ইসি
৭ জানুয়ারি সাধারণ ছুটি ঘোষণা করতে চিঠি দিয়েছে ইসি
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে ৭ জানুয়ারি সাধারণ ছুটি ঘোষণা করতে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
নির্বাচন ব্যবস্থাপনা বিভাগের উপসচিব আতিয়ার রহমানের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘আগামী ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকায় দিনটি সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা প্রয়োজন।’
চিঠিতে ৭ জানুয়ারি সাধারণ ছুটি ঘোষণার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনাও চাওয়া হয়েছে।
এর আগে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল ঘোষণা করেন, আগামী ৭ জানুয়ারি দেশের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
১৫ নভেম্বর জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে সিইসি পরবর্তী নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন।
সংবিধান অনুযায়ী, বর্তমান সরকারের মেয়াদ শেষ হবে ২০২৪ সালের ২৯ জানুয়ারি।
আরও পড়ুন: নির্বাচন সুষ্ঠু করতে কমিশন জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করছে: ইসি আনিছুর
কারচুপি ঠেকানো রিটার্নিং অফিসার ও প্রিজাইডিং অফিসারের দায়িত্ব: সিইসি
নির্বাচনী আচরণবিধি কঠোরভাবে মেনে চলার আহ্বান সিইসির
নির্বাচন সুষ্ঠু করতে কমিশন জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করছে: ইসি আনিছুর
নির্বাচন সুষ্ঠু করতে নির্বাচন কমিশন (ইসি) জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করছে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার (ইসি) আনিছুর রহমান।
তিনি বলেন, তাদের কাছে সব প্রার্থীই সমান। যিনি নির্বাচনী আচরণবিধি ভাঙবেন তার বিরুদ্ধেই অ্যাকশন নেওয়া হবে। এমনকি প্রার্থিতাও বাতিল করা হতে পারে। ইতোমধ্যে নির্বাচন সুষ্টু করতে প্রশাসনে অনেক রদবদল করা হয়েছে। এটা কোনো পাতানো নির্বাচন নয়।
রবিবার (২৪ ডিসেম্বর) বেলা পৌনে ৩টার দিকে সুনামগঞ্জ শিল্পকলা একাডেমিতে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রার্থী এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে কমিশনার আনিছুর রহমান এসব কথা বলেন।
এসময় তিনি বলেন, আমরা বিদেশি কোনো চাপে নেই। বরং দেশি-বিদেশি প্রায় ২ হাজার পর্যবেক্ষক নির্বাচন পর্যবেক্ষণে আবেদন করেছে এবং সব দূতাবাসও নির্বাচন মনিটরিং করবেন।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ভোটারেরা কোনো প্রকার বাধা ছাড়া ভোটকেন্দ্রে গিয়ে তাদের পছন্দের প্রার্থীকেই ভোট দিতে পারবেন। কেউ ভোট দানে বাধা সৃষ্টি করলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিএনপি নির্বাচনে আসা প্রসঙ্গে বলেন, এখন আর নির্বাচনে আসার সুযোগ নেই। নির্বাচনী ট্রেন ছেড়ে গেছে।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রাশেদ ইকবাল চৌধুরীর সভাপতিত্বে সিলেট বিভাগীয় কমিশনার আবু আহমেদ ছিদ্দীকী, সিলেট রেঞ্জের ডিআইজি শাহ মিজান শফিউর রহমান, জেলা পুলিশ সুপার মো. এহসান শাহ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: ৭ জানুয়ারি সাধারণ ছুটি ঘোষণা করতে চিঠি দিয়েছে ইসি
কারচুপি ঠেকানো রিটার্নিং অফিসার ও প্রিজাইডিং অফিসারের দায়িত্ব: সিইসি
সব প্রাথীর জন্য সমান সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করা হবে: ইসি আহসান হাবিব
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সব প্রার্থীর জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিত করা হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মো. আহসান হাবিব খান।
