বার্সেলোনা
বার্সেলোনায় এবারের মতো পর্দা নামল মোবাইল ওয়ার্ল্ড কংগ্রেসের
‘ফাইভজি ও ডাটা পরিচালিত অর্থনীতির অগ্রযাত্রায় যুক্ত হোন’-এই আহ্বানের মধ্য দিয়ে বৃহস্পতিবার স্পেনের বার্সেলোনায় শেষ হয়েছে এ বছরের মোবাইল ওয়ার্ল্ড কংগ্রেস।
শেষ দিনেও মোবাইল ওয়ার্ল্ড কংগ্রেস সেন্টারে বিপুল ভিড় ছিল বিভিন্ন দেশ থেকে আসা টেলিযোগাযোগ খাতের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা ও প্রযুক্তিপ্রেমীদের।
শেষ দিনে বিশ্বের টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি খাতের সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর বৈশ্বিক সংগঠন এবং মোবাইল ওয়ার্ল্ড কংগ্রেসের আয়োজক জিএসএমএ’র রিপোর্টে বলা হয়েছে, ফাইভজি ও ডাটা পরিচালিত অর্থনীতির যাত্রায় বিশ্ব অর্থনীতিতে ২০৩০ সালের মধ্যে মোবাইল টেলিযোগাযোগ খাতের অবদান ছয় ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার ছাড়িয়ে যাবে।
সমাপনী বক্তব্যে জিএসএমএ-এর চেয়ারম্যান হোসে মারিয়া আলভারেজ প্যালেট লোপেজ বলেন, বিশ্বের প্রতিটি দেশেরই উচিত এখন ফাইভজি ও ডাটা নির্ভর সমাজ ও অর্থনীতির উপযোগী হিসেবে নিজেদের প্রস্তুত করা। কারণ, এ যাত্রায় কারও পিছিয়ে পড়ার অর্থ হবে নিজেদের অর্থনীতির অগ্রগতির উজ্জ্বল সম্ভাবনাকে আটকে রাখা।
আরও পড়ুন: বার্সেলোনা মোবাইল ওয়ার্ল্ড কংগ্রেস: ফাইভজি বিপ্লবের ভবিষ্যত সম্ভাবনা প্রদর্শন টেলিকম জায়ান্টদের
তিনি আরও বলেন, এবারের আয়োজন বিশেষভাবে স্মরণীয় হয়ে থাকবে। কারণ, এই কংগ্রেস থেকেই ফাইভজি ও ডাটা নির্ভর আগামী অর্থনীতির গতিময় যাত্রা শুরু হল। আগামী এক বছরের মধ্যেই সমাজ ও রাষ্ট্র ব্যবস্থাপনা থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রায় লক্ষণীয় পরিবর্তন আনবে ফাইভজি ও ডাটা প্রযুক্তি।
চলতি বছরের শেষেই কমপক্ষে ১০০ কোটি মানুষ ফাইভজিতে যুক্ত হবে। হয়তো এখন যা প্রত্যাশা করা হচ্ছে বছর শেষে সেই সংখ্যা আরও বেশি কিংবা দিগুনও হতে পারে। ফাইভজি ও ডাটা প্রযুক্তির অগ্রগতির গতি আগের প্রযুক্তির চেয়ে অকল্পনীয় বেশি হবে।
তিনি বলেন, জিএএসএমএ’র রিপোর্ট অনুযায়ী ফাইভজি ২০২৯ সালের মধ্যেই বিশ্বের প্রভাবশালী প্রযুক্তিতে পরিণত হবে। ২০৩০ সালের মধ্যে বিশ্বের ৮৫ শতাংশ মানুষ ফাইভজিতে যুক্ত হয়ে যাবে। ২০২৩ সালের মধ্যেই বিশ্বব্যাপী ফাইভজি সংযোগ ১৫০ কোটিতে পৌঁছাবে এবং ২০৩০ সালের মধ্যে এই সংযোগের পরিমাণ কমপক্ষে ৫০০ কোটি হবে।
