সিলিন্ডার বিস্ফোরণ
চট্টগ্রামে সিলিন্ডার বিস্ফোরণ: চালকসহ সিএনজি অটোরিকশা পুড়ে ছাই
চট্টগ্রামের চন্দনাইশ উপজেলায় গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে চালকসহ একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশা পুড়ে গেছে।
সোমবার বিকালে পৌনে ৪টার দিকে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের গাছবাড়িয়া কলেজ গেট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে একই পরিবারের ৫ জন দগ্ধ
নিহত চালকের নাম পরিচয় তাৎক্ষণিক পাওয়া যায়নি। তবে ওই সময় অটোরিকশাটিতে কোনো যাত্রী ছিলেন না।
প্রতক্ষ্যদর্শীরা জানান, হাইওয়ে পুলিশের ধাওয়া খেয়ে সিএনজিচালিত অটোরিকশাটি দ্রুত পালিয়ে চলে যাওয়ার চেষ্টা করে। এ সময় আরেক গাড়ির সঙ্গে ধাক্কা লাগে। এতে রাস্তার উপর উল্টে গিয়ে সিলিন্ডার বিস্ফোরিত হয়ে আগুন ধরে যায়।
চন্দনাইশ ফায়ার সার্ভিসের কন্ট্রোল রুমের ডিউটি অফিসার রুহুল আমীন বলেন, ঘটনার পর পর স্থানীয়দের ফোনে খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক আমাদের একটি ইউনিট সেখানে ছুটে যায়। তবে ঘটনাস্থলে যাওয়ার আগে স্থানীয় মানুষ আগুন নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আনে। এ ঘটনায় চালক অগ্নিদগ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা গেছেন।
আরও পড়ুন: সিদ্ধিরগঞ্জে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ: দগ্ধ ২
মালিবাগে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে দগ্ধ ৩
ভাসানচরে সিলিন্ডার বিস্ফোরণ: চমেকে আরও এক রোহিঙ্গা শিশুর মৃত্যু
নোয়াখালীর ভাসানচরে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণের ঘটনায় দগ্ধ চার বছর বয়সী শিশু মুবাসসারা নামে এক রোহিঙ্গা শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
সোমবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) সকালে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়েছে। এই নিয়ে চমেকে দুই রোহিঙ্গা শিশুর মৃত্যু হলো।
আরও পড়ুন: চমেক হাসপাতাল থেকে নবজাতক চুরির অভিযোগ
এর আগে গত শনিবার রাসেল (৩) নামে এক রোহিঙ্গা শিশুর মৃত্যু হয়েছে। বর্তমানে চমেক হাসপাতালে আরও ৫ জন চিকিৎসাধীন।
তারা হলেন- জোবায়দা (২২), রোসমিনা (৫), রবি আলম (৫), আমেনা খাতুন (২৪) ও সোহেল (৫)।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতাল সূত্র জানায়, ভাসানচরের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে দুই পরিবারের ৯ জন দগ্ধ হন। এর মধ্যে সাতজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আনা হয়। কর্তব্যরত চিকিৎসক আহতদের চমেক হাসপাতালের বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ওয়ার্ডে ভর্তি করেছেন।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম আহসান বলেন, ভাসানচরের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অগ্নিদগ্ধ সাতজনকে চমেক হাসপাতালে আনা হয়।
এর মধ্যে- রাসেল ও মুবাসসারা নামে দুই শিশু মারা গেছে। বর্তমানে পাঁচজন বার্ন ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছয়জনের মধ্যে- রোসমিনা ৫০ শতাংশ, রবি আলম ৪৫ শতাংশ, আমেনা খাতুন ৮ শতাংশ, সোহেল ৫২ শতাংশ ও জোবায়দা ২৫ শতাংশ শতাংশ দগ্ধ হয়েছেন।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) নুরুল আলম আশিক বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
আরও পড়ুন: খতনা করতে গিয়ে দুই শিশুর মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর জিরো টলারেন্স নির্দেশ: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
