প্রধানমন্ত্রী
সশস্ত্র বাহিনী দিবস: শিখা অনির্বাণে শ্রদ্ধা নিবেদন প্রধানমন্ত্রীর
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সশস্ত্র বাহিনী দিবস-২০২২ উপলক্ষে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর শহীদ সদস্যদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন। সোমবার সকালে ঢাকা সেনানিবাসের শিখা অনির্বাণে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানান তিনি।
পুষ্পস্তবক অর্পণের পর তিনি মুক্তিযুদ্ধে সর্বোচ্চ আত্মত্যাগকারী সশস্ত্র বাহিনীর শহীদদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাতে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন।
সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও বিমান বাহিনীর একটি চৌকস দল গার্ড অফ অনার প্রদর্শন করেন।
আরও পড়ুন: আগামী মাস থেকে বিদ্যুৎ সংকটে খুব একটা ভুগতে হবে না: প্রধানমন্ত্রী
পরে শিখা অনির্বাণ প্রাঙ্গণে রাখা দর্শনার্থী বইয়ে স্বাক্ষর করেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এ সময় প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারেক আহমেদ সিদ্দিক উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে শিখা অনির্বাণে পৌঁছালে তিন বাহিনীর প্রধানরা প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানান।
পুষ্পস্তবক অর্পণের পর প্রধানমন্ত্রী সশস্ত্র বাহিনী বিভাগে (এএফডি) যান যেখানে তিন বাহিনীর প্রধানরা তার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।
১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের এই দিনে সেনাবাহিনী, নৌ ও বিমানবাহিনীর সমন্বয়ে গঠিত বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী গঠিত হয় এবং পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর ওপর সর্বাত্মক আক্রমণ শুরু করে যা মুক্তিযুদ্ধে বিজয়কে ত্বরান্বিত করে।
দেশ স্বাধীন হওয়ার পর ঐতিহাসিক এ দিনটিকে প্রতিবছর সশস্ত্র বাহিনী দিবস হিসেবে পালন করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: ২০২৩ সালে পাইপলাইনে ভারত থেকে জ্বালানি তেল আমদানি শুরু: প্রধানমন্ত্রী
৫০ শিল্প ইউনিট ও অবকাঠামো উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
চালের দাম বাড়ার কোন সম্ভাবনা নেই: খাদ্যমন্ত্রী
খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, চালের দাম বাড়ার কোন সম্ভাবনা নেই। এছাড়া সততা আর নিষ্ঠার সঙ্গে যাঁরা ব্যবসা করেন তাঁরা অবশ্যই স্ব স্ব ক্ষেত্রে সফলতা অর্জন করবেন।
তিনি বলেন, ব্যাংক থেকে কোটি কোটি টাকা ঋণ নিয়ে প্রকৃত ব্যবসা না করে ভিন্ন খাতে অর্থাৎ বাড়ি গাড়ি বানিয়ে ফেলেন, তাঁরা পরবর্তীতে ব্যাংকের ঋণ পরিশোধ করতে না পেরে ঋণ খেলাপি হয়ে যান। আসলে তাদের ইচ্ছাই অসৎ। ঋণ পরিশোধের ইচ্ছাই তাদের থাকে না। যারা লেগে থাকে, লেগে আছে তারা অবশ্যই সফলতা অর্জন করে।
শনিবার দুপুরে নওগাঁ কনভেনশন সেন্টার মিলনায়তনে নওগাঁ চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজ আয়োজিত সংগঠনের মেম্বার্স ডে' ২০২২ উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন খাদ্যমন্ত্রী।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকার সব দিক বিবেচনায় একটি সফল সরকার।
করোনা পরিস্থিতির কথা উল্লেখ করে বলেছেন, অনেকে বলেছিলেন বাংলাদেশে বহু মানুষ মারা যাবে। না খেতে পেয়েও অনেক মানুষ মারা যাবে। কিন্তু সরকার অত্যন্ত সফলতার মাধ্যমে সে পরিস্থিতি মোকাবিলা করেছে। এ জন্য প্রধানমন্ত্রী বিশ্বে দারুণভাবে প্রশংসিত হয়েছে।
আরও পড়ুন: চকচকে চাল বর্জন করে পুষ্টিগুণ সম্পন্ন চাল খাওয়ার আহ্বান খাদ্যমন্ত্রীর