বৃহস্পতিবার (২১ ডিসেম্বর) খুলনা জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে নির্বাচনী আচরণবিধি ও অন্যান্য বিষয়ে মতবিনিময় সভায় যোগদান শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ সাধারণ নির্বাচন-২০২৪ উপলক্ষে খুলনা, সাতক্ষীরা ও বাগেরহাট জেলার রিটার্নিং অফিসার, সহকারী রিটার্নিং অফিসার, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের সঙ্গে আচরণ-বিধি ও অন্যান্য বিষয়ে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইসি আহসান হাবিব খান।
বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে ইসি বলেন, আজকের মতবিনিময় সভার উদ্দেশ্য ছিল নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী প্রার্থীদের নির্বাচনকালীন নিরাপত্তা ও সমান সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করা।
তিনি বলেন, নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা সকল প্রার্থীকে একইভাবে দেখা এবং কোনো প্রকার পক্ষপাতিত্ব না করার বিষয়ে সবার সামনে প্রার্থীদের আশ্বস্ত করেছেন।
আরও পড়ুন: সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য যা যা করা দরকার ইসি তা করছে: কমিশনার রাশেদা
তিনি আরও বলেন, ‘আমার আশা ও প্রত্যাশা দ্বাদশ জাতীয় সংসদ সাধারণ নির্বাচন সুন্দর, অবাধ, নিরপেক্ষ ও উৎসবমুখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হবে। ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে আসার জন্য আমরা উপযুক্ত পরিবেশ সৃষ্টি করব এবং নিরাপত্তা প্রদান করব, যাতে করে নির্বিঘ্নে-নির্ভয়ে সব ভোটার ভোটকেন্দ্রে এসে নিজের ভোট যাকে খুশি তাকে দিতে পারেন।
ইসি বলেন, ভোটকেন্দ্রের শৃঙ্খলা রক্ষার বিষয়ে নির্বাচন কমিশন জিরো টলারেন্স নীতি প্রদর্শন করবে। নির্বাচন কার্যক্রমের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা শতভাগ সততার সঙ্গে কাজ করবেন বলে আশ্বস্ত করেছেন। প্রার্থীরা যাতে নির্বিঘ্নে-নির্দ্বিধায় ও নিরাপত্তার সঙ্গে নির্বাচনী প্রচারণা করতে পারেন সেজন্য প্রশাসন, পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে তৎপর রাখা হয়েছে।
খুলনার অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) সরোজ কুমার নাথের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. মোজাম্মেল হক, রেঞ্জ ডিআইজি মো. মঈনুল হক, বিজিবি ও কোস্টগার্ডের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং আসন্ন জাতীয় সংসদ সাধারণ নির্বাচনে খুলনা, সাতক্ষীরা ও বাগেরহাট জেলার রিটার্নিং অফিসার, সহকারী রিটানির্ং অফিসার, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: যেকোনো দল শান্তিপূর্ণভাবে ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে না যেতে বলতে পারে: ইসি আলমগীর
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ও সুষ্ঠু হবে: সিইসি
সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য যা যা করা দরকার ইসি তা করছে: কমিশনার রাশেদা
অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য যা যা করা দরকার নির্বাচন কমিশন (ইসি) তার সবই করছে বলে মন্তব্য করেছেন ইসি রাশেদা সুলতানা।
তিনি বলেন, জনগণের প্রত্যাশা যাতে পূরণ হয় এবং তারা কোনো বাধা ছাড়াই ভোট দিতে পারে সেজন্য সংশ্লিষ্ট নির্বাচনী কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২১ ডিসেম্বর) নাটোর জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে প্রার্থী, নির্বাচন কর্মকর্তা ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে মতবিনিময়কালে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে কমিশনার রাশেদা এসব কথা বলেন।
