ভারত
প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে নোবেলজয়ী কৈলাশ সত্যার্থীর সাক্ষাৎ
বাংলাদেশের সবচেয়ে দুর্বল জনগোষ্ঠীর জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রচেষ্টার প্রশংসা করেছেন ভারতীয় নোবেলজয়ী ও সমাজ সংস্কারক কৈলাশ সত্যার্থী।
কৈলাশ বলেন, ‘সবচেয়ে দুর্বলদের কল্যাণ নিশ্চিত করার জন্য তার সহানুভূতি এবং সংকল্প প্রশংসনীয়।’
নোবেল বিজয়ী বলেন, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করা সব সময়ই আনন্দের।
নয়াদিল্লিতে শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাত করার পর সত্যার্থী টুইটে বলেন, ‘প্রান্তিক শিশুদের জন্য একটি বিশ্বব্যাপী সামাজিক সুরক্ষা ব্যবস্থার আমার দৃষ্টিভঙ্গি সমর্থন করার জন্য আমি তাকে ধন্যবাদ জানাই।’
প্রধানমন্ত্রী চার দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে ভারতে রয়েছেন এবং বৃহস্পতিবার তার দেশে ফেরার কথা রয়েছে।
পড়ুন: ভারতের সঙ্গে ৫০০ মিলিয়ন ডলারের প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম ক্রয়চুক্তি সই
বাংলাদেশকে তৃতীয় বিশ্বে ট্রানজিট ফ্রি রপ্তানির প্রস্তাব ভারতের
ভারতের সঙ্গে ৫০০ মিলিয়ন ডলারের প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম ক্রয়চুক্তি সই
প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম কিনতে ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশ লাইন অব ক্রেডিট-এলওসি’র আওতায় ৫০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের প্রথম চুক্তি সই করেছে। ভারত দুই দেশের মধ্যে প্রতিরক্ষা সহযোগিতা জোরদার করতে এটিকে একটি ‘গুরুত্বপূর্ণ প্রথম পদক্ষেপ’ বলে মনে করছে।
মঙ্গলবার রাতে ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় কোয়াত্রা বলেছেন , আমি মনে করি এই সপ্তাহের শুরুতে প্রতিরক্ষা সহযোগিতা সহায়তার (এলওসি) অধীনে প্রথম চুক্তি সই হয়েছে। আমি নিশ্চিত আপনারা নিবিড়ভাবে দেখেছেন, ‘সামান্য পরিমাণ’ হলেও এটি একটি ‘গুরুত্বপূর্ণ প্রথম পদক্ষেপ’ ছিল।
ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বলেন, এটি একটি প্রতিরক্ষা সহযোগিতা সহায়তা-এলওসি হতে পারে। তবে এটি উন্নয়ন অংশীদারিত্ব কাঠামোরও একটি অংশ।
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের প্রচেষ্টা হল এটি প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তার ক্ষেত্রে দুই দেশের মধ্যে আরও সম্পৃক্ততার পথ খুলে দেবে এবং আমাদের সহযোগিতাকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাবে।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দ্বিপক্ষীয় প্রতিরক্ষা সম্পর্কের বন্ধনকে ‘নিবিড়করণে’ সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।
উভয় নেতা দ্বিপক্ষীয় আলোচনার পর যৌথ বিবৃতিতে বলেন, তারা এলওসি’র অধীনে প্রকল্পগুলোর দ্রুত চূড়ান্তকরণে সম্মত হয়েছে, যা দু’দেশের জন্য লাভজনক হবে।
ভারত এই বিষয়ে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর যানবাহন ‘প্রাথমিক ক্রয় পরিকল্পনা’ চূড়ান্ত করাকে স্বাগত জানিয়েছে এবং দ্বিপক্ষীয় প্রতিরক্ষা সম্পর্ক বাড়ানোর জন্য আগ্রহী।
বৃহত্তর সামুদ্রিক নিরাপত্তার জন্য একটি উপকূলীয় রাডার ব্যবস্থা প্রদানের ২০১৯ সালের সমঝোতা স্মারকটি তাড়াতাড়ি বাস্তবায়নে তাদের অনুরোধ পূনর্ব্যক্ত করেছে ভারত।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশকে তৃতীয় বিশ্বে ট্রানজিট ফ্রি রপ্তানির প্রস্তাব ভারতের
আগস্টে নয়াদিল্লিতে অনুষ্ঠিত চতুর্থ বাংলাদেশ-ভারত বার্ষিক প্রতিরক্ষা সংলাপে, ভারতের পক্ষ থেকে প্রতিরক্ষা সরঞ্জামগুলোর জন্য সহযোগিতা সহায়তার(এলওসি) ৫০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বাস্তবায়নে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দেয় উভয় পক্ষ।
সংলাপে বাংলাদেশ ও ভারত তাদের সশস্ত্র বাহিনীর মধ্যে সম্পৃক্ততা বাড়াতে অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছে এবং দ্বিপক্ষীয় প্রতিরক্ষা সহযোগিতার উদ্যোগের অগ্রগতি পর্যালোচনা করেছে।
বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার লেফটেন্যান্ট জেনারেল ওয়াকের-উজ-জামান এবং ভারতের প্রতিরক্ষা সচিব অজয় কুমার এই সংলাপে যৌথভাবে সভাপতিত্ব করেন।
প্রতিরক্ষা শিল্প এবং সক্ষমতা-নির্মাণ সহযোগিতার বিভিন্ন দিক বিস্তারিত আলোচনায় উঠে এসেছে।
উভয় দেশ প্রতিরক্ষা বাণিজ্য, সহ-উন্নয়ন এবং যৌথ উৎপাদনে সহযোগিতার সম্ভাবনায় সম্মত হয়েছে।
এদিকে ভারতীয় সংবাদ সংস্থা দ্য হিন্দু জানিয়েছে যে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী সম্প্রতি সামরিক প্ল্যাটফর্ম এবং সিস্টেমগুলো ভারত থেকে সংগ্রহ করতে একটি চাহিদাপত্র দিয়েছে। সরকারি সূত্র বলছে, ভারতের পক্ষ থেকে বাংলাদেশকে সামরিক প্রতিরক্ষা সহযোগিতা সহায়তার (এলওসি) ৫০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার প্রদান বাস্তবায়নে বিলম্ব হওয়ার কিছু অগ্রগতি চিহ্নিত করে।
এতে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর জন্য ভাসমান ডক, লজিস্টিক জাহাজ এবং তেলের ট্যাঙ্কারসহ বিভিন্ন ধরনের সরঞ্জাম রয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুকেএক সূত্রের উদ্ধৃতি দিয়ে দ্য হিন্দু জানিয়েছে, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এ পর্যন্ত তিনটি আইটেম ক্রয়ের অনুমোদন দিয়েছে। এলওসি-এর আওতায় প্রায় ১০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ব্যয়ে পাঁচটি ব্রিজ লেয়ার ট্যাঙ্ক (বিএলটি-৭২); প্রায় ২ দশমিক ২ মিলিয়ন ডলার ব্যয়ে সাতটি বহনযোগ্য ইস্পাত সেতু এবং টাটা গ্রুপ থেকে ২ দশমিক ২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ব্যয়ে ১১টি মাইন প্রোটেক্টিভ ভেহিকেল।
আরও পড়ুন: সেপা চুক্তির জন্য চলতি বছরেই আলোচনা শুরুর নির্দেশ হাসিনা-মোদির
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ক্রয় প্রস্তাবনার অন্যান্য সরঞ্জামগুলো হলো- মাহিন্দ্রা এক্সইউভি৫০০ অব-রোড যানবাহন; আনুমানিক ২ দশমিক ৩৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ব্যয়ে মাহিন্দ্রা থেকে হার্ড টপ যান, ভারী উদ্ধারযান, সাঁজোয়া প্রকৌশলী উদ্ধারযান এবং বুলেটপ্রুফ হেলমেট।
সূত্রটি জানিয়েছে, বাংলাদেশ নৌবাহিনী একটি লজিস্টিক জাহাজ, ভাসমান ডক, তেল ট্যাংকার এবং একটি সমুদ্রগামী টাগ সংগ্রহের প্রস্তাব দিয়েছে।
আরও পড়ুন: ট্রানজিট চুক্তি: ভারতের পণ্য নিয়ে চট্টগ্রাম বন্দরে ‘এমভি ট্রান্স সামুদেরা’
বাংলাদেশকে তৃতীয় বিশ্বে ট্রানজিট ফ্রি রপ্তানির প্রস্তাব ভারতের
ভারতের নির্দিস্ট স্থল, বিমান ও নৌবন্দর ব্যবহার করে বাংলাদেশকে তৃতীয় বিশ্বে পণ্য রপ্তানির প্রস্তাব দিয়েছে ভারত।
এজন্য বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের তাদের পণ্য পরিবহনের জন্য ভারতীয় বন্দরের অবকাঠামো পরিদর্শনের আমন্ত্রণ জানিয়েছে ভারত।
মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারত সফরকালে নয়াদিল্লির হায়দারাবাদে নরেন্দ্র মুদির সঙ্গে প্রতিনিধি পর্যায়ের দ্বিপক্ষীয় আলোচনাকালে ভারতীয় পক্ষ এই প্রস্তাব দেন।
বুধবার এক যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়, নেপাল ও ভুটানে পণ্য রপ্তানিতে বাংলাদেশকে ফ্রি ট্রানজিট সুবিধা দিবে ভারত।
বাংলাদেশের পক্ষ থেকে নতুন করে উদ্বোধন করা হলদিবাড়ি রুট দিয়ে ভুটানের সঙ্গে রেল যোগাযোগ স্থাপনের অনুরোধ জানানো হয়েছে।
ভারতীয় পক্ষ কার্যক্ষমতা ও সম্ভাব্যতার ভিত্তিতে অনুরোধটি বিবেচনা করতে সম্মত হয়েছে।
আরও পড়ুন: সেপা চুক্তির জন্য চলতি বছরেই আলোচনা শুরুর নির্দেশ হাসিনা-মোদির
এটি করতে আন্তসীমান্ত রেল সংযোগ কার্যকর করতে ভারতীয় পক্ষ বাংলাদেশকে চিলাহাটি হলটিবাড়ি বন্দর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের অনুরোধ করে।
দুই নেতা বিবিআইএন মোটর ভেহিকেল চুক্তির দ্রুত কার্যকরের মাধ্যমে দ্বিপক্ষীয় এবং উপ-আঞ্চলিক সংযোগ উন্নত করার প্রচেষ্টা ত্বরান্বিত করতে সম্মত হয়েছেন।
ভারত পশ্চিমবঙ্গের হিলি থেকে বাংলাদেশের মধ্য দিয়ে মেঘালয়ের মহেন্দ্রগঞ্জ পর্যন্ত একটি মহাসড়কসহ নতুন উপ-আঞ্চলিক সংযোগ প্রকল্প শুরু করতে সহযোগিতার জন্য বাংলাদেশকে অনুরোধ করেছে। এবং এই বিষয়ে একটি বিশদ প্রকল্প প্রতিবেদন তৈরির প্রস্তাব দিয়েছে।