লালমনিরহাটে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে শিশুর মৃত্যু
ফেনীতে অটোরিকশার সিলিন্ডার বিস্ফোরণে স্টেশন অপারেটর নিহত
ফেনীর দেবীপুরে প্রাইম ফিলিং স্টেশনে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় গ্যাস নেওয়ার সময় সিলিন্ডার বিস্ফোরণে সাইদুল ইসলাম রনি নামে ফিলিং স্টেশনের এক অপারেটর নিহত হয়েছেন।
এ সময় সিএনজি চালক জাহিদ আলম আহত হন।
সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) সকালে উপজেলার ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের দেবীপুর এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
নিহত সাইদুল ফেনীর ছাগলনাইয়া উপজেলার রাধানগর ইউনিয়নের দক্ষিণ আঁধারমানিক গ্রামের নুরুল ইসলামের ছেলে। তিনি ওই ফিলিং স্টেশনের কর্মচারী ছিলেন।
আরও পড়ুন: বরিশালে বোমা উদ্ধারকালে বিস্ফোরণ, ২ পুলিশসহ আহত ৩
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সোমবার সকাল ৮টার দিকে সিএনজিচালিত অটোরিকশাচালক জাহিদ আলম দেবীপুর এলাকায় দেবীপুর প্রাইম সিএনজি ফিলিং স্টেশনে গ্যাস নেওয়ার জন্য যান। সিএনজিচালিত অটোরিকশাটির সিলিন্ডারে গ্যাস নেওয়ার সময় হঠাৎ সিলিন্ডার বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে গ্যাস ঢোকানোর কাজে নিয়োজিত ফিলিং স্টেশনটির কর্মচারী সাইদুল ইসলামের শরীর ঝলসে যায়। পাশে দাঁড়িয়ে থাকা জাহিদ আলমও এ সময় আহত হন।
স্থানীয় লোকজন দ্রুত দুজনকে উদ্ধার করে ফেনী সদর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান। পরে সেখানকার জরুরি বিভাগের চিকিৎসক সাইদুল ইসলামকে মৃত ঘোষণা করেন। আহত সিএনজিচালিত অটোরিকশাচালক জাহিদ আলমকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
ফিলিং স্টেশনের ব্যবস্থাপক কুদরত উল্লাহ বাবু বলেন, এটি একটি দুর্ঘটনা। আমাদের কোনো ভুলের কারণে এটি হয়নি। দুর্ঘটনা কবলিত সিএনজিটি নতুন। এটি এখনও অন টেস্ট। এটির জন্য গাড়ি কর্তৃপক্ষ দায়ী।
ফেনীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) থোয়াই অংপ্রু মারমা বলেন, সিএনজিচালিত অটোরিকশার সিলিন্ডার বিস্ফোরণে নিহত যুবকের লাশ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। এ ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জে কারখানায় বিস্ফোরণে ১৪ জন দগ্ধের ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন
মুন্সীগঞ্জে সিলিন্ডার বিস্ফোরণে দগ্ধ ২ ভাইবোনের মৃত্যু
মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার চরমুক্তারপুরের একটি ভবনে সিলিন্ডার বিস্ফোরণে দগ্ধ দুই ভাইবোনের মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে রাজধানীর শেখ হাসিনা বার্ন ইউনিটে তাদের মৃত্যু হয়।
নিহতরা হলো, ইয়াসিন (৬) ও ফাতেমা (৩)। নিহতের মা শান্তা বেগমের (২৭) শরীরের ৫৫ শতাংশ পুড়ে গেছে এবং বাবা কাওসার খানের (৩৬) ৬০ ভাগ পুড়ে গেছে। তারা বর্তমানে শেখ হাসিনা বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন আছেন।
এর আগে বৃহস্পতিবার ভোর রাত সাড়ে ৪টার দিকে শহরের চর মুক্তারপুরের শাহ সিমেন্ট রোডে জয়নাল মিয়ার চারতলা ভবনের দ্বিতীয় তলার তিনটি কক্ষে বিস্ফোরণ ঘটে। এতে একই পরিবারের চারজনসহ পাচঁ জন দগ্ধ হন। অপর দগ্ধ প্রতিবেশী হৃতিকা পালকে (৪) স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
