ইইউ রাষ্ট্রদূত
পার্বত্য প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে ইইউ রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ
পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন বাংলাদেশে ইউরোপিয়ান দূতাবাসের রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলি।
রবিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) প্রতিমন্ত্রীর দপ্তরে সাক্ষাৎ করেন হোয়াইটলিসহ প্রতিনিধিরা।
সাক্ষাতে ইইউ রাষ্ট্রদূত জানান, উন্নয়ন সহায়তাকারী ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন, মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন ও ইউএনডিপি সম্মিলিত অংশের সমন্বয়ে পার্বত্য চট্টগ্রামে রাঙ্গামাটির তিনটি উপজেলা, বান্দরবানের তিনটি উপজেলা ও খাগড়াছড়ির দুইটি উপজেলার মোট ২৬টি ইউনিয়নে দারিদ্র্য বিমোচনে ২০ হাজার অতি দরিদ্র পরিবারের ৯৮ হাজার মানুষকে সহায়তা দেওয়ার লক্ষ্যে প্রকল্প গ্রহণ করেছে।
আরও পড়ুন: পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে তুরস্ক ও ইতালির রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ
প্রতিনিধি দল এসব হতদরিদ্রদের দারিদ্র্য বিমোচনে সহযোগিতার ক্ষেত্রসমূহ বৃদ্ধিসহ কার্যকরী পদক্ষেপ নেবে বলে প্রতিমন্ত্রীকে আশ্বস্ত করেন।
প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য হলো- তিন পার্বত্য জেলায় অতি দরিদ্র পরিবারের দারিদ্র্য হ্রাস ও জলবায়ু সহনশীল জীবন জীবিকা নির্বাহে সহায়তা প্রদান।
প্রকল্পের অন্তর্ভুক্ত রয়েছে- কমিউনিটি পরিচালিত মার্কেট কালেকশন পয়েন্ট।
এরমধ্যে রয়েছে- প্রত্যন্ত অঞ্চলে স্যাটেলাইট ক্লিনিক/স্বাস্থ্য ক্যাম্প পরিচালনা, শিশুদের বৃদ্ধি পর্যবেক্ষণের জন্য পারিবারিক পরিদর্শন, মাঝারি ও তীব্রভাবে অপুষ্টির শিকার শিশুদের জন্য খাদ্য প্যাকেজ।
প্রতিমন্ত্রী তাদের উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ায় জলবায়ু সহনশীল পর্যায়ে নিয়ন্ত্রণ ও দারিদ্র্য বিমোচনের দিকটিকে অধিকতর গুরুত্বের সঙ্গে দেখছেন।
তিনি বলেন, সরকার দেশি-বিদেশি সাহায্যকারী সংস্থাগুলোর এ ধরনের কল্যাণকর উদ্যোগকে সাধুবাদ জানায়। তিনি সবাইকে আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানান।
এসময় উপস্থিত ছিলেন- মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মশিউর রহমান, অতিরিক্ত সচিব প্রদীপ কুমার মহোত্তম, যুগ্ম সচিব মো. হুজুর আলীসহ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা।
আরও পড়ুন: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে সুইডেনের রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ
পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে জাপানের রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ
মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনই রোহিঙ্গা সমস্যার একমাত্র সমাধান: ইইউ রাষ্ট্রদূতকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী
মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনই রোহিঙ্গা সমস্যার একমাত্র সমাধান বলে ইইউ রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলিকে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