একইভাবে, বাংলাদেশ ভারত-মিয়ানমার-থাইল্যান্ড ত্রিপক্ষীয় হাইওয়ে প্রকল্পের চলমান উদ্যোগে অংশীদার হওয়ার আগ্রহের কথা পুনর্ব্যক্ত করেছে।
দুই নেতা দ্বিপাক্ষিক এবং উপ-আঞ্চলিক রেল, সড়ক এবং অন্যান্য সংযোগ উদ্যোগ বাস্তবায়নের গুরুত্বারোপ করেন।
চলমান দ্বিপাক্ষিক উদ্যোগ টঙ্গী-আখাউড়া লাইনের ডুয়েল-গেজে রূপান্তর, রেলওয়ে রোলিং স্টক সরবরাহ, বাংলাদেশ রেলওয়ের কর্মীদের সক্ষমতা বৃদ্ধি, বাংলাদেশ রেলওয়ের উন্নত পরিষেবার জন্য আইটি সমাধান ভাগাভাগি করাকে উভয় পক্ষই স্বাগত জানিয়েছে।
আরও পড়ুন: ট্রানজিট চুক্তি: ভারতের পণ্য নিয়ে চট্টগ্রাম বন্দরে ‘এমভি ট্রান্স সামুদেরা’
এছাড়া সিরাজগঞ্জে একটি কন্টেইনার ডিপো নির্মাণ সহ কাউনিয়া-লালমনিরহাট-মোগলঘাট-নতুন গীতালদহ সংযোগ, হিলি ও বিরামপুরের মধ্যে একটি সংযোগ স্থাপন, বেনাপোল-যশোর লাইন বরাবর ট্র্যাক এবং সিগন্যালিং সিস্টেম এবং রেলওয়ে স্টেশনগুলির উন্নীতকরণ, বুড়িমারী ও চ্যাংরাবান্ধার মধ্যে সংযোগ পুনঃস্থাপনের মতো নতুন উদ্যোগকে উভয় পক্ষই স্বাগত জানিয়েছে।
এবং উভয় পক্ষ দ্বিপাক্ষিক উন্নয়ন সহযোগিতার অধীনে বিভিন্ন আর্থিক উপকরণের মাধ্যমে এই প্রকল্পগুলোর অর্থায়ন অন্বেষণ করতে সম্মত হয়েছে।
২০টি ব্রড-গেজ ডিজেল লোকোমোটিভ অনুমোদনে ভারতের ইঙ্গিতকে স্বাগত জানিয়েছে বাংলাদেশ।
দুই নেতা চট্টগ্রাম ও মোংলা বন্দর (এসিএমপি) ব্যবহারের চুক্তির অধীনে ট্রায়াল রানের সফল সমাপ্তিকে স্বাগত জানান এবং শিগগির এটি সম্পূর্ণরূপে চালুর অপেক্ষায়।
ভারতীয় পক্ষ তৃতীয় দেশের এক্সিম কার্গো অন্তর্ভুক্ত করার জন্য ২০১৫ সালের দ্বিপক্ষীয় উপকূলীয় শিপিং চুক্তি সম্প্রসারণ কাজের জন্য তার অনুরোধ পুনর্ব্যক্ত করেছে।
উভয় পক্ষ দুই দেশের মধ্যে সরাসরি শিপিং কার্যক্রম চালু করতে সম্মত হয়েছে।
তারা অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন ও বাণিজ্য (পিআইডব্লিউটিটি) রুটে ৫ ও ৬ (ধুলিয়ান থেকে রাজশাহী-আরিচা পর্যন্ত সম্প্রসারণ) এবং ৯ ও ১০ (দাউদকান্দি থেকে সোনামুড়া) রুটে প্রটোকলের অধীনে নদী পরিষেবা চালু করার সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে সম্মত হয়েছে।
ত্রিপুরাকে বাংলাদেশের সঙ্গে সংযুক্তকারী ফেনী নদীর ওপর মৈত্রী সেতুর কার্যক্রম চালু করতে অবশিষ্ট অবকাঠামো, অভিবাসন এবং শুল্ক সুবিধা দ্রুত সম্পন্ন করতে বাংলাদেশকে অনুরোধ করেছে ভারত।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আমন্ত্রণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৫ থেকে ৮ সেপ্টেম্বর ভারতে সরকারি সফর করছেন।
সফরকালে, তিনি ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু এবং উপ রাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখরের সঙ্গে সাক্ষাত করেন।
আরও পড়ুন: জনসমর্থনহীন সরকার ভারতের সঙ্গে সমস্যার সমাধান করতে ব্যর্থ: ফখরুল
পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মন্ত্রিত্ব চলে যাবে কি না, সে এখতিয়ার প্রধানমন্ত্রীর: ওবায়দুল কাদের
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনের মন্ত্রিত্ব চলে যাবে কি না, সে এখতিয়ার প্রধানমন্ত্রীর বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
বুধবার (০৭ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে গণমাধ্যম কেন্দ্রে বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরাম (বিএসআরএফ) আয়োজিত 'বিএসআরএফ সংলাপ' এ অংশ নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।
সংগঠনের সভাপতি তপন বিশ্বাসের সভাপতিত্বে সংলাপ অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন বিএসআরএফ-এর সাধারন সম্পাদক মাসউদুল হক।
ওবায়দুল কাদের বলেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী সব সময় প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গী হবেন, এমন কোনো কথা নেই। নরেন্দ্র মোদি যখন এসেছেন, তখন কি (তাদের) পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাথে ছিলেন?
