এডিবি
বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে ১.০৮ বিলিয়ন ডলার যোগ হতে পারে
এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) এবং আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) কাছ থেকে বাংলাদেশ ১ দশমিক ০৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণ পেতে পারে।
মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) অর্থ মন্ত্রণালয়ের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ইউএনবিকে বলেছেন, আগামী ১২ ডিসেম্বর এডিবি বোর্ড সভায় বাংলাদেশের জন্য ৪০০ মিলিয়ন ডলারের একটি ঋণ প্রস্তাব উত্থাপন করা হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, একই দিনে আইএমএফের বোর্ড সভায় বাংলাদেশকে দেওয়া ৪ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলার ঋণের দ্বিতীয় কিস্তির ৬৮১ মিলিয়ন ডলার অনুমোদনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে সংস্থাটি।
উভয় ঋণ প্রস্তাব আগামী সপ্তাহে অনুমোদিত হলে বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে ১ দশমিক ০৮ বিলিয়ন ডলার যোগ হতে পারে।
এটি বৈদেশিক মুদ্রার ঘাটতিতে স্বস্তি আনবে। যা আমদানি বিল পরিশোধ এবং বাংলাদেশের নাগরিকদের বিদেশে শিক্ষা ও চিকিৎসার অর্থ প্রদানের জন্য প্রয়োজনীয় ডলারের ঘাটতি মেটাবে।
আরও পড়ুন: ডিসেম্বরে আইএমএফের ঋণের দ্বিতীয় কিস্তি পাওয়ার আশা বাংলাদেশ ব্যাংকের
৪.৭ বিলিয়ন ডলার ঋণের পরবর্তী কিস্তির জন্য আইএমএফের সঙ্গে চুক্তি সই
আইএমএফ ৪.৭০ বিলিয়ন ডলার ঋণের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ও রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা শিথিল করেছে
রোহিঙ্গা সংকট মোকাবিলায় বিশ্বব্যাংক-এডিবির ঋণ নয়, অনুদান চাই: টিআইবি
রোহিঙ্গা সংকট মোকাবিলা করতে ঋণের পরিবর্তে অনুদান দিতে বিশ্বব্যাংক ও এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) সঙ্গে আলোচনা করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)।
সোমবার টিআইবির সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ আহ্বান জানানো হয়েছে।
বিশ্বব্যাংক ও এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) কাছ থেকে চাওয়া এক বিলিয়ন ডলারের বিপরীতে ৫৩৫ মিলিয়ন ডলার ঋণ এবং ৪৬৫ মিলিয়ন অনুদানের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।
রোহিঙ্গা শরণার্থী সংকট মোকাবিলায় এমন সিদ্ধান্ত নিতে বাংলাদেশের বাধ্য হওয়ার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে টিআইবি।
আরও পড়ুন: আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থা সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত খাত: টিআইবি জরিপ
একই সঙ্গে রোহিঙ্গা সংকটের মতো বৈশ্বিক মানবিক সংকট মোকাবিলার জন্য অনুদান হিসেবে দিতে বিশ্বব্যাংক ও এডিবির সঙ্গে আলোচনার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে সংস্থাটি।
পাশাপাশি, এই নীপিড়নমূলক মানবিক সংকট মোকাবিলায় নিজ নিজ অবস্থান থেকে ন্যায্য ও যথাযথভাবে এগিয়ে আসতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে সংস্থাটি।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রোহিঙ্গা সংকটের মতো এমন একটি মানবিক সংকট মোকাবিলার সব ভার শুধু বাংলাদেশের উপর চাপিয়ে দেওয়া পুরোপুরি অন্যায্য এবং তা মোটেই কার্যকর ও টেকসই সমাধান নয়।
এই সংকট সমাধানের জন্য প্রয়োজন সম্মিলিত পদক্ষেপ ও বৈশ্বিক সংহতি। মিয়ানমারে নিপীড়নের শিকার হয়ে পালিয়ে আসা ১০ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা শরণার্থীকে আশ্রয় প্রদান ও বছরের পর বছর ভরণপোষণের দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে নিজেদের সামর্থ্যের সর্বোচ্চ করেছে বাংলাদেশ।
এই বাড়তি অর্থনৈতিক বোঝা সম্মিলিতভাবেই বহন করার দায়িত্ব আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের। নির্যাতনে দেশ ছাড়তে বাধ্য হওয়া রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়েছে বলে, এই অর্থনৈতিক বোঝার পুরোটাই অনন্তকাল ধরে বাংলাদেশের কাঁধে চাপিয়ে দেওয়ার সুযোগ নেই।
