স্বাস্থ্যবিধি
আগামীকাল থেকে খুলছে পর্যটন কেন্দ্র
করোনা বিপর্যয়ের কারণে দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর আগামীকাল থেকে খুলছে পাহাড়ের পর্যটন কেন্দ্রগুলো। এতে স্বস্তি প্রকাশ করেছেন পর্যটন স্পট সংশ্লিষ্টরা।
পর্যটন কেন্দ্র খোলার সার্বিক প্রস্তুতি নিচ্ছেন হোটেল মোটেল ব্যবসায়ীরা। তবে মাস্ক পরিধান ছাড়া পর্যটন কেন্দ্রে প্রবেশ করা যাবে না এবং পর্যটকদের অবশ্যই স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
আরও পড়ুনঃ শর্তসাপেক্ষে খুলেছে কক্সবাজারের হোটেল মোটেল, বন্ধ থাকবে পর্যটন কেন্দ্র
এখানকার হোটেল-মোটেল, রেস্তোরা, সরকারি-বেসরকারি পর্যটন স্পটগুলোর সাথে জড়িত মানুষদের মধ্যে ফিরতে শুরু করেছে চাঞ্চল্য। পর্যটকদের বরণে সকল ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে রাঙ্গামাটির হোটেল-মোটেলগুলো। পর্যটকদের আগমন ঘিরে নিরাপদ ভ্রমণ ও নিরাপত্তা নিশ্চিতসহ প্রয়োজনীয় সকল প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছেন পর্যটন ব্যবসা সংশ্লিষ্টরাও।
যান্ত্রিক জীবনের একটু ক্লান্তি দূর করতে বিনোদনের খোঁজে মানুষ ছুটে আসছেন পাহাড় হ্রদ ঘেরা মনোরম প্রাকৃতিক লীলাভুমি রাঙ্গামাটিতে। কিন্তু টানা দীর্ঘদিন পর্যটক শূণ্য থাকায় মারাত্মক মন্দা দেখা দেয় পর্যটন ব্যবসায়। রাঙ্গামাটি চেম্বারের হিসাবে, জেলায় পর্যটনের পাঁচটি খাতে দিনে গড়ে অন্তত সোয়া দুই কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছে। তবে ব্যবসায়ীদের ধারণা দেশের পর্যটন কেন্দ্র খুলে দেওয়ায় দীর্ঘদিনের ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে পারবে।
রাঙ্গামাটিতে ঝুলন্ত ব্রিজ, পলওয়েল পার্ক, রাঙ্গামাটি শিশু পার্ক, হ্যাপি আইল্যান্ড, সুবলং ঝর্ণা, পেদা টিং টিং, ইকো ভিলেজ, বন বিহার, রাজবাড়ি, আরণ্যক, বড়গাঙসহ নানা বিনোদন স্পটগুলোতে সারা বছরই পর্যটকদের পদচারণায় মুখর থাকে।
আরও পড়ুনঃ ফরিদপুরে জমিদার বাড়ি সংরক্ষণ ও পর্যটন কেন্দ্র ঘোষণার দাবিতে মানববন্ধন
কাপ্তাই লেকের বোট মালিক আলাউদ্দিন টুটুল জানান, দীর্ঘদিন পর্যটন ব্যবসা বন্ধ ছিল। আমাদের বোটের চালকরা এতদিন বেকার ছিল। তবে তাদের নিয়মিত বেতন দিতে হয়েছে। সরকার দেশের সকল পর্যটন কেন্দ্র খুলে দেয়ার কারণে আমরা এই বেকার সময়ে বোটের সৌন্দয্য বৃদ্ধিতে রং ও বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে যাান্ত্রিক কাজ সেরে রেখেছি।
রাঙ্গামাটি পর্যটন হলিডে কমপ্লেক্সের ম্যানেজার সৃজন বিকাশ বড়ূয়া জানান, সরকারি ঘোষণা অনুযায়ী স্বাস্থ্যবিধি মেনে রাঙ্গামাটি পর্যটন হলিডে কমপ্লেক্স খোলার প্রস্তুতি নিয়েছি। সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে পর্যটকদের সেবা দিতে সব ধরনের প্রস্তুতি এরই মধ্যে সম্পন্ন করেছি। দীর্ঘদিন পর কর্মচারীরা মনের খুশিতে কাজ করছে। আমরা আশাবাদী আমাদের লক্ষ মাত্রা পূরণ করতে পারবো।
আরও পড়ুনঃ পর্যটন কেন্দ্রে সবাইকে অবশ্যই স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে: পর্যটন প্রতিমন্ত্রী
রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, সরকারের সিদ্ধান্ত মোতাবেক স্বাস্থ্যবিধি মেনেই ১৯ আগস্ট জেলার পর্যটন স্পটগুলো খুলে দেয়া হচ্ছে। পর্যটকরা অবশ্যই স্বাস্থ্যবিধি মেনে ঘুরতে যাবেন। এটা নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট পর্যটন কেন্দ্রের কর্তৃপক্ষকে বলা হয়েছে। এছাড়া স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতে প্রতিদিনই ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হবে। আর পর্যটকদের নির্বিঘ্নে রাঙ্গামাটি ভ্রমণে নিরাপত্তা দিতে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে অবহিত করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, রাঙ্গামাটিতে পর্যটকদের মূল আকর্ষণ ৩৩৫ ফুট দৈর্ঘের ঝুলন্ত সেতুকে ঘিরেই। তাই পর্যটকেরা প্রথমেই ছুটে যান পর্যটন কমপ্লেক্স এলাকায়। বছরে প্রায় দুই লাখ দেশি ও বিদেশি পর্যটক সেতুটি দেখতে আসেন। সাপ্তাহিক ছুটির দিনগুলোতে পর্যটকদের উপচে পড়া ভিড় থাকে এখানে। এছাড়া শহরের পুলিশের ‘পলওয়েলপার্ক’, ডিসির ‘রাঙ্গামাটি পার্ক’ সেনাবাহিনীর ‘আরণ্যক’, সুভলং ঝর্ণা, সুখীনীলগঞ্জ ও রাজবন বিহার এলাকায় প্রতিনিয়ত ভিড় জমান বেড়াতে আসা পর্যটকরা। এছাড়া বাঘাইছড়ি উপজেলার সাজেকের আকর্ষণীয় ‘সাজেক ভ্যালি’ তে পর্যটকদের বেশী সমাগম হয়।
২২ আগস্ট থেকে আগাম জামিন আবেদন শুনবেন হাইকোর্ট
আগামী ২২ আগস্ট থেকে হাইকোর্ট বিভাগে আগাম জামিন আবেদনের ওপর শুনানি শুরু হচ্ছে। মঙ্গলবার (১৭ আগস্ট) প্রধান বিচারপতির নির্দেশে এ বিষয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছেন সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন।
আরও পড়ুনঃ সিনেমা নাটকের দৃশ্যে ধূমপানের ব্যবহার ও প্রদর্শন বন্ধে হাইকোর্টের রুল
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালন করে এবং প্রয়োজনীয় সুরক্ষামূলক ব্যবস্থা নিয়ে আগামী ২২ আগস্ট থেকে হাইকোর্ট বিভাগে সংশ্লিষ্ট ফৌজদারি মোশন বেঞ্চে আগাম জামিন শুনানি গ্রহণ করা হবে। সংশ্লিষ্ট ফৌজদারি মোশন বেঞ্চ শুনানির সময় নির্ধারণ করবেন।
আরও পড়ুনঃ পাবজি, ফ্রি ফায়ারসহ ‘ক্ষতিকর গেম’ বন্ধের নির্দেশ হাইকোর্টের
উল্লেখ্য, করোনার সংক্রমণ এড়াতে সরকারের জারি করা বিধিনিষেধ চলাকালে দীর্ঘদিন হাইকোর্টে আগাম জামিন আবেদনের শুনানি বন্ধ ছিল।
বুধবার থেকে পূর্ণ ধারণক্ষমতা নিয়ে নৌযান চলবে
আগামীকাল বুধবার (১১ আগস্ট) থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে এবং ধারণ ক্ষমতার সমপরিমাণ যাত্রী নিয়ে নৌযান চলাচল করবে।
মঙ্গলবার (১০ আগস্ট) বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) এ সংক্রান্ত এক আদেশ জারি করেছে।
এতে বলা হয়, পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত প্রত্যেক যাত্রীসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে মাস্ক পরিধান এবং স্বাস্থ্য অধিপ্তর কর্তৃক প্রণীত সকল স্বাস্থ্যবিধি মেনে এবং ধারণ ক্ষমতার সমপরিমাণ যাত্রী নিয়ে নৌযান পরিচালনার জন্য সংশ্লিষ্টদের অনুরোধ জানিয়েছে বিআইডব্লিউটিএ।
নৌযানের ৬০ শতাংশযাত্রী ভাড়া বৃদ্ধির আদেশ বাতিল