তিনি আরও বলেছেন, উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় ইতোমধ্যে এ জেলায় একটি মেডিকেল কলেজ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় অনুমোদন লাভ করেছে। আশা করি জাতীয় সংসদের আসন্ন শীত মওসুমের অধিবেশনে সংসদীয় অনুমোদন লাভ করবে। এছাড়া জেলায় একটি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের একাডেমিক অনুমোদন পেয়েছে।
কৃষকদের আরও সহজভাবে সার সরবরাহ করতে ইতোমধ্যে একটি বাফার গো-ডাউন নির্মাণ এবং একটি হিমাগার নির্মাণের জন্য অনুমোদন লাভ করেছে।
খাদ্যমন্ত্রী আরও বলেছেন, দেশের অনেক জেলার থেকে নওগাঁ জেলায় রাস্তাঘাটের অনেক বেশী উন্নয়ন হয়েছে। এছাড়া কৃষকরা ফসল উৎপাদনে আগ্রহী না হলে মানুষের খাদ্যের চাহিদা পূরণ হবে না। তাই সরকার কৃষকদের ফসল উৎপাদনে অধিক আগ্রহী করে তুলতে কৃষকদের সহায়তায় নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।
এর আগে বেলা ১২টায় খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার হাট নওগাঁ এলাকায় অবস্থিত নওগাঁ চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজ ভবনে মুজিব কর্নার ও ডিরেক্টরস লাউঞ্জের উদ্বোধন করেন।
এ সময় খাদ্যমন্ত্রী বলেন, মিলগেট থেকে শুরু করে কোথাও চালের দাম বাড়েনি। একটা মৌসুম শেষ আরেকটা মৌসুম শুরু হলে এই দুই মৌসুমের মাঝখানে চালের দাম একটু ওঠানামা হয়। ইতোমধ্যে আমন মৌসুম ধান কাটা-মাড়াই শুরু হচ্ছে। এছাড়াও ওএমএস চলমান রয়েছে। তাই চালের দাম বাড়ার কোন সম্ভাবনা নেই।
খাদ্যমন্ত্রী আরও বলেন, সরকারি গুদামে যে খাদ্য মজুত থাকার কথা, তার দ্বিগুণ আছে। প্রায় ১৮ লাখ টন চাল সরকারি গুদামে মজুদ আছে। পাশাপাশি সরকারি ও বেসরকারিভাবে আমদানি করা হচ্ছে। এরসঙ্গে ১৫ থেকে ২০ দিনের মধ্যেই যোগ হবে নতুন আমনের ফলন। সব মিলিয়ে দেশে খাদ্য সংকটের কোন শঙ্কা নেই।
সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, সরকার প্রান্তিক কৃষকদের নায্যামূল্য দিতেই ধান কিনে। সরকারের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হলো কি হলো না সেটা কোন বড় কথা নয়। আমরা চাই কৃষকেরা ধানের নায্য মূল্য পাচ্ছেন।
মন্ত্রী বলেন, চকচকে চাল না খেয়ে সবাইকে নন-পলিশ চাল খাওয়ার অভ্যাস করতে হবে। আগের মত মানুষ যদি নন-পালিশ চাল খাওয়া শিখে তাহলে আমাদের দেশে ১৮ থেকে ২০ লাখ টন চাল সেফ হবে। তখন আমদানি করার প্রয়োজন হবে না।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, নওগাঁ জেলা কৃষি ভিত্তিক জেলা। কৃষি ক্ষেত্রে এ জেলার রয়েছে অনেক সফলতা। কৃষি ও কৃষকের উন্নয়নে সরকার অনেক কল্যাণমুলক কর্মসূচি বাস্তবায়ন করেছে। কেবলমাত্র কৃষকদের সার প্রদানের ক্ষেত্রেই ৪৬ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি প্রদান করছে।
এছাড়া খাদ্য নিয়ে অযথা কেউ যাতে গুজব ছড়াতে না পারে সে দিকে ব্যবসায়ীসহ সকলকে সচেতন থাকার আহ্বান জানিয়েছেন মন্ত্রী।
নওগাঁ চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজ-এর সভাপতি ও এফবিসিসিআই পরিচালক ইকবাল শাহরিয়ার রাসেলের সভাপতিত্বে আয়োজিত আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন নওগাঁ-৩ (মহাদেবপুর-বদলগাছি) আসনের সংসদ সদস্য মো. ছলিম উদ্দিন তরফদার সেলিম, এফবিসিসিআই-এর সহ-সভাপতি আমিন হেলালী, এফবিসিসিআই-এর পরিচালক মোসাদ্দেক হোসেন খান ও এফবিসিসিআই-এর পরিচালক যশোধা জীবন দেবনাথ, নওগাঁ চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির সিনিয়র সহসভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান টুনু প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন নওগাঁ চেম্বার অব কমার্সের সাবেক সভাপতি মো. জাহাঙ্গীর আলম, সাবেক সভাপতি মোহাম্মদ আলী দ্বীন, বেলকন গ্রুপের এর ম্যানেজিং ডিরেক্টর মো. বেলাল হোসেন এবং পরিবহন মালিক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল মোস্তফা কালিমি বাবু।
