রবিবার দুপুরে মরদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শরীয়তপুর সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
নিহত বিথি আক্তার (২৬) বাহের চন্দ্রপুর গ্রামের মৃত মইজদ্দিন বেপারীর ছেলে সাহাবুদ্দিন বেপারীর স্ত্রী। শাহাদাৎ নামে তার আট বছরের একটি ছেলে রয়েছে।
বিথির স্বজনদের দাবি, পরকীয়ার জের ধরে সাহাবুদ্দিন বিথিকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে। তবে স্বামীর দাবি, বিথি আত্মহত্যা করেছে।
বিথির বড় ভাই ইমরান হাওলাদার বলেন, ‘ভোরে সাহাবুদ্দিন ফোন করে আমাদের জানায় বিথির অবস্থা ভালো না। পরে আমরা গিয়ে দেখি ঘরের খাটের ওপর বিথির লাশ পড়ে আছে। এসময় আমরা বিথির কী হয়েছে জানতে চাইলে সাহাবুদ্দিন জানায় বিথি ভোর রাতে বাড়ির পাশের গাছের সাথে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। কিন্তু আশপাশের কেউ গাছের সাথে লাশ ঝুলতে দেখেনি। এর কিছুক্ষণ পর সাহাবুদ্দিন বাড়িতে লাশ ফেলে পালিয়ে যায়।’
ইমরান হাওলাদার অভিযোগ করেন, সাহাবুদ্দিনের সাথে একটি মেয়ের পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক ছিল। এ নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া বিবাদ হয়। এর জের ধরে সাহাবুদ্দিন বিথিকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে।
পালং মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসলাম উদ্দিন বলেন, ‘খবর পেয়ে গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য শরীয়তপুর সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছি। নিহতের স্বামী সাহাবুদ্দিন ও তার আত্মীয় স্বজনকে বাড়িতে পাওয়া যায়নি।’
এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা করা হয়েছে। ময়না তদন্তের রিপোর্ট অনুযায়ী আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান ওসি।