করোনাভাইরাস সংক্রমণকালীন অভ্যন্তরীণ নৌপথে যাত্রীবাহী নৌযান ধারণ ক্ষমতার ৫০ শতাশং যাত্রী নিয়ে চলাচলের লক্ষ্যে ৬০ শতাংশ যাত্রী ভাড়া বৃদ্ধি সংক্রান্ত বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) ১ এপ্রিল ২০২১ এর আদেশের কার্যকারিতা বাতিল করা হয়েছে।
অভ্যন্তরীণ নৌযানের যাত্রী ভাড়া সংক্রান্ত বিআইডব্লিউটিএ’র ২৩ এপ্রিল ২০১৩ সালে জারিকৃত আদেশ আগামী ১১ আগস্ট ২০২১ থেকে পুনরায় কার্যকর হবে।
বিআইডব্লিউটিএ মঙ্গলবার এ সংক্রান্ত এক আদেশ জারি করেছে।
আরও পড়ুন: শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুটে ফেরিতে ভারী যানবাহন চলাচল বন্ধ
দেশে করোনায় মৃত্যু ২৩ হাজার ছাড়াল
বিশ্বজুড়ে করোনায় মৃত্যু ৪৩ লাখ ছাড়াল
মসজিদসহ সব ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার নির্দেশ
দেশের বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে আবারও মসজিদসহ সব ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দুরত্ব মেনে চলার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
সব ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে আরোপিত বিধি-নিষেধ অনুসরণ করার জন্য এবং মসজিদগুলোতে জামায়াতে নামাজ আদায়ের জন্য আবশ্যিকভাবে পালনীয় শর্ত উল্লেখ্য করে এ ব্যাপারে একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়।
গত ২৩ জুলাই জারী করা বিজ্ঞপ্তির অনুবৃত্তিক্রমে এই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়।
আরও পড়ুনঃ দেশে করোনায় আরও ২৪৮ মৃত্যু, শনাক্ত ১২,৬০৬
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মসজিদের প্রবেশদ্বারে হ্যান্ড স্যানিটাইজার বা হাত ধোয়ার ব্যবস্থাসহ সাবান-পানি রাখতে হবে এবং আগত মুসল্লিদের অবশ্যই মাস্ক পরে মসজিদে আসতে হবে। বর্তমান করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতিতে প্রত্যেক মুসল্লিকে নিজ নিজ বাসা থেকে ওযু করে, সুন্নত ও নফল নামাজ ঘরে আদায় করে শুধুমাত্র ফরজ নামাজ মসজিদে আদায় করতে হবে এবং ওজু করার সময় কমপক্ষে ২০ সেকেন্ড সাবান দিয়ে হাত ধুতে হবে।এছাড়া মসজিদে কার্পেট বিছানো যাবে না। পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের আগে সম্পূর্ণ মসজিদ জীবানুনাশক দ্বারা পরিস্কার করতে হবে, মুসল্লিদের নিজ নিজ দায়িত্বে জায়নামাজ নিয়ে আসতে হবে। কাতারে নামাজে দাঁড়ানোর ক্ষেত্রে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ চট্টগ্রামে করোনায় প্রাণ গেল আরও ১৭ জনেরবিজ্ঞপ্তিতে শিশু, বয়োবৃদ্ধ, অসুস্থ ব্যক্তি ও অসুস্থদের সেবায় নিয়োজিত ব্যক্তিদের জামায়াতে অংশগ্রহণ করা থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে।সর্বসাধারণের সুরক্ষা নিশ্চিতকল্পে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ, স্থানীয় প্রশাসন এবং আইন-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণকারী বাহিনীর নির্দেশনা অবশ্যই অনুসরণ করতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।এছাড়া করোনা মহামারির এ বৈশ্বিক মহাবিপদ থেকে রক্ষা পেতে বেশি বেশি তওবা, আস্তাগফিরুল্লাহ ও কুরআন তিলাওয়াত এবং আমাদের কৃত অন্যায়-অপরাধ এর জন্য নামাজ শেষে মহান রাব্বুল আলামিনের দরবারে ক্ষমা প্রার্থনা করতে আহ্ববান করা হয়েছে।