তিনি বলেন, ‘পররাষ্ট্রমন্ত্রীও তো মানুষ, একজন মানুষ অসুস্থও হতে পারেন। তার বাসা থেকে শুনেছি তিনি কিছুটা অসুস্থ। এটা হতেই পারে। এখন এজন্য তার কোনো পরিবর্তন, কিছু দিন আগে তার হয়তো একটা স্লিপ হয়েছে, কথাবার্তা বলা, সেটার জন্য তার মন্ত্রিত্ব চলে যাবে কি না, এ এখতিয়ার তো আমার নেই। এ এখতিয়ার প্রধানমন্ত্রীর।’
এ বিষয়ে অন্য কারও কিছু বলার নেই উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের এ নেতা বলেন, বললে সেটা হবে অতি কথন।
উল্লেখ্য, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরে ‘অসুস্থতার’ কারণ দেখিয়ে তার সঙ্গে যাননি।
পড়ুন: মোমেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী পদে থাকার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট
শেষ মুহূর্তে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ভারত সফর বাতিল
পরিশোধিত পেট্রোলিয়াম পণ্যের জি২জি সরবরাহকারী হিসেবে ইন্ডিয়ান অয়েলকে তালিকাভুক্ত করল ঢাকা
বাংলাদেশ ইন্ডিয়ান অয়েল করপোরেশন লিমিটেডকে পরিশোধিত পেট্রোলিয়াম পণ্যের সরকার থেকে সরকার (জি২জি) সরবরাহকারী হিসাবে মনোনীত করতে সম্মত হয়েছে। বিষয়টি ভারতীয় পররাষ্ট্র সচিব বিনয় কোয়াত্রা জানিয়েছেন।
মঙ্গলবার রাতে নয়াদিল্লিতে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘তাই আপাতত এটিই ঘটতে যাচ্ছে। এ নিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের মধ্যে আলোচনা হয়েছে। আলোচনা ও সিদ্ধান্তের সংক্ষিপ্তসার হচ্ছে-বিষয়টি এমন কিছু যা কর্মকর্তারা তাদের নিজেদের মধ্যে কাজ করবেন।’
কোয়াত্রা বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং নরেন্দ্র মোদি ভারত ও বাংলাদেশ উভয়কেই তাদের জ্বালানি চাহিদা মেটাতে সাহায্য করার জন্য দ্বিপক্ষীয় সীমানা আন্তঃসংযোগ স্থাপনে চলমান আলোচনাকে স্বাগত জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: ঢাকা-দিল্লির মধ্যে যেসব সমঝোতা স্মারক সই ও প্রকল্প ঘোষণা
তিনি আরও বলেন, তারা ভারত-বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ পাইপলাইনের অগ্রগতিও পর্যালোচনা করেন। এই প্রকল্পটি তারা অনুদানের মাধ্যমে গ্রহণ করছে। এটি ভারত থেকে বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলে উচ্চ গতির ডিজেল সরবরাহে সক্ষম করবে।
ভারতীয় পররাষ্ট্র সচিব বলেন, ‘এ প্রেক্ষাপটে আমরা ইন্ডিয়ান অয়েল কর্পোরেশন লিমিটেডকে পরিশোধিত পেট্রোলিয়াম পণ্যের সরকার থেকে সরকার (জি২জি) সরবরাহকারী হিসাবে মনোনীত করার বাংলাদেশের সাম্প্রতিক সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাই। যা দুই দেশের জ্বালানি খাতে সহযোগিতা বাড়াতে সাহায্য করবে।’
প্রতিরক্ষা সহযোগিতা সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘যতদূর মনে পরে প্রতিরক্ষা লাইন অব ক্রেডিটের অধীনে প্রথম চুক্তি এই সপ্তাহের শুরুতে স্বাক্ষরিত হয়েছিল। আমি নিশ্চিত যে আপনারা বিষয়টি ঘনিষ্ঠভাবে অনুসরণ করেছেন। এটি একটি সামান্য পরিমাণ হলেও একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রথম পদক্ষেপ ছিল।’
ভারতীয় পররাষ্ট্র সচিব বলেছেন যে এটি একটি প্রতিরক্ষা এলওসি হতে পারে তবে এটি উন্নয়ন অংশীদারি কাঠামোরও একটি অংশ।
আরও পড়ুন: তিস্তা সমস্যা সমাধানে বাংলাদেশকে আবারও আশ্বাস দিয়েছে ভারত: পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী
তিনি আরও বলেন, ‘নিরাপত্তা এবং কৌশলগত সহযোগিতার অধীনে এটির অবতরণও রয়েছে। আমাদের প্রচেষ্টা হল এটি প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা ক্ষেত্রে দুই দেশের মধ্যে আরও সম্পৃক্ততার পথ খুলে দেবে এবং আমাদের সহযোগিতাকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাবে।’
কোয়াত্রা বলেন, আলোচনার প্রধান উপাদানগুলোর মধ্যে একটি এবং আরও সহযোগিতার জন্য উভয় পক্ষের প্রচেষ্টার একটি প্রধান দিক হল পণ্যের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের একটি স্থিতিস্থাপক সাপ্লাই চেন তৈরি করা। এই পণ্য পচনশীল ও অ-পচনশীল, বা প্রয়োজনীয় দ্রব্য, উভয় খাদ্য ও অখাদ্য হতে পারে। এই সমস্ত উপাদান উক্ত আলোচনার অংশ ছিল।
