গঠন
যে কোনো কারখানায়ই শ্রমিক ইউনিয়ন গঠন করা যাবে: আইনমন্ত্রী
এখন থেকে যে কোনো কারখানায়ই শ্রমিক ইউনিয়ন গঠন করতে পারবে বলে জানিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়কমন্ত্রী আনিসুল হক।
সোমবার (২২ এপ্রিল) সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে মার্কিন বাণিজ্য প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান তিনি।
বৈঠক প্রসঙ্গে জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, তারা মূলত বাংলাদেশের শ্রম আইন, শ্রমিকদের অধিকার এবং তা নিয়ে আমরা কী কাজ করছি, সে বিষয়ে আলোচনা করেছেন।
আরও পড়ুন: বাহরাইনের সঙ্গে বন্ধুত্ব ও ভ্রাতৃত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরও শক্তিশালী করতে চায় বাংলাদেশ: আইনমন্ত্রী
আইনমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে শ্রমিক আইন সংশোধনের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে মার্কিন বাণিজ্য প্রতিনিধি দলের সঙ্গে কথা হয়েছে। এছাড়া ট্রেড ইউনিয়ন গঠনে শ্রমিকদের সম্মতির হার অর্থাৎ ট্রেড ইউনিয়ন গঠন করার জন্য যে কত শতাংশ শ্রমিক প্রয়োজন সেটি জানতে চেয়েছে প্রতিনিধিরা।
তিনি আরও বলেন, ‘২০১৬ সালের দিকে শ্রমিকদের সম্মতির হার ৩০ শতাংশ ছিল। ২০১৭ সালে যখন আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) সম্মেলনে যাই, তখন এই হার ২০ শতাংশে নিয়ে আসার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। এই হার আরও কমানো হবে তবে সেটি ধীরে ধীরে। এবার যখন সংশোধনী হয়, তখন প্রথম প্রস্তাব ছিল— এটাকে ২০ শতাংশ থেকে ১৫ শতাংশে নিয়ে আসব। কিন্তু সেখানে একটা ক্যাভিয়েট (শর্ত) ছিল, এটা শুধু যেসব কারখানায় তিন হাজার বা তার চেয়ে বেশি শ্রমিক কর্মরত, তাদের জন্য প্রযোজ্য হবে। কিন্তু সেই সীমাও উঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘শ্রম আইন নিয়ে সমস্যা যখন হয়েছিল, রাষ্ট্রপতির কাছ থেকে ফেরত আনা হয়েছিল, তার পরের আলোচনায় সিদ্ধান্ত নিয়েছি, আমরা এটা সবার জন্য করবো, কোনো ক্যাপ (সীমা) থাকবে না। সেটাও আমরা মার্কিন প্রতিনিধিদের জানিয়েছি।’
মন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ শ্রমিক আইন বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ যেটা হচ্ছে, সেখানে প্রযোজ্য হবে। আগে বাংলাদেশ এক্সপোর্ট প্রসেসিং জোন লেবার অ্যাক্টে প্রযোজ্য হওয়ার কথা ছিল। সেই সংশোধনী আমরা করেছি। যে ১১টি বিষয় তারা জানতে চেয়েছিলেন, তাতে এগুলো ছিল।’
যেসব বিষয়ে কাজ শেষ হয়েছে সেসব প্রতিনিধি দলকে জানানো হয়েছে বলে জানান তিনি।
মন্ত্রী বলেন, ‘শ্রমিক অধিকার নিয়ে জানতে চেয়েছিলেন। এটা চলমান কাজ। শ্রমিকদের অধিকার দিন দিন বাড়বে, কমবে না।’
বাংলাদেশের শ্রম আইন ও অধিকারের বিষয়ে শোনার পর মার্কিন প্রতিনিধিরা সন্তোষ প্রকাশ করেছেন বলে জানান মন্ত্রী।
তিনি বলেন, এই আলোচনার পর মার্কিন প্রতিনিধিরা আমাকে বলেছে, তারা সন্তুষ্ট হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, সবসময় শ্রমিকদের অধিকার যা আছে, তার থেকে বেশি যাতে তারা পায় এবং অধিকার বাস্তবায়ন করা, তারা যাতে সেটা ভোগ করতে পারে, সেটা নিশ্চিত এই সরকার করবে।
আরও পড়ুন: রাজনৈতিক দল অস্তিত্ব সংকটে থাকলে আবোল-তাবোল বলে: আইনমন্ত্রী
স্মার্ট জেনারেশন তৈরিতে এআই আইন গুরুত্বপূর্ণ: আইনমন্ত্রী
সদরঘাটে দুর্ঘটনা: ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন
ঢাকার সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালে দুর্ঘটনায় পাঁচজনের মৃত্যুর ঘটনায় ঘটনায় তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)'র পরিচালক (ক্রয় ও সংরক্ষণ) মো. রফিকুল ইসলাম কমিটির আহ্বায়ক করে তিন সদস্যের এই তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।
সদস্যের তদন্ত কমিটিতে রয়েছেন- নৌ সংরক্ষণ ও পরিচালন বিভাগের যুগ্ম পরিচালক মো. আজগর আলী এবং বন্দর শাখার যুগ্ম পরিচালক মো. কবীর হোসেন।
এদিকে তদন্ত কমিটিতে আগামী পাঁচ কর্মদিবসের মধ্যে বিআইডব্লিউটিএ'র চেয়ারম্যানের নিকট প্রতিবেদন পেশ করতে বলা হয়েছে ।
বিজয় এক্সপ্রেস লাইনচ্যুত: ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন
ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথের কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে তেজের বাজার এলাকায় চট্টগ্রাম থেকে জামালপুরগামী বিজয় এক্সপ্রেস ট্রেনের ৯টি বগি লাইনচ্যুত হওয়ার ঘটনায় পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
রবিবার রেলওয়ে পূর্বাঞ্চল বিভাগীয় পরিবহন কর্মকর্তা আনিসুর রহমানকে আহ্বায়ক করে পাঁচ সদস্যের এই তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।
আরও পড়ুন: ফেনীতে ‘সাগরিকা এক্সপ্রেস’ ট্রেনের বগি লাইনচ্যুত
এদিকে তদন্ত কমিটিকে বগি লাইনচ্যুত হওয়ার সঠিক কারণ খুঁজে বের করে তিন দিনের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
চট্টগ্রাম বিভাগীয় রেলওয়ে ব্যবস্থাপক সাইফুল ইসলাম জানান, রেলওয়ে পূর্বাঞ্চল বিভাগীয় পরিবহন কর্মকর্তা আনিসুর রহমানকে আহ্বায়ক করে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, লাকসাম থেকে একটি উদ্ধারকারী ট্রেন সাড়ে ৬টায় ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে এবং চট্টগ্রাম থেকে আরেকটি উদ্ধারকারী ট্রেন এলে উদ্ধার কাজ শুরু হবে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত উদ্ধার কাজ শুরু হয়নি।
তিনি জানান, আহত যাত্রীদের নাঙ্গলকোট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় ‘বিজয় এক্সপ্রেস’ ট্রেনের ৯ বগি লাইনচ্যুত
ট্রেন লাইনচ্যুত: জামালপুর-ময়মনসিংহ রুটে চলাচল বন্ধ
শিশু আয়ানের মৃত্যু: তদন্তের জন্য নতুন কমিটি গঠন
রাজধানীর বাড্ডার সাতারকুলে ইউনাইটেড মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে খাতনা করতে গিয়ে শিশু আয়ান আহমেদের মৃত্যুর ঘটনায় নতুন করে তদন্ত কমিটি গঠন করে দিয়েছেন হাইকোর্ট।
মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ কমিটি গঠনের আদেশ দেন।
আরও পড়ুন: চিকিৎসায় অবহেলায় ইউনাইটেড হাসপাতালে মৃতদের তালিকা দাখিলের নির্দেশ
শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতালের অ্যানেস্থেসিয়া বিভাগের প্রধান অধ্যাপক মাকসুদুল আলমকে প্রধান করে পাঁচ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়।
এছাড়া কমিটিতে আরও দুইজন চিকিৎসক, দুইজন সিভিল সোসাইটির সদস্য ও একজন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপককে রাখা হয়েছে। কমিটি এক মাসের মধ্যে আয়ানের মৃত্যুর পুরো ঘটনা তদন্ত করে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করবে।
আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন- রিটকারী আইনজীবী শাহজাহান আকন্দ মাসুম। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন- ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায়। ইউনাইটেড হাসপাতালের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন- ব্যারিস্টার সাঈদ আহমেদ রাজা।