বিশেষত, যখন বাংলাদেশ নিজস্ব অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে সেই মুহূর্তে এই ঋণ চাওয়ার সিদ্ধান্ত দ্বিগুণ উদ্বেগজনক।
টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান এ বিষয়ে বলেন, ‘রোহিঙ্গা সংকট মোকাবিলায় বিশ্বব্যাংক ও এডিবি থেকে ঋণ গ্রহণের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা এবং রোহিঙ্গা সংকটসংশ্লিষ্ট সব খরচের সুষ্ঠু ও ন্যায়সঙ্গত বণ্টন নিশ্চিতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে সংলাপের জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানাই।’
তিনি আরও বলেন, ‘ঋণ নয় অনুদান হিসেবে সহায়তা প্রদানের জন্য বিশ্বব্যাংক ও এডিবির প্রতি আমরা আহ্বান জানাই।’
বাস্তুহীন রোহিঙ্গাদের জন্য আন্তর্জাতিক অনুদান হ্রাসের প্রবণতায় টিআইবি বিশেষভাবে উদ্বিগ্ন।
এর মাধ্যমেই প্রমাণ হয়- আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় যে কাপুরুষের মতো তাদের দায় এড়িয়ে যাচ্ছে এবং এই বোঝা বহনের দায়িত্ব শুধু বাংলাদেশের উপর চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে। অনুদান কমে যাওয়ার কারণে মাথাপিছু খাদ্য সহযোগিতায় বরাদ্দ প্রতি মাসে ১২ ডলার থেকে ৮ ডলারে নেমে এসেছে।
ড. জামান বলেন, ‘বৈশ্বিক সম্প্রদায়, বিশেষ করে মিয়ানমারের বহুমাত্রিক অংশীদারত্ব, স্বার্থসংশ্লিষ্ট দেশসমূহের দায়িত্ব হলো রোহিঙ্গা মানবিক সহায়তা বৃদ্ধি, বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের নিরাপদ ও স্বেচ্ছায় প্রত্যাবর্তনের টেকসই সমাধান এবং মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধের জন্য মায়ানমারকে জবাবদিহির মুখোমুখি করার মাধ্যমে বাংলাদেশের প্রতি সহায়তার হাত বাড়ানো।’
রোহিঙ্গা শরণার্থী সংকটের আন্তর্জাতিক উদ্যোগ সমন্বয়ে আরও সক্রিয় ভূমিকা পালনের জন্য জাতিসংঘ এবং তার সংস্থাগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছে টিআইবি।
সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালক বলেন, ‘রোহিঙ্গা শরণার্থীরা যাতে প্রয়োজনীয় সহায়তা পায়, তা নিশ্চিত করা জাতিসংঘের নৈতিক দায়িত্ব। মিয়ানমারে রোহিঙ্গা জনগণের উপর চলমান নিপীড়নসহ এই সংকটের মূল কারণসমূহ মোকাবিলায় জাতিসংঘকেও কাজ করতে হবে।’
পরিচালক আরও বলেন, ‘রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী যথেষ্ট ভোগান্তির শিকার হয়েছে এবং মর্যাদাপূর্ণ ও নিরাপদ জীবনের অধিকার তাদের আছে। রোহিঙ্গা নিপীড়ন-গণহত্যা থেকে সৃষ্ট অর্থনৈতিক, সামাজিক, পরিবেশগত ও নিরাপত্তাসংক্রান্ত চ্যালেঞ্জ বইতে গিয়ে বাংলাদেশ অনেক বেশি চাপে রয়েছে। এখন সেই চাপ মোকাবিলার জন্য বাংলাদেশকে ঋণ নিতে বাধ্য করার মতো নিন্দনীয় ও ঘৃণ্য কাজ আর কী হতে পারে!’
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে অ্যামনেস্টি,আরএসএফ ও টিআইবি বিশ্বাসযোগ্যতা হারিয়েছে: তথ্যমন্ত্রী
স্বাস্থ্য খাত নিয়ে টিআইবি মিথ্যাচার করেছে: মন্ত্রী
ঢাকা-উত্তরপশ্চিমাঞ্চল আন্তর্জাতিক বাণিজ্য করিডোর উন্নয়ন: বাংলাদেশকে ৩০০ মিলিয়ন ডলার ঋণ দেবে এডিবি
এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (এডিবি) এবং বাংলাদেশ সরকার মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) বাংলাদেশের উত্তরপশ্চিমাঞ্চলের সঙ্গে রাজধানী ঢাকার আন্তর্জাতিক বাণিজ্য করিডোর উন্নয়নে ২৭৭ দমমিক ৮৮ মিলিয়ন ইউরো (৩০০ মিলিয়ন ডলার) ঋণচুক্তি সই করেছে।
ঢাকায় ইআরডিতে এক অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ও এডিবির পক্ষে যথাক্রমে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সচিব মো. শাহরিয়ার কাদের সিদ্দিকী এবং এডিবির কান্ট্রি ডিরেক্টর এডিমন গিনটিং ঋণচুক্তিতে সই করেন।
আঞ্চলিক উন্নয়ন ব্যাংকটি বলেছে, সড়কপথে বাংলাদেশের ৭০ শতাংশ যাত্রী পরিবহন হয় এবং ৬০ শতাংশ পণ্য পরিবহন হয়।
