বাংলাদেশে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) প্রতিনিধি দলের প্রধান রাষ্ট্রদূত রেনসে তিরিঙ্ক বলেছেন, ‘বিশ্বব্যাপী নিরাপদ ও সাশ্রয়ী মূল্যের করোনার টিকা নিশ্চিত করাই ইইউর অন্যতম অগ্রাধিকার। ‘টিম ইউরোপ' কোভ্যাক্সের আওতায় স্বল্প ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোকে এ বছরের শেষের দিকে কমপক্ষে ১০০ মিলিয়ন ডোজ করোনার টিকা দিবে।’
কোভ্যাক্সের আওতায় ইইউ কী অবদান রাখছে তার একটি সংক্ষিপ্ত বিবরণ দিতে গিয়ে রাষ্ট্রদূত ইউএনবিকে এসব কথা বলেন। তিনি বলেছেন, এ বছরের শেষের দিকে যে দেশগুলোর সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন তাদের সাথে কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনের ২০০ মিলিয়ন ডোজ ভাগ করে নেয়ার মাধ্যমেই টিম ইউরোপ (ইইউ, এর প্রতিষ্ঠান এবং ২৭ টি সদস্য দেশ) লক্ষ্য অতিক্রম করার পথে রয়েছে।
তিরিঙ্ক বলেন, কোভ্যাক্স এখন পর্যন্ত ১৩৬ টি দেশে ১২২ মিলিয়ন ডোজ টিকা বিতরণ করেছে।
সেই সাথে, টিম ইউরোপ আফ্রিকায় টিকা, ওষুধ এবং স্বাস্থ্য প্রযুক্তি উৎপাদনে একটি পদক্ষেপ নিয়েছে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশকে এক কোটি ডোজ টিকা দেবে ইইউ
গত ৯ জুলাই টিম ইউরোপ ডাকারের পাস্তুর ইনস্টিটিউটের মাধ্যমে ভ্যাকসিন উৎপাদনে বড় আকারের বিনিয়োগে সহায়তা করতে সম্মত হয়।
এই নতুন ম্যানুফ্যাকচারিং প্লান্ট টিকা আমদানির ওপর আফ্রিকার ৯৯ শতাংশ নির্ভরতা হ্রাস করবে এবং এই মহাদেশে ভবিষ্যতে মহামারি সহনশীলতাকে শক্তিশালী করবে বলে মন্তব্য করেন তিরিঙ্ক।
ইইউ রাষ্ট্রদূত বলেন, বিশেষ করে বাংলাদেশের জন্য এক লাখ ছয় হাজার ডোজ টিকা পাঠানো হয়েছে, যদিও আরও অনেক বেশি প্রয়োজন।
তিনি আরও বলেন, তারা আরও ভ্যাকসিন ডোজের জন্য চাপ দিতে থাকবে। যদিও বিষয়টি ইউরোপীয় ইউনিয়নের এক্সটারনাল অ্যাকশন সার্ভিসের হাতে নেই। এটি মানবিক সহায়তা বিভাগের হাতে।
আরও পড়ুন: নতুন বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও ‘রোহিঙ্গা ইস্যু’ এজেন্ডায় থাকবে: ইইউ
বঙ্গোপসাগরীয় অঞ্চলে বাংলাদেশের আরও সক্রিয় ভূমিকা আশা করে ইইউ