আরও পড়ুন: থানা-আদালত প্রাঙ্গণে জব্দ করা মালামালের তথ্য জানাতে আইজিপিকে হাইকোর্টের নির্দেশ
এর আগে ১৫ জানুয়ারি এ বিষয়ে অনুসন্ধান করে প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে রুলে আয়ানের পরিবারকে কেন পাঁচ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে না- তা জানতে চাওয়া হয়।
এ আদেশ অনুসারে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে উপপরিচালক ডা. পরিমল কুমার পালের সই করা ১৫ পৃষ্ঠার প্রতিবেদন ২৮ জানুয়ারি আদালতে দাখিল করা হয়।
উল্লেখ্য, সুন্নতে খাতনা করানোর জন্য আয়ানকে বাড্ডার সাঁতারকুল ইউনাইটেড মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান অভিভাবকরা। খাতনা শেষ হওয়ার পর আয়ানের জ্ঞান না ফেরায় তাকে সেখান থেকে পাঠানো হয় ইউনাইটেড হাসপাতালে। সেখানে সাত দিন শিশু নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে লাইফ সাপোর্টে থাকার পর মারা যায় সে।
আরও পড়ুন: দেশের আদালতে দণ্ডিত সবাইকে ফিরিয়ে আনা হবে: আইনমন্ত্রী
পদ্মায় ফেরিডুবির ঘটনায় দুটি তদন্ত কমিটি গঠন
মানিকগঞ্জের পাটুরিয়ায় পদ্মা নদীতে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথে ফেরিডুবির ঘটনায় প্রতিটিতে ৫ সদস্য নিয়ে পৃথক দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
মানিকগঞ্জের জেলা প্রশাসক রেহানা আক্তার একটি এবং বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি) একটি কমিটি গঠন করেন।
উভয় কমিটিকে ৫ দিনের মধ্যে তাদের প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) আরিচা আঞ্চলিক কার্যালয়ের উপ-মহাব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) শাহ মো. খালেদ নেওয়াজ জানান, বাল্কহেডের ধাক্কায় পিকআপ ও কাভার্ডভ্যান নিয়ে 'রজনীগন্ধা' নামের ফেরিটি সকাল ৮টা ১৬ মিনিটের দিকে নদীতে ডুবে যায়।
তিনি বলেন, ঘন কুয়াশার কারণে দৃশ্যমানতা কম থাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটেছে।
ঘটনার পর স্থানীয় ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল বাংলাদেশ নৌবাহিনীর সহায়তায় ২০ জনকে নদী থেকে উদ্ধার করে।
তবে এখনো নিখোঁজ রয়েছেন ফেরির দ্বিতীয় চালক হুমায়ুন কবির (৩৯)।
আরও পড়ুন: পাটুরিয়া ফেরিঘাট এলাকায় যানবাহন নিয়ে ফেরিডুবি, চালক নিখোঁজ
বাল্কহেড ধাক্কা দেওয়ায় ফেরিডুবির ঘটনা ঘটেছে: নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী
গোপীবাগে ট্রেনে আগুন: ৭ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন
রাজধানীর গোপীবাগে শুক্রবার (৫ জানুয়ারি) রাতে বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনে আগুন দেওয়ার ঘটনায় অন্তত ৪ জনের মৃত্যুর ঘটনায় ৭ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বাংলাদেশ রেলওয়ে।
বিভাগীয় রেলওয়ে ব্যবস্থাপকের (ডিআরএম) নির্দেশে এ ঘটনার কারণ চিহ্নিত করে দায়িত্ব নির্ধারণের জন্য এই কমিটি গঠন করা হয়েছে।
রেলপথ মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ তথ্য কর্মকর্তা সিরাজ-উদ-দৌলা খান জানান, রেলওয়ের বিভাগীয় সংকেত ও টেলিযোগাযোগ প্রকৌশলী মো. সৌমিক শাওন কবিরকে প্রধান করে গঠিত কমিটিকে ৩ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স মিডিয়া সেলের উপ-সহকারী পরিচালক শাহজাহান শিকদার বলেন, ট্রেনের পুড়ে যাওয়া বগি থেকে ৪ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