এই সহায়তা এডিবি’র দ্বিতীয় সাউথ এশিয়া সাবরিজিয়নাল ইকোনোমিক কো-অপারেশন (সাসেক) ঢাকা-উত্তরপশ্চিমাঞ্চলের করিডোর সড়ক প্রকল্পের জন্য ১ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলারের মাল্টিট্রাঞ্চ ঋণের তৃতীয় ধাপ।
এডিবি কান্ট্রি ডিরেক্টর এডিমন গিনটিং বলেন, ‘এই প্রকল্প সড়ক পরিবহন ব্যবস্থার আধুনিকীকরণ এবং উপআঞ্চলিক সংযোগ ও বাণিজ্যের উন্নয়নে বাংলাদেশের প্রতিশ্রুতিকে সমর্থন করে।’
তিনি বলেন, এটি ঢাকা ও দেশের উত্তরপশ্চিমাঞ্চল সড়ক করিডোরে যানবাহন পরিচালনার খরচ, ভ্রমণের সময়, যানবাহনের নির্গমন, দুর্ঘটনা ও যানজট কমাতে সাহায্য করবে।
গিনটিং আরও বলেন, ‘প্রকল্পটি করিডোর সংলগ্ন এলাকার অর্থনৈতিক উন্নয়ন ত্বরান্বিত করতে এবং ভুটান, নেপাল ও ভারতের সঙ্গে উপ-আঞ্চলিক বাণিজ্য সহজতর করতে সহায়তা করবে।’
প্রকল্পটি এলেঙ্গা থেকে হাটিকুমরুল হয়ে রংপুর পর্যন্ত ১৯০ কিলোমিটার অংশকে চার লেন করে বাংলাদেশের একটি দক্ষ ও আধুনিক পরিবহন ব্যবস্থার লক্ষ্য অর্জনে অবদান রাখবে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের জ্বালানি সক্ষমতা বৃদ্ধিতে ২০০ মিলিয়ন ডলার ঋণ দেবে এডিবি
এটি রাস্তার নিরাপত্তা বাড়াবে এবং নারীদের ভ্রমণকে নিরাপদ করতে ফুটব্রিজ, ফুটপাথ ও ধীরগতির ট্র্যাফিকের জন্য দুটি ডেডিকেটেড লেন অন্তর্ভুক্ত করবে।
কারণ গবেষণায় দেখা গেছে, নারীরা; বিশেষ করে পায়ে চলা বা ধীরগতির যানবাহন যেমন রিকশার মতো রুট বেশি ব্যবহার করে।
সড়ক ও জনপথ বিভাগের সড়ক পরিচালনা ও ব্যবস্থাপনাও জোরদার করা হবে। রাস্তা নির্মাণের জন্য জলবায়ু-স্থিতিস্থাপক নকশা গ্রহণ করা হবে।
১৯৯৪ সালে যুগান্তকারী যমুনা সেতু প্রকল্প অনুমোদনের পর থেকে এডিবি ঢাকা-উত্তরপশ্চিমাঞ্চলের সড়ক করিডোর উন্নয়নে বাংলাদেশকে সহায়তা করে আসছে।
২০১২ সালে অনুমোদিত সাসেক সড়ক সংযোগ প্রকল্পের অধীনে সড়কটির ৭০ কিলোমিটার জয়দেপুর-এলেঙ্গা অংশটি নির্মাণ করা হয়েছিল।
এটি বুড়িমারী ও বেনাপোল স্থলবন্দরগুলোর কার্যকারিতাও উন্নত করেছে, যা যথাক্রমে ভুটান ও ভারতে প্রবেশদ্বার।
পরিবহন অবকাঠামো এডিবির সাসেক প্রকল্পের কেন্দ্রবিন্দু, যা আঞ্চলিক উন্নয়নে সহায়তা করে।
এডিবির অর্থায়নে ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সাসেক সদস্য দেশগুলো পরিবহন খাতে ১৩ দশমিক ১৭ বিলিয়ন মূল্যের ৪৬টি প্রকল্পসহ ১৮ দশমিক ৪১ বিলিয়ন ডলারের বেশি মূল্যের ৭৯টি প্রকল্প সই ও বাস্তবায়ন করেছে।
আরও পড়ুন: দেশের গ্রামাঞ্চলে কমিউনিটি স্থিতিস্থাপকতা ও জীবিকা নির্বাহের জন্য ১২০ মিলিয়ন ডলার ঋণ দিচ্ছে এডিবি
এশিয়া প্যাসিফিককে সহায়তা করতে আগামী দশকে ১০০ বিলিয়ন ডলারের নতুন তহবিল উন্মোচন এডিবির
বাংলাদেশের জ্বালানি সক্ষমতা বৃদ্ধিতে ২০০ মিলিয়ন ডলার ঋণ দেবে এডিবি
এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) এবং বাংলাদেশ সরকার মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) স্মার্ট মিটারিংয়ের মাধ্যমে বাংলাদেশকে জ্বালানির দক্ষতা বাড়াতে এবং ক্লিন এনার্জি সলিউশনে রূপান্তরকে সমর্থন করার জন্য ২০০ মিলিয়ন ডলারের একটি ঋণচুক্তি সই করেছে।
বাংলাদেশ ও এডিবির পক্ষে যথাক্রমে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব মো. শাহরিয়ার কাদের সিদ্দিকী এবং এডিবির কান্ট্রি ডিরেক্টর এডিমন গিনটিং চুক্তিতে সই করেন।
ম্যানিলাভিত্তিক ঋণদানকারী সংস্থাটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, স্মার্ট মিটারিং এনার্জি এফিসিয়েন্সি ইমপ্রুভমেন্ট প্রজেক্ট প্রাথমিকভাবে দক্ষিণ ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জে আবাসিক গ্রাহকদের জন্য ৬ লাখ ৫০ হাজার স্মার্ট প্রিপেইড গ্যাস মিটার (এসপিজিএম) ইনস্টল করে লোকসান কমাতে সরকারের প্রচেষ্টাকে সহায়তা করবে।
প্যারিস চুক্তির অধীনে বাংলাদেশের নিজস্ব জলবায়ু প্রশমন ব্যবস্থাগুলোর মধ্যে একটি হল এসপিজিএম ইনস্টল করা।