তিনি বলেন, দুই পক্ষই এই সাপ্লাই চেইনগুলোকে আরও শক্তিশালী করার ওপর জোর দিয়েছে এবং যতটা সম্ভব নিরবচ্ছিন্ন রাখার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
আরও পড়ুন: ট্রানজিট চুক্তি: ভারতের পণ্য নিয়ে চট্টগ্রাম বন্দরে ‘এমভি ট্রান্স সামুদেরা’
ট্রানজিট চুক্তি: ভারতের পণ্য নিয়ে চট্টগ্রাম বন্দরে ‘এমভি ট্রান্স সামুদেরা’
বাংলাদেশের সঙ্গে ট্রানজিট চুক্তির আওতায় ভারতের পণ্য নিয়ে চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরে এসে পৌঁছেছে পণ্যবাহী একটি জাহাজ।
মঙ্গলবার রাতে ‘এমভি ট্রান্স সামুদেরা’ নামের কার্গো জাহাজটি বন্দরের এনসিটি জেটিতে নোঙর করে। জাহাজটিতে এক কনটেইনার পণ্য (রড) রয়েছে। এ চালানটি বাংলাদেশের ভূখণ্ড হয়ে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যে (আসাম) যাবে।
চট্টগ্রাম বন্দর সূত্রে জানা গেছে, ২০২০ সালে এমভি সেঁজুতি জাহাজে কলকাতা বন্দর থেকে চট্টগ্রাম বন্দরে ট্রানজিটের চার কনটেইনার পণ্য এসেছিল। গত মাসে মোংলা বন্দর দিয়ে ট্রানজিটের আরেকটি সফল ট্রায়াল রান সম্পন্ন হয়েছে। চলতি সপ্তাহে মেঘালয় থেকে চায়ের কনটেইনার ডাউকি-তামাবিল হয়ে চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে ট্রানজিটের ট্রায়াল রানের শেষ চালানটি কলকাতা বন্দরে পাঠানোর পরিকল্পনা রয়েছে।
ট্রান্স সমুদেরা জাহাজের শিপিং এজেন্ট ম্যাঙ্গো লাইনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইকবাল সুজন ভূইয়া জানান, কলকাতা বন্দর থেকে মোট ১২৪ একক আমদানি পণ্য বোঝাই করে জাহাজটি রাত ৮টায় চট্টগ্রাম বন্দরে ভিড়েছে। এর মধ্যে একটি কনটেইনারে ট্রানজিট পণ্য আছে। বাকি কনটেইনারে পণ্যের আমদানিকারক বাংলাদেশি ব্যবসায়ী। এর আগে ২০২০ সালের ২১ জুলাই ট্রান্সশিপমেন্টের প্রথম চালান কলকাতা বন্দর থেকে চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছেছিল।
পড়ুন: ঢাকা-দিল্লির মধ্যে যেসব সমঝোতা স্মারক সই ও প্রকল্প ঘোষণা
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব মো. ওমর ফারুক বলেন, বাংলাদেশ-ভারত ট্রানজিট চুক্তির আওতায় আমদানি-রপ্তানি দুই ধরনের পণ্য উঠানামায় প্রস্তুত চট্টগ্রাম বন্দর। বন্দর কর্তৃপক্ষ প্রতিদিন গড়ে ১০ হাজার একক আমদানি-রপ্তানি-খালি কনটেইনার ওঠানামা করছে, ফলে ভারত থেকে আসা-যাওয়া করা ট্রানজিট-ট্রান্সশিপমেন্ট পণ্য অনায়াসেই এই বন্দরে ওঠানো-নামানো সম্ভব।
চট্টগ্রাম চেম্বারের সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেন, প্রতিবেশী দেশ ভারতের সঙ্গে ট্রানজিট চুক্তির আওতায় চট্টগ্রাম ও মোংলা বন্দর দিয়ে ট্রায়াল রান সম্পন্ন হচ্ছে- এটি গৌরবের। এতে বন্ধু প্রতিম দুই দেশ উপকৃত হবে।
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এম শাহজাহান জানান, ভারতের সেভেন সিস্টার্স রাজ্যগুলোর ট্রানজিট পণ্য পরিবহনে চট্টগ্রাম বন্দর শতভাগ প্রস্তুত।
পড়ুন: বাংলাদেশের উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় ভারত নির্ভরযোগ্য অংশীদার হিসেবে থাকবে: দ্রৌপদী মুর্মু
ভারতের মেডিকেল ভিসা: আবেদনের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও ভিসা প্রসেসিং ফি
স্বাস্থ্যসেবার দিক থেকে দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে প্রসিদ্ধ দেশ হওয়ায় ভারতের মেডিকেল ভিসা বাংলাদেশিদের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় একটি নথি। ২০২১ সালের হিসাব অনুযায়ী, দেশটির স্বাস্থ্যসেবা খাতে প্রায় ৪৭০ লক্ষাধিক লোক নিয়োগ করা হয়েছিলো, যা খাতটিকে দেশের সর্বোচ্চ নিয়োগকারি খাতে পরিণত করেছিল।
এক নজরে ভারতীয় পর্যটন পরিসংখ্যান-২০২০ সালের প্রতিবেদন অনুসারে, ২০১৯-২০ অর্থ বছরে প্রায় ছয় লাখ ৯৭ হাজার ৩০০ বিদেশি পর্যটক ভারতে চিকিৎসার জন্য এসেছিলেন। বিশ্বব্যাপী মেডিকেল ট্যুরিজম অ্যাসোসিয়েশনের নির্বাচিত ৪৬টি গন্তব্যের মধ্যে ২০২০-২০২১ মেডিকেল ট্যুরিজম ইনডেক্স (এমটিআই)-এ ভারত দশম স্থানে রয়েছে। ভারতের মেডিকেল ভিসার আদ্যোপান্ত নিয়েই আজকের নিবন্ধ।
আরও পড়ুন: ভারতের টুরিস্ট ভিসা কীভাবে পাবেন: আবেদনের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র, প্রসেসিং ফি
ভারতের মেডিকেল ভিসার জন্য আবেদনের নিয়ম
প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
→ প্রিন্ট করা ভিসার আবেদনপত্র
