সরকার
রাষ্ট্রদূতদের ‘অতিরিক্ত পুলিশ এসকর্ট’ প্রত্যাহার সরকারের ‘চরম দায়িত্বহীনতা’: ফখরুল
যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ভারতসহ বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূতদের জন্য ‘অতিরিক্ত পুলিশ এসকর্ট’ সেবা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্তকে সরকারের ‘চরম দায়িত্বহীনতা’ আখ্যা দিয়ে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) বলেছে, এতে দেশের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘এই সিদ্ধান্ত আমার কাছে দুইটা জিনিস মনে হয়…একটা হচ্ছে ‘চরম দায়িত্বহীনতা’, দ্বিতীয়টা ‘আত্মম্ভরিতা’ (অহংকার)।’
আরও পড়ুন: দেশব্যাপী ১৯, ২০, ২৬ ও ২৭ মে সমাবেশের ঘোষণা দিয়েছে বিএনপি
মঙ্গলবার গুলশানে বিএনপি চেয়ারপার্সনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, ‘সরকারের এ ধরনের সিদ্ধান্ত আন্তর্জাতিক সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে এবং এর চূড়ান্ত শিকার হবে বাংলাদেশের জনগণ। ফলে এই সিদ্ধান্ত দায়িত্বহীনতা ছাড়া আমি কিছুই মনে করি না।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘দ্বিতীয়ত হচ্ছে যে আত্মভরিতা-অহংকার কোন জায়গায় গিয়ে পৌঁছাতে পারে যেটা আপনার সবচেয়ে বড় ক্ষতি করতে পারে… সম্ভবত এবার বিদেশে গিয়ে তিনি (প্রধানমন্ত্রী) ঠিক সেই রকম উপযুক্ত প্রটোকল পান নাই, যে কারণে হয়ত এটা একটা প্রতিবাদ হিসেবে বা তার প্রতিশোধ হিসেবে আমরা দেখতে পারছি।’
তিনি বলেন, ‘দীর্ঘকাল ধরে তারা (রাষ্ট্রদূতরা) এই প্রটোকল পেয়ে আসছেন। হঠাত করে সেই প্রটোকল বাতিল করে দেওয়ার অর্থ হচ্ছে, সামথিং ইজ ভেরি রং উইথ দিজ কান্ট্রিজ। এটা আমাদের আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটা উত্তেজনা, সমস্যা ও সংকট সৃষ্টি করবে এ ব্যাপারে কোনো সন্দেহ নেই।’
সরকারের এই সিদ্ধান্তে উদ্বেগ প্রকাশ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আমি এটাতে উদ্বিগ্ন। আমি মনে করি কূটনীতির বিষয়ে বাংলাদেশকে এটা আরও একঘরে করে তুলবে, বাংলাদেশের ক্ষেত্রে এটা বড় ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াবে।’
যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যসহ অন্যান্য দেশ এ বিষয়ে কোনো পাল্টা পদক্ষেপ নিলে তা বাংলাদেশের জনগণের ক্ষতি করবে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি।
তিনি বলেন, সৌদি আরব, যারা সবসময় বাংলাদেশকে সহযোগিতা করছে তারা যদি কোনো ব্যবস্থা নেয় সেটা আমাদের জন্য ….., এমনকি দেখলাম যে ভারতও এরমধ্যে রয়েছে, তাদেরকে রাখা হয়েছে, জাপান আছে, অস্ট্রেলিয়া আছে… যারা আমাদের সবচাইতে বড় উন্নয়ন সহযোগী তাদের জন্য এটা করা হয়েছে।’
আরও পড়ুন: জিয়ার ৪২তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বিএনপির ১৩ দিনের কর্মসূচি
বিএনপির এই নেতা সতর্ক করে বলেন, ‘আমি মনে করি নিঃসন্দেহে এটা বড় রকমের পরিবর্তন ঘটবে বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে, সেটা কখনো কোনো শুভ ফল বয়ে আনবে না।’
বিএনপি নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার চায় উল্লেখ করে বর্তমান সংসদ সদস্যদের নিয়ে নির্বাচনকালীন সরকার গঠনের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্য প্রত্যাখ্যান করেন মির্জা ফখরুল।
তিনি বলেন, ‘সত্যিকারের প্রতিনিধিত্বশীল সংসদ প্রতিষ্ঠার জন্য তারা (বিএনপি) দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করে আসছেন। এই সরকার ক্ষমতায় থাকলে এমনটা হবে না।’
ফখরুল বলেন, ‘আমরা যে যুদ্ধ করছি-সংগ্রাম করছি-লড়াই করছি, সেই লড়াইটা হচ্ছে একটা সত্যিকার অর্থেই প্রতিনিধিত্বমূলক একটি সংসদ তৈরি করার জন্য। এই সরকার ক্ষমতায় থাকলে এটা হবে না।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘আমরা বার বার করে সেটা বলেছি। আমরা বলছি যে একটা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন হতে হবে।”
তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ নির্বাচনকালীন সরকার গঠন করবে না-কি করবেনা… দ্যাট ইজ ইমমেটারিয়াল… সেটা আমাদের কাছে কোনো ব্যাপারই না। আমরা একটা নিরপেক্ষ সরকার চাই। সেই নিরপেক্ষ সরকার অবশ্যই নির্দলীয়ভাবে চাই, সেখানে কোনো দলীয় ব্যক্তিদেরকে আমরা চাই না।’
তাদের দলের সংসদ থেকে পদত্যাগের সিদ্ধান্ত ভুল ছিল কি না জানতে চাইলে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘কখনই না। এটা (সংসদ থেকে পদত্যাগ করে বেরিয়ে আসা) অত্যন্ত সঠিক সিদ্ধান্ত। কারণ এই সংসদ জাতির আশা পূরণে ব্যর্থ হয়েছে তো বটেই্, এই সংসদে তো জাতির প্রতিনিধিত্বিই ছিলো না। বিকজ দে আর নট ইলেক্টেড।’
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় মোখা: উপকূলবাসীদের পাশে দাঁড়াতে নেতাকর্মীদের আহ্বান বিএনপির
