বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে ডিসিআরইউ আয়োজিত অনুষ্ঠানে বক্তারা একথা বলেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর সাবেক তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী। বিশেষ অতিথি ছিলেন জাতীয় প্রেসক্লাবের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট ওমর ফারুক, সিনিয়র আইনজীবি ড. কুতুব উদ্দিন চৌধুরী, বাচসাস সভাপতি ফাল্গুনী হামিদ, চলচ্চিত্র প্রযোজক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সামসুল আলম, চলচ্চিত্র প্রযোজক ও যুবলীগ নেতা এনামুল হক আরমান।
ইকবাল সোবহান চৌধুরী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধ্বংস করে অনেক চেষ্টা হয়েছে তার নাম মুছে ফেলার। খুনিরা নীতিহীন, আদর্শহীন, দিকনির্দেশনাহীন একটি বাংলাদেশ গড়তে চেয়েছিল। খুনিরা শুধু বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেনি, তারা মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত সংবিধান ও আদর্শকে হত্যা করতে চেয়েছিল।’
শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন বাচসাসের সাবেক সাধারণ সম্পাদক তাপস রায়হান, সাবেক ছাত্রনেতা ও ঢাকা মহানগর সেশন জজ ও বিশেষ ট্রাইব্যুনাল আদালতের অতিরিক্ত পি.পি মো. নূর হোসেন বলাই ও সাউথ সিটির এম.ডি এইচ. এম. কামাল হোসেন।
২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলার বিষয়ে ওমর ফারুক বলেন, ‘সেদিন আওয়ামী লীগকে একেবারে নেতৃত্বহীন করতে চেয়েছিল। সৃষ্টিকর্তার অপার মহিমায় সে যাত্রায় রক্ষা পাওয়া গেছে। তার পরও আইভি রহমানসহ বহু রাজনৈতিক কর্মীর জীবন প্রদীপ নিভে গেল। এখনো অসংখ্য মানুষ গ্রেনেডের স্প্লিন্টার শরীরে নিয়ে জীবন কাটাচ্ছে।
ড. কুতুব উদ্দিন চৌধুরী বলেন, শেখ হাসিনা বহুবার মৃত্যুর মুখোমুখি দাঁড়িয়েছেন। কিন্তু মৃত্যুভয়ে তিনি পিছিয়ে যাননি। আওয়ামী লীগ সরকার পরিচালনায় রয়েছে, তাই এখনই সময় এ হত্যাকাণ্ডের পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত করা।
ডিসিআরইউ এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি রেজাউল করিম রেজার সভাপতিত্বে এবং অনজন রহমানের সঞ্চালনায় আলোচনা শেষে ১৫ আগস্ট ও ২১ আগস্টে সকল শহীদদের আত্মার মাগফিরাতের জন্য বিশেষ দোয়া করা হয়। দোয়া পরিচালনা করেন ঢাকা সাব-এডিটরস কাউন্সিলের যুগ্ম সম্পাদক জাওহার ইকবাল।