→ ফাঁকা দুই পৃষ্ঠাসহ নূন্যতম ছয় মাস মেয়াদী পাসপোর্টের ফটোকপি। সঙ্গে বর্তমান পাসপোর্টের মূলকপির সঙ্গে পুরনো পাসপোর্টও (যদি থাকে) নিতে হবে। অনেক সময় নতুন পাসপোর্টে পুরনো পাসপোর্টের নাম্বারটি উল্লেখ থাকে না। সেক্ষেত্রে থানায় একটি জিডি (জেনারেল ডায়রি) করে তার কপি ভিসার আবেদনপত্রের সঙ্গে সংযুক্ত করতে হবে।
→ সদ্য তোলা দুই কপি ভারতীয় ভিসা সাইজের তথা দুই ইঞ্চি বাই দুই ইঞ্চি সাদা ব্যাকগ্রাউন্ডযুক্ত ছবি লাগবে।
→ ভোটার আইডি কার্ড অথবা অনলাইনে নিবন্ধনকৃত জন্মসনদপত্র; যেটা দিয়ে পাসপোর্ট তৈরি করা হয়েছে তার ফটোকপি লাগবে।
আরও পড়ুন: অনিবন্ধিত ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
→ আবাসস্থলের প্রমাণস্বরূপ বর্তমান ঠিকানার সাম্প্রতিক গ্যাস/পানি/বিদ্যুৎ/টেলিফোন বিলের ফটোকপি সংযুক্ত করতে হবে। প্রিপেইড মিটারের ক্ষেত্রে মিটার কার্ডের দুই দিকের ফটোকপি দেয়া যেতে পারে।
→ শিক্ষার্থীরা তাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে ইস্যুকৃত স্টুডেন্ট আইডি কার্ডের ফটোকপি দিবেন। সরকারি কর্মকর্তাদের জন্য সরকারি আদেশ এর কপি আর বেসরকারি চাকরিজীবীদের জন্য এনওসি (নো অবজেকশন সার্টিফিকেট) দিতে হবে। ব্যবসায়ীরা তাদের ট্রেড লাইসেন্সের ফটোকপি সরবরাহ করবেন। অন্যান্য পেশাজীবী যেমন- ডাক্তার, প্রকৌশলী, আইনজীবীদের ক্ষেত্রে নিজ নিজ পেশাজীবী সংগঠন থেকে সদস্য সার্টিফিকেট লাগবে।
এসময় খেয়াল রাখতে হবে যে পাসপোর্ট যদি স্টুডেন্ট হিসেবে করা হয়ে থাকে তাহলে স্টুডেন্ট আইডি কার্ডই যথেষ্ট। কিন্তু প্রাইভেট সার্ভিস হিসেবে করা হয়ে থাকলে সেখানে এনওসি দিতে হবে। চাকরিজীবী বা ব্যবসায়ীদের জন্য ভিজিটিং কার্ড সংযুক্তি ভিসা প্রাপ্তির সম্ভাবনা বাড়াবে।
আরও পড়ুন: উচ্চ রক্তচাপ (হাই প্রেশার) হলে যা এড়িয়ে চলা উচিত: ক্ষতিকর খাবার, পানীয়, অভ্যাস
→ ভারতীয় যে কোনো ভিসায় সর্বনিম্ন ১৫০ ডলার এন্ডোর্সমেন্ট করা যায়। আর এই এন্ডোর্সমেন্ট অবশ্যই কোনো ব্যাংক থেকে করতে হবে। কোনো মানি এক্সচেঞ্জারের এন্ডোর্সমেন্ট গ্রহণযোগ্য নয়। আর এন্ডোর্সমেন্টটি অবশ্যই আবেদন জমা দেয়ার দিন থেকে বিগত এক মাসের মধ্যে করতে হবে।
এন্ডোর্সমেন্টের পর ব্যাংক একটি গ্রাহক কপি দিবে, যার একটি ফটোকপি আবেদনের সঙ্গে দিতে হবে। এছাড়া আবেদনকারী নিজের কিংবা বাবার ব্যাংক স্টেটমেন্টও জমা দিতে পারেন। এর জন্য অ্যাকাউন্টটিতে নূন্যতম ছয় মাস ধরে সর্বনিম্ন ২০ হাজার টাকা থাকতে হবে।
→ ভিসা ফি জমা রশিদের ফটোকপি
→ আবেদনকারীর রোগ সংক্রান্ত বাংলাদেশি ডাক্তারের প্রেসক্রিপশন কিংবা প্রত্যয়নপত্র
আরও পড়ুন: টেক্সট নেক সিন্ড্রোম: অতিরিক্ত মোবাইল ফোন ব্যবহারের ফলাফল
→ ভারতের কোন হাসপাতাল থেকে আবেদনকারীকে দেয়া ভিসা আমন্ত্রণপত্র। এর মাধ্যমে ভারতের সংশ্লিষ্ট হাসপাতাল আবেদনকারীকে তাদের সম্ভাব্য সমস্ত চিকিৎসা অনুমোদন করে। এছাড়া এই প্রমাণপত্রের মাধ্যমে ভারতীয় অ্যাম্বেসি বুঝতে পারে যে রোগী হাসপাতালের সঙ্গে যোগাযোগ করার পর হাসপাতালটি সেখানে তার চিকিৎসা করতে সম্মত হয়েছে। এই আমন্ত্রণপত্রে রোগীর অসুস্থতার বিবরণ, চিকিৎসার পদ্ধতি ও সময়কাল লিপিবদ্ধ থাকে।
→ আবেদনকারী অপ্রাপ্তবয়স্ক হলে তার বাবা-মাকে মেডিকেল মেডিকেল অ্যাটেন্ডেন্ট ভিসা নিতে হবে। এ সময় অ্যাটেন্ডেন্টের পাসপোর্টের পাশাপাশি রোগীর সঙ্গে সম্পর্কের প্রমাণপত্রও দাখিল করতে হবে।
→ বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ প্রতিস্তাপনের ক্ষেত্রে আইন এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে ছাড়পত্র নিতে হবে।
আরও পড়ুন: এয়ার কন্ডিশনার ছাড়াই গরমে ঘর ঠান্ডা রাখার কার্যকরী উপায়
অনলাইনে ভারতের মেডিকেল ভিসার জন্য আবেদন
ভারত সরকারের ইন্ডিয়ান ভিসা অনলাইন সাইট থেকে এই ভিসার জন্য আবেদন করা যায়। এর জন্য আগে থেকেই কিছু বিষয় আগে থেকেই প্রস্তুত রাখা জরুরি। এগুলো হলো- নূন্যতম ছয় মাস মেয়াদী পাসপোর্টের স্ক্যান কপি, সদ্য তোলা ভারতীয় ভিসা সাইজের ছবির স্ক্যান কপি, ভারতীয় হাসপাতাল থেকে ভিসা আমন্ত্রণপত্রের স্ক্যান কপি।
এ নথিগুলোর সবই পিডিএফ ফরম্যাটে প্রস্তুত করতে হবে; শুধু ছবিটা হবে জেপিইজি ফরম্যাটে। আবেদনকারীর যাবতীয় তথ্যাদি নির্ভুলভাবে উল্লেখ করে উপরের নথিগুলো আপলোড করলে আবেদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে।