সম্মানিত খতিব, ইমাম এবং মসজিদ পরিচালনা কমিটিকে বিষয়গুলোর বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে।
আরও পড়ুনঃ খুলনা বিভাগে করোনায় ৩৬ মৃত্যুএছাড়া অন্যান্য ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান, উপাসনালয়ে প্রবেশের ক্ষেত্রে মাস্ক পরিধান, হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার এবং সাবান দিয়ে হাত ধোয়াসহ যথাযথভাবে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করতে বলা হয়েছে।
উল্লিখিত নির্দেশনা লঙ্ঘিত হলে স্থানীয় প্রশাসন ও আইন শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণকারী বাহিনী সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীলদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে জানানো হয়েছে ।
উল্লেখ্য করোনাভাইরাসজনিত রোগ (কোভিড-১৯) সংক্রমণ পরিস্থিতি বিবেচনায় মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ ০৫ আগস্ট রাত ১২.০০ টা থেকে ১০ আগস্ট দিবাগত রাত ১২.০০ টা পর্যন্ত বিধি-নিষেধ আরোপ করেছে।
বিধিনিষেধ লঙ্ঘন: বাগেরহাটে ৪৬ জনকে জরিমানা
বাগেরহাটে সরকারি বিধিনিষেধ ও স্বাস্থ্যবিধি লঙ্ঘন করার অপরাধে ভ্রাম্যমাণ আদালতে ৪৬ জনকে জরিমানা করা হয়েছে। এসময় তাদের কাছ থেকে ২৩ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
মঙ্গলবার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত জেলায় ৮টি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়। অভিযান চলাকালে ৪৬টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের সাথে নিয়ে জেলার ৯টি উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করেন।
আরও পড়ুনঃ ফরিদপুরে করোনায় মৃত্যু ৫, বিধিনিষেধ লঙ্ঘনের দায়ে ৪৩৮ মামলা
বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আজিজুর রহমান জানান, বিধিনিষেধ বাস্তবায়ন করতে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা প্রতিদিন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত জেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করছেন। অভিযান চলাকালে বিধিনিষেধ লঙ্ঘন করলে তাদের আইনের আওতায় আনা হচ্ছে। ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারকরা জরিমানা ছাড়াও বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দিচ্ছেন।
জেলায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান চলমান রয়েছে বলে জেলা প্রশাসক জানান।
আরও পড়ুনঃ বিধিনিষেধ লঙ্ঘন: বাগেরহাটে ৭ জনের কারাদন্ড, ৪১ জনকে জরিমানা
এদিকে বাগেরহাট জেলাসদরসহ বিভিন্ন উপজেলার বাজারগুলোতে স্বাস্থ্যবিধি মানার বালাই নেই। লকডাউনে কঠোর বিধিনিষেধ উপক্ষো করে মানুষ অপ্রয়োজনে ঘরের বাইরে বের হচ্ছে। গণপরিবহন বন্ধ থাকলেও মানুষ রিকশা-ভ্যান ও ইজিবাইকসহ বিভিন্ন যানবাহনে চলাচল করেছে।
বাগেরহাটে দ্বিতীয় দফায় লকডাউনের ১৩তম দিনে বুধবার বিভিন্ন এলাকায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারি বাহিনীর সদস্যদের টহল দিতে দেখা গেছে।
জাতিসংঘ সম্মেলনে যোগ দিতে পারেন প্রধানমন্ত্রী