এটা সরকারের সুদূরপ্রসারী রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র: খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে মামলা প্রসঙ্গে ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, কর্নেল খন্দকার নাজমুল হুদা বীর বিক্রমসহ তিন মুক্তিযোদ্ধা সেনা কর্মকর্তাকে হত্যার ঘটনায় জিয়াউর রহমানের বিরুদ্ধে মামলা করা সরকারের সুদূরপ্রসারী রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের অংশ।
তিনি জানান, ‘৪৮ বছর পর আবারও একটি সম্পূর্ণ মিথ্যাতে সামনে আনা হয়েছে। এটা সম্পূর্ণ ইচ্ছাকৃত। এর পিছনে একমাত্র উদ্দেশ্য হল জনগণ যখন গণতান্ত্রিক অধিকার পুনরুদ্ধারের জন্য রাস্তায় নামতে শুরু করেছে, তাদেরকে বিভ্রান্ত করা।’
রবিবার গুলশানে বিএনপি চেয়ারপার্সনের কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে মির্জা ফখরুল এসব কথা বলেন।
এসময় তিনি বলেন, নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে আগামী নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য সরকারের ওপর জাতীয় ও আন্তর্জাতিক চাপ থাকায় জনগণকে বিভ্রান্ত করার জন্যই এ মামলা করা হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘এ ধরনের মিথ্যাচার ও ৪৮ বছরের পুরনো ইস্যু উত্থাপন করে জাতিকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। এর পেছনে তাদের (সরকারের) সুদূরপ্রসারী রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র রয়েছে। এটা তাদের চক্রান্তের অংশ।’
আরও পড়ুন: নির্বাচনী মাঠ শূন্য করতে আবারো ‘পুরনো খেলা’ শুরু করেছে সরকার: ফখরুল
এর আগে কর্নেল খন্দকার নাজমুল হুদা বীর বিক্রমের মেয়ে নাহিদ ইজহার খান ১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর তার বাবাকে হত্যার ঘটনায় ৪৮ বছর পর গত বৃহস্পতিবার ঢাকার শেরেবাংলা নগর থানায় মামলা করেন।
মামলায় নাহিদ দশম ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের মেজর (অব.) আব্দুল জলিলকে আসামি করে দাবি করেন, জিয়াউর রহমানের নির্দেশেই এ হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে।
দলের প্রতিষ্ঠাতার বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের প্রতিবাদ জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, রাতে ভোটের মাধ্যমে গঠিত বর্তমান সংসদের সংসদ সদস্য এবং শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বর্তমান 'ফ্যাসিবাদী' সরকারের সুবিধাভোগী নাহিদ হয়তো ১৯৭৫ এর ৭ নভেম্বরের ঘটনা নিয়ে তার নিজের মা নিলুফার হুদার লেখা বইটি পড়েননি।
তিনি বলেন,'দ্য ওয়ার অব কর্নেল হুদা অ্যান্ড মি'- বইয়ে নিলুফার হুদা স্পষ্টভাবে উল্লেখ করেছেন যে জিয়াউর রহমান সেদিন কর্নেল নওয়াজিশকে খালেদা জিয়া, কর্নেল নাজমুল আল হুদা ও মেজর এটিএম হায়দারকে রক্ষা করার নির্দেশ দিয়েছিলেন।
আরও পড়ুন: নির্বাচন কমিশনের সুষ্ঠু নির্বাচন করার ক্ষমতা নেই: মির্জা ফখরুল
নির্বাচনী মাঠ শূন্য করতে আবারো ‘পুরনো খেলা’ শুরু করেছে সরকার: ফখরুল
নির্বাচনী মাঠ শূন্য করতে সরকার আবারও ‘পুরনো খেলা’ শুরু করেছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, এই সরকার নির্বাচিত নয়, যাদের কোনো জনগণের ম্যান্ডেট নেই। আগামী ২৩ ডিসেম্বর অথবা ২৪ সালের জানুয়ারি মাসের মধ্যে যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা, সেই নির্বাচন নিয়ে আবারও সেই আগের খেলাতে মেতে উঠেছে তারা।
আরও পড়ুন: নতুন রাষ্ট্রপতির কাছে বিএনপির কোনো প্রত্যাশা নেই: ফখরুল
মঙ্গলবার দুপুরে গুলশানের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে সারাদেশে মিথ্যা মামলা ও গ্রেপ্তারের ঘটনা তুলে ধরে বিএনপি মহাসচিব এই অভিযোগ করেন।
তিনি বলেন, তারা যেভাবে ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচনকে সম্পূর্ণভাবে তাদের নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে ফলাফলটাকে তাদের পক্ষে নিয়েছিল, ঠিক একই কায়দায় আজকে এখন থেকে বিরোধী দলকে সম্পূর্ণভাবে মাঠ থেকে সরে যাওয়ার জন্য তারা (নির্বাচন নিয়ে যেটা আমরা বলি) ‘রিগিং প্রসেস দে স্টার্ট’ সেটা তারা শুরু করে দিয়েছে।
তিনি বলেন, ২০১৮ সালের নির্বাচনে আপনাদের নিশ্চয়ই মনে আছে যে, তফসিল ঘোষণার সময় থেকে তারা শুরু করেছিল। এবার তারা অনেক আগে থেকে শুরু করেছে যে, মামলা-মোকদ্দমা, সন্ত্রাস-ত্রাস, বিভিন্ন আইনের মধ্য দিয়ে মিথ্যা মামলা ও গায়েবি মামলা করে আবারও নেতা-কর্মীদেরকে মাঠ থেকে পুরোপুরিভাবে সরিয়ে দেয়ার সেই কাজটি তারা শুরু করে দিয়েছে।
মির্জা ফখরুল বলেন, তাদের (সরকার) লক্ষ্য হচ্ছে একটা নীলনকশার নির্বাচন করা। বিরোধী দলকে পুরো মাঠ থেকে বের করে দেয়া এবং এরপর সেই নীলনকশার নির্বাচন করে আবার ক্ষমতায় আসা-এটাই হচ্ছে মূল লক্ষ্য। সেই লক্ষ্যেই তারা কাজ করছে।
আরও পড়ুন: নির্বাচন কমিশনের সুষ্ঠু নির্বাচন করার ক্ষমতা নেই: মির্জা ফখরুল
এবার কি পারবে?