সুষ্ঠু নির্বাচন করতে সবার সহযোগিতা চেয়ে তিনি বলেন, ভোটারদের হুমকি দিলে শাস্তির বিধান রাখা হয়েছে।
নাটোরের জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা আবু নাসের ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে সভায় নাটোরের চারটি আসনের প্রার্থীরা, রাজশাহী রেঞ্জের উপ-মহাপরিদর্শক আনিসুর রহমান, অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার জসিম উদ্দিন, আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে মাঠ পর্যায়ের প্রশাসন নিয়ে চিন্তা নেই: ইসি রাশেদা
গাজীপুর সিটি নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হবে: ইসি রাশেদা সুলতানা
ইভিএম পাস না হলে ব্যালট পেপার দিয়ে ভোটগ্রহণ হবে: কমিশনার রাশেদা
নির্বাচনের আগে সব জেলায় সশস্ত্র বাহিনীর অগ্রিম দল মোতায়েন চায় ইসি
আগামী ৭ জানুয়ারির জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ১৩ দিনের জন্য দেশের সব জেলায় সশস্ত্র বাহিনীর একটি ছোট দল অগ্রিম মোতায়েন করতে বলেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এ বিষয়ে কমিশন সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসারকে চিঠি দিয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়েছে, ভোটের আগে, ভোটের দিন ও পরে শান্তি নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ‘ইন এইড টু সিভিল পাওয়ার’ বিধানের অধীনে বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তা করার জন্য ইসি ইতোমধ্যে ২০২৩ সালের ২৯ ডিসেম্বর থেকে ২০২৪ সালের ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত সারা বাংলাদেশের ৩০০টি নির্বাচনী এলাকায় সশস্ত্র বাহিনী মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, যোগাযোগ ব্যবস্থা, ভৌত অবকাঠামো এবং নির্বাচনী পরিবেশ, নির্বাচনী এলাকার পরিস্থিতি সম্পর্কে প্রাথমিক তথ্য ও উপাত্ত সংগ্রহের জন্য প্রতিটি জেলায় সশস্ত্র বাহিনীর একটি ছোট দল আগেই পাঠানো যেতে পারে।
সশস্ত্র বাহিনীর নির্বাচনী দায়িত্ব পালনে নিয়োজিত সদস্যরা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের সুপারিশ অনুসারে ফৌজদারি কার্যবিধির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তা করবেন।
আরও পড়ুন: সবাই বিএনপিকে অংশ নেওয়ার কথা বললেও তারা ইসির ডাকে সাড়া দেয়নি: সিইসি
প্রতিটি জেলা, উপজেলা বা মেট্রোপলিটন এলাকায় নোডাল পয়েন্ট এবং সুবিধাজনক স্থানে সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা মোতায়েন থাকবে। এরপর রিটার্নিং অফিসারদের সমন্বয়ে সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের মোতায়েন করা হবে।
সশস্ত্র বাহিনীর দল নিয়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোতায়েন করা হবে।
রিটার্নিং কর্মকর্তা বা সহায়তা রিটার্নিং কর্মকর্তাদের অনুরোধে তাদের প্রয়োজন অনুযায়ী আইনি কার্যক্রম ও অন্যান্য কাজ করতে হবে তাদের।
চিঠিতে বলা হয়েছে, কমিশন সশস্ত্র বাহিনী মোতায়েনের বিষয়ে পরে বিস্তারিত নির্দেশনা জারি করবে।
আরও পড়ুন: নির্বাচন নিয়ে বাইরের কোনো চাপ নেই: ইসি আলমগীর
সেনা মোতায়েনের নীতিগত অনুমোদন রাষ্ট্রপতির: ইসি সচিব
সবাই বিএনপিকে অংশ নেওয়ার কথা বললেও তারা ইসির ডাকে সাড়া দেয়নি: সিইসি
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, সবাই মনে করে বিএনপি নির্বাচনে অংশ নিলে অনেক ভালো হতো, কিন্তু নির্বাচন কমিশন (ইসি) বারবার আহ্বান জানালেও সাড়া দেয়নি দলটি।