স্বাস্থ্যবিধি মেনে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৬তম সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সশরীরে যোগ দেবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন সোমবার সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা আশা করছি আমাদের প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেবেন।’
আরও পড়ুনঃ রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে জাতিসংঘে প্রস্তাব গৃহীত
তিনি বলেন, কোভিড-১৯ মহামারীর কারণে এই বছর জাতিসংঘের অধিবেশন সীমিত আকারে অনুষ্ঠিত হবে। এ বছর কোন কোন দেশের রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানরা যাবেন তা আমরা এখনো জানি না।
আরও পড়ুনঃ সপ্তাহে এক কোটি মানুষকে টিকা দেবে সরকার: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
১৪ সেপ্টেম্বর থেকে নিউইয়র্কে সীমিত আকারে দুই সপ্তাহব্যাপী জাতিসংঘের ৭৬তম সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। ২১ সেপ্টেম্বর থেকে উচ্চ পর্যায়ের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে।
ধারণ ক্ষমতার আড়াইগুণ বেশি যাত্রী নিয়ে ঢাকায় আসছে তিনটি লঞ্চ
ধারণ ক্ষমতার আড়াইগুণ বেশি যাত্রী নিয়ে বরিশাল থেকে তিনটি যাত্রীবাহী লঞ্চ রাজধানীর উদ্দেশ্যে রওয়ানা করেছে। দেরিতে হলেও লঞ্চে যাত্রা করার সুযোগ পেয়ে স্বস্তি প্রকাশ করেছে যাত্রীরা। তবে লঞ্চগুলোতে স্বাস্থ্যবিধি ছিলো উপেক্ষিত।
এদিকে লঞ্চ কর্তৃপক্ষ বলছে, স্বাস্থ্যবিধি মানার চেষ্টা করছেন তারা। আর বরিশাল নদী বন্দর কর্মকর্তা জানিয়েছেন, সরকারি নির্দেশনা বাস্তবায়নে তারা কাজ করেছেন।
রবিবার রাত ৯টা থেকে সাড়ে ৯টার মধ্যে এডভেঞ্চার ৯, কুয়াকাটা ২ ও কীর্তণখোলা ২ ধারণ ক্ষমতার দুই থেকে আড়াই গুণ বেশি যাত্রী নিয়ে রাজধানীর উদ্দেশ্যে যাত্রা করে। প্রত্যেকটি লঞ্চ ছিল যাত্রীতে ঠাসা। নেই স্বাস্থ্যবিধির বালাই। সরকারি নির্দেশনা পুরোপুরি মানা হয়নি। অনেকেই মাস্ক ছাড়াই লঞ্চে উঠেছে। প্রত্যেকটি লঞ্চের ধারণ ক্ষমতা এক হাজারের বেশি। কিন্তু ধারণ ক্ষমতার দুই থেকে আড়াইগুণ যাত্রী নিয়ে লঞ্চগুলো ছেড়ে গেছে। তবে দেরি করে হলেও লঞ্চের যাত্রী হয়ে রাজধানীর উদ্দেশ্যে যাত্রা করতে পারায় স্বস্তি প্রকাশ করেছেন যাত্রীরা।
আরও পড়ুন: গার্মেন্টস খোলায় সংক্রমণ আরও বাড়ার আশঙ্কা স্বাস্থ্যমন্ত্রীর
এডভেঞ্চার ৯ লঞ্চের ম্যানেজার হুমায়ুন কবির জানান, আমরা লঞ্চ যাত্রীদেরকে স্বাস্থ্যবিধি মানানোর জন্য মাইকিং করেছি। তবে অনেক ক্ষেত্রে পুরোপুরি স্বাস্থ্যবিধি মানানো যায়নি বলে স্বীকার করেন তিনি। এ ব্যাপারে আলাপকালে বরিশাল নদী বন্দর কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান জানান, স্বাস্থ্যবিধি মানার জন্য কঠোর নির্দেশনা দেয়া হয়েছিল। তবে অনেকাংশে সেটাও সম্ভব হয়নি। বাড়তি ভাড়া নেয়া হলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আরও পড়ুন: রবিবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত যাত্রীবাহী নৌযান চলাচলের অনুমতি
শিমুলিয়া ঘাটে গণপরিবহন ও নৌযানে স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষিত
মুন্সীগঞ্জ, ০১ আগস্ট (ইউএনবি)- গার্মেন্টসহ বিভিন্ন কলকারখানার শ্রমিকদের কর্মস্থলে ফেরার সুবিধার্থে সোমবার ভোর ৬টা পর্যন্ত সারাদেশে লঞ্চ চলাচলের ঘোষণার পরও শিমুলিয়া ঘাটে মানুষের ভিড় অব্যাহত রয়েছে। তবে করোনার স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত পরিসরে লঞ্চ চলাচল করার কথা থাকলেও তা কেউ মানছেন না। বাসে অর্ধেক আসনের জায়গায় পূর্ণ সংখ্যক আসনেই যাত্রী নেয়া হচ্ছে। ফলে বাসে সামাজিক দূরত্ব না মেনেই যাত্রীরা চলাচল করছেন।
অন্যদিকে, শিমুলিয়া লঞ্চ টার্মিনাল লোকারণ্য, সেখানে স্বাস্থ্যবিধির বালাই ছিল না। একজন আরেকজনের গা ঘেঁষে দাঁড়িয়ে আছেন লঞ্চে ওঠার অপেক্ষায় আছেন। লঞ্চগুলোও মানছে না নিয়ম। শতভাগ আসনে যাত্রী নিয়ে পদ্মা পাড়ি দিচ্ছেন তারা। কোনো কোনো লঞ্চ অতিরিক্ত যাত্রী উঠাচ্ছে। ৮৭টি লঞ্চের মধ্যে মাত্র ২৬টি চালু রয়েছে।
লঞ্চে অতিরিক্ত যাত্রী বহন ও কমসংখ্যক লঞ্চ চলাচলের কারণ হিসেবে শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুটের লঞ্চ মালিক সেমি সিনিয়র সহসভাপতি ইকবাল হোসেন খান জানান, সরকারের হঠাৎ লঞ্চ চলাচলের ঘোষণায় চালকেরা আসতে পারেননি। তিনি আরও জানান, রবিবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত চালিয়ে তাদের পোষাবে না। তাই অনেক লঞ্চমালিক এত অল্প সময়ের জন্য লঞ্চ চালাতে সম্মত হননি। তবে পরে সময় বাড়ানোর পর আরও কিছু লঞ্চ চালু হয়।
আরও পড়ুন: যাত্রী নিয়ে নাটোর ছাড়ছে ঢাকাগামী বাস
রবিবার সকাল ৭টায় শিমুলিয়া ঘাটের প্রবেশমুখে দেখা যায়, চন্দ্রেরবাড়ি থেকে শিমুলিয়া ঘাট পর্যন্ত ২ কিলোমিটার জুড়ে যাত্রীবাহী ও ব্যক্তিগত গাড়ির জটলা। কিছুতেই গাড়ি নড়ছিল না।
বিআইডব্লিউটিসি শিমুলিয়া ঘাট শাখার ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) সাফায়েত আহমেদ জানান, এ নৌরুটের বহরে থাকা ১৮টি ফেরির মধ্যে ৮টি চালু রয়েছে। লঞ্চ চালু থাকায় ফেরিতে যাত্রী চাপ কিছুটা কমলেও হাজার হাজার যাত্রী গাদাগাদি করেই ফেরিতে চেপে পদ্মা পার হচ্ছে।
অতিরিক্ত যাত্রী পরিবহনের কারণে চার লঞ্চকে ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কাউসার হামিদ জানান, লঞ্চগুলোর ৫০ শতাংশ যাত্রী বহনের কথা থাকলেও কয়েক গুণ বেশি যাত্রী বহন করায় এই জরিমানা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: লঞ্চে স্বাস্থ্যবিধি না মানলে জরিমানা: নৌ প্রতিমন্ত্রী
ভোলায় ফেরিঘাটে ঢাকামুখী মানুষের ভিড়
রবিবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত যাত্রীবাহী নৌযান চলাচলের অনুমতি
তৈরি পোশাক কারখানাসহ রফতানিমুখী শিল্প-কারখানায় কাজে যোগ দিতে শ্রমিকদের পরিবহনের জন্য যাত্রীবাহী নৌযান রবিবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত চলাচলের অনুমতি দিয়েছে সরকার। শনিবার বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) এই তথ্য জানিয়েছে।
নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ তথ্য কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম জানান, সন্ধার পর এখন থেকে আগামীকাল রবিবার দুপুর ১২ টা পর্যন্ত যাত্রীবাহী নৌযান চলাচল করবে ।