আরও পড়ুন: লাইসেন্স ছাড়া ব্যবসা করলে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে: খাদ্যমন্ত্রী
খাদ্যশস্য মজুদ করে কৃত্রিম সংকট তৈরি না করার আহ্বান খাদ্যমন্ত্রীর
আগামী মাস থেকে বিদ্যুৎ সংকটে খুব একটা ভুগতে হবে না: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আগামী মাস থেকে বিদ্যুত সরবরাহ সংকটে জনগণের খুব একটা কষ্ট হবে না।
তিনি বলেন, ‘ইউক্রেনে যুদ্ধের কারণে জ্বালানি কেনা এবং গ্যাস আনা কঠিন। শুধুমাত্র আমাদের দেশেই নয়, ইংল্যান্ড, আমেরিকা এবং জার্মানি সর্বত্রই জ্বালানি সাশ্রয়ের দিকে মনোযোগ দেয়া হচ্ছে। তারা সংগ্রাম করছে (বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করতে)। তাই আমাদেরও কিছু দিন কষ্ট করতে হয়েছে। ইনশাআল্লাহ, আগামী মাস থেকে হয়তো এমন কোনও দুর্ভোগ থাকবে না।’
আরও পড়ুন: ইসলামের অপব্যাখ্যা প্রতিহত করুন: হজ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনা তার সরকারি বাসভবন গণভবনে দলের উপদেষ্টা পরিষদের সভায় সভাপতির বক্তব্যে এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, জ্বালানি ও পানি ব্যবহারে সবাইকে কঠোর হওয়ার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী। ‘আপনাকে মিতব্যয়ী হতে হবে। কারণ, পুরো বিশ্ব অর্থনৈতিক মন্দার সম্মুখীন। আমরা এর প্রভাব থেকে মুক্ত নই।’
‘পরিস্থিতি ভয়ানক’ উল্লেখ করে তিনি খাদ্য উৎপাদন বাড়াতে এবং বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক অবস্থা খুবই খারাপ হওয়ায় এক ইঞ্চি জমিও অনাবাদি না রাখার আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করেন।’
তিনি আরও বলেন, আমরা যদি নিজেদের উৎপাদন বাড়াতে পারি তাহলে বাংলাদেশে কখনও দুর্ভিক্ষের তাপ মোকাবিলা করতে পারব না।
ভর্তুকি মূল্যে দরিদ্রদের খাদ্য সরবরাহের বিষয়ে তিনি বলেন, আমরা সব জিনিস বেশি দামে কিনছি, কিন্তু কম দামে মানুষকে সরবরাহ করছি যাতে কেউ খাবারের সমস্যায় না পড়ে।
আওয়ামী লীগ জনগণের কল্যাণে কাজ করে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমাদের সব কাজ মানুষের কল্যাণের জন্য। আমরা এখানে নিজেদের ভাগ্য গড়তে আসিনি, আমরা বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্য গড়ছি।
আ. লীগ ক্ষমতায় আসার আগে প্রকৃত গণতন্ত্র ছিল না
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রী আগামীকাল ৫০ শিল্প ও অবকাঠামো উদ্বোধন করবেন
শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার আগে জনগণ দেশে প্রকৃত গণতন্ত্র ও গণতান্ত্রিক অধিকার ভোগ করেনি।
‘আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার আগে এদেশের মানুষের প্রকৃত গণতন্ত্র বা গণতান্ত্রিক অধিকার ছিল না। আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর থেকে আমরা গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া শুরু করেছি।
তিনি আরও বলেন, ‘নির্বাচনে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা হয়েছে, যা আমাদের (আ.লীগ) আন্দোলন ও সংগ্রামের ফলাফল হিসেবে এসেছে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগের শাসনামলে সব রাজনৈতিক দল রাজনীতি করার সুযোগ পাচ্ছে। তিনি বিএনপি’র শাসনামলে নির্বাচনী অনিয়ম ও দুঃশাসনের জন্য সমালোচনা করে বলেন, ‘আমরা এই ধরনের সুযোগ নিশ্চিত করেছি।’
তিনি বলেন, বাংলাদেশ এখন সারা বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে স্বীকৃত যদিও দেশের কিছু মানুষ তাদের চোখে কোনও উন্নয়ন দেখে না।