জবাবে বিএনপি মহাসচিব বলেন, একেবারেই পারবে না। কারণ এবার জনগণ ইতোমধ্যে রাস্তায় নেমেছে, জনগণ আন্দোলন শুরু করেছে। ইতোমধ্যে আপনারা জানেন যে, আমাদের ১৭ জন মানুষ এই আন্দোলনে রাজপথে প্রাণ হারিয়েছে, আমাদের অসংখ্য নেতা-কর্মী গ্রেপ্তার হয়েছে।
এছাড়া আন্দোলন চলমান আছে, এই আন্দোলন চলছে। এই আন্দোলন আরও বেগবান হবে, আরও তীব্র হবে। এই আন্দোলনের মধ্য দিয়ে এই সরকার বাধ্য হবে জনগণের দাবি মেনে নিতে।
আরও পড়ুন: জলবায়ু পরিবর্তন ও নদী রক্ষায় নিষ্ক্রিয়তার জন্য সরকারের সমালোচনা ফখরুলের
খুব শিগগিরই নতুন কর্মসূচি
মির্জা ফখরুল বলেন, আন্দোলন একটা ওয়েভের মতো। এটা কখনো ওঠে, কখনো নামে। সেটা জনগণের সব পরিপ্রেক্ষিত বুঝে নিয়ে আমাদেরকে আন্দোলনটা করতে হয়।
যেমন রোজার মাস, রোজার মাসে তো স্বাভাবিকভাবে তো যারা রোজা রাখেন সেটাতে খেয়াল রাখতে হয়। তখনও আমরা কর্মসূচি দিয়েছি এবং আপনারা দেখেছেন ইউনিয়ন পর্যায় পর্যন্ত অবস্থান কর্মসূচি পালন হয়েছে, আমাদের পদযাত্রা হয়েছে, আমাদের সমাবেশ হয়েছে।
এখন যারা আন্দোলনের অংশীদার আছেন, শরিক দলগুলো আছেন তাদের সঙ্গে আলোচনা করে আমরা চূড়ান্ত আলোচনার পর্যায় এসছি। খুব শিগগিরই নতুন করে কর্মসূচি জানতে পারবেন।
আরও পড়ুন: স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রবিরোধী বলে আওয়ামী লীগকে আর ক্ষমতায় আসতে দেওয়া যাবে না: ফখরুল
পুরনো মামলার চূড়ান্ত রায় দিতে তালিকা
মির্জা ফখরুল বলেন, শুধুমাত্র বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার করছে তাই না। তারা যে সমস্ত মিথ্যা মামলা অতীতে তারা দিয়েছিলো সেই মিথ্যা মামলাগুলোর চূড়ান্তভাবে রায় দেয়ার জন্যে তারা খুব দ্রুততার সঙ্গে আইন মন্ত্রণালয় থেকে একটা তালিকা প্রস্তুত করে সেই তালিকা অনুযায়ী বিচার বিভাগকে নিয়ন্ত্রণ করে তারা সেটাকে দ্রুততার সঙ্গে এগিয়ে নিচ্ছে।
এছাড়া গোটা রাষ্ট্রযন্ত্রকে তারা (সরকার) এখন ব্যবহার করতে শুরু করেছে। ইনক্লুডিং জুডিশিয়ারি এন্ড এডমিনিস্ট্রেশন যে কিভাবে বিরোধী দলের সিনিয়ন নেতৃবৃন্দ এবং যারা এই চলমান আন্দোলনে নেতৃত্বের দায়িত্ব পালন করছেন তাদেরকে কিভাবে মাঠ থেকে সরিয়ে দেয়া যায় সেজন্য তারা কাজ করছে।
তিনি বলেন, সারাদেশে বিএনপিসহ বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের নামে এক লাখ ১১ হাজার ৫৪৩টির অধিক মামলা দায়ের করেছে এই অবৈধ সরকার।
আসামির সংখ্যা প্রায় ৩৯ লাখ ৭৮ হাজার ৪৮১ অধিক। তার মধ্যে ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টে দুই হাজার ৮৩০ এর অধিক মামলা রয়েছে।
ঢাকাতেই আছে এক হাজার ৫০০ মামলা। বিরোধী মত ও বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষের মুক্ত মত প্রকাশের বিরুদ্ধে এসব মামলা করা হয়।
আরও পড়ুন: সরকার মিথ্যা কথা বলে জনগণকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে: মির্জা ফখরুল
ওদের অধীনে নির্বাচনকালীন সরকার: প্রশ্নই উঠে না
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের নির্বাচনকালীন সরকারের বিএনপিকেও আমন্ত্রণ জানানোর ইঙ্গিতের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে মির্জা ফখরুল বলেন, আপনারা (সাংবাদিকরা) কি বিশ্বাস করেন?
২০১৮ সালে প্রধান যিনি এই বাড়িতে (গণভবনে) আছেন শেখ হাসিনাকে বিশ্বাস করে আমরা তার সঙ্গে সংলাপে বসেছিলাম। সেই সংলাপে যে সমস্ত কথা তিনি দিয়েছিলেন সেগুলোর একটাও তারা রক্ষা করেননি।
সুতরাং ওবায়দুল কাদের সাহেবের কথায় আস্থা রাখা, বিশ্বাস করা-এটার প্রশ্নই উঠতে পারে না।
এগুলোকে আমি মনে করি, এটা আরেকটি চক্রান্ত জনগণকে বিভ্রান্ত করবার। তারা বলবে যে এই তো আমরা প্রস্তাব দিয়েছি, ওরা শুনছে না, যাচ্ছে না।
তিনি বলেন, আমাদের কথা খুব পরিস্কার-আমরা বিএনপিকে ক্ষমতায় নেয়া বা বিরোধী দলকে ক্ষমতায় নেয়া এজন্য আমরা আন্দোলন করছি না। আমাদের জনগণের যে ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়েছে, মানুষ যেন ভোট দিতে পারে।
গত দুইটি নির্বাচনে মানুষ ভোটই দিতে পারেনি এবং স্থানীয় সরকার নির্বাচনগুলোতেও তারা ভোট দিতে পারেনা।
কয়েকদিন আগে চট্টগ্রামে একটা উপনির্বাচন হয়েছে নির্বাচন কমিশন বলছে যে, মাত্র ১৪ শতাংশ মানুষ ভোট দিয়েছে। তাহলে নির্বাচন প্রক্রিয়াটাকে কোন জায়গায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে?