তিনি বলেন, রাত ৯টা ৫ মিনিটের দিকে বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনের ৪টি বগিতে আগুন ধরিয়ে দেয় দুর্বৃত্তরা। খবর পেয়ে রাত ৯টা ২৫ মিনিটের দিকে ফায়ার সার্ভিসের ৮টি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে রাত ১০টা ২০ মিনিটের দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। ঢাকাগামী ট্রেনটির ৩টি বগি পুরোপুরি পুড়ে গেছে।
আরও পড়ুন: রাজধানীর গোপীবাগে যাত্রীবাহী ট্রেনে আগুন, নিহত ৪
চট্টগ্রামে ভবন হেলে পড়ার ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন
চট্টগ্রাম মহানগরীর বায়েজিদ রৌফাবাদ এলাকায় একটি ৪তলা ভবন হেলে পড়ার ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করেছে জেলা প্রশাসন।
শনিবার (২৫ নভেম্বর) রাতে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ৭ সদস্যের কমিটি গঠনের কথা জানানো হয়।
এর আগে সন্ধ্যা ৬টার দিকে বায়েজিদ বোস্তামি থানার রৌফাবাদ হাউজিং সোসাইটি এলাকায় খোরশেদ ম্যানশন নামে একটি ৪ তলা ভবন হেলে পড়ে এক পাশে।
এর পরপরই অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সাদিউর রহিম জাদিদ, কাট্টলী সার্কেলের সহকারী কমিশনার (ভূমি) উমর ফারুক, চাঁন্দগাও সার্কেলের সহকারী কমিশনার (ভূমি) ফেরদৌস আরা ও জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তার উপস্থিতিতে ফায়ার সার্ভিসের ৩টি ইউনিট উক্ত ভবনের বাসিন্দাদের নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নিয়ে আনে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে হেলে পড়েছে চারতলা ভবন
আশে পাশের আরো ৪টি ভবন ঝুঁকিপূর্ণ বিবেচনায় সেগুলোর বাসিন্দাদেরও সরিয়ে আনা হয়েছে। মোট ১০০টি পরিবারকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে আনা হয়েছে।
চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশ ও র্যাবের সহায়তায় জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা কাজ করে যাচ্ছেন।
জানা গেছে, মূল হেলে পড়া ভবনটির পেছনে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) খাল খনন প্রকল্পের কাজ সেনাবাহিনী বাস্তবায়ন করছে। সেই খাল খনন করায় ভবনের পিলার দুর্বল হয়ে পড়েছে- এমনটাই দাবি করছেন বাসিন্দারা। অপরদিকে সিডিএ'র প্রধান প্রকৌশলী জানান, উক্ত ভবন অপসারণ করার কথা ছিল এবং ভবনের মালিক অপসারণের জন্য সময় নিয়েছিলেন।
আরও পড়ুন: মহাখালীতে বহুতল ভবনে আগুন
জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান বলেন, ঘটনা তদন্তে জেলা প্রশাসনের পক্ষ হতে উপপরিচালক স্থানীয় সরকারকে প্রধান করে ৭ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, উক্ত কমিটিতে সিএমপি'র প্রতিনিধি, সিটি করপোরেশনের প্রতিনিধি, সিডিএ'র প্রতিনিধি, বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট, ফায়ার সার্ভিসের প্রতিনিধি, পিডব্লিউডি'র প্রতিনিধিকে রাখা হয়েছে। কমিটি প্রয়োজনে চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষজ্ঞদের মতামত গ্রহণ করবে। ৭ দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে।
জেলা প্রশাসক বলেন, ঝুঁকিপূর্ণ ৫টি ভবনে কেউ যেন পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বসবাস না করেন সে জন্য জেলা প্রশাসনের পক্ষ হতে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। বাসিন্দাদের আশ্রয়ের জন্য আশেপাশের বিদ্যালয় খোলা রাখা হয়েছে। পাশাপাশি খাবারের ব্যবস্থাও রাখা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ডেমরায় নির্মাণাধীন ভবন থেকে পড়ে শ্রমিকের মৃত্যু