তিনি বলেন, রোহিঙ্গারা মিয়ানমারের নাগরিক, তাদের নিজ দেশে পূর্ণ নাগরিক অধিকার ও মর্যাদার সঙ্গে ফিরিয়ে নেওয়াই রোহিঙ্গা সমস্যার একমাত্র সমাধান।
আরও পড়ুন: ঢাকা-বেইজিং সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নিতে আসুন একসঙ্গে কাজ করি: চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী
ঢাকায় নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলি ও ডেলিগেশন প্রধানকে এটি পুণর্ব্যক্ত করে এ বিষয়ে তাদের সহযোগিতা বৃদ্ধির আহ্বান জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
বুধবার (১৭ জানুয়ারি) দুপুরে ইইউ রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলি রাজধানীর সেগুনবাগিচায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে নবনিযুক্ত পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে আসলে তিনি এই কথা বলেন।
আরও পড়ুন: সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ করতে বাণিজ্য বিস্তৃতিতে একসঙ্গে কাজ করবে বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
বৈঠক শেষে মন্ত্রী রাষ্ট্রদূতের হাতে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রতীক নৌকাসহ ঐতিহ্যবাহী উপহার সামগ্রী তুলে দেন এবং সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, করোনা মহামারি, ইউক্রেন যুদ্ধ ও ফিলিস্তিনের গাজায় নির্বিচারে মানুষ হত্যার কারণে রোহিঙ্গা সমস্যা থেকে বিশ্বের নজর অনেকটা অন্য দিকে সরে গেছে।
আরও পড়ুন: আজ পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন পিটার হাস ও চার্লস হোয়াইটলি
সে কারণে আমি ইইউ রাষ্ট্রদূতকে বলেছি, বাংলাদেশ একটি ঘনবসতিপূর্ণ দেশ। এখানে জনসংখ্যার ঘনত্ব সবচেয়ে বেশি। এখানে আরও ১৫ লাখ অতিরিক্ত মানুষ একটি বিশাল চাপ।
আর রোহিঙ্গারা মিয়ানমারের নাগরিক। দুই দশক আগেও মিয়ানমারের মন্ত্রিসভায় রোহিঙ্গা মন্ত্রী ছিল। রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে পূর্ণ নাগরিক অধিকার ও মর্যাদার সঙ্গে ফিরিয়ে নেওয়াই এ সমস্যার একমাত্র সমাধান।
আরও পড়ুন: পুনরায় প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ায় শেখ হাসিনাকে চীনের প্রেসিডেন্টের অভিনন্দন
ড. হাছান মাহমুদ আরও বলেন, ইইউ রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলি নতুন সরকারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার অভিপ্রায় ব্যক্ত করেছেন। দেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলোতে ইউরোপীয় উদ্যোক্তা এবং বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠানের বিনিয়োগ বৃদ্ধি এবং তাদের সঙ্গে পার্টনারশিপ অ্যান্ড কোঅপারেশন এগ্রিমেন্টের (পিসিএ) বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।
তরুণদের ভবিষ্যৎকে প্রভাবিত করে এমন ইস্যুতে তাদের কথা শুনতে হবে: ইইউ রাষ্ট্রদূত
বাংলাদেশের সঙ্গে ক্রমবর্ধমান সম্পর্কের কথা উল্লেখ করে বাংলাদেশে নিযুক্ত ইইউ প্রতিনিধি দলের প্রধান চার্লস হোয়াইটলি বলেছেন, তারা ইউরোপ থেকে বাংলাদেশে আরও ব্যবসা দেখতে চান। একই সঙ্গে ২০৩০ সালের মধ্যে বাংলাদেশ বিশ্বের নবম বৃহত্তম ভোক্তা বাজার হবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে 'বাংলাদেশ ডিসাইডস: দ্য ইয়ুথ স্পিকস' (বিডিওয়াইএস) শীর্ষক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, 'বাংলাদেশ ক্রমেই একটি আকর্ষণীয় বাজার হয়ে উঠছে। এ কারণেই আমাদের সম্পর্ক বিভিন্ন পর্যায়ে একটি অংশীদারিত্বে পরিণত হচ্ছে।’