যেখানে ভোটে মানুষ উৎসব করত সেই জায়গায় ১৪ জন লোক ভোট দিতে যায়। ভোটে মানুষের টোটাল যে একটা আগ্রহ সেটাকে হারিয়ে ফেলেছে।
কারণ তারা ইচ্ছাকৃতভাবে পরিকল্পিতভাবে জনগণের সেই আগ্রহটাকে দূরে সরিয়ে দিয়েছে, যাতে করে তারা নিজের মতো করে ব্যালট ভোট বাক্সে ভরতে পারে।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার অসুস্থতা নিয়ে মন্তব্য তাকে কারাগারে ফিরিয়ে নেওয়ার ষড়যন্ত্র: ফখরুল
স্থানীয় সরকার নির্বাচন
মির্জা ফখরুল বলেন, স্থানীয় সরকার নির্বাচন আমরা না করলেও আমাদের নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার, নির্যাতন, বাড়ি-বাড়ি তল্লাশি অব্যাহত রেখেছে তারা। গাজীপুরে একটি ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনেও বিএনপির নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা হয়েছে। একতরফা বিভিন্ন সিটি করপোরেশনে তফসিল ঘোষণার পর থেকে বিএনপির নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার, নির্যাতন করছে।
সিলেটে বিএনপির নেতা-কর্মীদের গণহারে গ্রেপ্তার ও বাসায় বাসায় তল্লাশি করছে। এই বিষয়টি সিলেটের নেতারা সেখানকার পুলিশ কমিশনারকে অবহিত করেছে।
এই অবৈধ সরকারের অধীনের কোনো নির্বাচনই নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য হতে পারে না এবং জনগণ স্বাধীনভাবে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবে না। সেজন্য এই সংসদ ভেঙে দিয়ে এই অবৈধ সরকারকে পদত্যাগ করে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের নিকট ক্ষমতা হস্তান্তরের দাবি আজ গণদাবিতে পরিণত হয়েছে।
তাই জনগণের মনোভাব বুঝে বিএনপির ঘোষিত ১০ দফা মেনে সরকারকে পদত্যাগের আহ্ববান জানাচ্ছি। অন্যথায় রাজপথে এই দাবির ফয়সালা হবে বলে হুঁশিয়ারি দেন বিএনপি মহাসচিব।
আরও পড়ুন: ‘স্বৈরাচারের’ বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে শ্রমিকদের প্রতি মির্জা ফখরুলের আহ্বান
আমরা কাউকে নালিশ করি না
জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়ক গোয়েন লুইসের সঙ্গে সোমবার বিএনপির প্রতিনিধি দলের বৈঠক সম্পর্কে জানতে চাইলে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আমরা কাউকে কোনো নালিশ করি না, আমরা কাউকে কিছু বলতে যাই না। এটা মনে রাখতে হবে।
দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে এখানে বিদেশি যে সমস্ত মিশন আছে অথবা যারা কাজ করছেন তাদের সঙ্গে রুটিন আলোচনা হয়, সেই আলোচনা হয়েছে।
সোমবার দুপুরে গুলশানে জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কের বাসভবনে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দেখা করতে যান।
এই সময়ে মহাসচিবের সঙ্গে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী এবং সাংগঠনিক সম্পাদক শ্যামা ওবায়েদ ছিলেন।
আরও পড়ুন: ৫ সিটি নির্বাচনে বিএনপি কোনোভাবেই অংশ নেবে না: ফখরুল
বিশ্বাঙ্গণে শেখ হাসিনা সরকারের প্রতি সমর্থন অনুধাবনে ব্যর্থ হলে বিএনপি ভুল করবে: তথ্যমন্ত্রী
বিশ্বাঙ্গণে শেখ হাসিনার উচ্চাসন ও তার সরকারের প্রতি সমর্থন অনুধাবনে ব্যর্থ হলে বিএনপি ভুল করবে বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।
তিনি বলেন, বিশ্বাঙ্গণে শেখ হাসিনার উচ্চতা আর তার সরকারের প্রতি সমর্থন কোন জায়গায় সেটি নিশ্চয়ই বিএনপি অনুধাবন করতে সক্ষম হয়েছে। সেটি না করতে না পারলে বিএনপি ভুল করবে।
সোমবার দুপুরে সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সমসাময়িক বিষয়ে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে তিনি এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: শিক্ষামন্ত্রীর মায়ের মৃত্যুতে তথ্যমন্ত্রীর শোক
এসময় সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার সফরের শেষ পর্যায়ে এখন যুক্তরাজ্যে রয়েছেন। ৯ মে তিনি দেশে ফিরে আসবেন। তার এই সফর অত্যন্ত সফল একটি সফর। জাপানের সরকার ও জনগণ রাষ্ট্রীয় সফরে যাওয়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভাবনীয় মর্যাদা দিয়েছে এবং আমাদের নানা প্রকল্পে ৩০ বিলিয়ন ইয়েন সহায়তার চুক্তি সই করেছে। পদ্মাসেতু থেকে মুখ ফিরিয়ে নেওয়া বিশ্বব্যাংক ভুল উপলব্ধি করে শেখ হাসিনাকে আমন্ত্রণ করে যুক্তরাষ্ট্রে নিয়ে গিয়ে এখন ২ দশমিক ২৫ বিলিয়ন ডলার সহায়তার চুক্তি সই করেছে।’
সেইসঙ্গে যুক্তরাজ্যের নতুন রাজার অভিষেক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে যাওয়া শেখ হাসিনার সঙ্গে রাজা চালর্সের সাক্ষাৎ ও কুশলবিনিময়ের কথা উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক আমাদের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে বলেছেন যে শেখ হাসিনা হচ্ছেন আমার ‘আইডল’। এবং শুধু তারই নয়, তার মেয়েদেরও ‘আইডল’। পাশাপাশি ব্রিটেনের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী, কমনওয়েলথ মহাসচিবসহ অনেকেই শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করেছেন।’