তিনি বলেন, ‘এটা সত্য যে একটি গুরুত্বপূর্ণ দল নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে না। বিএনপি অংশ নিলে অনেক ভালো হতো। আপনারা জানেন, আমরা শুরু থেকেই তাদের অংশগ্রহণের আহ্বান জানিয়ে আসছি। আমরা আহ্বান জানিয়েছিলাম।’
সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) ইসি সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরির সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি।
সিইসি বলেন, টোকিও ও দূতাবাসের কর্মীদের সমন্বয়ে গঠিত একটি দল নিয়ে জাপান আগামী ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য জাতীয় নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করবে।
আরও পড়ুন: বিএনপি নির্বাচনে যোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলে পুনঃতফসিল হতে পারে: সিইসি
তিনি ইসি সচিবালয়ে সাংবাদিকদের বলেন, ‘তারা আমাদের নির্বাচনকে অনেক বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে। তারা নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করতে চায়। আমরা তাদের ধন্যবাদ জানাই।’
হাবিবুল আউয়াল জানান, আসন্ন নির্বাচনের বিষয়ে তারা জাপানের রাষ্ট্রদূতকে জানান।
তিনি বলেন, দাতা দেশগুলো আগামী নির্বাচনের দিকে চোখ রাখছে।
সিইসি আরও বলেন, ‘আমরা অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠানকে অনেক বেশি গুরুত্ব দিচ্ছি।’
আরও পড়ুন: দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারি: সিইসি
নির্বাচন কমিশন যথাসময়ে নির্বাচন করতে প্রস্তুত: সাহাবুদ্দিনকে সিইসি
ফরিদপুর-৩ আসনে ইসির সিদ্ধান্ত বহাল রাখলেন হাইকোর্ট
ফরিদপুর-৩ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী শামীম হকের দ্বৈত নাগরিকত্বের জন্য প্রার্থিতা বাতিল করে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) দেওয়া সিদ্ধান্ত বহাল রেখেছেন হাইকোর্ট।
সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) ইকবাল কবির ও বিচারপতি এস এম মনিরুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
এর মধ্যদিয়ে আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সব আইনি পথ হারিয়েছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী শামীম।
আদালতে শামীম হকের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী শাহ মঞ্জুরুল হক ও আইনজীবী সাঈদ আহমেদ রাজা, আইনজীবী তানজিব উল আলম এবং ব্যারিস্টার মোস্তাফিজুর রহমান।
গত ৫ ডিসেম্বর ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা কামরুল আহসান তালুকদার স্বতন্ত্র প্রার্থীর আপত্তি সত্ত্বেও মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইয়ের সময় বৈধ ঘোষণা করেন।
তবে রিটার্নিং কর্মকর্তা বিষয়টিকে সমর্থন করে বলেন, বাদী তাদের অভিযোগের পক্ষে কোনো দলিল জমা দিতে পারেননি।
গত ৮ ডিসেম্বর ফরিদপুর-৩ (সদর) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী এ কে আজাদ দ্বৈত নাগরিকত্বের জন্য শামীম হকের প্রার্থিতা বাতিল চেয়ে ইসিতে আবেদন করেন।
পরদিন শামীম হক হলফনামায় দ্বৈত নাগরিকত্ব ও সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগ এনে এ কে আজাদের মনোনয়ন বাতিল চেয়ে ইসিতে পাল্টা আবেদন করেন।
গত ১৫ ডিসেম্বর ব্যবসায়ী এ কে আজাদের আপিল গ্রহণ করে ফরিদপুর-৩ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিল করে নির্বাচন কমিশন।