ভিসা প্রসেসিং ফি কীভাবে জমা দিবেন
টুরিস্ট ভিসার ন্যায় মেডিকেল ভিসা প্রসেসিং ফি ৮০০ টাকা। এই ফি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট, ডেবিট বা ক্রেডিট কার্ড ও বিকাশ দিয়ে সহজেই পরিশোধ করা যাবে। এছাড়া সরাসরি আইভ্যাকে (ইন্ডিয়ান ভিসা অ্যাপ্লিকেশন সেন্টার) গিয়েও তার আশেপাশে এই ফি জমা দেয়া যাবে।
আরও পড়ুন: তীব্র গরমে হিট স্ট্রোক থেকে বাঁচতে করণীয়
ভিসার আবেদন কোথায় জমা দিতে হয়
সকল প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ আবেদনপত্র জমাদানের জন্য সকাল সকাল বিভাগীয় ভারতীয় ভিসা সেন্টারে চলে যেতে হবে। ভিসার আবেদনের জন্য এখন বাংলাদেশে আর ই-টোকেন প্রচলন নেই। সরকারি ছুটির দিন ছাড়া যে কোনো কার্যদিবসে সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১টা নাগাদ ভিসার আবেদন জমা নেয়া হয়। বাংলাদেশের ভারতের ভিসা আবেদনের কেন্দ্রগুলো হচ্ছে- ঢাকা (যমুনা ফিউচার পার্ক), ময়মনসিংহ, চট্রগ্রাম, কুমিল্লা, নোয়াখালী, সিলেট, রাজশাহী, রংপুর, বরিশাল এবং খুলনা।
ভারতীয় চিকিৎসা ভিসা পেতে কত দিন সময় লাগে
সাধারণত আবেদন জমাদানের পর থেকে প্রায় ৭২ ঘণ্টার মধ্যে ভিসা হাতে পাওয়া যায়। জরুরি অবস্থাগুলোর প্রতি অধিকতর গুরুত্ব দেয়া হয়। এক্ষেত্রে আবেদন জমা নেয়ার দিনেই ভিসা পাওয়া যেতে পারে। একাধিক দিনগুলোর ক্ষেত্রে সাধারণ ভিসা প্রসেসিংয়ের মতই অ্যাম্বেসি থেকে একটা টোকেন দেয়া হয়। এই টোকেনটির মাধ্যমে নির্ধারিত দিনে ভিসা-পাসপোর্ট সংগ্রহ করা যায়।
ভারতের চিকিৎসা ভিসার মেয়াদ
চিকিৎসার জন্য প্রযোজ্য এই ভিসার সময়কাল এক বছর। এই সময়ে ভিসাধারি তিন বার ভারতে যেতে আসতে পারবেন। প্রায় সময় দেখা যায়, রোগীদের ক্ষেত্রে চিকিৎসার প্রয়োজনে মেয়াদ বাড়িয়ে নিতে হয়। সেজন্যে ভারত স্বীকৃত হাসপাতাল কর্তৃক মেডিকেল সার্টিফিকেট পাওয়ার পর রাজ্য সরকার বা এফআরআরও (বিদেশি আঞ্চলিক নিবন্ধন অফিস) এর আদেশানুক্রমে মেয়াদ বাড়ানো যেতে পারে।
আরও পড়ুন: ডায়রিয়া বা উদরাময়: কারণ, লক্ষণ, প্রতিরোধ ও প্রতিকারের উপায়
তাই এই ধরনের রোগীদের জন্য ভারতে প্রবেশের ১৪ দিনের মধ্যে এফআরআরও-তে নিবন্ধন করা অপরিহার্য। মেয়াদ বৃদ্ধির এই কার্যক্রমটি এফআরআরওর সাইটে যেয়ে অনলাইন নিবন্ধনের মাধ্যমে সম্পন্ন করা যাবে।
ভারতের মেডিকেল ভিসা সংক্রান্ত কিছু সতর্কতা
ভারতীয় অ্যাম্বেসির ভেতরে কোনো ধরনের ব্যাগ অনুমিত নয়। তাই ভিসা আবেদন জমা দেয়ার মুহূর্তে শুধু দরকারি কাগজপত্রগুলো একটা স্বচ্ছ ফাইলে নিয়ে ভেতরে প্রবেশ করতে হবে। ভারতে প্রবেশের সময় ভ্রমণ কর বাবদ ৫০০ টাকা দিতে হয়। এই খরচটা আগেই সোনালী ব্যাংকে জমা দিয়ে সঙ্গে রশিদ নিয়ে গেলে ভারত প্রবেশের সময় আর বিড়ম্বনায় পড়তে হবে না।
ভারতের বাইরে থেকে আগত লোকেরা প্রায়ই ভারতে ঢোকার সময় অতিরিক্ত ডলার নিয়ে ইমিগ্রেশন পুলিশদের জেরার মুখে পড়েন। তাই পাসপোর্টে এন্ডোর্সকৃত পরিমাণের চেয়ে বেশি ডলার বহন করতে চাইলে তা মানিব্যাগে রাখা থেকে বিরত থাকতে হবে।
আরও পড়ুন: কান পেতে রই: দেশের প্রথম মানসিক সহায়তা হেলপলাইন
শেষাংশ
শেষ কথাটি হলো-দেশের বাইরে চিকিৎসার বিষয়ে বিশেষ করে গুরুতর ক্ষেত্রগুলোতে হাজারো শঙ্কা কাজ করে। তাই ভারতের মেডিকেল ভিসা আবেদনের প্রতিটি ধাপ সতর্কতার সঙ্গে নিষ্পন্ন করা উচিত। প্রগতিশীল চিকিৎসা ব্যবস্থার কারণে ভারতের বাইরে থেকে আগত রোগীরা সর্বোচ্চ স্বাস্থ্যসেবার নিশ্চয়তা পেয়ে থাকে। উন্নত ডায়াগনস্টিক সুবিধার জন্য প্রচুর পুঁজি বিনিয়োগসহ উচ্চ পর্যায়ের পরিষেবাগুলোর জন্যও দেশটি একটি নেতৃস্থানীয় গন্তব্যে পরিণত হয়েছে। ২০২৫ সালের মধ্যে ভারত সরকার জনস্বাস্থ্য খাতে ব্যয়কে জিডিপির ২ দশমিক ৫ শতাংশতে উন্নীত করার লক্ষ্যে এগিয়ে চলেছে।
৬ উইকেটে জিতল শ্রীলঙ্কা
টি টোয়েন্টি এশিয়া কাপের সুপার ফোরে ভারতকে ৬ উইকেটে হারাল শ্রীলঙ্কা। টসে জিতে ভারতকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় শ্রীলঙ্কা। এরপর মাত্র ১৭৩ রানে রোহিত শর্মার দলকে প্যাকেট করে ফেলে।
এরপর লঙ্কানরা ১৭৪ রানের টার্গেট নিয়ে ব্যাট হাতে মাঠে নামে। ১৯.৫ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ১৭৪ রান সংগ্রহ করে সাফল্যের চূড়ায় পৌঁছে যায় লঙ্কান বাহিনী।
