ফরিদপুর-৩ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী শামীম হকের দ্বৈত নাগরিকত্বের জন্য প্রার্থিতা বাতিল করে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) দেওয়া সিদ্ধান্ত বহাল রেখেছেন হাইকোর্ট।
সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) ইকবাল কবির ও বিচারপতি এস এম মনিরুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
এর মধ্যদিয়ে আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সব আইনি পথ হারিয়েছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী শামীম।
আদালতে শামীম হকের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী শাহ মঞ্জুরুল হক ও আইনজীবী সাঈদ আহমেদ রাজা, আইনজীবী তানজিব উল আলম এবং ব্যারিস্টার মোস্তাফিজুর রহমান।
গত ৫ ডিসেম্বর ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা কামরুল আহসান তালুকদার স্বতন্ত্র প্রার্থীর আপত্তি সত্ত্বেও মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইয়ের সময় বৈধ ঘোষণা করেন।
তবে রিটার্নিং কর্মকর্তা বিষয়টিকে সমর্থন করে বলেন, বাদী তাদের অভিযোগের পক্ষে কোনো দলিল জমা দিতে পারেননি।
গত ৮ ডিসেম্বর ফরিদপুর-৩ (সদর) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী এ কে আজাদ দ্বৈত নাগরিকত্বের জন্য শামীম হকের প্রার্থিতা বাতিল চেয়ে ইসিতে আবেদন করেন।
পরদিন শামীম হক হলফনামায় দ্বৈত নাগরিকত্ব ও সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগ এনে এ কে আজাদের মনোনয়ন বাতিল চেয়ে ইসিতে পাল্টা আবেদন করেন।
গত ১৫ ডিসেম্বর ব্যবসায়ী এ কে আজাদের আপিল গ্রহণ করে ফরিদপুর-৩ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিল করে নির্বাচন কমিশন।
এতে ক্ষুব্ধ হয়ে শামীম হক ইসির সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার জন্য হাইকোর্টে আবেদন করেন।