তিনি আরও বলেন, ‘তারা কিছুই পছন্দ করে না। তারাও এই গণতান্ত্রিক সরকার পছন্দ করবে না। যদি কোনও অগণতান্ত্রিক ঘটনা ঘটে (অগণতান্ত্রিক সরকার ক্ষমতায় আসে), তাদের মূল্য বেড়ে যায়।’
তিনি বলেন, ২০০৮ সালের নির্বাচনের পরও নিরবচ্ছিন্ন গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত থাকায় বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে এবং বিশ্বে আবারও মর্যাদা অর্জন করেছে।
আরও পড়ুন: সিঙ্গাপুরের উদ্যোক্তাদের অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
প্রধানমন্ত্রী আগামীকাল ৫০ শিল্প ও অবকাঠামো উদ্বোধন করবেন
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রবিবার ৫০টি শিল্প-কারখানা ও অবকাঠামোর উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন।
তিনি তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে কর্ণফুলী ড্রাইডক বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন।
স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা) এ কর্মসূচি পালন করবে।
কর্ণফুলী ড্রাইডক বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, স্বাগত বক্তব্য রাখবেন বেজার নির্বাহী চেয়ারম্যান শেখ ইউসুফ হারুন।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের কার্যক্রমের ওপর একটি ভিডিও তথ্যচিত্র প্রদর্শিত হবে।
আরও পড়ুন: সিঙ্গাপুরের উদ্যোক্তাদের অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
কর্ণফুলী ড্রাইডক বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্ণফুলী নদীর দক্ষিণে বদলপুরা ও শাহ মিরপুর মৌজায় অবস্থিত। এটি গত বছরের মার্চ মাসে বেজা থেকে জমি নিয়ে দেশের অন্যতম বড় কোম্পানি কর্ণফুলী শিপ বিল্ডার্স লিমিটেড প্রতিষ্ঠা করে।
ড্রাইডক নির্মাণ ব্যয়ের জন্য বিশ্বব্যাংক ৮০০ কোটি টাকার সহজ ঋণ দিয়েছে।
১৪ মিটার ড্রাফটের এই ড্রাইডকটি ২৮৫ মিটার দীর্ঘ ও ৫৬ মিটার চওড়া। এর ডকে এক লাখ টন ওজনের জাহাজ নির্মাণ ও মেরামত করা সম্ভব। এক হাজার ২০০ কোটি টাকা ব্যয়ে আরেকটি ড্রাইডক নির্মাণের কাজও এখন চলছে।
কর্ণফুলী নদীর দক্ষিণ তীরে আনোয়ারায় কর্ণফুলী ড্রাইডক বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের আওতায় দুটি জেটি নির্মাণের কাজ ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে। আমদানি পণ্যবাহী জাহাজ জেটিতে আসতে শুরু করেছে এবং লোড-আনলোড কার্যক্রম নিয়মিত চলছে। যা চট্টগ্রাম বন্দরের কার্গো জাহাজের যানজট নিরসনে সহায়ক ভূমিকা পালন করছে।
বিশেষ করে বহির্নোঙ্গরে জাহাজের অপেক্ষার সময় কমে যাওয়ায় বৈদেশিক মুদ্রার সাশ্রয় হচ্ছে।
অর্থনৈতিক অঞ্চলের অধীনে আরও দুটি জেটি ও কন্টেইনার টার্মিনাল নির্মাণের জন্য বেজা ২০ দশমিক ৯৮ একর জমি লিজ নিবে এবং কর্ণফুলী শিপ বিল্ডার্সের নিজস্ব জমিতে আরও দুটি জেটি নির্মাণ করা হবে।
মোট আটটি ভেন্যুতে একযোগে প্রকল্পের উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হবে।
ভেন্যুগুলো হল- গণভবন, ঢাকা; চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্প নগর; মৌলভীবাজারে শ্রীহট্ট অর্থনৈতিক অঞ্চল; চট্টগ্রামের আনোয়ারায় কর্ণফুলী ড্রাইডক বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল; নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ে মেঘনা শিল্প অর্থনৈতিক অঞ্চল; জামালপুর সদরে জামালপুর অর্থনৈতিক অঞ্চল; কক্সবাজারের সাবরাং পর্যটন পার্ক ও মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় হোসেনদি অর্থনৈতিক অঞ্চল।
