার আমার আছে। আমার স্বামীকে ফিরে পেতে চাই।’
তিনি আরও বলেন, ‘স্বামী-স্ত্রীর মাঝে ঝগড়া হতেই পারে। তাই বলে আমার অনুমতি না নিয়ে অন্য জায়গায় বিয়ে করতে পারে না। সমাধান না পেলে সন্তানকে নিয়ে আত্মহত্যা করব।’
এমদাদুলের মা আলেকজন নেছা বলেন, ‘আমরা কেউ তাকে মারধর করিনি। ওই বউ মামলা করেছে তাই ছেলেকে অন্য জায়গায় বিয়ে দিয়েছি। ওই বউকে ঘরে উঠাব না।’
এ ব্যাপারে এমদাদুল ইসলামকে ফোন করলে তিনি বলেন, ‘আমি এখন বাজারে আছি আপনার সাথে এ বিষয়ে পরে কথা হবে।’
হাতীবান্ধা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওমর ফারুক বলেন, ‘মেয়ে পক্ষের কেউ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে বিষয়টি তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।’