এতে ক্ষুব্ধ হয়ে শামীম হক ইসির সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার জন্য হাইকোর্টে আবেদন করেন।
নির্বাচন নিয়ে বাইরের কোনো চাপ নেই: ইসি আলমগীর
নির্বাচন নিয়ে বিদেশ থেকে কোনো চাপ নেই বলে পুনর্ব্যক্ত করেছেন নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মো. আলমগীর।
তিনি বলেন, তারা (বিদেশিরা) শুধু জানতে চেয়েছেন ইসি সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যবস্থা করবে।
রবিবার (১৭ ডিসেম্বর) গাজীপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের ভাওয়াল সম্মেলন কক্ষে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে গাজীপুর জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা, সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও নির্বাচন কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে আলমগীর এসব কথা বলেন।
মো. আলমগীর বলেন, সেনাবাহিনী এবারের নির্বাচনে স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে ভূমিকা রাখবে। পুলিশ প্রশাসন, রিটার্নিং অফিসার ও প্রিজাইডিং অফিসারদের নির্দেশনা মেনে তারা চলবে।
ভোটারদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে ইসি বলেছে, অত্যন্ত শান্তিপূর্ণ ও সুশৃঙ্খলভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
গাজীপুরের জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং অফিসার আবুল ফতেহ মোহাম্মদ শফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে সভায় জিএমপির পুলিশ কমিশনার মো. মাহবুব আলম, জেলা পুলিশ সুপার কাজী শফিকুল আলম, র্যাব-১ এর পোড়াবাড়ী ক্যাম্প কমান্ডার ইয়াসির আরাফাত হোসেন, বিজিবি কমান্ডার রফিকুল ইসলাম, জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা এএইচএম মো. কামরুল হাসানসহ দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
জাতীয় নির্বাচন: আরও ৬১ প্রার্থীকে বৈধ ঘোষণা করল ইসি
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র নিয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তাদের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সংক্ষুব্ধদের করা ৯৮টি আবেদনের শুনানি শেষে মঙ্গলবার আরও ৬১ জনকে বৈধ প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
রিটার্নিং কর্মকর্তাদের (আরও) মনোনয়নপত্র বাতিল বা গ্রহণের বিরুদ্ধে দায়ের করা আপিলের শুনানি ও নিষ্পত্তি রবিবার (১০ ডিসেম্বর) থেকে শুরু হওয়ার পর থেকে আজ ৬১ জনসহ প্রথম তিন দিনে মোট ১৬৮ জন প্রার্থী তাদের প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশন মঙ্গলবার নির্বাচন ভবনে শুনানি শেষে ৩৫টি আবেদন নাকচ করে দেয়।
ইসি প্রথম তিন দিনে এ পর্যন্ত ২৯১টি আপিল শুনানি করেছে এবং ২৭৬টি পিটিশনের ওপর সিদ্ধান্ত নিয়েছে এবং ১৫টি আবেদনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত স্থগিত রেখেছে। ৯ জন আবেদনকারী শুনানিতে হাজির হননি।
প্রার্থিতা নিয়ে ইসির সিদ্ধান্তেও কেউ সংক্ষুব্ধ হলে তা চ্যালেঞ্জ করে উচ্চ আদালতে যাওয়ার সুযোগ রয়েছে।
আরও পড়ুন: ৫ দিনে ইসিতে ৫৬০ প্রার্থীর আপিল
কমিশন ১০ থেকে ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে আবেদনগুলোর শুনানি ও নিষ্পত্তি করবে। কারণ মোট ৫৬১ জন সংক্ষুব্ধ প্রার্থী রিটার্নিং কর্মকর্তাদের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করেছেন।
তাদের অধিকাংশই মনোনয়নপত্র বাতিলের বিরুদ্ধে এবং কমপক্ষে ৩০ জন মনোনয়নপত্র গ্রহণের বিরুদ্ধে আবেদন করেছেন।
এর আগে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৩০০টি আসনে স্বতন্ত্র ৭৪৭ জনসহ মোট ২ হাজার ৭১৬ জন মনোনয়নপত্র জমা দেন।