আলভারেজ বলেন, ফাইভজি ২০৩০ সালের মধ্যে বিশ্ব অর্থনীতিতে আরও ১ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার (এক হাজার বিলিয়ন) যোগ করবে এবং প্রতিটি সেক্টরকে যুক্ত করবে। বিশেষ করে নাগরিক পরিষেবা ও শিল্প উৎপাদন খাতে সবচেয়ে বেশি অবদান রাখবে ফাইভজি। সার্বিকভাবে ২০৩০ সালের মধ্যে বিশ্ব অর্থনীতিতে টেলিযোগাযোগ খাতের অবদান ছয় ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার ছাড়িয়ে যাবে।
আরও পড়ুন: মোবাইল ওয়ার্ল্ড কংগ্রেসে হুয়াওয়ের পাঁচটি অ্যাওয়ার্ড অর্জন
জিএসএমএ চেয়ারম্যান বলেন, ফাইভজি ও ডাটা নির্ভর প্রযুক্তির অর্থনীতিতে যুক্ত হতে ছোট-বড় সব দেশকেই এ বছরের মধ্যেই প্রস্তুতি নিতে হবে। কারণ, ফাইভজি প্রযুক্তির বিকাশের গতির সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলার জন্য প্রস্তুতি না থাকলে ডাটানির্ভর স্মার্ট অর্থনীতির বিপুল সম্ভাবনা থেকে বঞ্চিত হতে হবে। আর সেটা কোনো দেশের ক্ষেত্রে ঘটলে তা পুরো বৈশ্বিক অর্থনীতির অগ্রযাত্রার উপরই নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। এ কারণে ডাটা নির্ভর সমাজ ও অর্থনীতিতে কারও পিছিয়ে পড়ার কিংবা রাখার সুযোগ নেই।
জিএমএমএ চেয়ারম্যান ছোট অর্থনীতির দেশগুলোকে ফাইভজি ও ডাটানির্ভর সমাজ এবং অর্থনীতির জন্য প্রস্তুত করে তুলতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনের আহ্বান জানান।
২০২৪ সালে বার্সেলোনায় মোবাইল ওয়ার্ল্ড কংগ্রেস অনুষ্ঠিত হবে ২৬ থেকে ২৯ ফেব্রুয়ারি।
আরও পড়ুন: বিশ্বের সবচেয়ে দ্রুতগতির ইন্টারনেট কোন দেশে?
লিওনেল মেসি: দরিদ্রতা, রোগ আর প্রতিকূলতা জয় করে আজ মহানায়ক
১৩ বছর বয়সী মেসি একটা ইউজ ন্যাপকিনে বার্সেলোনার সঙ্গে তার প্রথম কন্ট্রাক্ট সাইন করেন। কারণ তিনি এতটাই উৎসাহিত ছিলেন যে তিনি চেয়েছিলেন ডিনারটা শেষ হওয়ার আগেই যেন তাকে সাইন করিয়ে নেয়া হয়। যে কারণে স্পোর্টিং ডিরেক্টর কার্লস রেসজ্যাগ তখনই সেস্টুর্যান্ট এর ওয়েটারকে ডাক দেন।
তার কাছ থেকে একটা ন্যাপকিন নিয়ে তাতে একটা কন্ট্রাক্ট লিখে ফেলেন। যে ন্যাপকিনটা এখন মেসির উকিলের অফিসে ঝোলানো রয়েছে। যেটাকে বর্তমানে মোস্ট সেলিব্রেটেড পেপার ন্যাপকিন হিসেবে গণ্য করা হয়। ইতিহাস রচনার সূচনাটা হয়েছিল টিস্যু পেপারে স্বাক্ষরিত একটি চুক্তির মাধ্যমে। কে জানত, ওই টিস্যু পেপারের মাধ্যমে হওয়া এক চুক্তি একদিন ফুটবল ইতিহাসের পাতায় স্বর্ণাক্ষরে লেখা হয়ে থাকবে।
ভিনগ্রহের প্লেয়ার বা রেকর্ড এর বরপুত্র যে নামেই ডাকুন না কেন, বর্তমান বিশ্বের সবথেকে বিধ্বংসী ও ট্যালেন্টেড ফুটবলার – লিওনেল আন্দ্রেস মেসি। ত্রিশ বছর বয়সেই মেসি যে পরিমাণ এবং যে মাপের রেকর্ড এর মালিক তা কেবল ভিনগ্রহের কারও পক্ষেই সম্ভব।