আরও পড়ুন: মজুরি নয়, অধিকারের বিষয়ে প্রশ্ন তুলেছে সফররত ইইউ প্রতিনিধি দল: পররাষ্ট্র সচিব
রাষ্ট্রদূত হোয়াইটলি বলেন, তারা বাংলাদেশে তাদের বাণিজ্যিক আগ্রহ বাড়াতে ও এগিয়ে নিতে চান।
তিনি বলেন, 'ভবিষ্যতের মূল ইস্যুগুলোতে তরুণদের কথা শোনা জরুরি। অর্থনীতি ও বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ নিয়ে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময়ের মূল্যবান সুযোগ করে দিয়েছে আজকের এই আয়োজন। ইইউ বিশ্বব্যাপী তরুণদের সহায়তা করছে, যার মধ্যে গত বছর গৃহীত আমাদের ইয়ুথ অ্যাকশন প্ল্যানও রয়েছে।’
হারনেট টিভির প্রতিষ্ঠাতা সিইও ও এমডি আলিশা প্রধানের পরিকল্পনা ও ভাবনায় এই অনুষ্ঠানের প্রথম পর্বের আয়োজন করে হারনেট ফাউন্ডেশন।
বাংলাদেশে ইইউ দূতাবাসের সহঅর্থায়নে ও সহযোগিতায় আয়োজিত এ আয়োজন বাংলাদেশের তরুণদের ক্ষমতায়নে তাদের অঙ্গীকারের দলিল।
রপ্তানি বহুমুখীকরণের গুরুত্ব তুলে ধরে ইইউ রাষ্ট্রদূত বলেন, তৈরি পোশাক পণ্য এখনও বাংলাদেশের রপ্তানি বাণিজ্যে আধিপত্য বিস্তার করছে।
তিনি কৃষি খাতে বাংলাদেশের প্রশংসা করে বলেন, এ খাতের সাফল্য আশ্চর্যজনক এবং বাংলাদেশ এখন প্রধান ফসলের ক্ষেত্রেও স্বয়ংসম্পূর্ণ।
ইইউ রাষ্ট্রদূত নারীর অর্থনৈতিক ক্ষমতায়নে যৌথ প্রচেষ্টার ভূয়সী প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, 'আমি বাংলাদেশে নারীর অর্থনৈতিক ক্ষমতায়নে অনেক বেশি মনোযোগ দেখতে পাচ্ছি।’
তিনি গার্মেন্টস খাতের বিপ্লবের কথা উল্লেখ করেন এবং এটি কীভাবে নারীদের জন্য চাকরির সুযোগ সৃষ্টি করে তা তুলে ধরেন।
ইইউ বাংলাদেশের প্রধান বাণিজ্যিক অংশীদার। এখন উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা অর্জনের পথে বাংলাদেশ ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাজারে শুল্ক ও কোটামুক্ত প্রবেশাধিকারের সদ্ব্যবহার করেছে এবং 'এভরিথিং বাট আর্মস' ব্যবস্থার আওতায় ইইউতে বৈশ্বিক আমদানির ৬০ শতাংশেরও বেশি অংশ অর্জন করেছে।
বাংলাদেশ ইবিএর সবচেয়ে বড় সুবিধাভোগী, ২০২২ সালে ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাজারে রপ্তানি ২৪ বিলিয়ন ইউরোতে পৌঁছেছে।
অনুষ্ঠানে মানবাধিকার ও শ্রম অধিকার ইস্যু পূরণের গুরুত্ব নিয়েও আলোচনা করা হয়, যা ইবিএ ব্যবস্থার একটি অন্তর্নিহিত অংশ।
রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশ-ইইউ সম্পর্ককে কীভাবে আরও শক্তিশালী ও নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাওয়া যায় সে বিষয়ে সংলাপে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীদের মতামত শোনেন এবং দক্ষতা অর্জনের গুরুত্ব তুলে ধরেন।
অনুষ্ঠানটি সরাসরি সম্প্রচার করা হয় হারনেট টিভিতে। ২০১৮ সালে প্রতিষ্ঠিত এবং বাংলাদেশ সরকারের লাইসেন্সপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান নারীদের কণ্ঠস্বর প্রসারিত করতে এবং বিশ্বব্যাপী তাদের বৈচিত্র্যময় গল্পগুলো তুলে ধরতে গতিশীল প্ল্যাটফর্ম হিসাবে কাজ করছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের উন্নয়ন ও তৈরি পোশাক খাতে ইতিবাচক পরিবর্তনের প্রশংসা ইইউ প্রতিনিধি দলের
