বরগুনার পুলিশ সুপার মারুফ হোসেন স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রাত ৯টায় মিন্নিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এর আগে সকাল পৌনে ১০টার দিকে মিন্নিকে তার বাবার বাড়ি মাইঠা গ্রাম থেকে পুলিশ লাইনে আনা হয়। মামলার তদন্তকারী র্কমর্কতা বরগুনা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. হুমায়ুন কবির তার সাথে কথা বলেন।
মিন্নির সাথে তার বাবা মোজাম্মেল হোসেন কিশোরকেও পুলিশ লাইনে আনা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, হত্যাকোণ্ডের সাথে মিন্নির সংশ্লিষ্টতা প্রাথমিকভাবে প্রতীয়মান হওয়ায় মামলার মূল রহস্য উদঘাটন এবং সুষ্ঠু তদন্তের নিমিত্তে আয়শা সিদ্দিকা মিন্নিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এদিকে রিফাত হত্যার ঘটনায় স্ত্রী আয়শা সিদ্দিকা মিন্নি জড়িত দাবি করে গত ১৪ জুলাই বরগুনায় সর্বস্তরের জনগণের ব্যানারে একটি মানববন্ধন করা হয়।
মানববন্ধনের পরপরই বাবার বাড়িতে এক সংবাদ সম্মেলনে মিন্নি দাবি করেন, মামলায় অভিযুক্ত আসামিদের আড়াল করতেই তার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। এসময় তিনি অপপ্রচারকারীদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেন।
উল্লেখ্য, গত ২৬ জুন সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বরগুনা সরকারি কলেজের সামনে রিফাত শরীফকে সন্ত্রাসীরা প্রকাশ্যে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে। পরে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বিকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
এ ঘটনায় রিফাতের বাবা দুলাল শরীফ বাদী হয়ে ১২ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাতনামা সাতজনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেন।
রিফাত হত্যা মামলায় এ পর্যন্ত ১৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ২ জুলাই ভোররাতে মামলার প্রধান আসামি নয়ন বন্ড পুলিশের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে নিহত হন।
এখন পর্যন্ত এজাহারভুক্ত তিনজনসহ সাত আসামি হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছে। এ ঘটনায় বর্তমানে তিনজনকে বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।