বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, কর্নেল খন্দকার নাজমুল হুদা বীর বিক্রমসহ তিন মুক্তিযোদ্ধা সেনা কর্মকর্তাকে হত্যার ঘটনায় জিয়াউর রহমানের বিরুদ্ধে মামলা করা সরকারের সুদূরপ্রসারী রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের অংশ।
তিনি জানান, ‘৪৮ বছর পর আবারও একটি সম্পূর্ণ মিথ্যাতে সামনে আনা হয়েছে। এটা সম্পূর্ণ ইচ্ছাকৃত। এর পিছনে একমাত্র উদ্দেশ্য হল জনগণ যখন গণতান্ত্রিক অধিকার পুনরুদ্ধারের জন্য রাস্তায় নামতে শুরু করেছে, তাদেরকে বিভ্রান্ত করা।’
রবিবার গুলশানে বিএনপি চেয়ারপার্সনের কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে মির্জা ফখরুল এসব কথা বলেন।
এসময় তিনি বলেন, নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে আগামী নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য সরকারের ওপর জাতীয় ও আন্তর্জাতিক চাপ থাকায় জনগণকে বিভ্রান্ত করার জন্যই এ মামলা করা হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘এ ধরনের মিথ্যাচার ও ৪৮ বছরের পুরনো ইস্যু উত্থাপন করে জাতিকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। এর পেছনে তাদের (সরকারের) সুদূরপ্রসারী রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র রয়েছে। এটা তাদের চক্রান্তের অংশ।’
আরও পড়ুন: নির্বাচনী মাঠ শূন্য করতে আবারো ‘পুরনো খেলা’ শুরু করেছে সরকার: ফখরুল
এর আগে কর্নেল খন্দকার নাজমুল হুদা বীর বিক্রমের মেয়ে নাহিদ ইজহার খান ১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর তার বাবাকে হত্যার ঘটনায় ৪৮ বছর পর গত বৃহস্পতিবার ঢাকার শেরেবাংলা নগর থানায় মামলা করেন।
মামলায় নাহিদ দশম ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের মেজর (অব.) আব্দুল জলিলকে আসামি করে দাবি করেন, জিয়াউর রহমানের নির্দেশেই এ হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে।
দলের প্রতিষ্ঠাতার বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের প্রতিবাদ জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, রাতে ভোটের মাধ্যমে গঠিত বর্তমান সংসদের সংসদ সদস্য এবং শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বর্তমান 'ফ্যাসিবাদী' সরকারের সুবিধাভোগী নাহিদ হয়তো ১৯৭৫ এর ৭ নভেম্বরের ঘটনা নিয়ে তার নিজের মা নিলুফার হুদার লেখা বইটি পড়েননি।
তিনি বলেন,'দ্য ওয়ার অব কর্নেল হুদা অ্যান্ড মি'- বইয়ে নিলুফার হুদা স্পষ্টভাবে উল্লেখ করেছেন যে জিয়াউর রহমান সেদিন কর্নেল নওয়াজিশকে খালেদা জিয়া, কর্নেল নাজমুল আল হুদা ও মেজর এটিএম হায়দারকে রক্ষা করার নির্দেশ দিয়েছিলেন।
আরও পড়ুন: নির্বাচন কমিশনের সুষ্ঠু নির্বাচন করার ক্ষমতা নেই: মির্জা ফখরুল