আরও পড়ুন: মুন্সিগঞ্জে সিলিন্ডার বিস্ফোরণে একই পরিবারের ৪ সদস্য দগ্ধমুন্সীগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি )তদন্ত রাজিব খান জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে গ্যাস লিকেজ হয়ে কক্ষে জমে থাকা গ্যাস থেকে এই বিস্ফোরণ ঘটে। তবে প্রকৃত কারণ উদঘাটনে তদন্ত চলছে। সিআইডি পুলিশের সংশ্লিষ্ট টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
তবে তিতাস গ্যাসের সহকারি কর্মকর্তা তারিকুল ইসলাম তুহিন বলেন, গ্যাস লিগেজের কোন প্রমাণ মিলেনি। রান্নার পরে চুলোর গ্যাস বন্ধ না করার কারণেও এই বিস্ফোরণ হতে পারে।মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ হাসিব সরকার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বলেন, ঘটনাটি মর্মান্তিক। তবে খতিয়ে দেখা হচ্ছে বিস্ফোরণের সঠিক কারণ।
আরও পড়ুন: মুগদা অগ্নিকাণ্ড: পরিবারের সর্বশেষ আহত সদস্যের মৃত্যু
মুন্সিগঞ্জে সিলিন্ডার বিস্ফোরণে একই পরিবারের ৪ সদস্য দগ্ধ
মুন্সিগঞ্জ সদর উপজেলায় একটি ভবনে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে দুই শিশুসহ একই পরিবারের চার জন দগ্ধ হয়েছে। বৃহস্পতিবার ভোর সাড়ে ৪ টার দিকে উপজেলার পঞ্চসার ইউনিয়নের চর মুক্তারপুর শাহ সিমেন্ট রোড এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
দগ্ধরা হলেন কাওসার (৪২), তার স্ত্রী শান্তা (৩৮) এবং তাদের সন্তান ইয়াসিন (৬) ও ফাতেমা (৩)।
ঢাকা ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স কন্ট্রোল রুমের ডিউটি অফিসার দেওয়ান আজাদ হোসেন জানান, ভোর সাড়ে ৪টার দিকে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে ভবনের দ্বিতীয় তলায় আগুন লাগে এবং এতে পরিবারের চার সদস্য দগ্ধ হয়।
পড়ুন: নারায়ণগঞ্জে ভবনে অগ্নিকাণ্ডে দগ্ধ এক শ্রমিকের মৃত্যু
খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নেভায়।
দগ্ধদের তাৎক্ষণিকভাবে উদ্ধার করে মুন্সিগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে পাঠালে কর্মরত চিকিৎসক তাদেরকে ঢাকা মেডিকেলের শেখ হাসিনা বার্ন ইউনিটে স্থানান্তর করেন।
পড়ুন: নারায়ণগঞ্জে গ্যাস বিস্ফোরণে দগ্ধ ৩
যাত্রাবাড়ীতে সিলিন্ডার বিস্ফোরণ: মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৪
রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকায় গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে আহত আরেকজনের মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার রাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। এ নিয়ে এ দুর্ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে চারজনে দাঁড়িয়েছে।
নিহত ব্যক্তি হলেন শফিকুল ইসলাম (৫০)।
ঢামেক পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ উপপরিদর্শক (এসআই) বাচ্চু মিয়া বলেন, শফিকুল ইসলাম ৮৮ শতাংশ পুড়ে আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন এবং গত রাতে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
শনিবার বিকালে রাজধানীর যাত্রাবাড়ীর সায়েদবাদ এলাকার একটি দোকানে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে আগুনে পুড়ে ছয়জন আহত হন। পরবর্তীতে তাদের সবাইকে ঢামেক হাসপাতালে নেয়া হয়।
আহতদের মধ্যে বিশ্বনাথ দত্ত (৪৮) রবিবার এবং রিপন ও আবুল কালাম মঙ্গলবার হাসপাতালে মারা যান।
এছাড়া কবির হোসেন (৩৫) নামে আরেক ভুক্তভোগীর অবস্থাও আশঙ্কাজনক। আগুনে তাঁর শরীরের ৮৫ শতাংশ পুড়ে গেছে।
আরও পড়ুন: যাত্রাবাড়ীতে বাসের ধাক্কায় মামা-ভাগনে নিহত
অপহরণ ও ধর্ষণ: যাত্রাবাড়ী থানার ওসিসহ ১১ জনের নামে মামলা