নিজের শেষ বিশ্বকাপে শিরোপার অন্যতম দাবিদার হিসেবে বিশ্বকাপ খেলতে নেমে শুরুতেই বড় হোঁচট। সৌদি আরবের বিপক্ষে অঘটনের হারের পর গ্রুপপর্বেই বিদায়ের শঙ্কা জেঁকে বসেছিল। সেখান থেকে দুর্দান্তভাবে ঘুরে দাঁড়িয়ে একের পর এক বাঁচা-মরার লড়াই পেরিয়ে, এখন সোনালি ট্রফিটা থেকে নিঃশ্বাস দূরত্বে মেসির আর্জেন্টিনা।
আমাদের মধ্যে খুব কম মানুষই হয়তো এটা জানেন যে মাত্র ১১ বছর বয়সে মেসির গ্রোথ হরমোন ডেফিসিয়েন্সি রোগ ধরা পড়ে। লোকাল পাওয়ার হাউস, রিভার প্লেট তার প্রগ্রেস এর প্রতি ইন্টারেস্টেড ছিল। কিন্তু তারা তার চিকিৎসার জন্য প্রতিমাসে জরুরি ৯০০ ডলার খরচ করতে রাজি ছিল না। কার্লস রেসজ্যাগ যিনি সেই সময় এফ সি বার্সেলোনার স্পোটিং ডিরেক্টর ছিলেন। সৌভাগ্যবশত মেসির ট্যালেন্ট সম্পর্কে তিনি অবগত হন। কারণ ওয়েস্টার্ন ক্যাটালোনিয়া লিডাতে তার কয়েকজন আত্মীয় ছিলেন। যার ফলে মেসি ওতার বাবা এফ সি বার্সেলোনা টিমের সঙ্গে একটা ট্রায়াল অ্যারেঞ্জ করতে সফল হন।
আরও পড়ুন: মেসি-আলভারেজ জাদুতে ৩-০ গোলে ফাইনালে আর্জেন্টিনা
এক সাক্ষাতকারে মেসি বলেন, “টাকা আমার কাছে কোনদিনই অনুপ্রেরণাদায়ক ছিল না। টাকা আমাকে কোনদিনই অনুপ্রেরণা যোগায় না। আমাকে আরও ভালো খেলতে কোনোভাবেই উৎসাহিত করে না। আমি শুধুমাত্র আমার পায়ে একটা ফুটবল থাকলেই খুশি। আমার অনুপ্রেরণা আসে খেলাটা থেকে, যে খেলাটাকে আমি এতটা ভালবাসি। যদি আমি একজন প্রফেশনাল ফুটবলার নাও হতাম, তাও আমি কোন কিছু ছাড়াই সারা জীবন ফুটবল খেলে যেতাম।”
মেসি অন্যান্য গ্রেট ফুটবলারদের মত অতটা লম্বাও নন, অতটা স্বাস্থ্যও ভালো না। কিন্তু তবুও লিও মেসি সারাবিশ্বের সামনে একটা জলজ্যান্ত উদাহরণ হিসেবে গিয়ে এসেছেন। প্রমাণ করে দিয়েছেন যে, শুধুমাত্র স্বাস্থ্য শরীরই না সেটা ছাড়াও যেটা অনেক বেশি জরুরি তা হল অদম্য মানসিক শক্তি।
মেসিকে অনেক কিছু স্যাক্রিফাইস করতে হয়েছিল যখন মেসি আর্জেন্টিনা ছেড়ে, পরিবার ছেড়ে একটা নতুন জীবন শুরু করার উদ্দেশ্যে ঘর ছেড়ে বেরিয়ে পড়েছিলেন। কিন্তু মেসি যা কিছু করেছিলেন শুধুমাত্র ফুটবলের জন্য। মেসির স্বপ্নকে পূরণ করতে।
এই কারণেই আমি অত বেশি পার্টি বা অন্যান্য মজার জিনিস গুলো করে বেড়াই না। এখনো পর্যন্ত তার সব থেকে বেশি আবেগপ্রবণ সাক্ষাৎকারে বার্সেলোনার সেই ছোট তারকাটি বলেছিলেন, যে ঠিক কতটা কষ্ট সহ্য করেও তিনি তার পরিবারকে ছেড়ে, সমস্ত বন্ধুদেরকে ছেড়ে, সমস্ত ইনভাইটেশনকে না করে সে বিদেশ চলে এসেছিল একটা নতুন জীবন শুরু করতে।