হাছান মাহমুদ বলেন, ‘এই সফরে বিশ্ব নেতৃবৃন্দ ও গণমাধ্যমকে প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশে একটি সুন্দর নির্বাচন করার ঐকান্তিক ইচ্ছার কথা এবং সকল পর্যবেক্ষককে নির্বাচন দেখার আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। আর সেই সময় বাংলাদেশে বিএনপির নেতৃবৃন্দ নির্বাচন প্রতিহত করার ঘোষণা দিচ্ছে। নির্বাচন প্রতিহত করার বা বর্জনের ঘোষণা গণতন্ত্রকে প্রতিহত করা বা ঠেকিয়ে দেওয়ার ঘোষণার মতো।’
তিনি বলেন, ‘আসলে বিএনপি দেশে গণতন্ত্র চায় না। বিএনপি সবসময় পানি ঘোলা করতে চায় এবং ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করতে চায়। বিএনপি নির্বাচন বর্জন করতে পারে কিন্তু নির্বাচন বন্ধ করা কিংবা ঠেকিয়ে দেওয়ার ধৃষ্টতা দেখানোর সুযোগ নাই। এ দেশের মানুষ বিএনপিকে সেই সুযোগ দেবে না।’
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা অবশ্যই চাই বিএনপিসহ সমস্ত রাজনৈতিক দল আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করুক। বিএনপি অতীতের মতো নির্বাচন থেকে পালিয়ে বেড়াক সেটি আমরা চাই না। আমরা বিএনপির সঙ্গে খেলতে চাই, কিন্তু ওরা খেলা থেকে বারবার পালিয়ে যায়; এটা দুঃখজনক।’
ড. হাছান বলেন, ‘আসলে বিএনপি নানা ভাষায়, নানা ছুঁতোয়, নানা কৌশলে বলে, কিন্তু তাদের সমস্ত কথার সারমর্ম হচ্ছে এমন ব্যবস্থা চাই যার মাধ্যমে বিএনপিকে ক্ষমতায় বসানোর নিশ্চয়তা পাবে। সেটি তো নির্বাচন কমিশন দিতে পারবে না, এদেশের জনগণও দিতে পারবে না। এ দেশের সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন কমিশনের অধিনে বিশ্বের অন্যান্য গণতান্ত্রিক দেশের মতো নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। বিএনপির শরিকরা আসন বন্টন নিয়ে আলোচনা করছে তার অর্থ হচ্ছে বিএনপি নির্বাচন না চাইলেও শরিকরা নির্বাচন চায়। বিএনপি নির্বাচন থেকে পালিয়ে গেলে শরিকরাও বিএনপি থেকে পালিয়ে যাবে।’
আরও পড়ুন: ৭ মে শেখ হাসিনা দেশে না ফিরলে গণতন্ত্রও ফিরতো না: তথ্যমন্ত্রী
বাংলাদেশ নিয়ে বিশ্বের প্রশংসায় বিএনপি নেতাদের মাথা খারাপ: তথ্যমন্ত্রী
সুদান থেকে ফেরত আসাদের সম্ভাব্য সব ধরনের আর্থিক সহায়তা দেবে সরকার: প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী
সরকার সুদান থেকে প্রত্যাবর্তনকারীদের সম্ভাব্য সব ধরনের আর্থিক সহায়তা দেবে বলে জানিয়েছেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমেদ।
তিনি বলেন, ‘সরকার সুদান থেকে প্রত্যাবর্তনকারীদের সম্ভাব্য সব ধরনের আর্থিক সহায়তা দেবে। এছাড়া আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থাও (আইওএম) সহায়তা দেবে আপনাদের।’
সোমবার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে প্রত্যাবর্তনকারীদের অভ্যর্থনা জানানোর সময় তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় তিনি বলেন, ‘আমাদের প্রাথমিক লক্ষ্য হল এই কঠিন সময়ে আপনি যে কোন অসুবিধার সম্মুখীন হতে পারেন তা দূর করা।’
তিনি বলেন, ‘চিন্তা করবেন না। আপনারা আমাদের দেশে উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছেন, কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত, আপনারা সুদানে সবকিছু হারিয়েছেন। এখন, আপনি খালি হাতে ফিরে আসছেন। নিশ্চিন্ত থাকুন, আমরা আপনাকে সাহায্য ও সমর্থন করতে এখানে আছি।’
সোমবার সকালে ১৩৬ জন বাংলাদেশি নাগরিক সৌদি আরবের জেদ্দা থেকে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। বাংলাদেশ সরকার ও বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের সমন্বিত সহায়তায় জেদ্দা থেকে ঢাকায় আসার জন্য প্রত্যাবর্তনকারীদেরকে আইওএম তার অভ্যন্তরীণ জরুরি সহায়তা তহবিল ব্যবস্থার মাধ্যমে বিমান টিকিটের ব্যবস্থা করে।
আরও পড়ুন: ২০২৩ সালে ১৫ লাখ লোক বিদেশে পাঠানো হবে: প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী
ঢাকায় আসার পর তাদের খাবার ও বাড়ি যাওয়ার জন্য প্রত্যাবর্তনকারীদের প্রত্যেককে পরিবহন ভাড়া বাবদ ৫০০০ টাকা দিয়েছে ওয়েজ আর্নার্স ওয়েলফেয়ার বোর্ড ও আইওএম।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি অভিাবসীদের ফিরিযে আনার জন্য আইওএম-এর সহযোগিতার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এবং বিদেশে তার নাগরিকদের নিরাপত্তার জন্য বাংলাদেশ সরকারের অটল অঙ্গীকারের ওপর জোর দেন।
মন্ত্রণালয় আরও উল্লেখ করেছে যে ‘আমাদের সরকার প্রত্যেক বাংলাদেশির মঙ্গল নিশ্চিত করতে নিবেদিত।’
অন্যদিকে, আইওম বাংলাদেশ-এর অফিসার ইনচার্জ ফাতিমা নুসরত গাজ্জালী এই মানবিক প্রচেষ্টায় বাংলাদেশ সরকারকে সহায়তা করার জন্য সংস্থার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন।