এডিবি জানিয়েছে, প্রকল্পটি বছরে প্রায় ৪ লাখ টন কার্বন ডাই অক্সাইড নির্গমন হ্রাস করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
গিনটিং বলেছেন, ‘এই প্রকল্প গ্যাস বাঁচাতে সাহায্য করবে; গ্যাসের অপচয় রোধ করা; গ্যাসের নিরাপদ ও দক্ষ ব্যবহার সম্পর্কে গ্রাহকদের সচেতনতা তৈরি করা; রাজস্ব প্রবাহ বৃদ্ধি করে এবং বিল তৈরি, সংগ্রহ ও নিরীক্ষণের খরচ কমিয়ে গ্যাস বিতরণ কোম্পানির আর্থিক কর্মক্ষমতা উন্নয়ন করে।’
আরও পড়ুন: দেশের গ্রামাঞ্চলে কমিউনিটি স্থিতিস্থাপকতা ও জীবিকা নির্বাহের জন্য ১২০ মিলিয়ন ডলার ঋণ দিচ্ছে এডিবি
এতে বলা হয়েছে, ‘প্রকল্পটি গ্যাস বিতরণ উপখাতের জন্য বাংলাদেশের জলবায়ু প্রশমন লক্ষ্যমাত্রা পূরণেও অবদান রাখবে। যেমনটি ২০২১ সালের জাতীয়ভাবে নির্ধারিত অবদানের আপডেট করা হয়েছে।’
প্রকল্পটি রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন দেশের বৃহত্তম গ্যাস বিতরণ কোম্পানি তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের রূপান্তরমূলক এবং আধুনিক পদ্ধতির মাধ্যমে অপারেশনাল দক্ষতা বাড়ায়।
এর মধ্যে রয়েছে উন্নত ডিজিটাল প্রযুক্তি, যেমন ইউনিফাইড মিটারিং ডেটা ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের সাথে সংযুক্ত স্মার্ট মিটার এবং একটি স্বয়ংক্রিয় ওয়েব-ভিত্তিক অভিযোগ ব্যবস্থাপনা সিস্টেমের ব্যবহারের প্রচার।
১ দশমিক ৭৫ মিলিয়ন ডলারের একটি সহগামী প্রযুক্তিগত সহায়তার মাধ্যমে এডিবি সরকারকে তার স্বল্প-কার্বন জ্বালানি রূপান্তর এবং গ্যাস বিতরণ উপখাতের জন্য মিথেন লিকেজ ক্ষতি হ্রাস পরিকল্পনায় সহায়তা করবে।
এর মধ্যে রয়েছে উদ্ভাবনী ক্লিন এনার্জি সলিউশনের উপর প্রাক-সম্ভাব্যতা অধ্যয়ন তৈরি করা এবং কার্বন ক্রেডিট ব্যবহারসহ ভবিষ্যতের প্রকল্প অর্থায়নের জন্য ব্যক্তিগত পুঁজি অভিগম্যতার কার্যকারিতা মূল্যায়ন করা।
কারিগরি সহায়তা বিশেষ তহবিল থেকে ১ মিলিয়ন ডলার অনুদান এবং এডিবির পরিচালিত রিপাবলিক অব কোরিয়া ই-এশিয়া এবং নলেজ পার্টনারশিপ ফান্ড থেকে ৭ লাখ ৫০ হাজার ডলার অর্থায়ন সহায়তা করা হবে।
আরও পড়ুন: এশিয়া প্যাসিফিককে সহায়তা করতে আগামী দশকে ১০০ বিলিয়ন ডলারের নতুন তহবিল উন্মোচন এডিবির
বাংলাদেশের তিনটি বিশ্ববিদ্যালয়কে ১০০ মিলিয়ন ডলার ঋণ দিচ্ছে এডিবি
দেশের গ্রামাঞ্চলে কমিউনিটি স্থিতিস্থাপকতা ও জীবিকা নির্বাহের জন্য ১২০ মিলিয়ন ডলার ঋণ দিচ্ছে এডিবি
বাংলাদেশের পার্বত্য চট্টগ্রামের প্রত্যন্ত ও গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর মৌলিক সেবা ও জলবায়ু স্থিতিস্থাপকতা উন্নত করতে ১২০ মিলিয়ন ডলারের ঋণ চুক্তি সই করেছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) ও বাংলাদেশ সরকার।
বুধবার অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব শরিফা খান ও এডিবির কান্ট্রি ডিরেক্টর এডিমন গিন্টিং চুক্তিতে সই করেন।
আরও পড়ুন: এডিবি'র সর্বশেষ প্রতিবেদন: ২০২৪ অর্থবছরকে বাংলাদেশের জন্য একটি ভালো বছর হিসেবে পূর্বাভাস
এডিবির কান্ট্রি ডিরেক্টর বলেন, ক্লাইমেট রিসাইল্যান্ট লাইভলিহুড ইমপ্রুভমেন্ট অ্যান্ড ওয়াটারশেড ম্যানেজমেন্ট হন চিটাগং হিল ট্র্যাক্ট সেক্টর প্রজেক্টের অধীনে এই অঞ্চলে টেকসই ও স্থিতিস্থাপক কমিউনিটি উন্নয়নে একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক, সামগ্রিক ও অংশগ্রহণমূলক পদ্ধতি গ্রহণ কো হবে।
এই প্রকল্পের অধীনে ২০৩১ সালের মধ্যে কমপক্ষে ৭ হাজার ৫০০ হেক্টর কৃষি জমিতে ফসল উৎপাদন ৫০ শতাংশ বাড়াবে বলে আশা করা হচ্ছে।
এ ছাড়া ৫৭ হাজার পরিবারের নারীদের পানীয় জল আনতে যে সময় ব্যয় হয় তার ৫০ শতাংশ হ্রাস করবে। পাশাপাশি প্রকল্পের অধীন রাস্তায় বাস, প্রাইভেটকার ও ট্রাকের যে সময় লাগত তার থেকে ৫০ শতাংশ কম সময় লাগবে।
প্রকল্পটি তিন পার্বত্য জেলা বান্দরবান, খাগড়াছড়ি ও রাঙ্গামাটিকে অন্তর্ভুক্ত করবে। এডিবির মতে, এটি গ্রামীণ সড়কের উন্নয়ন, পানি সরবরাহের উৎস, স্যানিটেশন পরিষেবা, ছাদে সৌর বিদ্যুৎ স্থাপন ও কৃষি সুবিধা স্থাপনে সহায়তা করবে।