এত ছোট বয়সেও তিনি এত বড় একটা ডিসিশন নিয়েছিল। কারণ একদম ছোটবেলা থেকেই তার লক্ষ্য সম্পূর্ণ পরিষ্কার ছিল। সে সব দিনই চেয়েছিল একজন মহান ফুটবলার হতে। আর অন্য কোনো কিছুই তার কাছে তার জীবনে কোনদিনই এর থেকে বেশি মূল্যবান ছিল না।
আরও পড়ুন: লিওনেল মেসি: দুনিয়া কাঁপানো ফুটবলার হয়ে উঠার সচিত্র গল্প
বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনার হয়ে সর্বোচ্চ গোলের রেকর্ড মেসির দখলে
ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে গোল করার মাধ্যমে ফুটবল বিশ্বকাপে ১১ গোল হলো লিওনেল মেসির। এর মাধ্যমে গ্যাব্রিয়েল বাতিস্তুতাকে ছাড়িয়ে আর্জেন্টিনার হয়ে সর্বোচ্চ গোলের রেকর্ড নিজের দখলে নিলেন তিনি। বিশ্বকাপে বাতিস্তুতার গোল ১০টি।
তাছাড়া ফুটবল বিশ্বকাপে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ (২৫টি) খেলার রেকর্ডেও জার্মানির লোথার ম্যাথিউসের পাশে নাম লিখিয়েছেন আর্জেন্টাইন সুপারস্টার। ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে খেলতে নামার মধ্য দিয়ে মেসি ছাড়িয়ে গেছেন জার্মানির মিরোস্লাভ ক্লোসাকে। ক্লোসা বিশ্বকাপে খেলেছেন ২৪ ম্যাচ।
সাত ব্যালন ডি’অর জয়
লিওনেল মেসি তার ক্যারিয়ারে ব্যালন ডি’অর জিতেছেন সাতবার। ব্যালন ডি’অর জেতার দিক থেকে মেসির চেয়ে এগিয়ে আর কেউ নেই।
সবচেয়ে বেশি গোল্ডেন শু জয়ী
ইতিহাসের সবচেয়ে বেশি বর্ষসেরা হওয়ার কীর্তি মেসির। এক মৌসুমে ইউরোপে সবচেয়ে বেশি গোলের রেকর্ডটাও তার। ক্যারিয়ারে ছয়বার তিনি জিতেছেন এ ট্রফি। ২০১৭, ২০১৮ ও ২০১৯–এই তিন বছর টানা তিনটি গোল্ডেন শু জিতেছিলেন তিনি।
এক পঞ্জিকাবর্ষে সর্বোচ্চ গোল
শেষ এক যুগেরও বেশি সময় ধরে মেসি খেলে যাচ্ছেন সামর্থ্যের সর্বোচ্চটা দিয়ে। তবে ২০১২ সালটাকে মেসির জন্য আলাদা করে রাখতেই হবে। সে বছর মেসির গোলের বাঁধ যেন ভেঙেই গিয়েছিল।
এক ক্লাবের হয়ে সর্বোচ্চ গোল
লিওনেল মেসি গত বছর বার্সেলোনা ছেড়ে যোগ দিয়েছেন ফরাসি ক্লাব পিএসজিতে। তবে তার আগে মেসি ১৭ বছর বার্সেলোনার হয়ে যা করেছেন, তা হয়তো কেউ আর করে দেখাতে পারবে না। বার্সেলোনার জার্সি গায়ে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে তিনি করেছেন ৬৭২ গোল। এক ক্লাবের হয়ে সর্বোচ্চ গোলের তালিকায় তার ধারেকাছে কেউ নেই।
আমরা তাকে নিয়ে অনেক কিছু বলেছি। খবরের কাগজের হেডলাইনে তাকে অবিশ্বাস্য, অতুলনীয়, অদ্বিতীয়, আশ্চর্য থেকে শুরু করে মেসি হলেন ফুটবলের ভগবান। এই অব্দিও বলা হয়েছে। এক্স বাসেলোনা কোচ পেপ গোর্ডেলিও একবার বলেছিলেন, “তার ব্যাপারে কিছু লিখে লাভ নেই। তাকে বর্ণনা করার চেষ্টা করাও বৃথা। শুধু তার খেলাটা দেখুন। আর উপভোগ করুন।”
আরও পড়ুন: বাঁচা-মরার লড়াইয়ে মেক্সিকোর মুখোমুখি মেসির আর্জেন্টিনা