দেশে ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠায় 'ফ্যাসিবাদবিরোধী ছাত্রঐক্য' গঠন
ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠা, ক্যাম্পাসে সন্ত্রাস ও দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে, সার্বজনীন শিক্ষা ও গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে 'ফ্যাসিবাদবিরোধী ছাত্রঐক্য' নামে একটি নতুন ছাত্র জোট গঠন করা হয়েছে।
এই ব্যানারে শুক্রবার সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক যৌথ ঘোষণার মাধ্যমে ১৫টি ছাত্র সংগঠন এই জোটটি গঠন করে।
ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েল ছাত্র সংগঠনগুলোর প্রতিনিধিদের পক্ষে এই জোটের ঘোষণা দেন।
আরও পড়ুন: আগামী নির্বাচনে চুরি করলে রেহাই নেই: আমীর খসরু
তিনি বলেন, ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠাসহ ৯ দফার ওপর বৃহত্তর ছাত্র আন্দোলন গড়ে তুলতে 'ফ্যাসিবাদবিরোধী ছাত্রঐক্য' নামে একটি সক্রিয় ছাত্র জোট গঠনের ঘোষণা দিচ্ছি।
দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে- শিক্ষার মানোন্নয়ন, মাতৃভাষার মাধ্যমে শিক্ষাব্যবস্থা গড়ে তুলতে জাতীয় অনুবাদ সংস্থা গঠন, মেধা ও যোগ্যতার আলোক শিক্ষা ও কর্মসংস্থান সৃষ্টি, সব জাতিকে সাংবিধানিক স্বীকৃতি, ছাত্র সংসদ নির্বাচন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সব ছাত্র সংগঠনের সহাবস্থান নিশ্চিত করা।
এছাড়াও তাদের দাবির মধ্যে রয়েছে সরকারবিরোধী ৩১ দফা দাবি, খালেদা জিয়ার মুক্তি ও সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্ট বাতিল।
আরও পড়ুন: আবারও সিসিইউতে খালেদা জিয়া
সংগঠনগুলো হলো- জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল, ছাত্র ফেডারেশন, ছাত্র অধিকার পরিষদ, ছাত্রলীগ (জেএসডি), গণতান্ত্রিক ছাত্রদল (এলডিপি), নাগরিক ছাত্র ঐক্য, জাগপা ছাত্রলীগ, গণফোরাম মন্টু, ভাসানী ছাত্র পরিষদ, জাতীয় ছাত্র সমাজ (কাজী জাফর), জাতীয় ছাত্র সমাজ (বিজেপি-পার্থ), জাগপা ছাত্রলীগ (খন্দকার লুৎফর), ছাত্র জমিয়ত বাংলাদেশ, বিপ্লবী ছাত্রসংহতি ও রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন।
জোট থেকে নির্বাচিত তিন সমন্বয়ক হলেন ছাত্রদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রাশেদ ইকবাল খান, ছাত্র ফেডারেশনের সভাপতি মশিউর রহমান রিচার্ড ও ছাত্র অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলাম আদিব।
ছাত্রদল নেতা জুয়েল জোটের মুখপাত্র এবং সব সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক কেন্দ্রীয় সমন্বয় পরিষদের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।
আরও পড়ুন: মিরসরাইয়ে আওয়ামী লীগ-বিএনপির সংঘর্ষে নিহত ১, আহত ২০
থ্যালাসেমিয়া রোগের বিস্তার রোধে বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠনের নির্দেশ
থ্যালাসেমিয়া রোগের বিস্তার বন্ধে নীতিমালা তৈরি করতে ৩০ দিনের মধ্যে ৭ সদস্যবিশিষ্ট বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
এই কমিটিকে ৬ মাসের মধ্যে নীতিমালা তৈরি করে আদালতে দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সোমবার (৩১ জুলাই) বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি মুহাম্মদ মাহবুব উল ইসলামের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আরও পড়ুন: আপনি ভুল করেননি, ক্রাইম করেছেন: জেলা জজকে হাইকোর্ট