প্রকল্পটি প্রায় ১৪০ কিলোমিটার গ্রামীণ সড়ককে প্রকৃতি-ভিত্তিক, জলবায়ু-সহনশীল এবং সুরক্ষিত রাখবে।
এডিবি'র এই হস্তক্ষেপের ফলে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় স্থিতিস্থাপকতা বৃদ্ধি ও প্রাকৃতিক দুর্যোগের ঝুঁকি প্রশমনে নয়টি সাব-ওয়াটারশেডে জলাবদ্ধতা ব্যবস্থাপনা জোরদার হবে।
এর ফলে কৃষিবনায়নের মাধ্যমে জলাশয় এলাকায় সবজি চাষের উন্নয়ন, ক্ষুদ্র পরিসরে পানি সংগ্রহের অবকাঠামো নির্মাণ, জলাশয় সুরক্ষা থেকে আয়বর্ধক কার্যক্রমের প্রচার এবং জলাশয় ব্যবস্থাপনা দক্ষতায় গ্রাম বন কমিটিকে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হবে।
এ ছাড়াও, প্রকল্পটি খাদ্য নিরাপত্তার জন্য টেকসই ভূমি ব্যবহার এবং জলবায়ু-স্মার্ট কৃষি অনুশীলনকে সমর্থন করবে।
জলবায়ু সহনশীল ফসলের জাত পরিবর্তন এবং উচ্চমূল্যের শাকসবজি, ফলমূল, মশলা ও ওষুধি উদ্ভিদে বৈচিত্র্য আনতে কৃষকদের প্রশিক্ষণ ও সহায়তা দেওয়া হবে।
তাদের প্রশিক্ষণ, সরঞ্জাম, বিশেষজ্ঞ, বেসরকারি খাতের সঙ্গে সংযোগ দেওয়া হবে যাতে তারা তাদের পণ্য প্রক্রিয়াকরণ, বিপণন ও বিক্রয় করতে সহায়তা করে।
কাঠের কাজ, খাবার প্রক্রিয়াজাতকরণ, উদ্যোক্তা ও সম্প্রদায়ভিত্তিক ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্টের মতো বৃত্তিমূলক ও পেশাদার প্রশিক্ষণ কোর্স প্রদানের মাধ্যমে দক্ষ শ্রমের চাহিদা পূরণ করা হবে।
আরও পড়ুন: এশিয়া প্যাসিফিককে সহায়তা করতে আগামী দশকে ১০০ বিলিয়ন ডলারের নতুন তহবিল উন্মোচন এডিবির
বাংলাদেশের তিনটি বিশ্ববিদ্যালয়কে ১০০ মিলিয়ন ডলার ঋণ দিচ্ছে এডিবি
এশিয়া প্যাসিফিককে সহায়তা করতে আগামী দশকে ১০০ বিলিয়ন ডলারের নতুন তহবিল উন্মোচন এডিবির
এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) বুধবার মূলধন ব্যবস্থাপনা সংস্কারের অনুমোদন দিয়েছে। এটি এই অঞ্চলের ওভারল্যাপিং, সমকালীন সংকট মোকাবিলায় আগামী এক দশকে ১০০ বিলিয়ন ডলারের নতুন তহবিল অনুমোদন দিয়েছে।
জলবায়ু সংকট মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় বিলিয়ন থেকে ট্রিলিয়ন ডলারে স্থানান্তরের জন্য বেসরকারি ও অভ্যন্তরীণ মূলধন সংগ্রহের মাধ্যমে তহবিলের সম্প্রসারণ আরও বাড়ানো হবে।
আরও পড়ুন: ২০২২ সালে বৈশ্বিক বাণিজ্যিক আর্থিক ঘাটতি ২.৫ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত: এডিবি
ম্যানিলা থেকে পাওয়া এক বার্তায় বলা হয়, এডিবির ক্যাপিটাল অ্যাডিকোয়েন্সি ফ্রেমওয়ার্কের (সিএএফ) আপডেটের মাধ্যমে এই সংস্কার চালু করা হয়েছে।
তারা ব্যাংকের বার্ষিক নতুন প্রতিশ্রুতির ক্ষমতা ৩৬ বিলিয়নেরও বেশি প্রসারিত করেছে। অর্থাৎ প্রায় ১০ বিলিয়ন ডলার বা প্রায় ৪০ শতাংশ বাড়িয়েছে।
সামগ্রিক ঝুঁকি রক্ষণাবেক্ষণের পাশাপাশি এডিবির প্রত্যাশিত বিবেচ্য মূলধনের মাধ্যমে এই সম্প্রসারণ অর্জন করা হয়।
এই সংস্কারগুলো অপ্রত্যাশিত সংকট মোকাবিলা করতে এডিবির উন্নয়নশীল সদস্য দেশগুলোকে (ডিএমসি) সহায়তা করার জন্য একটি কাউন্টারসাইক্লিকাল লেন্ডিং বাফার তৈরি করে।
আগামী এক দশকে এডিবি তার ডিএমসি এবং বেসরকারি খাতের ক্লায়েন্টদের নিজস্ব অর্থায়নের ৩৬০ বিলিয়ন ডলার পর্যন্ত সরবরাহ করতে সক্ষম হবে। যা এডিবি তার এএএ ক্রেডিট রেটিং বজায় রাখবে এবং ডিএমসিগুলোকে স্বল্প খরচে এবং দীর্ঘ মেয়াদে তহবিল সরবরাহের ক্ষমতা নিশ্চিত করবে।
সংস্কারগুলো একটি পুনরুদ্ধার পরিকল্পনা প্রবর্তনের মাধ্যমে এডিবির এএএ ক্রেডিট রেটিংকে আরও সুরক্ষিত করে। এটি আর্থিক চাপের সময় মূলধন কমে যাওয়া রোধ করবে। এডিবির ক্যাপিটাল অ্যঅডিকোয়েন্সি ফ্রেমওয়ার্ক প্রতি ৩ বছর পর পর পর্যালোচনা করা হয়।
এডিবির প্রেসিডেন্ট মাসাতসুগু আসাকাওয়া বলেন, এই গুরুত্বপূর্ণ সংস্কারগুলো এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলজুড়ে গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়ন প্রচেষ্টায় এডিবির সক্ষমতা উল্লেখযোগ্যভাবে সম্প্রসারিত করবে।