তিনি বলেন, ‘অসহায় ও ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের নিরাপত্তা ও কল্যাণ নিশ্চিত করা আমাদের অগ্রাধিকার। আমরা প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া নিশ্চিত করতে সরকারের সঙ্গে কাজ করতে সম্পূর্ণরূপে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’
উল্লেখ্য, এখন পর্যন্ত সুদান থেকে দেশে ফেরার জন্য অপেক্ষারত ৬৮০ বাংলাদেশি নাগরিকের মধ্যে ১৩৬ জনকে সমন্বিত উদ্যোগে দেশে আনল বাংলাদেশ সরকার ও আইওএম।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ অনিয়মতান্ত্রিক অভিবাসনকে নিরুৎসাহিত করে: প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী
চলতি মাসেই মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠানো শুরু: প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী
স্মার্ট বাংলাদেশ বাস্তবায়নে প্রযুক্তিনির্ভর শিক্ষাব্যবস্থা প্রণয়ন করাই সরকারের লক্ষ্য: দীপু মনি
স্মার্ট বাংলাদেশ বাস্তবায়নে প্রযুক্তিনির্ভর শিক্ষাব্যবস্থা প্রণয়ন করাই সরকারের লক্ষ্য বলে মন্তব্য করেছেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি।
বাংলাদেশ সরকারের ‘স্মার্ট বাংলাদেশ ২০৪১’ রূপকল্পের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশে প্রতিটি নাগরিক প্রযুক্তির ব্যবহারে দক্ষ হবে, প্রযুক্তির মাধ্যমে সকল অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড সাধিত হবে, সরকার প্রযুক্তিগতভাবে স্মার্ট হবে এবং সমাজের সকল স্তরে এর প্রতিফলন হবে। তাই স্মার্ট বাংলাদেশ বাস্তবায়নে প্রযুক্তি ও উদ্ভাবননির্ভর শিক্ষাব্যবস্থা প্রণয়ন করাই সরকারের লক্ষ্য।
ওয়ার্ল্ড ইকোনোমিক ফোরামের আমন্ত্রণে ‘গ্রোথ সামিট ২০২৩’- শীর্ষক উচ্চ পর্যায়ের সম্মেলনে অন্যতম প্রধান আলোচক হিসেবে অংশগ্রহণকালে তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় দীপু মনি বলেন, চতুর্থ শিল্পবিপ্লব এবং কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তার প্রসারের ফলে কোটি কোটি মানুষ কর্মহীন হয়ে পরতে পারে।
তিনি বলেন, প্রযুক্তিগত উৎকর্ষের ফলে সৃষ্ট এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় দক্ষ মানবসম্পদ তৈরি এবং উদ্ভাবন-নির্ভর সমাজ বিনির্মাণে প্রযুক্তি ও উদ্ভাবন নির্ভর শিক্ষাব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে।
আরও পড়ুন: উন্নত বাংলাদেশ বিনির্মাণে প্রধান হাতিয়ার শিক্ষা: দীপু মনি
তিনি প্রযুক্তি ও উদ্ভাবন নির্ভর শিক্ষাব্যবস্থাকে স্মার্ট বাংলাদেশ প্রণয়নের অন্যতম অনুষঙ্গ হিসেবে অভিহিত করে, শিক্ষাব্যবস্থার সর্বস্তরে প্রযুক্তির প্রসারে সরকার কর্তৃক প্রণীত ন্যাশনাল মাস্টার প্ল্যান ফর আইসিটি ইন এডুকেশন, ন্যাশনাল ব্লেন্ডেড একুকেশন এন্ড স্কিল মাস্টারপ্ল্যান প্রভৃতির ওপর আলোকপাত করেন।
শিক্ষামন্ত্রী গত ০২-০৩ মে সুইজারল্যান্ডে অনুষ্ঠিত এই সম্মেলনের অংশ হিসেবে আয়োজিত বিভিন্ন উচ্চ পর্যায়ের ডায়ালগসমূহে অংশগ্রহণ করেন।
এসময় তিনি, ক্রমবর্ধমান ডিজিটাল বৈষম্য সৃষ্টির প্রেক্ষিতে শিক্ষা ব্যবস্থার আমূল সংস্কারের প্রয়োজন রয়েছে মর্মে মন্তব্য করে, শিক্ষা, প্রযুক্তি ও কর্মসংস্থান-এই ত্রয়ীর মধ্যে নিবিড় সমন্বয়ের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
তিনি শিক্ষাজীবনে অর্জিত জ্ঞান যাতে কর্মক্ষেত্রে অনুপযোগী হয়ে না যায়, সে বিষয়টি নিশ্চিত করতে প্রযুক্তি ও কারিগরি শিক্ষার ওপর বিশেষ গুরুত্বারোপ করেন।
এছাড়াও শিক্ষামন্ত্রী শিক্ষণ ও দক্ষতার উত্তরোত্তর উন্নয়নের জন্য বৈশ্বিক ও আঞ্চলিক সহযোগিতার সুস্পষ্ট রূপরেখা সৃষ্টির প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে সকলকে আহ্বান জানান।
সম্মেলনে অংশগ্রহণকালে শিক্ষামন্ত্রী ওয়ার্ল্ড ইকোনোমিক ফোরামের প্রতিষ্ঠাতা এবং নির্বাহী চেয়ারপার্সন প্রফেসর ক্লাউস শোয়্যাব এবং ফোরামের বর্তমান সভাপতি বর্গ ব্রেন্ড এর সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেন।
এসময় তিনি অর্থনৈতিক উন্নয়নের বৈশ্বিক আলোচনা এবং এ সংশ্লিষ্ট বৈচিত্র্যময় চিন্তাভাবনাকে একটি কমন প্লাটফর্মে উপস্থাপনের প্রয়াসের জন্য তাদের প্রশংসা করেন।
শিক্ষামন্ত্রী বাংলাদেশের শিক্ষাক্ষেত্রে অর্জিত অগ্রগতি নিরবচ্ছিন্ন রাখতে কোভিড-১৯ এর কঠিন এবং চ্যালেঞ্জিং সময়ে সরকারের গৃহীত প্রচেষ্টা তাদের সামনে তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, নানাবিধ ইতিবাচক দিকের পাশাপাশি প্রযুক্তিগত উৎকর্ষ শ্রমবাজারের ওপর যে নেতিবাচক প্রভাব সৃষ্টি করতে পারে। সে বিষয়ে নিবিড় ও বিস্তারিত গবেষণা কার্যক্রম হাতে নেওয়ার জন্য তিনি ওয়ার্ল্ড ইকোনোমিক ফোরামকে অনুরোধ জানান তিনি।