নিবন্ধিত ৪৪টি রাজনৈতিক দলের মধ্যে ২৯টি দল নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। অপরদিকে আরেকটি প্রধান দল বিএনপিসহ কয়েকটি রাজনৈতিক দল এই নির্বাচন বর্জন করছে।
আরও পড়ুন: মাহি বি, হিরো আলমসহ ৫৬ জন প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন
কিন্তু রিটার্নিং কর্মকর্তারা ১-৪ ডিসেম্বর যাচাই-বাছাইয়ের সময় ১ হাজার ৯৮৫ সালের মনোনয়নপত্র গ্রহণ করেন এবং ৭৩১ জনের মনোনয়নপত্র বাতিল করেন।
৭৩১টি মনোনয়নপত্রের বেশিরভাগই তিনটি কারণে বাতিল করা হয়েছিল - স্বতন্ত্র প্রার্থীদের জমা দেওয়া ১ শতাংশ ভোটারের সইয়ের অসামঞ্জস্যতা, ঋণ ও ইউটিলিটি বিল খেলাপি এবং দ্বৈত নাগরিকত্ব।
প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ১৭ ডিসেম্বর এবং প্রার্থীরা ভোটগ্রহণের ৪৮ ঘণ্টা আগে ১৮ ডিসেম্বর থেকে ২০২৪ সালের ৫ জানুয়ারি (সকাল ৮টা) পর্যন্ত নির্বাচনী প্রচার চালাতে পারবেন। ৭ জানুয়ারি সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত একটানা ভোট গ্রহণ চলবে।
আরও পড়ুন: নির্বাচনের পুনঃতফসিল চেয়ে ইনসানিয়াত বিপ্লব বাংলাদেশের রিট আবেদন
৫ দিনে ইসিতে ৫৬০ প্রার্থীর আপিল
আগামী জানুয়ারিতে অনুষ্ঠিতব্য দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র বাতিল বা গ্রহণের বিষয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তাদের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে আপিল করেছেন ৫৬০ জন বিক্ষুব্ধ প্রার্থী।
গত ৫ ডিসেম্বর থেকে ৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত পাঁচ দিনে নির্বাচন কমিশনে এই আপিল করা হয়।
আগামী রবিবার (১০ ডিসেম্বর) থেকে শুক্রবার (১৫ ডিসেম্বর) পর্যন্ত আপিলের শুনানি ও নিষ্পত্তি করবে কমিশন।
রিটার্নিং কর্মকর্তাদের সিদ্ধান্ত বাতিল চেয়ে মঙ্গলবার (প্রথম দিন) ৪২টি, বুধবার ১৪১টি, বৃহস্পতিবার ১৫৫টি, শুক্রবার ৯৩টি এবং শনিবার (শেষ দিন) ১৩১টি আপিল করা হয়।
আরও পড়ুন: নির্বাচন পর্যবেক্ষক হিসেবে ইসির নিবন্ধন পেল আরও ২৯ প্রতিষ্ঠান
রিটার্নিং কর্মকর্তাদের মনোনয়নপত্র বাতিলের বিরুদ্ধে বেশির ভাগ আপিল করা হয় এবং মনোনয়নপত্র গ্রহণের বিরুদ্ধে হাতে গোনা কয়েকটি আবেদন করা হয়।
আগামী ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠেয় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৩০০টি আসনে স্বতন্ত্র ৭৪৭ জনসহ মোট ২ হাজার ৭১৬ জন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
কিন্তু রিটার্নিং কর্মকর্তারা গত ১-৪ ডিসেম্বর মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইয়ে ১ হাজার ৯৮৫টি মনোনয়নপত্র গ্রহণ ও ৭৩১টি বাতিল করেছেন।
আরও পড়ুন: মনোনয়নপত্র বাতিলের বিরুদ্ধে ৩৩৮ প্রার্থীর আপিল: ইসি
৭৩১টি মনোনয়নপত্রের বেশিরভাগই তিনটি কারণে বাতিল করা হয়েছিল - স্বতন্ত্র প্রার্থীদের জমা দেওয়া ১ শতাংশ ভোটারের সইয়ের অসামঞ্জস্যতা, ঋণ ও ইউটিলিটি বিল খেলাপি এবং দ্বৈত নাগরিকত্ব।
প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ১৭ ডিসেম্বর এবং রিটার্নিং কর্মকর্তারা ১৮ ডিসেম্বর প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বিতরণ করবেন।
১৮ ডিসেম্বর থেকে ৫ জানুয়ারি (সকাল ৮টা) পর্যন্ত ভোটগ্রহণের ৪৮ ঘণ্টা আগে প্রার্থীরা নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নিতে পারবেন। আগামী ৭ জানুয়ারি সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে ভোটগ্রহণ চলবে।
আরও পড়ুন: ৩৩৮ ওসি ও ২০৫ জন ইউএনওর বদলির প্রস্তাবে ইসির অনুমোদন