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির (ডুটা) সভাপতি ড. মো. নিজামুল হক বুয়ানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ১০টি স্বনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা অংশ নেন।
তারা বিকশিত বাংলাদেশে তরুণদের সামনে থাকা চ্যালেঞ্জ ও সুযোগ নিয়ে আলোচনা করেন।
অনুষ্ঠানে ছিলেন ঢাকা চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি ব্যারিস্টার সমীর সাত্তার; জোন্টা ইন্টারন্যাশনালের গভর্নর ড. জারিন দেলাওয়ার হুসেন; জেসিআই-এর জাতীয় সভাপতি জিয়াউল হক ভূঁইয়া, হারনেট গ্রুপের উপদেষ্টা মনির প্রধান; মেঘনা ব্যাংকের এমডি মো. সোহেল হোসেন ও ব্যারিস্টার মুতাসিম বিল্লাহ ফারুকী, রোটারির গভর্নর, আইটোর প্রেসিডেন্ট গোলাম মোস্তফাসহ আরও অনেকে।
এ ছাড়া জাজ মাল্টিমিডিয়া,বাংলাদেশে ফরাসি দূতাবাস, রোটারি ক্লাব, ইউএনবি, সময় টিভি, বাংলাদেশ প্রতিদিন, গোল্ড স্যান্ডস হোটেল অ্যান্ড রিসোর্টস, কাজী অ্যান্ড কাজী টি, জাজ মাল্টিমিডিয়া, ঢাকা লাইভ, মেঘনা ব্যাংক, হারনেট ব্লিসমাইন্ড, জেসিআই, জোন্তা, সাভার টেক্স এবং ব্যাকপেজ পিআরসহ পার্টনাররা এই আয়োজনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
বক্তারা হারনেট ফাউন্ডেশন ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতি তাদের জোরালো সমর্থন ব্যক্ত করেন এবং বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য যুব জনগোষ্ঠীকে তার সর্বোচ্চ সম্ভাবনায় কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশের যুব উন্নয়ন, ক্ষমতায়ন ও দক্ষতা উন্নয়নে কাজ করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।
সংলাপে সভাপতিত্ব করেন হারনেট গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা আলিশা প্রধান।
রোটারি ক্লাব তরুণদের কল্যাণে অঙ্গীকারের কথা তুলে ধরে একটি রক্তদান কর্মসূচির আয়োজন করে। মেঘনা ব্যাংক বিডিওয়াইএস ফোরামের সহযোগিতামূলক চেতনার প্রতিফলন ঘটিয়ে এই উদ্যোগের প্রতি তার অব্যাহত সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করে।
ফরাসি দূতাবাসের সহযোগিতায় 'টেকসই আগামীর জন্য আজকের কণ্ঠস্বর' স্লোগান নিয়ে ফোরামটি ২০২৩ সালের ডিসেম্বরের শুরু থেকে সৌদি দূতাবাস, গুলশান ক্লাব ও ওয়েস্টিন হোটেলের সঙ্গে সম্পৃক্ততার মধ্য দিয়ে যাত্রা অব্যাহত রাখবে।
আরও পড়ুন: শ্রম-মানবাধিকার খাতে প্রয়োজনীয় সংস্কারে বাংলাদেশের প্রতি আহ্বান ইইউ প্রতিনিধি দলের
ইইউ রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে জিএম কাদেরের সাক্ষাৎ
বাংলাদেশে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলির সঙ্গে রবিবার সাক্ষাৎ করেছেন জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান ও বিরোধী দলীয় উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ কাদের।
রবিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ইইউ রাষ্ট্রদূত কাদেরকে তার গুলশানের বাসভবনে ব্রেকফাস্টের আমন্ত্রণ জানান।