লিওনেল মেসি: দুনিয়া কাঁপানো ফুটবলার হয়ে উঠার সচিত্র গল্প
শুধু আর্জেন্টিনাবাসী নয়, সারাবিশ্বের ফুটপ্রেমীদের কাছের আরাধ্য নাম লিওনেল মেসি। যার জন্মই হয়েছে ফুটবল জাদু দেখানোর জন্য। দুনিয়া কাঁপানো এই ফুটবলারের জীবনগল্প সচিত্রে তুলে ধরা হলো।
লিওনেল মেসির এই সচিত্র জীবনগল্প উঠে এসেছে ওয়েব পোর্টাল এমএসএন-এ।
সাসটেইনিবিলিটি অর্জনে নিজেদের নানা পদক্ষেপ প্রকাশ করলো অপো
চলতি বছরের বার্সেলোনা মোবাইল ওয়ার্ল্ড কংগ্রেসকে(এমডব্লিউসি) সামনে রেখে ২০২১ অপো সাসটেইনিবিলিটি রিপোর্ট উন্মোচন করেছে অপো। ব্র্যান্ড মিশন ‘টেকনোলজি ফর ম্যানকাইন্ড, কাইন্ডনেস ফর দ্য ওয়ার্ল্ড’ এর দিকে যাত্রা অভিমুখে নিজেদের প্রোডাক্ট সাইকেলের সকল ক্ষেত্রে সাসটেইনিবিলিটি ও পরিবেশ-বান্ধব ধারণা সমন্বয়ে প্রতিষ্ঠানটির অর্জনের বিষয়গুলো এ উঠে এসেছে রিপোর্টে।
রিপোর্টে বলা হয়, অপো আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত ‘৩আর+১ডি’ প্যাকেজিং নীতি বাস্তবায়নে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। পাশাপাশি, ব্র্যান্ডটি প্যাকেজিংয়ের ওজন কমাতে, রিসাইকেল করা উপকরণের পুনঃব্যবহারে এবং রিসাইকেলযোগ্য ও বায়োডিগ্রেডেবল উপকরণ প্যাকেজিং -এর ক্ষেত্রে ব্যবহারে কাজ করবে। ইউরোপের বাজার থেকে শুরু করে, অপো সফলভাবে স্মার্টফোন পণ্যে ব্যবহৃত প্যাকেজিংয়ের পরিমাণ ২০১৯ সাল থেকে ২৪ শতাংশ কমিয়েছে। প্লাস্টিক উপকরণগুলো এখন পরিবর্তনযোগ্য নয়, তাই অপো বায়োডিগ্রেডেবল পলিল্যাকটিক অ্যাসিড ম্যাটেরিয়াল ব্যবহার করেছে। পাশাপাশি, প্রায় ৪৫ শতাংশ প্যাকেজিং রিসাইকেলযোগ্য ফাইবার দিয়ে ইউরোপের বাজারের জন্য স্মার্টফোন প্যাকেজিং করা হয়েছে।
পণ্যের স্থায়িত্ব বাড়াতে, ব্যাটারির লাইফস্প্যান বৃদ্ধিতে অপো সেলফ-ডেভেলপড ব্যাটারি হেলথ ইঞ্জিন চালু করেছে অপো। এই উদ্ভাবনী প্রযুক্তির ফলে ১৬শ’ বার পর্যন্ত চার্জিং-ডিসচার্জ হওয়ার পরেও ব্যাটারির সক্ষমতা ৮০ শতাংশ পর্যন্ত বজায় রাখতে সক্ষম হবে বলে রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে।
অপো ইতোমধ্যেই একটি পণ্য রিসাইক্লিং ব্যবস্থা তৈরি করেছে। এবং ব্যবহৃত মোবাইল ফোনের রিসাইক্লিং ও এর পুনঃব্যবহার ধারণা ছড়িয়ে দিতে স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক বাজারে ট্রেড-ইন সুবিধা দিচ্ছে। চীনে, এখন পর্যন্ত ১২ লাখেরও বেশি ফোন এই উদ্যোগের মাধ্যমে রিসাইকেল করা হয়েছে, যা ইলেকট্রনিক বর্জ্যের হিসেবে ২১৬ টনেরও বেশি। ইউরোপিয়ান ইউনিয়নসহ অন্যান্য অঞ্চলে অর্থ সহায়তার মাধ্যমে স্থানীয় রিসাইক্লিং সিস্টেম চালু করেছে এবং প্যাকেজিং বর্জ্য এর জন্য গ্রিন ডট রিসাইক্লিং প্রোগ্রামে অংশ নেয়।