বিভিন্ন দেশের মন্ত্রী, প্রথিতযশা অর্থনীতিবিদ, আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানের প্রধান, বিশ্বের নামকরা কর্পোরেট সংস্থাসমূহের প্রধান নির্বাহীবৃন্দসহ প্রমুখ ওয়ার্ল্ড ইকোনোমিক ফোরাম কর্তৃক আয়োজিত এই সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেন।
আরও পড়ুন: এসএসসির প্রশ্ন ফাঁসের কোনো সুযোগ নেই: দীপু মনি
আগামী বছর জাতীয় মেধাক্রম তৈরি করে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি: দীপু মনি
১ জুলাই থেকে ডলারের পরিবর্তে টাকায় বিমান ভাড়া নির্ধারণ করতে হবে
বাংলাদেশ সরকার দেশ থেকে বিদেশে যাত্রী বহন এবং পণ্য পরিবহনের জন্য বিমান ভাড়া নির্ধারণের জন্য মার্কিন ডলারের পরিবর্তে স্থানীয় মুদ্রা টাকা ব্যবহার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে - যা এই বছরের ১ জুলাই থেকে কার্যকর হবে।
সম্প্রতি বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এ সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়।
এ নির্দেশনা অনুযায়ী দেশে চলাচলকারী সব দেশি-বিদেশি এয়ারলাইন্সকে ডলারের পরিবর্তে টাকায় বিমান ভাড়া নির্ধারণ করতে হবে।
প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, দেশের বাইরে থাকা বাংলাদেশি এয়ারলাইন্সগুলো ওইসব দেশের মুদ্রায় বিমান ভাড়া নির্ধারণ করছে, তাই বাংলাদেশেও বিমান ভাড়া হতে হবে টাকায়।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের সম্মতিতে পরবর্তীতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমোদনের ভিত্তিতে এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়।
সরকার মিথ্যা কথা বলে জনগণকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে: মির্জা ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আমরা বরাবরই বলে আসছি সরকার মিথ্যা কথা বলে জনগণকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে।
যেহেতু তাদের পায়ের নিচে মাটি নেই, তাই এ ধরনের মিথ্যা গোয়েবলসি প্রচার করে প্রচার করতে চায় তারা সফল।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রে বিশ্বব্যাংকের সদর দপ্তরের অনুষ্ঠান এবং আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) শীর্ষ প্রধানদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকের প্রসঙ্গ টেনে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘এই সফরে অর্জন শূন্য’।
বুধবার দুপুরে লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) চেয়ারম্যান অলি আহমেদের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এই মন্তব্য করেন।
আরও পড়ুন: ২০০৯ সালের বিডিআর বিদ্রোহের তদন্ত নিয়ে প্রশ্ন মির্জা ফখরুলের
তিনি বলেন, বিশ্বব্যাংক এবং আইএমএফকে তারা মিথ্যা তথ্য দিচ্ছে। আমরা ইতোমধ্যে কাগজপত্র দেখেছি। তারা ইতোমধ্যে একটা স্টেটমেন্ট পর্যন্ত দিয়েছে যে আমরা (আইএমএফ) এই কথা বলিনি, কেবল তার সঙ্গে মিটিংয়ের কথা বলেছি। এককভাবেই বিশ্বব্যাংকের ঋণ পূর্বনির্ধারিত। আগেই কথা হয়েছে যে তারা এই ঋণ দেবে। সুতরাং প্রধানমন্ত্রীর এই সফরে এচিভমেন্ট ইজ জিরো।
ফখরুল বলেন, মিথ্যা কথা বলে মানুষকে বেশি দিন বোকা বানিয়ে রাখা যায় না। আওয়ামী লীগ সেই কাজটাই করে যাচ্ছে। কিন্তু এবার তারা ব্যর্থ হবে। কারণ জনগণ তাদের মিথ্যাচার বুঝে গেছে। জনগণ তাদের সরিয়ে জনগণের একটা শাসন প্রতিষ্ঠা করবে।
দেশের অর্থনৈতিক দুরাবস্থার মধ্যে প্রধানমন্ত্রী তিন দেশ সফরকে কিভাবে দেখছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, এগুলো বা পুরো বিষয়টা হচ্ছে ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য এই সমস্ত সফর। এসব করে কোনো লাভ হবে না। জনগণের নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে, গণতন্ত্রকে ফিরিয়ে আনতে হবে, আইনের শাসনকে ফিরিয়ে আনতে হবে।
এছাড়া জনগণ যেন সত্যিকার অর্থেই একটা গণতান্ত্রিক সমাজে বাস করতে পারে সেই ব্যবস্থা করতে হবে।
যুক্তরাষ্ট্রের ‘ভয়েস অব আমেরিকা’য় এক সাক্ষাৎকারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিএনপির সঙ্গে সংলাপ করতে চান না বলে যে মন্তব্য করেছে তার প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা তো তাদের সঙ্গে আলোচনা করতে চাইনি।
তিনি বলেন, তাদের সঙ্গে আলোচনায় বসার যুক্তি থাকতে পারে না এ জন্য যে, তারা পুরোপুরিভাবে মিথ্যা কথা বলে এবং তারা জাতির সঙ্গে বিট্রে করে, বিশ্বাসঘাতকতা করে। সেই কারণে জনগনের আন্দোলনের মধ্য দিয়েই জনগন রাজপথে ফয়সালা করে নেবে।
বিএনপি অগ্নিসন্ত্রাস করে-যুক্তরাষ্ট্রে প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া এ রকম বক্তব্যের জবাবে বিএনপি মহাসচিব বলেন, অগ্নিসন্ত্রাসের ধারক-বাহক আওয়ামী লীগই। তারাই অগ্নিসন্ত্রাস শুরু করেছে, তারাই এটা কন্টিনিউ করে, নিজেরা করে উদোর পিণ্ডি বুদোর ঘাড়ে চাপায়।
এখানে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসের মধ্য দিয়ে জন্ম এবং সন্ত্রাস করেই তারা টিকে থাকে। তাদের বডি কেমেস্ট্রিতে দুই জিনিস আছে। একটা সন্ত্রাস আরেকটা দুর্নীতি। এই দুইটা ছেড়ে তারা থাকতে পারে না।