চট্টগ্রামে সিলিন্ডার বিস্ফোরণ: অগ্নিদগ্ধ একজনের মৃত্যু
চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণের পর অগ্নিদগ্ধ হয়ে আহত ছয়জনের মধ্যে একজনের মৃত্যু হয়েছে।
শনিবার (১০ জুলাই) রাত পৌনে ১০টার দিকে ঢাকা মেডিকেলের শেখ হাসিনা বার্ন এন্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মো. হেলাল উদ্দিনের (৩৬) মৃত্যু হয়।
নিহত হেলাল সাতকানিয়া পৌরসভরে ৬ নম্বর ওয়ার্ড চরপাড়া এলাকার মৃত আবদুস শুক্কুরের ছেলে।
তার মৃত্যুর তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন পৌরসভার প্যানেল মেয়র কাউন্সিলর সাইফুল আলম সোহেল।
তিনি বলেন, একই ঘটনায় দগ্ধ ওই পরিবারের আরও তিনজন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে একই পরিবারের দগ্ধ ৬
এর আগে বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে সাতকানিয়া পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের মনটানা ক্লাবের পিছনে সৈয়দ আহমদের বাড়িতে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে সৃষ্ট আগুনে ছয়জন দগ্ধ হয়েছেন। তাদের মধ্যে খালেদা বেগম, দেলোয়ার হোসেন, শাহনেওয়াজ ও হেলাল উদ্দীনের শরীরের ৮০ থেকে ৯০ শতাংশ পুড়ে গেছে বলে জানিয়েছেন সাতকানিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. আবদুল আহাদ ইদ্রিস।
স্থানীয়রা জানান, সৈয়দ আহমদ নামে এক ব্যক্তির বাড়িতে আনা নতুন গ্যাস সিলিন্ডারের লিকেজ থেকে আগুন ধরে যায়। এতে এটি বিস্ফোরিত হলে আশপাশের বাড়ির ছয় সদস্য আগুনে দগ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হয়। স্থানীয় লোকজন ও ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে এবং দগ্ধদের উদ্ধার করে প্রথমে সাতকানিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং সেখানে থেকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন।
পরে তাদের অবস্থা আরও গুরুতর হলে শুক্রবার তাদেরকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় প্রেরণ করা হয়।
আরও পড়ুন: ৯৯৯ এ ফোন কলে দগ্ধ গৃহকর্মী উদ্ধার, আটক ১
চাঁদপুরে দুর্বৃত্তদের আগুনে দগ্ধ ব্যবসায়ীর মৃত্যু
ভারতে সিলিন্ডার বিস্ফোরণে ৭ জনের মর্মান্তিক মৃত্যু, ভবন ধ্বস
ভারতের উত্তর প্রদেশ রাজ্যে রান্নার গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে অন্তত সাত জন্য নিহত ও অপর সাতজন গুরুতর আহত হবার ঘটনা ঘটেছে। সিলিন্ডার বিস্ফোরণের ফলে পাশাপাশি দু’টি ভবনের কিছু অংশও ধ্বসে পড়েছে।
মঙ্গলবার রাতে উত্তর প্রদেশের গন্ডা জেলার টিকরি গ্রামে এই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে বলে বুধবার সরকারি কর্মকর্তারা নিশ্চিত করেন।
আরও পড়ুন: সিলিন্ডার বিস্ফোরণে চট্টগ্রামে একই পরিবারের আহত ৫
নিহতদের সাতজনের মধ্যে দুই শিশু ও তিনজন নারীরও রয়েছে। গুরুতর আহত অবস্থায় সাতজনকে উদ্ধার করে হাসাপাতালে নেওয়া হয়। তবে ধ্বসে পড়া ভবনের নিচে আরও অনেকে আহত হয়ে আটকে পড়ে থাকতে পারে বলে ধারণা করছেন উদ্ধারকারী কর্মকর্তারা।
আরও পড়ুন: খুলনায় গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে গৃহবধূর মৃত্যু
গন্ডা জেলার পুলিশ প্রধান সন্তোষ কুমার ইউএনবিকে জানান, সিলিন্ডার বিস্ফোরণে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে স্থানীয়দের সহায়তায় উদ্ধার কার্যক্রম শুরু করে। বিস্ফোরণের ঘটনায় মূল ভবনের ছাদ ধ্বসে পড়েছে এবং পাশের ভবনটিও বেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আহতদের স্থানীয় সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
