এছাড়াও পীরগাছা উপজেলার স্থানীয় আরও এক যুবককে বাড়িতে কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। এ নিয়ে গত ৭ দিনে রংপুর জেলায় ছয়জন হোম কোয়ারেন্টাইনে আছেন।
কাউনিয়া উপজেলায় তিনজন ও রংপুর সিটি করপোরেশনের কেল্লাবন্দ এলাকায় একজন হোম কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন বলে জানিয়েছেন জেলা সিভিল সার্জন হিরম্ব কুমার রায়।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, গত ১ মার্চ রাতে সরকারি সফরে আমেরিকায় যান রংপুর বিভাগীয় কমিশনার কেএম তারিকুল ইসলাম। গত সোমবার ভোরে তিনি দেশে ফেরেন। এরপর রংপুর পৌঁছে সার্কিট হাউজের একটি কক্ষে অবস্থান নেন।
এদিকে পীরগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. সানোয়ার বলেন, সোমবার দুপুরে অসুস্থ ওই যুবক তীব্র জ্বর অনুভব করলে স্থানীয় এক পল্লী চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন। স্থানীয় পল্লী চিকিৎসক কোনো কিছু না বুঝে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে বলে পরিবারের লোকজনকে জানান।
উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রের লোকজন খবর পেয়ে তাকে বাড়ি থেকে উদ্ধার করে রাতেই উপজেলা আইসোলেশন সেন্টারে ভর্তি করান। তার শরীরে প্রথম দিকে তীব্র জ্বর থাকলেও মঙ্গলবার তার শরীরের তাপমাত্রা স্বাভাবিক ছিল। ১৪ দিন হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার পরামর্শ দিয়ে আইসোলেশন সেন্টার থেকে তাকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।
রংপুর বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক আমিন আহমেদ খান জানিয়েছেন, মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত রংপুর বিভাগের ৬ জেলায় ৬৮ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইন করা হয়েছে। এর মধ্যে রংপুর বিভাগীয় কমিশনার কে এম তারিকুল ইসলাম রয়েছেন। তিনি আছেন রংপুর সার্কিট হাউজে।
রংপুর জেলা প্রশাসক আসিব আহসান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, একজন সরকারি উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তা হয়েও তিনি (বিভাগীয় কমিশনার) হোম কোয়ারেন্টাইনে আছেন। এটা সকলের জন্য সচেতনতার এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। বিভাগীয় কমিশনারের মতো সকলকেই এভাবে সচেতনতা অবলম্বনের আহ্বান জানান জেলা প্রশাসক।
এ বিষয়ে বিভাগীয় কমিশনার কেএম তারিকুল ইসলাম বলেন, ‘যেহেতু সরকারি নির্দেশনা আছে তাই কোয়ারেন্টাইনে অবস্থান করছি।’