আরও পড়ুন: ‘স্বৈরাচারের’ বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে শ্রমিকদের প্রতি মির্জা ফখরুলের আহ্বান
বাংলাদেশে এখন গণতন্ত্র সম্পূর্ণ অনুপস্থিত: মির্জা ফখরুল
খালেদা জিয়াকে বিদেশে উন্নত চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত করছে সরকার: খসরু
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী অভিযোগ করে বলেছেন, খালেদা জিয়ার বিদেশে প্রাপ্য উন্নত চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত করছে সরকার।
তিনি বলেন, ‘তাকে মিথ্যা মামলায় অন্যায়ভাবে জেলে পাঠানো হয়েছে। তাকে চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। ওনার অবস্থা ভালো না। বিদেশের একটি বিশেষায়িত হাসপাতালে তার প্রয়োজনীয় বিশেষায়িত চিকিৎসা থেকে তাকে বঞ্চিত করা হচ্ছে।’
বিএনপি চেয়ারপার্সনের গুলশান কার্যালয়ে গণতান্ত্রিক বাম ঐক্যের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে খসরু এ মন্তব্য করেন।
চিকিৎসকরা দীর্ঘদিন ধরে খালেদাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর কথা বললেও সরকার তা উপেক্ষা করে আসছে বলে জানান তিনি।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি থেকে শুরু করে নিম্নস্তরের রাজনীতিকরা প্রায়ই চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাচ্ছেন। ‘কিন্তু বেগম খালেদা জিয়া তা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। তাকে বিদেশে যেতে দেওয়া হচ্ছে না।’
আরও পড়ুন: চিকিৎসার জন্য খালেদা জিয়া এভারকেয়ারে ভর্তি
বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে শনিবার রাতে কিছু শারিরীক পরীক্ষা ও প্রয়োজনীয় চিকিৎসার জন্য এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তাকে হাসপাতালের একটি কেবিনে চিকিৎসকদের নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খসরু বলেন, সরকার ক্ষমতা হারানোর ভয়ে খালেদা জিয়াকে রাজনীতি থেকে দূরে রাখার মূল উদ্দেশ্য নিয়েই বিদেশে চিকিৎসা নিতে দিচ্ছে না।’
খালেদা জিয়াকে রাজনীতি থেকে দূরে রেখে ক্ষমতাসীন দল আবারও ক্ষমতা ধরে রাখার চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
বিএনপি নেতা অবশ্য হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, দেশের জনগণ এবার সরকারকে যোগ্য জবাব দেবে।
সরকারের বিরুদ্ধে ‘মিথ্যা’ মামলায় বিএনপি নেতাকর্মীদের নির্যাতন ও গ্রেপ্তারের অভিযোগও করেন তিনি। ‘বর্তমান সরকারের একমাত্র উদ্দেশ্য হচ্ছে জনগণের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়ে ক্ষমতা দখল করা। তারা কোনোভাবেই জনগণের ভোটাধিকার ফিরিয়ে দিতে রাজি নয়।’
বিএনপি ও গণতান্ত্রিক বাম ঐক্যের লিয়াজোঁ কমিটির বৈঠকে খসরু বলেন, চলমান যুগপৎ আন্দোলন জোরদার করতে সম্ভাব্য কর্মসূচি নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়া এভারকেয়ারে নিবিড় পর্যবেক্ষণে: ব্যক্তিগত চিকিৎসক জাহিদ
পার্বত্য চট্টগ্রামে শিক্ষক সংকট নিরসনে উদ্যোগ নিচ্ছে সরকার: শিক্ষা উপমন্ত্রী
শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলেছেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে শিক্ষার মানোন্নয়নে স্থানীয়ভাবে মেধাবীদের মধ্য থেকে শিক্ষক নিয়োগে সরকারের পরিকল্পনা রয়েছে। এতে শিক্ষক সংকটের দীর্ঘমেয়াদী সমস্যার সমাধান হবে।
শুক্রবার খাগড়াছড়ির মানিকছড়ি রাণী নিহার দেবী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের প্রথম পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
শিক্ষা উপমন্ত্রী বলেন, অনুষ্ঠিতব্য পাবলিক পরীক্ষা শেষে পার্বত্য চট্টগ্রামের যেসব সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক সংকট রয়েছে, সেখানে জরুরি ভিত্তিতে শিক্ষক পদায়ন করা হবে। একই সঙ্গে পদায়নকৃত শিক্ষকরা যাতে ইচ্ছা হলে বদলী হতে না পারেন, সেজন্যও কঠোর ব্যবস্থা নিবে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
আরও পড়ুন: খাগড়াছড়িতে প্রতিপক্ষের গুলিতে ইউপিডিএফ সদস্য নিহত
অনুষ্ঠানে শরণার্থী বিষয়ক টাস্কফোর্স চেয়ারম্যান কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি, খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মংসুই প্রু চৌধুরী অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন।
এর আগে, রাণী নিহার দেবী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের করা হয়।
আজ সন্ধ্যায় তারকা শিল্পী পড়শিসহ স্থানীয় শিল্পীদের সাংস্কৃতিক পরিবেশনায় পর্দা নামবে এ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের মিলন মেলার।
আরও পড়ুন: খাগড়াছড়িতে ৩ নারী ফুটবলারকে ফুলেল শুভেচ্ছা, ৪ লাখ টাকার চেক হস্তান্তর