নিজেদের বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ ছাড়াও অপো সাসটেইনিবিলিটি নিয়ে প্রচারে অন্যান্য অংশীদারদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছে।ইকো রেটিং লেবেলিং স্কিমে যোগদান করে অসামান্য ভূমিকা রাখা প্রথম প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে অন্যতম অপো। পাঁচটি প্রধান ক্ষেত্রে মোবাইল ফোনের পরিবেশগত পারফরমেন্স মূল্যায়ন করার লক্ষ্যে শীর্ষস্থানীয় ইউরোপীয় মোবাইল অপারেটররা এই স্কিম চালু করে। ক্ষেত্রগুলো হলো: স্থায়িত্য, সুষ্ঠুভাবে সম্পদের ব্যবহার, মেরামতযোগ্যতা, পুনর্ব্যবহারযোগ্যতা ও জলবায়ু দক্ষতা।
চলতি মাসের শেষের দিকে, বার্সেলোনায় মোবাইল ওয়ার্ল্ড কংগ্রেস (এমডব্লিউসি) ২০২২ -এ ‘শেইপ দ্য ফিউচার’ থিমের অধীনে প্রদর্শনী করবে অপো। এমডব্লিউসি ২০২০ চলাকালীন, অপো এর উদ্ভাবনী মোবাইল প্রযুক্তি, এআর ও ফাইভজিতে নিজেদের সাম্প্রতিক অর্জন এবং সাসটেইনেবিলিটির ক্ষেত্রে সফলতার গল্প উপস্থাপন করবে।
অপো’র ২০২১ সাসটেইনেবিলিটি রিপোর্ট পাওয়া যাবে এ লিঙ্কে: https://www.oppo.com/content/dam/oppo/common/mkt/footer/2021-OPPO-Sustainability-Report-EN.pdf
বার্সেলোনা ছাড়ার জন্য প্রস্তুত ছিলাম না: মেসি
স্প্যানিশ ক্লাব বার্সেলোনার সাথে দুই দশকেরও বেশি সময়ের সম্পর্ক অবশেষে ছিন্ন করতে হয়েছে আর্জেন্টাইন সুপারস্টার লিওনেল মেসিকে। বার্সেলোনায় নিজের শেষ সংবাদ সম্মেলনে মেসি কথা বলা শুরুর আগেই কেঁদে ফেললেন।
রবিবার ন্যু কাম্পে বিদায়ী সংবাদ সম্মেলনের তিনি বলেন, ‘আমি জানি না আমি কথা বলতে পারব কিনা। এটা এখনও বিশ্বাস করতে পারছি না যে আমি এই ক্লাবটি ছেড়ে যাচ্ছি, আমার জীবন পুরোপুরি বদলে যাবে। এটা আমার এবং বিশেষ করে আমার পরিবারের জন্য একটি কঠিন পরিবর্তন হবে। কিন্তু এটা মেনে নিয়ে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে।’
তিনি বলেন, এখানে অনেক বছর থাকায় এটি আমার ক্যারিয়ারের ‘সবচেয়ে কঠিন’ মুহূর্ত, আমি প্রস্তুত ছিলাম না।’
মেসি বলেন, আমি এখানে থাকতে সম্ভাব্য সব কিছুই করেছি, ক্লাব ও ক্লাবের প্রেসিডেন্টও চেষ্টা করেছে, ক্লাব বিশাল পরিমাণ ঋণের মধ্যে আছে এবং আর ঋণ বাড়াতে চায় না।
মেসির পরিবার এবং তার কিছু সতীর্থ সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।
৩৪ বছর বয়সী মেসি তার ভবিষ্যত ক্লাব সম্পর্কে বলেন, কাতালান ক্লাব ছাড়ার ঘোষণার পর তিনি বেশ কয়েকটি ক্লাব থেকে প্রস্তাব পেয়েছেন।