একই সঙ্গে থ্যালাসেমিয়া নিয়ন্ত্রণে কার্যকরী ব্যবস্থা কেন গ্রহণ করা হবে না- তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত।
রুলে বিবাহ রেজিস্ট্রি খাতায় এই বিষয়ে কেন একটি কলাম যুক্ত করা হবে না তাও জানতে চাওয়া হয়েছে রুলে।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন মনজিল মোরসেদ। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল আবুল কালাম খান দাউদ ও তৌফিক সাজওয়ার পার্থ।
এর আগে গত ১৫ জুন থ্যালাসেমিয়া রোগের বিস্তার বন্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়।
জনস্বার্থে হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ (এইচআরপিবি) বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে থ্যালাসেমিয়া রোগ বিস্তার নিয়ে প্রকাশিত রিপোর্ট সংযুক্ত করে এ রিট আবেদন দায়ের করে।
রিট পিটিশনার হলেন- আইনজীবী মো. ছারওয়ার আহাদ চৌধুরী এবং আইনজীবী এখলাছ উদ্দিন ভূঁইয়া।
রিটের পক্ষের আইনজীবী মনজিল মোরসেদ বলেন, রিটে থ্যালাসেমিয়া রোগ বিস্তার রোধে কার্যকরী ব্যবস্থা নিতে বিবাদীদের কেন নির্দেশনা প্রদান করা হবে না এবং বিবাহ রেজিস্ট্রি ফরমে বর-কনের থ্যালাসেমিয়া রোগ সম্পর্কিত তথ্য কেন লিপিবদ্ধ করার নির্দেশ দেওয়া হবে না এই মর্মে রুল জারি করার আবেদন জানানো হয়েছে।
এছাড়া রিটে অন্তর্বর্তীকালীন আদেশে থ্যালাসেমিয়া রোগ বন্ধে গাইডলাইন তৈরি করার জন্য ৭ সদস্য বিশিষ্ট বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন এবং কমিটির ড্রাফট গাইডলাইন ৯০ (নব্বই) দিনের মধ্যে আদালতে দাখিলের নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।
থ্যালাসেমিয়া রোগ বিস্তার রোধে ছাত্র-ছাত্রী, সাধারণ জনগণ, সরকারি কর্মচারী ও অন্যান্য পেশার মানুষদের মাঝে প্রচার-প্রচারণা চালানোর জন্য বিবাদীদের ওপর নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব, প্রধানমন্ত্রী কার্যালয় সচিব, স্বাস্থ্য সচিব, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ সচিব, আইন মন্ত্রণালয়ের সচিববৃন্দ, ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সচিব, স্বাস্থ্য মহাপরিচালকসহ মোট ৮ জনকে রিটে বিবাদী করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ফুলপরীকে নির্যাতন: ইবির পাঁচ ছাত্রীকে নতুন করে শাস্তি আরোপের নির্দেশ হাইকোর্টের
ড. ইউনূসসহ চারজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের আদেশ কেন বাতিল নয়: হাইকোর্ট
'পদ্মা' ও 'মেঘনা' বিভাগ গঠন স্থগিত
বৃহত্তর ফরিদপুরের পাঁচটি জেলা নিয়ে ‘পদ্মা’এবং বৃহত্তর কুমিল্লার তিনটি ও নোয়াখালীর তিনটি করে মোট ছয়টি জেলা নিয়ে ‘মেঘনা’বিভাগ গঠন প্রক্রিয়া স্থগিত করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: 'পদ্মা' ও 'মেঘনা' নামেই হচ্ছে নতুন দুই বিভাগ
রবিবার (২৭ নভেম্বর) দুপুরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে প্রশাসনিক পুনর্বিন্যাস-সংক্রান্ত জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির (নিকার) বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
সভা শেষে সচিবালয়ের বিকালে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান।
আরও পড়ুন: রাজশাহীতে পদ্মা সেতুর নামে গুজব ছড়ানোর দায়ে যুবকের কারাদণ্ড