তিনি বলেন, আমাদের সম্পদ দিয়ে আরও বেশি ও দ্রুত কাজ করার আহ্বান জানিয়েছে বহুপাক্ষিক উন্নয়ন ব্যাংকগুলোকে (এমডিবি)। সেই আহ্বানে এডিবি'র সাড়া দেওয়ার অংশ হিসেবেই আমাদের আজকের এই সিদ্ধান্ত। এসব সম্পদ এই অঞ্চলের বেশকিছু জটিল সংকট মোকাবিলা করতে সহায়তা করবে। যেমন- লিঙ্গ বৈষম্য মোকাবিলা এবং জলবায়ু পরিবর্তনের অস্তিত্বগত চ্যালেঞ্জের প্রেক্ষাপটে মৌলিক চাহিদাগুলো সরবরাহ করতে সহায়তা করবে। এই অতিরিক্ত ঋণ দেওয়ার ক্ষমতা আরও প্রসারিত হবে এবং বেসরকারি ও অভ্যন্তরীণ মূলধন সংগ্রহ এবং আমাদের কাজের প্রভাব সর্বাধিক করার জন্য নতুন প্রচেষ্টার মাধ্যমে আরও বাড়ানো হবে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের তিনটি বিশ্ববিদ্যালয়কে ১০০ মিলিয়ন ডলার ঋণ দিচ্ছে এডিবি
এডিবি'র সর্বশেষ প্রতিবেদন: ২০২৪ অর্থবছরকে বাংলাদেশের জন্য একটি ভালো বছর হিসেবে পূর্বাভাস
বাংলাদেশের তিনটি বিশ্ববিদ্যালয়কে ১০০ মিলিয়ন ডলার ঋণ দিচ্ছে এডিবি
বাংলাদেশের তিনটি বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার বিজ্ঞান, সফ্টওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং ও তথ্য প্রযুক্তি (আইটি) প্রোগ্রাম উন্নত করতে ১০০ মিলিয়ন ডলার ঋণ অনুমোদন করেছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)।
শুক্রবার(২২ সেপ্টেম্বর) এই ঋণের অনুমোদন দেয় ব্যাংকটি।
এডিবির সামাজিক খাতের অর্থনীতিবিদ রিওতারো হায়াশি বলেন, চতুর্থ শিল্প বিপ্লব প্রযুক্তি গ্রহণকে ত্বরান্বিত করতে এবং ডিজিটাল বাংলাদেশের রূপকল্প বাস্তবায়নে উচ্চশিক্ষায় সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং প্রোগ্রাম উন্নীত করা সময়ের দাবি।
তিনি বলেন, ‘এই প্রকল্পটি আরও দক্ষ ও প্রযুক্তিবান্ধব স্নাতক এবং উদ্যোক্তাদের বিকাশে সহায়তা করবে, যারা দেশের আইটি শিল্পকে এগিয়ে নিতে সাহায্য করতে পারে।’
আরও পড়ুন: দক্ষ জনশক্তি গড়তে বাংলাদেশকে ৩০০ মিলিয়ন ডলার ঋণ দেবে এডিবি
এডিবির তথ্য মতে, প্রকল্পটি বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট), ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল, সফটওয়্যার প্রকৌশল ও তথ্য প্রযুক্তিবিষয়ক প্রোগ্রামগুলোকে সময়োপযোগী করবে।
এই প্রোগ্রামগুলো মিশ্র শিক্ষার কৌশলগুলো গ্রহণ করবে এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, রোবোটিক্স ও ইন্টারনেট অব থিংসের মতো সর্বশেষ প্রযুক্তিগুলোকে একীভূত করবে।
শিক্ষার্থীরা যাতে আন্তর্জাতিক মান বজায় রেখে করা সময়োপযোগী পাঠ্যক্রম পায় সেটি নিশ্চিত করতে এই প্রোগ্রামগুলো আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি দাবি করবে।
আরও পড়ুন: ২০২২ সালে বৈশ্বিক বাণিজ্যিক আর্থিক ঘাটতি ২.৫ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত: এডিবি
এডিবি তিনটি বিশ্ববিদ্যালয়ে আধুনিক শ্রেণীকক্ষ ও পরীক্ষাগার স্থাপন, সহযোগিতা ওস্টার্ট-আপ স্পেস এবং সহায়ক সুবিধাদি প্রতিষ্ঠায় সহায়তা করবে।
এই সুবিধাগুলো জলবায়ু ও দুর্যোগসহনশীল নকশা, জ্বালানি ও পানিসাশ্রয়ী বৈশিষ্ট্যগুলোকে অন্তর্ভুক্ত করবে এবং নারীবান্ধব সুযোগ-সুবিধা ও পরিষেবাগুলো অন্তর্ভুক্ত করবে।
বিশ্ববিদ্যালয়গুলো নতুন শিক্ষামূলক পদ্ধতি এবং উদীয়মান ডিজিটাল প্রযুক্তিতে দক্ষ হতে শিক্ষকদের সক্ষমতা তৈরি করবে।
নির্ধারিত তিন বিশ্ববিদ্যালয়সহ অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ও শিক্ষকরা যৌথ গবেষণা ও উন্নয়নের মাধ্যমে উদ্ভাবনী সমাধান নিয়ে আসার জন্য শিল্প অংশীদারদের সঙ্গে কাজ করবে।
আন্ডারগ্র্যাজুয়েট শিক্ষার্থীদের বিশেষ করে নারীদের জন্য বাধ্যতামূলক ইন্টার্নশিপের সুযোগ, ক্যারিয়ার কাউন্সেলিং ও ইন্ডাট্রি প্লেসমেন্ট করা হবে।
আরও পড়ুন: এডিবি'র সর্বশেষ প্রতিবেদন: ২০২৪ অর্থবছরকে বাংলাদেশের জন্য একটি ভালো বছর হিসেবে পূর্বাভাস
দক্ষ জনশক্তি গড়তে বাংলাদেশকে ৩০০ মিলিয়ন ডলার ঋণ দেবে এডিবি
শ্রকিমদের দক্ষতা বাড়াতে, আরও বেশি কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং রেমিট্যান্স বাড়াতে ৩০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার দেবে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)।