প্যারিস সেন্ট জার্মেইনে (পিএসজি) যাওয়া নিয়ে তিনি বলেন, ‘পিএসজি একটা সম্ভাবনা, যদিও এখনো কিছুই নিশ্চিত নয়।’
তিনি বলেন, ‘এই মুহূর্তে কোন ক্লাবের সাথে আমার চুক্তি নেই।’
২০০৪ সালে বার্সেলোনায় অভিষেক হয় মেসির। বার্সার জার্সিতে সর্বোচ্চ ৬৭২ গোল করেন তিনি। ক্লাবের হয়ে ৭৭৮টি ম্যাচ খেলেছেন, এটিও একটি রেকর্ড। তিনি স্প্যানিশ লীগে ৫২০ ম্যাচ থেকে ৪৭৪ গোল করেছেন। ক্লাবের ইতিহাসে সর্বোচ্চ গোলদাতার পাশাপাশি স্পেনের শীর্ষ লিগেরও রেকর্ড গোলদাতাও তিনি। স্প্যানিশ লীগের আট মৌসুমে নেতৃত্ব দিয়েছেন এবং ছয়বার চ্যাম্পিয়ন্স লিগে সর্বোচ্চ গোলদাতা ছিলেন ফুটবলের এই তারকা।
আরও পড়ুন: কোপার শিরোপা মেসির হাতে
ইংল্যান্ডকে হারিয়ে ইউরো চ্যাম্পিয়ন ইতালি
ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা ফাইনাল: যে ফল ছিল আগের চার লড়াইয়ে
মোবাইল ওয়ার্ল্ড কংগ্রেসে হুয়াওয়ের পাঁচটি অ্যাওয়ার্ড অর্জন
শীর্ষস্থানীয় আইসিটি সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান হুয়াওয়ে এর অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ও উদ্ভাবনের জন্য গত ২৮ জুন থেকে ১ জুলাই বার্সেলোনায় অনুষ্ঠিত হওয়া মোবাইল ওয়ার্ল্ড কংগ্রেসে (এমডব্লিউসি) পাঁচটি পুরস্কার পেয়েছে।
এ বছর মোবাইল কমিউনিকেশনস অ্যাসোসিয়েশনের (জিএসএমএ) গ্লোবাল সিস্টেম ‘২০২১ গ্লোবাল মোবাইল (জিএলওএমও)’ অ্যাওয়ার্ড বিজয়ীর নাম ঘোষণা করে। হুয়াওয়ে পাঁচটি ক্ষেত্রে অ্যাওয়ার্ড অর্জন করে। এগুলো হলো: ‘বেস্ট ইনোভেশন ফর কোভিড-১৯ প্যান্ডেমিক রেসপন্স অ্যান্ড রিকভারি’, ‘আউটস্ট্যান্ডিং মোবাইল কন্ট্রিবিউশন টু দ্য ইউএন এসডিজিস’, ‘বেস্ট মোবাইল ইনোভেশন ইন ইমার্জিং মার্কেটস’, ‘বেস্ট মোবাইল ইনোভেশন ফর দ্য কানেক্টেড ইকোনমি’, এবং ‘বেস্ট মোবাইল ইনফ্রাস্ট্রাকচার’।
আরও পড়ুন: চীনে গ্লোবাল সাইবার সিকিউরিটি সেন্টার উদ্বোধন করল হুয়াওয়ে
১৯৯৬ সালে জিএসএমএ গ্লোবাল মোবাইল (জিএলওএমও) অ্যাওয়ার্ড প্রবর্তন করে। এ অ্যাওয়ার্ড প্রদানে বিচারক প্যানেলে থাকেন আড়াইশ’র বেশি বৈশ্বিক বিভিন্ন বিশেষজ্ঞরা। মোবাইল খাতে সর্বোচ্চ সম্মান হিসেবে এ অ্যাওয়ার্ড বিবেচনা করা হয়।
হুয়াওয়ে ফাইভজি নেটওয়ার্ক সল্যুশনের ওপর ভিত্তি করে কোভিড-১৯ এর জন্য টেলিমেডিসিন সমাধান নিয়ে আসে চায়না-জাপান ফ্রেন্ডশিপ হসপিটাল। অ্যাওয়ার্ডের এ বছরের সংস্করণে হুয়াওয়ের ফাইভজি সল্যুশনকে জিএসএমএ জিএলওএমও ‘বেস্ট ইনোভেশন ফর কোভিড-১৯ প্যান্ডেমিক রেসপন্স অ্যান্ড রিকভারি’ অ্যাওয়ার্ড দেয়া হয়। হুয়াওয়ের এ অত্যাধুনিক প্রযুক্তি উল্লেখিত হাসপাতালের সেবাদানের মানোন্নয়নে সহায়তা করেছে; পাশাপাশি, চীনের ৫ হাজার হাসপাতালকে প্রযুক্তিগত সহায়তা দিয়েছে।
