এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) বুধবার মূলধন ব্যবস্থাপনা সংস্কারের অনুমোদন দিয়েছে। এটি এই অঞ্চলের ওভারল্যাপিং, সমকালীন সংকট মোকাবিলায় আগামী এক দশকে ১০০ বিলিয়ন ডলারের নতুন তহবিল অনুমোদন দিয়েছে।
জলবায়ু সংকট মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় বিলিয়ন থেকে ট্রিলিয়ন ডলারে স্থানান্তরের জন্য বেসরকারি ও অভ্যন্তরীণ মূলধন সংগ্রহের মাধ্যমে তহবিলের সম্প্রসারণ আরও বাড়ানো হবে।
আরও পড়ুন: ২০২২ সালে বৈশ্বিক বাণিজ্যিক আর্থিক ঘাটতি ২.৫ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত: এডিবি
ম্যানিলা থেকে পাওয়া এক বার্তায় বলা হয়, এডিবির ক্যাপিটাল অ্যাডিকোয়েন্সি ফ্রেমওয়ার্কের (সিএএফ) আপডেটের মাধ্যমে এই সংস্কার চালু করা হয়েছে।
তারা ব্যাংকের বার্ষিক নতুন প্রতিশ্রুতির ক্ষমতা ৩৬ বিলিয়নেরও বেশি প্রসারিত করেছে। অর্থাৎ প্রায় ১০ বিলিয়ন ডলার বা প্রায় ৪০ শতাংশ বাড়িয়েছে।
সামগ্রিক ঝুঁকি রক্ষণাবেক্ষণের পাশাপাশি এডিবির প্রত্যাশিত বিবেচ্য মূলধনের মাধ্যমে এই সম্প্রসারণ অর্জন করা হয়।
এই সংস্কারগুলো অপ্রত্যাশিত সংকট মোকাবিলা করতে এডিবির উন্নয়নশীল সদস্য দেশগুলোকে (ডিএমসি) সহায়তা করার জন্য একটি কাউন্টারসাইক্লিকাল লেন্ডিং বাফার তৈরি করে।
আগামী এক দশকে এডিবি তার ডিএমসি এবং বেসরকারি খাতের ক্লায়েন্টদের নিজস্ব অর্থায়নের ৩৬০ বিলিয়ন ডলার পর্যন্ত সরবরাহ করতে সক্ষম হবে। যা এডিবি তার এএএ ক্রেডিট রেটিং বজায় রাখবে এবং ডিএমসিগুলোকে স্বল্প খরচে এবং দীর্ঘ মেয়াদে তহবিল সরবরাহের ক্ষমতা নিশ্চিত করবে।
সংস্কারগুলো একটি পুনরুদ্ধার পরিকল্পনা প্রবর্তনের মাধ্যমে এডিবির এএএ ক্রেডিট রেটিংকে আরও সুরক্ষিত করে। এটি আর্থিক চাপের সময় মূলধন কমে যাওয়া রোধ করবে। এডিবির ক্যাপিটাল অ্যঅডিকোয়েন্সি ফ্রেমওয়ার্ক প্রতি ৩ বছর পর পর পর্যালোচনা করা হয়।
এডিবির প্রেসিডেন্ট মাসাতসুগু আসাকাওয়া বলেন, এই গুরুত্বপূর্ণ সংস্কারগুলো এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলজুড়ে গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়ন প্রচেষ্টায় এডিবির সক্ষমতা উল্লেখযোগ্যভাবে সম্প্রসারিত করবে।
তিনি বলেন, আমাদের সম্পদ দিয়ে আরও বেশি ও দ্রুত কাজ করার আহ্বান জানিয়েছে বহুপাক্ষিক উন্নয়ন ব্যাংকগুলোকে (এমডিবি)। সেই আহ্বানে এডিবি'র সাড়া দেওয়ার অংশ হিসেবেই আমাদের আজকের এই সিদ্ধান্ত। এসব সম্পদ এই অঞ্চলের বেশকিছু জটিল সংকট মোকাবিলা করতে সহায়তা করবে। যেমন- লিঙ্গ বৈষম্য মোকাবিলা এবং জলবায়ু পরিবর্তনের অস্তিত্বগত চ্যালেঞ্জের প্রেক্ষাপটে মৌলিক চাহিদাগুলো সরবরাহ করতে সহায়তা করবে। এই অতিরিক্ত ঋণ দেওয়ার ক্ষমতা আরও প্রসারিত হবে এবং বেসরকারি ও অভ্যন্তরীণ মূলধন সংগ্রহ এবং আমাদের কাজের প্রভাব সর্বাধিক করার জন্য নতুন প্রচেষ্টার মাধ্যমে আরও বাড়ানো হবে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের তিনটি বিশ্ববিদ্যালয়কে ১০০ মিলিয়ন ডলার ঋণ দিচ্ছে এডিবি
এডিবি'র সর্বশেষ প্রতিবেদন: ২০২৪ অর্থবছরকে বাংলাদেশের জন্য একটি ভালো বছর হিসেবে পূর্বাভাস