সোমবার (২৮ আগস্ট) রাজধানীর অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগে (ইআরডি) বাংলাদেশ সরকার ও এডিবির মধ্যে একটি ঋণ চুক্তি সই হয়।
এ সময় ইআরডির সচিব শরিফা খান এবং বাংলাদেশে নিযুক্ত এডিবির ডেপুটি কান্ট্রি ডিরেক্টর জিয়াংবাও নিং চুক্তিতে সই করেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশকে ২ প্রকল্পে ৪৯০ মিলিয়ন ডলারের ঋণ দেবে এডিবি
বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানের সহযোগিতায় ২০২৪-২০৪১ মেয়াদে 'স্কিলস ফর ইন্ডাস্ট্রি কম্পিটিটিভনেস অ্যান্ড ইনোভেশন প্রোগ্রাম' শীর্ষক এ কর্মসূচি বাস্তবায়ন করবে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ।
দক্ষ জনশক্তি বিদেশে পাঠানো মাধ্যমে রেমিট্যান্স প্রবাহ বৃদ্ধি এবং শ্রমিকদের দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য কারিগরি ও তথ্য-প্রযুক্তিভিত্তিক প্রশিক্ষণ দেওয়াই এই কর্মসূচির উদ্দেশ্য।
প্রসঙ্গত, অর্থ বিভাগ তহবিল ব্যবস্থাপনা এবং এই কর্মসূচির সমন্বয়কের দায়িত্ব পালন করবে।
১৯৭৩ সালে এডিবির সদস্য হওয়ার পর থেকে বাংলাদেশের অন্যতম বৃহৎ বহুপাক্ষিক উন্নয়নের অংশীদার এ প্রতিষ্ঠান। এ পর্যন্ত বাংলাদেশকে এডিবির মোট ঋণের পরিমাণ ২৯ হাজার ৬৬৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং অনুদান হিসেবে দিয়েছে ৫৫৩ দশমিক ৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।
প্রধানত বিদ্যুৎ, জ্বালানি, স্থানীয় সরকার, পরিবহন, শিক্ষা, কৃষি, স্বাস্থ্য, পানিসম্পদ, সুশাসন ও আর্থিক খাতে উন্নয়ন সহায়তা দেয় এডিবি।
আরও পড়ুন: যশোরে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ও পরিশোধন কেন্দ্র পরিদর্শন করলেন এডিবি’র নির্বাহী পরিচালক
গ্রামীণ সড়কের উন্নয়নে ফের সহায়তা বাড়িয়েছে এডিবি
দেশের চলমান গ্রামীণ সংযোগ উন্নয়ন প্রকল্পের জন্য ১৯০ মিলিয়ন ডলার অতিরিক্ত তহবিল অনুমোদন দিয়েছে এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (এডিবি)। এটি গ্রামীণ রাস্তাগুলোকে উন্নত করতে, কৃষি এলাকাগুলোকে আরও উৎপাদনশীল করে তুলতে এবং গ্রামীণ আর্থ-সামাজিক কেন্দ্রগুলোর উন্নতিতে অবদান রাখছে।
মঙ্গলবার এডিবির প্রধান পল্লী উন্নয়ন বিশেষজ্ঞ মাসাহিরো নিশিমুরা বলেন, ‘এটি এই প্রকল্পের জন্য এডিবির দ্বিতীয় ধাপের অতিরিক্ত অর্থায়ন। এর মাধ্যমে বাংলাদেশের গ্রামীণ জীবনযাত্রার অবস্থা উন্নয়নের জন্য সড়ক নেটওয়ার্কের আরও উন্নতি এবং জলবায়ু ও দুর্যোগ স্থিতিস্থাপকতা এবং সড়ক সম্পদ ব্যবস্থাপনায় উদ্ভাবনী বৈশিষ্ট্যের প্রবর্তন হবে।’
তিনি বলেন, ‘এই প্রকল্প গ্রামীণ এলাকায় পরিবহন দক্ষতা ও নির্ভরযোগ্যতা উন্নত করতে, কৃষি উৎপাদনশীলতা বাড়াতে এবং দেশের টেকসই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে সাহায্য করার জন্য কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে সহায়তা করছে।’
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের জন্য ৪০০ মিলিয়ন ডলারের ঋণ অনুমোদন এডিবি’র
চলমান প্রকল্পটি ২০১৮ সালের নভেম্বর মাসে অনুমোদিত হয়েছিল। যার লক্ষ্য ছিল প্রায় ১৭০০ কিলোমিটার গ্রামীণ রাস্তা সংস্কার করা, গ্রামীণ অবকাঠামো সংস্থা ও রাস্তা ব্যবহারকারীদের ক্ষমতা জোরদার করা এবং গ্রামীণ সড়কসংক্রান্ত মাস্টার পরিকল্পনা উন্নত করা।
২০২০ সাল থেকে মূল লক্ষ্যের সঙ্গে ৯০০ কিলোমিটারের বেশি গ্রামীণ রাস্তা যুক্ত করা হয়েছে।
বর্ধিত এই ঋণ আরও ১৩৫০ কিলোমিটার গ্রামীণ রাস্তার মান, জলবায়ু স্থিতিস্থাপকতা এবং সুরক্ষা বৈশিষ্ট্যগুলোর উন্নয়ন ঘটাবে।
এডিবি জানায়, এটি উপজেলা পর্যায়ে ১৮০টি ভ্রাম্যমাণ সড়ক রক্ষণাবেক্ষণ অফিসে সরঞ্জাম ও ট্রাক সরবরাহ করবে এবং জলবায়ু পরিবর্তনের অভিযোজনে প্রকৃতিভিত্তিক বায়োইঞ্জিনিয়ারিং সমাধানগুলোর ক্ষেত্রে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগের সক্ষমতা বৃদ্ধি করবে করবে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেলপথ নির্মাণে ৪০০ মিলিয়ন ডলার দেবে এডিবি