আরও পড়ুন: উন্নত সেবার জন্য বিকাশ থেকে অ্যাওয়ার্ড পেল হুয়াওয়ে
এ অ্যাওয়ার্ড অর্জন নিয়ে হুয়াওয়ের ডিআইএস প্রোডাক্ট লাইনের প্রেসিডেন্ট মারভিন চেন বলেন, ‘স্বাস্থ্যসেবাখাতে ফাইভজি’র বিস্তৃত পরিসরের ব্যবহার আমরা লক্ষ্য করেছি। বৈশ্বিক মহামারির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সহায়তায় এবং ফাইভজি প্রযুক্তির নানা সুবিধা ব্যবহারে, ফাইভজি অ্যাপ্লিকেশন উন্নয়নে স্বাস্থ্যসেবাখাতের সংশ্লিষ্টদের সাথে নিরলস কাজ করে যাবে হুয়াওয়ে।’
এছাড়াও, বর্তমানে পুরো বিশ্ব জলবায়ু পরিবর্তনের নেতিবাচক প্রভাব প্রত্যক্ষ করছে। আর এমন সময়, রেইনফরেস্ট কানেকশন (আরএফসিএক্স) ও হুয়াওয়ের ‘ন্যাচার গার্ডিয়ান’ প্রকল্প প্রকৃতি ও জীববৈচিত্র্যের সুরক্ষায় এবং বন উজাড় প্রতিরোধে ইতিবাচক অবদান রেখেছে। এর স্বীকৃতিস্বরুপ এ প্রকল্প জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রায় অবদান রাখার জন্য জিএসএমএ ২০২১ জিএলওএমও অ্যাওয়ার্ড অর্জন করে।
আরও পড়ুন: পেটেন্ট মালিকানায় রেকর্ড গড়ল হুয়াওয়ে
মানুষের ডিজিটাল জীবনযাত্রার মানোন্নয়নের ধারণায় উদ্বুদ্ধ হয়ে একটি উন্নত বিশ্ব নির্মাণে ধারাবাহিকভাবে এর রাজস্ব নতুন করে ডিজিটাল সমাধান উদ্ভাবনের গবেষণায় বিনিয়োগ করছে হুয়াওয়ে। হুয়াওয়ের সে লক্ষ্যপূরণে এ অর্জনগুলো প্রতিষ্ঠানটির জন্য জন্য অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করবে।
বাংলাদেশি ভক্তদের জন্য ‘ই-স্পেস’ অ্যাপ চালু করল লা লিগা
এফসি বার্সেলোনা এবং রিয়াল মাদ্রিদ সিএফের মধ্যকার বহুল প্রত্যাশিত দ্বৈরথ এল ক্লাসিকো অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে আগামী ২৪ অক্টোবর। যার অপেক্ষায় এখন বিশ্বের সব ভক্ত।
আগামী মৌসুমেও বার্সেলোনার সাথে থাকছেন মেসি
নিজের ভবিষ্যতের বিষয়ে অনিশ্চয়তার অবসান ঘটিয়ে, আসন্ন মৌসুমেও বার্সেলোনার সাথে থাকার ঘোষণা দিয়েছেন লিওনেল মেসি।
বার্সেলোনা ছাড়তে চান লিওনেল মেসি, যাচ্ছেন কোথায়?
বার্সেলোনা ছাড়তে চান আর্জেন্টাইন তারকা লিওনেল মেসি। একটি বিশেষ বার্তায় এই ৩৩ বছর বয়সী এ ফুটবল যাদুকর অনুরোধ জানিয়েছেন দ্রুত তাকে ফ্রি ট্রান্সফারে ছেড়ে দিতে।
স্পেনের অবরুদ্ধ শহরে আশার গল্প
স্পেনের বড় শহরগুলোকে এখন চেনার উপায় নাই। করোনাভাইরাস মহামারিতে দেশটি অবরুদ্ধ হওয়ার পরে কার্যত গৃহবন্ধী হয়ে পড়েছে দেশটির সাড়ে ৪ কোটি মানুষ। প্রাচীন ইউরোপের ইতিহাস ও সংস্কৃতির মিলনক্ষেত্র স্পেনকে দেখা যাচ্ছে এক অচেনা গাম্ভীর্যে।