এদিকে, ইইউ রাষ্ট্রদূত এক টুইটে বলেছেন, ‘ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) মিশন প্রধানরা বাংলাদেশের দৃষ্টিভঙ্গি সম্পর্কে ধারণা পেতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে তাদের নিয়মিত বৈঠক চালিয়ে যাচ্ছেন। আজ আমরা জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের, দলের মহাসচিব মো. মুজিবুল হক চুন্নু ও চেয়ারম্যানের বিশেষ দূত ও উপদেষ্টা মাসরুর মওলার সঙ্গে মতবিনিময় করেছি।’
বৈঠকে ঢাকায় নিযুক্ত জার্মানি, নেদারল্যান্ডস, ইতালি, স্পেন, সুইজারল্যান্ড, নরওয়ে ও ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূতরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: ইইউ বাজারে জিএসপি প্লাস বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে বড় ভূমিকা রাখবে: রাষ্ট্রদূত
করতোয়ায় ট্রলার দুর্ঘটনায় প্রাণহানিতে ইইউ ও যুক্তরাষ্ট্রের সমবেদনা
নির্বাচনের আগে বাংলাদেশে বিক্ষোভ-সম্পর্কিত সহিংসতা নিয়ে উদ্বেগ ইইউ’র
বাংলাদেশের উন্নয়নে পদ্মা সেতু এক অবিস্মরণীয় মুহূর্ত: ইইউ রাষ্ট্রদূত
বাংলাদেশে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) রাষ্ট্রদূত ও প্রতিনিধিদলের প্রধান চার্লস হোয়াইটলি বলেছেন, পদ্মা সেতুর উদ্বোধন দেশের উন্নয়নে এক ‘অবিস্মরণীয় মুহূর্ত’ হতে চলেছে।
সোমবার এক বার্তায় ২৫ জুন পদ্মা সেতু উদ্বোধনের গুরুত্বপূর্ণ উপলক্ষে বাংলাদেশকে আন্তরিক অভিনন্দন জানিয়েছেন ইইউ দূত।
তিনি বলেন, পদ্মা সেতু দেশের জিডিপিতে এক দশমিক দুই শতাংশের বেশি যোগ করবে।
আরও পড়ুন: পদ্মা সেতু প্রকৃত গেম চেঞ্জার: রাশিয়া
হোয়াইটলি বলেন, ‘আমরা সেতুটি নিজেরাই ব্যবহার করতে এবং এটি জনগণ, পরিবার ও বাণিজ্যিক সংযোগের সুবিধার্থে কী করে তা দেখার জন্য অপেক্ষা করছে। অভিনন্দন, বাংলাদেশ।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী ২৫ জুন পদ্মা সেতুর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন।
বিশ্বব্যাপী টিকা নিশ্চিত করাই ইইউর অগ্রাধিকার: রাষ্ট্রদূত
বাংলাদেশে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) প্রতিনিধি দলের প্রধান রাষ্ট্রদূত রেনসে তিরিঙ্ক বলেছেন, ‘বিশ্বব্যাপী নিরাপদ ও সাশ্রয়ী মূল্যের করোনার টিকা নিশ্চিত করাই ইইউর অন্যতম অগ্রাধিকার। ‘টিম ইউরোপ' কোভ্যাক্সের আওতায় স্বল্প ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোকে এ বছরের শেষের দিকে কমপক্ষে ১০০ মিলিয়ন ডোজ করোনার টিকা দিবে।’
কোভ্যাক্সের আওতায় ইইউ কী অবদান রাখছে তার একটি সংক্ষিপ্ত বিবরণ দিতে গিয়ে রাষ্ট্রদূত ইউএনবিকে এসব কথা বলেন। তিনি বলেছেন, এ বছরের শেষের দিকে যে দেশগুলোর সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন তাদের সাথে কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনের ২০০ মিলিয়ন ডোজ ভাগ করে নেয়ার মাধ্যমেই টিম ইউরোপ (ইইউ, এর প্রতিষ্ঠান এবং ২৭ টি সদস্য দেশ) লক্ষ্য অতিক্রম করার পথে রয়েছে।
তিরিঙ্ক বলেন, কোভ্যাক্স এখন পর্যন্ত ১৩৬ টি দেশে ১২২ মিলিয়ন ডোজ টিকা বিতরণ করেছে।
সেই সাথে, টিম ইউরোপ আফ্রিকায় টিকা, ওষুধ এবং স্বাস্থ্য প্রযুক্তি উৎপাদনে একটি পদক্ষেপ নিয়েছে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশকে এক কোটি ডোজ টিকা দেবে ইইউ