সর্বশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে মতবিনিময়ের মাধ্যমে অনুষ্ঠানটি শেষ হবে।
কর্ণফুলী শিপ বিল্ডার্স লিমিটেড ইতোমধ্যে এক হাজার ২০০ জাহাজ ও নৌকা তৈরি করেছে, প্রায় ৮০০ জাহাজ মেরামত করেছে এবং ৫০টি ড্রেজার নির্মাণ করে সরকারের কাছে হস্তান্তর করেছে।
আরও পড়ুন: ইসলামের অপব্যাখ্যা প্রতিহত করুন: হজ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী
বাংলাদেশে কুয়েতের প্রস্তাবিত পেট্রোলিয়াম শোধনাগার দ্রুত বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ
সিঙ্গাপুরের উদ্যোক্তাদের অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগের জন্য সিঙ্গাপুরের উদ্যোক্তাদের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি এই বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলোতে কৃষি প্রক্রিয়াকরণ শিল্প স্থাপনের ওপর জোর দেন।
সিঙ্গাপুরের পরিবহন মন্ত্রী ও দায়িত্বপ্রাপ্ত বাণিজ্য সম্পর্কমন্ত্রী এস. ইশ্বরান প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে তার সঙ্গে সাক্ষাৎকালে বৃহস্পতিবার তিনি এ কথা বলেন।
সাক্ষাৎ শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
আরও পড়ুন: বিনিয়োগ গন্তব্য হিসেবে বাংলাদেশকে বেছে নেয়ার আহ্বান
সিঙ্গাপুরের মন্ত্রী সহযোগিতার নতুন ক্ষেত্র অন্বেষণের পাশাপাশি টেকসই ও নবায়নযোগ্য জ্বালানি নিয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে একত্রে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করেন।
বৈঠকে তারা দুই দেশের মধ্যে ৫০ বছরের কূটনৈতিক সম্পর্কের বিষয়ে আলোচনা করেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সিঙ্গাপুরের উন্নয়নের প্রশংসা করেন।
এস. ইশ্বরান বলেন, উভয় দেশকে সহযোগিতার নতুন ক্ষেত্র অনুসন্ধান করতে হবে এবং সম্ভাব্য ক্ষেত্রগুলো অন্বেষণের জন্য একটি যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপ গঠন করতে হবে।
আরও পড়ুন: সিঙ্গাপুর-বাংলাদেশ এমওসি সই
তিনি আরও বলেন, দুই দেশেরই পর্যটন খাতে সহযোগিতার সম্ভাবনা রয়েছে।
তিনি শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের উন্নয়নের ভূয়সী প্রশংসা করেন।
অ্যাম্বাসেডর-অ্যাট-লার্জ এম জিয়াউদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সিনিয়র সচিব মো. তোফাজ্জেল হোসেন মিয়া এসময় উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: সিঙ্গাপুরের সঙ্গে আঞ্চলিক সংযোগের সহায়ক হতে চায় বাংলাদেশ
ইসলামের অপব্যাখ্যা প্রতিহত করুন: হজ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইসলাম ধর্মের মূল্যবোধ ধারণ করে সমাজ থেকে এর অপব্যাখ্যা প্রতিহত ও জঙ্গিবাদ নির্মূল করার জন্য সকলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘ইসলাম শান্তির ধর্ম। ইসলামের মর্মবাণীকে অন্তরে ধারণ করার মাধ্যমে আসুন আমরা সবাই সমাজ থেকে অন্ধকার, সংঘাত, নিরক্ষরতা, সন্ত্রাসবাদ ও জঙ্গিবাদকে নির্মূল করি এবং সেই সঙ্গে ইসলামের অপব্যাখ্যাকারী শক্তিকে প্রতিহত করি।’
প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়াল কনফারেন্সের মাধ্যমে বৃহস্পতিবার ঢাকায় হজ ও ওমরাহ ব্যবস্থাপনা বিষয়ক প্রথম জাতীয় পর্যায়ের সম্মেলন ও মেলার উদ্বোধনকালে এ আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে কুয়েতের প্রস্তাবিত পেট্রোলিয়াম শোধনাগার দ্রুত বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ
হজ এজেন্সিস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (হাব) ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ‘জাতীয় হজ ও ওমরাহ ব্যবস্থাপনা সম্মেলন-২০২২ এবং হজ ও ওমরাহ মেলা’-এর আয়োজন করে।