বিআইডব্লিউটিএ এ বিষয়ে জন সংযোগ কর্মকর্তার স্বাক্ষরিত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। প্রজ্ঞাপনে বিআইডব্লিউটিএ লঞ্চের মালিক, মাস্টার, চালক, কর্মচারী ও যাত্রীদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার অনুরোধ জানিয়েছে।
আরও পড়ুন: ভোগান্তি উপেক্ষা করে ঢাকায় ছুটছে মানুষ
করোনা ভাইরাসের বিস্তাররোধে গত ২৩ জুলাই মধ্যরাত থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত দেশব্যাপী সরকার ফের 'কঠোর' লকডাউন দিয়েছে। ঈদুল আজহার আগে বিআইডব্লিউটিএ ১৪ জুলাইয়ের মধ্যরাত থেকে ২৩ জুলাই ভোর ৬ টা পর্যন্ত স্বাস্থ্য নির্দেশিকা বজায় রাখার শর্তে লঞ্চগুলোকে ধারণক্ষমতার অর্ধেক যাত্রী বহন করার অনুমতি দেয়।
রবিবার ১ আগস্ট কলকারখানা আবার চালুর ঘোষণা আসার পর গণপরিবহন চলাচল বন্ধ থাকা সত্বেও লকডাউনের নবমতম দিনে শনিবার হাজার হাজার মানুষ ঢাকায় ফিরতে শুরু করে। কর্মস্থলে যোগ দিতে রাজধানীতে ফিরে আসার জন্য মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়া ফেরিঘাটে দক্ষিণ -পশ্চিমাঞ্চলীয় জেলাগুলোর মানুয়ের প্রচুর ভিড় দেখা গেছে।
আরও পড়ুন: করোনায় আরও ২১৮ প্রাণহানি, শনাক্ত ৩০.২৪ শতাংশ
শুক্রবার থেকে ১৪ দিন বন্ধ থাকবে নৌযান চলাচল
ভোলায় ফেরিঘাটে ঢাকামুখী মানুষের ভিড়
গার্মেন্টসসহ শিল্প কলকারখানা খুলে দেয়ার ঘোষণার পর কঠোর বিধি নিষেধ উপেক্ষা করে হাজার হাজার মানুষ ঢাকা, চট্টগ্রামের দিকে ছুটছে। শনিবার সকাল থেকে কর্মস্থলের উদ্দেশ্যে যাত্রা করার জন্য ভোলা- লক্ষ্মীপুর নৌরুটের ইলিশা ফেরিঘাটে শ্রমজীবী মানুষদের ভিড় করতে দেখা যায়।
এ সময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে পরিস্থিতি সামাল দিতে হিমশিম খেতে হয়। ফেরিতে ছিলনা কোন স্বাস্থ্যবিধির বালাই। প্রচণ্ড গরমে অনেক যাত্রী অসুস্থ হয়ে পড়ে।
আরও পড়ুনঃ পাটুরিয়াঘাট দিয়ে ঢাকায় ছুটছে মানুষ
অতিরিক্ত যাত্রী বোঝাই করে ভোলা থেকে লক্ষ্মীপুরের উদ্দেশ্যে প্রথম ফেরি ছেড়ে গেলেও কয়েক হাজার যাত্রী কর্মস্থলে যাওয়ার জন্য ইলিশা ফেরিঘাটে অপেক্ষা করে পরের ফেরির অপেক্ষায়।
কর্মস্থলে ফেরা শ্রমজীবীদের একজন জানান, হঠাৎ করে গার্মেন্টস শিল্প কলকারখানা খুলে দেয়ায় তারা চরম বিপাকে পড়েছেন। তাদের অফিস থেকে আগামীকাল কাজে যোগ দিতে বলা হয়েছে। অথচ লঞ্চ থেকে শুরু করে সকল গণপরিবহন বন্ধ। একদিন কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকলে তাদের ১০ দিনের বেতন কাটা হয়। তাই বিপাকে পড়ে চরম দুর্ভোগ মাথায় নিয়ে পদে পদে বাধা উপেক্ষা করে নিয়ে তারা কর্মস্থলের উদ্দেশ্যে দ্বীপ জেলা ভোলা থেকে রওনা দিয়েছেন।
আরও পড়ুনঃ লকডাউন: বিনা বাধায় ফেরিতে যাত্রী আসছে পাটুরিয়াঘাটে
তাদের অভিযোগ ৫ আগষ্ট পর্যন্ত লকডাউন ছিল। তারপর গণপরিবহন খুলে দেয়ার পর কল-কারখানা গার্মেন্টস খোলা হলে তাদের এই ভোগান্তি পোহাতে হতো না।
এদিকে ফেরিতে উঠতে না পেরে অনেকে আবার উত্তাল মেঘনা পাড়ি দিয়ে ট্রলারে লক্ষ্মীপুর যাওয়ার চেষ্টা করে। তবে কোস্টগার্ড ও পুলিশের বাধার মুখে পড়ে যাত্রীরা। এ সময় কয়েকটি যাত্রীবাহী ট্রলার আটক করা হয়।