মঙ্গলবার বাংলাদেশ সময় রাত ৮টায় সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ম্যাচটি শুরু হয়।
ভারতের একাদশ:
রোহিত শর্মা (অধিনায়ক), কেএল রাহুল, বিরাট কোহলি, সূর্যকুমার যাদব, হার্দিক পান্ডিয়া, ঋষভ পান্ত, দিপক হুদা, ভুবনেশ্বর কুমার, যুজবেন্দ্র চাহাল, অর্শদ্বীপ সিং, রবি বিষ্ণয়।
শ্রীলঙ্কা একাদশ
কুশল মেন্ডিস, রাজাপাকসে, দাসুন শানাকা(অধিনায়ক), হাসারাঙ্গা, নিশানাকা, করুনারত্মে, গুনতিলাকা, আসালাস্কা, থিকসানা, মাদুশঙ্কা,আসিথা ফার্নান্দো।
আরও পড়ুন: ভারতকে ৫ উইকেটে হারিয়ে পাকিস্তানের প্রতিশোধ
শ্রীলঙ্কাকে ১৭৪ রানের টার্গেট দিল ভারত
এশিয়া কাপ ২০২২: ভারতকে পরাস্ত করতে পাকিস্তানের প্রয়োজন ১৮২
বাংলাদেশের উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় ভারত নির্ভরযোগ্য অংশীদার হিসেবে থাকবে: দ্রৌপদী মুর্মু
বাংলাদেশ তার জনগণের আর্থ-সামাজিক সমৃদ্ধিতে দুর্দান্ত সাফল্য অর্জন করেছে উল্লেখ করে ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু বলেছেন, তার দেশ বাংলাদেশের উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় একটি নির্ভরযোগ্য অংশীদার হিসেবে পাশে থাকবে।
মঙ্গলবার নয়াদিল্লির রাষ্ট্রপতি ভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাতের সময় মুর্মু এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘আমাদের সম্পর্ক সবসময় সহযোগিতার মনোভাব এবং পারস্পরিক বিশ্বাসের ভিত্তিতে পরিচালিত হয়েছে।’
রাষ্ট্রপতি মুর্মু মহামারি ও বর্তমান আন্তর্জাতিক পরিস্থিতিতে বৈশ্বিক সংকট মোকাবিলায় ভারত ও বাংলাদেশকে অর্থনৈতিকভাবে আরও বেশি সম্পৃক্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন যে এই সফরের মাধ্যমে দুই দেশের সম্পর্ক আরও পরিপক্ক ও বিকশিত হবে।
তিস্তা সমস্যা সমাধানে বাংলাদেশকে আবারও আশ্বাস দিয়েছে ভারত: পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী
ভারত আবারও বাংলাদেশকে তিস্তা নদীর পানি বণ্টন সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিয়েছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম।
তিনি বলেন, ‘আমরা এখনও আশ্বাসের পর্যায়ে আছি। আমরা বিশ্বাস করি যে ভারত যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে তা পূরণ হবে, যদিও এতে সময় লাগতে পারে।’
মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের পর ভারতের রাজধানীর বাংলাদেশ হাউজে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বর্তমান সফরের বড় অর্জন বাংলাদেশের কুশিয়ারা নদীর পানি প্রত্যাহার চুক্তি।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারতে চারদিনের সরকারি সফরের দ্বিতীয় দিনে দুই দেশের মধ্যে স্বাক্ষরিত সাতটি সমঝোতা স্মারকের মধ্যে এটি অন্যতম।
এক প্রশ্নের জবাবে শাহরিয়ার আলম উল্লেখ করেন, প্রধানমন্ত্রীর চলমান সফরকে ভারত যথাযথ গুরুত্ব দিয়েছে।
আরও পড়ুন: যৌথভাবে রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ইউনিট ১- এর কাজ সম্পন্নের ঘোষণা হাসিনা-মোদির
তিনি উল্লেখ করেন, কেউ যদি দিল্লির রাস্তা দিয়ে যায় তবে তারা বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর পোস্টার দেখতে পাবে এবং ভারতীয় মিডিয়া এই সফরকে চব্বিশ ঘন্টা কভারেজ দিচ্ছে।
দ্বিপক্ষীয় আলোচনার ব্যাপারে তিনি বলেন, উভয় নেতা যোগাযোগ, জ্বালানি ও বাণিজ্যে সহযোগিতা এবং পানি বণ্টন নিয়ে আলোচনা করেছেন।
তিনি আরও বলেন, ‘দ্বিপক্ষীয় আলোচনায় প্রতিটি ইস্যু খোলা মন নিয়ে আলোচনা হয়েছে। দুই পক্ষই বিশ্বাস করে যে প্রতিটি সমস্যা আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করা হবে।’
শাহরিয়ার বলেন, নরেন্দ্র মোদি শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে বাংলাদেশের অভূতপূর্ব উন্নয়নের ভূয়সী প্রশংসা করেন এবং বলেন, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী কোভিড-১৯ মহামারিতে দেশের ১৭ কোটি মানুষকে মাতৃস্নেহে যত্ন নিয়েছেন।
আরও পড়ুন: বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন সংযোগ নিয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে আলোচনা চলছে: মোদি
আশা করি তিস্তা চুক্তিসহ সব অমীমাংসিত সমস্যার দ্রুত সমাধান হবে: প্রধানমন্ত্রী