এই আয়োজনের উদ্দেশ্যগুলোর মধ্যে রয়েছে হজযাত্রীদের যথাযথ হজ সম্পর্কিত তথ্য সরবরাহ করা, তাদের বর্তমান প্রযুক্তিভিত্তিক হজ ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে সচেতন করা, হজ এজেন্সির সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করতে সক্ষম করা এবং মধ্যস্বত্বভোগী ও প্রতারকদের প্রভাব হ্রাস করা।
তিন দিনব্যাপী মেলা প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত আগ্রহীদের জন্য উন্মুক্ত থাকে।
শেখ হাসিনা বলেন, ইসলাম বিশ্বের অন্যতম সুন্দর ধর্ম। ইসলামের শান্তিপূর্ণ গৌরব সমুন্নত রাখতে আমরা জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছি।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রী পর্যায়ের আলোচনায় ঢাকা-টোকিও সম্পর্ক বাড়বে: শাহরিয়ার আলম
সক্ষমতা বাড়াতে জনগণকে যুক্ত করুন: অগ্নিনির্বাপকদের প্রতি প্রধানমন্ত্রী
বাংলাদেশে কুয়েতের প্রস্তাবিত পেট্রোলিয়াম শোধনাগার দ্রুত বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ
বাংলাদেশে পেট্রোলিয়াম শোধনাগার স্থাপনে কুয়েতের প্রস্তাব দ্রুত বাস্তবায়ন করতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বাংলাদেশে নিযুক্ত কুয়েতের রাষ্ট্রদূত ফয়সাল মুতলাক আলাদওয়ানি প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে তার সঙ্গে সাক্ষাৎকালে তিনি এ কথা বলেন।
বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
গত বছর এক সফরে কুয়েতের প্রধানমন্ত্রী শেখ সাবাহ খালেদ আল-হামাদ আল-সাবাহ বাংলাদেশে একটি জ্বালানি তেল শোধনাগার নির্মাণে তার দেশের আগ্রহ প্রকাশ করেন এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাদের শোধনাগারের জন্য জমি প্রদান করতে সম্মত হন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যত দ্রুত সম্ভব সংশ্লিষ্ট যৌথ কমিশনের সভা করতে নির্দেশ দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: ঢাকার বার্তা নিয়ে রবিবার কুয়েত যাচ্ছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী
তিনি বলেন, বাংলাদেশ ও কুয়েতের বিশেষ সম্পর্ক রয়েছে। স্বাধীনতার পরপরই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এই সম্পর্কের সূচনা করেছিলেন।
প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের উন্নয়ন কর্মসূচিতে কুয়েতের সহায়তার প্রশংসা করেন। ১৯৯৬ সালে নির্বাচনের পর আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় যখন আসে সেসময় বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে কুয়েতের অবদানের কথা তিনি বিশেষ করে স্মরণ করেন এবং ওই সহায়তা পরবর্তীতে পরিশোধ করা হয়।
আরও পড়ুন: কুয়েতের আমির শেখ সাবাহ ছিলেন বাংলাদেশের প্রকৃত বন্ধু: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী বলেন, কুয়েতে কর্মরত বাংলাদেশিরা উভয় দেশের অর্থনীতিতে অবদান রাখছে।
তিনি কুয়েতের আমিরকে শুভেচ্ছা জানান।
পেট্রোলিয়াম শোধনাগার নিয়ে আলোচনার পাশাপাশি কুয়েতের রাষ্ট্রদূত বলেন যে তার দেশ বাংলাদেশকে উন্নয়ন প্রকল্পে সহায়তা করবে। বৈঠকে অ্যাম্বাসেডর অ্যাট লার্জ এম জিয়াউদ্দিন এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সিনিয়র সচিব মো. তোফাজ্জেল হোসেন মিয়া উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: কুয়েতের আমিরের মৃত্যুতে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শোক
প্রধানমন্ত্রী পর্যায়ের আলোচনায় ঢাকা-টোকিও সম্পর্ক বাড়বে: শাহরিয়ার আলম
টোকিওতে আসন্ন প্রধানমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকের মাধ্যমে বাংলাদেশ-জাপান সম্পর্ক আরও জোরদার হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম।
