তার মেয়েকে ধর্ষণের মামলায় গ্রেপ্তার হবার পর আসামি পক্ষের লোকজন বাড়ির সীমানা প্রচীর দিয়ে তাদের পথ আটকে দিয়েছে। গত এক সপ্তাহ ধরে তারা বাড়ি থেকে বের হতে পারছেন না। তারা অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছেন।
রবিবার দুপুরে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার হাওয়ালখালি গ্রামের গৃহবধূ সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে এ অভিযোগ করেন।
তিনি বলেন, ‘গত ৩০ জানুয়ারি তার প্রতিবন্ধী মেয়েকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে তার প্রতিবেশি চাচা আকরম সরদার (৬০) । এক পর্যায়ে সে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে গর্ভপাত ঘটানোর জন্য আকরম তাকে তার মেয়ে ফেরদৌসির বাড়িতে নিয়ে যায়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে তাকে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতাল ও পরে খুলনায় ভর্তি করা হয়।’
এরই মধ্যে ওই গৃহবধূ আকরমের বিরুদ্ধে সাতক্ষীরা থানায় মামলা করেন। এ মামলায় আসামি করা হয় আকরম, তার স্ত্রী মাসকুরা, মেয়ে ফেরদৌসী ও জামাতা রেজাউলকে। পরে তারা উচ্চ আদালত থেকে জামিন নেন। সপ্তাহখানেক আগে আকরম সাতক্ষীরার একটি আদালতে হাজিরা দিতে এলে আদালত তাকে জেল হাজতে পাঠায়।
গৃহবধূ আরও জানান, আকরম জেলে যাবার পর তারা তাদের নিজ বাড়ির চারপাশে প্রাচীর দিয়েছে। যে গলি দিয়ে তারা এতোদিন যাতায়াত করতো সে গলিপথও বেড়া দিয়ে আটকে দিয়েছে তারা। গত এক সপ্তাহ যাবত প্রতিবন্ধী পরিবারের ছয়জন সদস্য আটকা পড়েছেন নিজ বাড়িতে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাঁশদহা ইউপি সদস্য শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘আমি চেষ্টা করেছি পথ উন্মুক্ত করে দেয়ার । কিন্তু ব্যর্থ হয়েছি। আজ চেয়ারম্যানের সাথে কথা বলে ফের পথ উন্মুক্ত করে দেয়ার ব্যবস্থা করবো।’