এডিবি ২০২৩ অর্থবছরে বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস ৫.৩% কমিয়েছে
এডিবি ২০২৩ অর্থবছরে বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস ৫.৩% কমিয়েছে
এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (এডিবি) ২০২৩ অর্থবছরের জন্য বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস ৬ দশমিক ৬ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ দশমিক ৩ শতাংশ করেছে।
২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে এডিবি বলেছিল, এবছরের এপ্রিল মাসে জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৬ দশমিক ৬ শতাংশ হতে পারে।
মঙ্গলবার ২০২৩ সালের এপ্রিলের জন্য এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট আউটলুকে (এডিও) প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জ্বালানি তেলের দাম সমন্বয়, গ্যাস-বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি, ডলারের বিপরীতে টাকার অবমূল্যায়ন ও অভ্যন্তরীণ বাজারে খাদ্যপণ্যের দাম বেড়ে যাওয়ার কারণে মূল্যস্ফীতির চাপ বেড়েছে। গড় মূল্যস্ফীতি ২০২২ অর্থবছরের ছয় দশমিক দুই শতাংশ থেকে ২০২৩ অর্থবছরে আট দশমিক সাত শতাংশে পৌঁছাবে।
এতে আরও বলা হয়েছে, চলতি অর্থবছরে বেসরকারি বিনিয়োগ বৃদ্ধি কম হবে। কারণগুলো হলো- জ্বালানির ঘাটতি ও উচ্চ উৎপাদন খরচ, রাজস্ব সংগ্রহে ঘাটতি, মিতব্যয়ীতা এবং বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ হ্রাস।
তবে চলতি হিসাবের ঘাটতির দিক থেকে গত অর্থবছরে জিডিপির ৪ দশমিক ১ শতাংশ থাকলেও, এবার তা কমে হবে ১ দশমিক ৬ শতাংশ।
বাংলাদেশের জন্য এডিবি কান্ট্রি ডিরেক্টর এডিমন গিনটিং বলেছেন, ‘বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির একটা বড় ঝুঁকি হচ্ছে বিশ্বের রাজনৈতিক অনিশ্চয়তার কারণে প্রধান রপ্তানি বাজারগুলোর অর্থনীতি সঙ্কুচিত হয়ে যাওয়া।’
তিনি বলেন, ‘ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধের ফলে বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধি কমে যাওয়ার কারণে অভ্যন্তরীণ বাজারেও চাহিদা কমে গেছে, রপ্তানির গতিও কমে গেছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘সরকার বাহ্যিক প্রতিকূলতার প্রভাবের বিরুদ্ধে তুলনামূলকভাবে ভালোভাবে দেশ পরিচালনা করছে এবং সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে সংস্কার কার্যক্রম শুরু করেছে।’
আরও পড়ুন: এডিবি’র ১ বিলিয়ন: আলোচনার জন্য রাতে ঢাকায় আসছেন লাভাসা
গিনটিং বলেন, ‘এই কঠিন সময়ে মূল সংস্কারগুলোকে ত্বরান্বিত করা দেশকে মধ্য মেয়াদে উচ্চ প্রবৃদ্ধি বজায় রাখতে সাহায্য করবে। এই সংস্কারগুলোর মধ্যে রয়েছে পাবলিক ফিন্যান্সিয়াল ম্যানেজমেন্ট এবং অভ্যন্তরীণ রিসোর্স মোবিলাইজেশন জোরদার করা, আর্থিক খাতকে সুস্থির করা এবং বেসরকারি খাতে উৎপাদনশীল কর্মসংস্থান সৃষ্টির জন্য প্রতিযোগিতা বাড়ানো।’
তিনি আরও বলেন, ‘দেশের জলবায়ু এজেন্ডার সঙ্গে সঙ্গতি রেখে জীবাশ্ম জ্বালানির ওপর নির্ভরতা কমাতে অভ্যন্তরীণ নবায়নযোগ্য জ্বালানি সরবরাহ দ্রুত সম্প্রসারণের জন্য একটি উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি করে বৈশ্বিক জ্বালানির বাজারের অস্থিরতার বিরুদ্ধে সহনশীলতা বাড়ানোর জন্য এটাই সঠিক সময়।’
গিনটিং বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে ৫০ বছরের অংশীদারিত্বে এডিবি দেশের জনগণের জন্য অবকাঠামো, জনসেবা এবং সামাজিক উন্নয়নের উন্নতির জন্য সহ-অর্থায়নসহ ৫০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণ ও অনুদান পেয়েছে। বাংলাদেশে ৫০টি চলমান প্রকল্পে ১১ দশমিক ৯ বিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগ রয়েছে।
আরও পড়ুন: শিক্ষা, দক্ষতা উন্নয়ন ও অবকাঠামোতে এডিবি’র আরও সহায়তা চান প্রধানমন্ত্রী