তিনি একটি ফেসবুক পোস্টে বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জাপানে সরকারি সফরের মধ্যদিয়ে আশা করি দুই দেশের সাধারণ মানুষ উপকৃত হবে।, ‘আমরা এই প্রত্যাশা নিয়ে কাজ করে যাচ্ছি।’
জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদার আমন্ত্রণে ২৯ নভেম্বর থেকে ১ ডিসেম্বর পর্যন্ত জাপানে সরকারি সফরে যাওয়ার কথা রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকিকে প্রয়োজনীয় বার্তা পাঠিয়েছে যা মিডিয়ার সাথে শেয়ার করার প্রয়োজন নেই।
আরও পড়ুন: বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ অলস না রেখে জনকল্যাণে ব্যয় করা ভালো: প্রধানমন্ত্রী
ফেসবুকে একটি পৃথক নোটে তিনি লিখেছেন, ‘যদি আপনাদের মধ্যে কেউ কেউ ভুলে গিয়ে থাকেন: কূটনৈতিক সম্পর্কের ভিয়েনা কনভেনশন ১৯৬১-এর অনুচ্ছেদ ৪১ ধারা-১ কূটনীতিকদের গ্রহণকারী রাষ্ট্রের আইন ও বিধিবিধানের প্রতি শ্রদ্ধা করতে স্মরণ করিয়ে দেয় এবং দ্ব্যর্থহীনভাবে এটি তাদের দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয় হস্তক্ষেপ করা থেকে সীমাবদ্ধ করে।’
কূটনৈতিক সম্পর্কের ভিয়েনা কনভেনশনের ৪১ অনুচ্ছেদ অনুসারে তাদের বিশেষাধিকার এবং অনাক্রম্যতাগুলোর প্রতি কোনও পূর্বধারণা ছাড়াই এই ধরনের সুযোগ-সুবিধা এবং অনাক্রম্যতা উপভোগ করা সমস্ত ব্যক্তির কর্তব্য হলো প্রাপক রাষ্ট্রের আইন ও প্রবিধানকে সম্মান করা৷
তাদেরও সেই রাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ না করার দায়িত্ব রয়েছে এবং প্রেরক রাষ্ট্র কর্তৃক মিশনে অর্পিত প্রাপক রাষ্ট্রের সঙ্গে সমস্ত দাপ্তরিক ব্যবসা গ্রহনকারী রাষ্ট্রের পররাষ্ট্র বিষয়ক মন্ত্রণালয় বা এই জাতীয় অন্যান্য মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে সম্মত হতে পারে বা তার মাধ্যমে পরিচালিত হবে।
সোমবার জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি বলেছিলেন যে তিনি ‘ব্যালট বাক্স ভর্তি’ -এর উদাহরণ সম্পর্কে শুনেছেন। কিছু পুলিশ অফিসার আগের রাতে ব্যালট বাক্স ভর্তি করে দিয়েছিলেন যা তিনি অন্য কোন দেশে কখনও শোনেননি।
সরকার বলেছে, জাপানি পক্ষ গত চার বছরে কোনও দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বা কোনও আলোচনায় এ ধরনের ইস্যু তোলেনি।
এমনকি ২০১৮ সালের নির্বাচনের পরে জাপানি দূতাবাসের দেয়া বিবৃতিতেও এটি উল্লেখ করা হয়নি যাতে কেবল সহিংসতার ওপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করা হয়েছিল।
আরও পড়ুন: বিলাসিতা পরিহার করে জনগণের সেবা করুন: নির্বাচিত জেলা পরিষদকে প্রধানমন্ত্রী
সক্ষমতা বাড়াতে জনগণকে যুক্ত করুন: অগ্নিনির্বাপকদের প্রতি প্রধানমন্ত্রী
সক্ষমতা বাড়াতে জনগণকে যুক্ত করুন: অগ্নিনির্বাপকদের প্রতি প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সকে তাদের কার্যক্রমে সাধারণ মানুষকে সম্পৃক্ত করে সক্ষমতা বৃদ্ধিসহ তিনটি লক্ষ্যে মনোযোগ দিতে বলেছেন।
তিনি বলেন,‘আপনাদের উচিত জনসচেতনতা বৃদ্ধির মাধ্যমে দুর্যোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করা, সাধারণ মানুষকে সম্পৃক্ত করার মাধ্যমে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সক্ষমতা বৃদ্ধি করা এবং এর সদস্যদের মনোবল বৃদ্ধি করা।’
মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে নগরীর মিরপুর-১০ এলাকায় এফএসসিডি ট্রেনিং কমপ্লেক্সে আয়োজিত ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স (এফএসসিডি) সপ্তাহ-২০২২-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখছিলেন।