গত ৯ জুলাই টিম ইউরোপ ডাকারের পাস্তুর ইনস্টিটিউটের মাধ্যমে ভ্যাকসিন উৎপাদনে বড় আকারের বিনিয়োগে সহায়তা করতে সম্মত হয়।
এই নতুন ম্যানুফ্যাকচারিং প্লান্ট টিকা আমদানির ওপর আফ্রিকার ৯৯ শতাংশ নির্ভরতা হ্রাস করবে এবং এই মহাদেশে ভবিষ্যতে মহামারি সহনশীলতাকে শক্তিশালী করবে বলে মন্তব্য করেন তিরিঙ্ক।
ইইউ রাষ্ট্রদূত বলেন, বিশেষ করে বাংলাদেশের জন্য এক লাখ ছয় হাজার ডোজ টিকা পাঠানো হয়েছে, যদিও আরও অনেক বেশি প্রয়োজন।
তিনি আরও বলেন, তারা আরও ভ্যাকসিন ডোজের জন্য চাপ দিতে থাকবে। যদিও বিষয়টি ইউরোপীয় ইউনিয়নের এক্সটারনাল অ্যাকশন সার্ভিসের হাতে নেই। এটি মানবিক সহায়তা বিভাগের হাতে।
আরও পড়ুন: নতুন বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও ‘রোহিঙ্গা ইস্যু’ এজেন্ডায় থাকবে: ইইউ
বঙ্গোপসাগরীয় অঞ্চলে বাংলাদেশের আরও সক্রিয় ভূমিকা আশা করে ইইউ
বিজিএমইএ সভাপতির সাথে ইইউ রাষ্ট্রদূতের বাণিজ্য বিষয়ক আলোচনা
বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউরোপী ইউনিয়নের (ইইউ) রাষ্টদূত রেন্সজে তেরিংক মঙ্গলবার বিজিএমইএ অফিসে সদ্য নির্বাচিত সভাপতি ফারুক হাসানের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন।
সাক্ষাতকালে তারা বিভিন্ন বাণিজ্য সংক্রান্ত বিষয়াবলী বিশেষ করে, পোশাক শিল্পে স্থিতিশীলতা, স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হওয়ার প্রেক্ষিতে ইইউ-বাংলাদেশ অংশীদারিত্ব আরও জোরদারকরন নিয়ে আলোচনা করেন।
বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, ইউরোপিয়ান বাজার বাংলাদেশের রপ্তানির জন্য সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। ২০২৬ সাল থেকে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পর বাংলাদেশের জন্য সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ন হবে ইইউ বাজারে জিএসপি প্লাস এর আওতায় পণ্য রপ্তানির সুবিধা পাওয়া।
তিনি এ বিষয়ে ইইউ রাষ্ট্রদূতের সহযোগিতা কামনা করেন।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা সঙ্কটের স্থায়ী ও শান্তিপূর্ণ সমাধান চায় ইইউ
বিজিএমইএ সভাপতি কোভিডকালীন সময়ে বেকার হয়ে পড়া শ্রমিকদের জন্য ইইউ যে তহবিল বিতরণের উদ্যোগ নিয়েছে তার অগ্রগতিও জানতে চান। তিনি দক্ষতা ও শিল্পের উদ্ভাবনী সক্ষমতা বাড়াতে বিজিএমইএ’র নতুন উদ্যোগ, বিজিএমইএ ইনোভেশন সেন্টার ও এলডিসি উত্তরণ বিষয়ে গবেষণার জন্য ইইউ’কে সহযোগিতার অনুরোধ জানান।
ইইউ’র পক্ষ থেকে বাংলাদেশের পোশাক শিল্পকে অব্যাহতভাবে বন্ধুত্বপূর্ণ সহযোগিতা প্রদান করে আসার জন্যও বিজিএমইএ সভাপতি ইইউ রাষ্টদূতকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।
এ সময় বিজিএমইএ’র সহ সভাপতি (অর্থ) খন্দকার রফিকুল ইসলাম, বিজিএমইএ’র সহ সভাপতি মো. নাছির উদ্দিন এবং ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন টু বাংলাদেশের ডেপুটি হেড অব মিশন জেরেমি ওপ্রিটেসকো উপস্থিত ছিলেন।
সুন্দরবন রক্ষার গুরুত্ব তুলে ধরলেন ইইউ রাষ্ট্রদূত
ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) রাষ্ট্রদূত রেন্সজে তিরিঙ্ক প্রাকৃতিক দুর্যোগের হাত থেকে রক্ষাকারী সুন্দরবন রক্ষার ওপর জোর দিয়েছেন।