অগ্নিকাণ্ড এবং অন্যান্য প্রাকৃতিক ও মানবসৃষ্ট দুর্যোগ প্রতিরোধে গণসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে সারাদেশে এ সপ্তাহ পালিত হচ্ছে।
শেখ হাসিনা ফায়ার সার্ভিস সপ্তাহ ২০২২ পালনের সময় এফএসসিডি সদস্যদের এই লক্ষ্যগুলো মাথায় রাখতে বলেন।
তিনি বলেন, অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় তাদের জীবন রক্ষার জন্য প্রত্যেকেরই অগ্নি নিরাপত্তা প্রশিক্ষণ নেয়া উচিত।
তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি অগ্নিকাণ্ডের ক্ষেত্রে কীভাবে নিজেদের রক্ষা করা যায় সে সম্পর্কে শৈশবকাল থেকে আমাদের শিশু ও গৃহিণীদের প্রশিক্ষণ দেয়া খুবই জরুরি।’
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের আধুনিকায়নে তার সরকার কর্তৃক বাস্তবায়িত কর্মকাণ্ডের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এক সময় অবহেলিত প্রতিষ্ঠানটিকে সময়ের দাবি অনুযায়ী আমরা এখন একটি মর্যাদাপূর্ণ অবস্থানে নিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছি।’
বিলাসিতা পরিহার করে জনগণের সেবা করুন: নির্বাচিত জেলা পরিষদকে প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, জনগণের উন্নতির জন্য একটি কল্যাণমুখী স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠাই তার সরকারের একমাত্র লক্ষ্য।
সোমবার ঢাকার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি)দেশের ৫৯টি জেলা পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান ও সদস্যদের শপথ গ্রহন অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘আমরা একটি জনকল্যাণমুখী স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠা করতে চাই। এটাই আমাদের একমাত্র উদ্দেশ্য।’
এসময় নবনির্বাচিত ৫৯ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানকে শপথবাক্য পাঠ করান শেখ হাসিনা।অপরদিকে এলজিআরডি মন্ত্রী মো, তাজুল ইসলাম জেলা পরিষদের নবনির্বাচিত ৬২৩ সদস্যকে শপথবাক্য পাঠ করান।
প্রধানমন্ত্রী জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও সদস্যদের নিজ নিজ এলাকার সমস্যা চিহ্নিত করে সমাধানের নির্দেশ দেন।
তিনি বলেন, দেশের মানুষের ভাগ্য উন্নয়নের উপায় ও প্রক্রিয়া নিয়ে আপনাকে ভাবতে হবে।
আরও পড়ুন: বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ অলস না রেখে জনকল্যাণে ব্যয় করা ভালো: প্রধানমন্ত্রী
তিনি বলেন, নির্বাচিত প্রতিনিধিরা বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের হলেও তাদের সবাইকে তাদের নির্বাচনী এলাকার জনগণের জন্য কাজ করতে হবে। নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আপনি নির্বাচিত প্রতিনিধি এবং আপনি ভোগবিলাসের জন্য নন। আপনি এখানে মানুষের সেবা করতে এসেছেন।’
তিনি বলেন, নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা নিবেদিতপ্রাণ সেবা দিয়েই জনগণের মন জয় করতে পারে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন আশা করি: রাষ্ট্রদূত নাওকি
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সতর্ক করে বলেন, জনপ্রতিনিধিরা যদি জনগণের সেবা করার নামে তাদের সম্পদ লুণ্ঠন করে, ‘এতেই তাদের রাজনৈতিক ক্যারিয়ারের সমাপ্তি হবে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তিনি দেখতে চান যে ভোটাররা তাদের প্রতি যে আস্থা রেখেছেন, নির্বাচিত প্রতিনিধিরা নিঃস্বার্থ সেবার মাধ্যমে তা তাদের ফিরিয়ে দিচ্ছেন।
মশাবাহিত রোগ এখন দেশে বাড়ছে। ডেঙ্গুর বিস্তার রোধে তাদের এলাকা পরিষ্কার রাখতে বিশেষ যত্ন নিতেও বলেন তিনি।
আরও পড়ুন: বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে উদার ও স্বচ্ছ সম্পর্ক চায় বাংলাদেশ: প্রধানমন্ত্রী