ওই পুলিশ কর্মকর্তা আরও জানান, এই ঘটনা তদন্তে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
সিলিন্ডার বিস্ফোরণে চট্টগ্রামে একই পরিবারের আহত ৫
চট্টগ্রাম মহানগরীর বন্দর থানা এলাকায় গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে শিশুসহ একই পরিবারের পাঁচজন আহত হবার ঘটনা ঘটেছে।
থানার ফ্রিপোর্ট কলসী দিঘীর পাড় এলাকায় বৃহস্পতিবার ভোর পৌনে ৩ টার দিকে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন- মো. রায়েল (৩০), তার স্ত্রী নাজু (২৮), তাদের ছেলে জিহাদ (৬), মেয়ে লামিয়া (৩) ও রায়েলের ভাই শিপন (৩০)। তারা সবাই চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন আছে।
আরও পড়ুন: আশুগঞ্জ তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে বিস্ফোরণ, ৪ ইউনিটে উৎপাদন বন্ধ
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (চমেক) হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ জহিরুল ইসলাম বলেন, রাত ৩টার দিকে বন্দর থানা এলাকা থেকে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে দগ্ধ একই পরিবারের পাঁচজনকে হাসপাতালে আনে স্বজনরা। পরে জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করে দেন।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে ভবনে বিস্ফোরণ: দগ্ধ ৫
চমেক হাসপাতালের বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটের প্রধান ডা. রফিক উদ্দিন আহমদ বলেন, রাতে ভর্তি হওয়া আগুনে দগ্ধ পাঁচ জনের মধ্যে শিশু দুটি শঙ্কামুক্ত রয়েছে। তবে অন্য তিন জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাদের শ্বাসনালী বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
আরও পড়ুন: গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে চট্টগ্রামে একই পরিবারের ৪ জন দগ্ধ
বিশ্বনাথে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে দগ্ধ নারীর মৃত্যু
সিলিন্ডার বিস্ফোরণে বগুড়ায় দম্পতিসহ দগ্ধ ৪
বগুড়ার শেরপুরের একটি বসতবাড়িতে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে স্বামী-স্ত্রীসহ চারজন দগ্ধ হয়েছেন।
শুক্রবার সকাল সোয়া ১০টার দিকে উপজেলার গাড়ীদহ ইউনিয়নের মহিপুর কলোনি গ্রামের আনোয়ার হোসেনের বাড়িতে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
আহতদের আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে নেয়া হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে তাৎক্ষণিক বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়।
বিস্ফোরণে দগ্ধরা হলেন, মহিপুর কলোনি গ্রামের আনোয়ার হোসেন (৫৫), তার স্ত্রী হেলেনা বেগম (৪৮), ছেলে নুরুজ্জামান (৩১) ও প্রতিবেশী মোতাহার হোসেনের স্ত্রী আমেনা খাতুন (৪৬)।
শেরপুর ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের স্টেশন কর্মকর্তা রতন হোসেন জানান, মহিপুর গ্রামের আনোয়ার হোসেন স্থানীয় বাজার থেকে একটি নতুন গ্যাস সিলিন্ডার নিয়ে বাড়িতে যান। এরপর রান্নাঘরে গিয়ে চুলার সঙ্গে গ্যাস সিলিন্ডারের সংযোগ দেয়ার চেষ্টা করছিলেন। এ সময় হঠাৎ গ্যাস সিলিন্ডারে বিস্ফোরণ ঘটে। এতে তিনিসহ তার পরিবারের তিনজন দগ্ধ হন। আর তাদের উদ্ধার করতে গিয়ে প্রতিবেশী এক নারী দগ্ধ হন।
আরও পড়ুন: বিশ্বনাথে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে দগ্ধ নারীর মৃত্যু
ঘটনার খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে আহতদের উদ্ধার করে চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন।
দগ্ধ আনোয়ার হোসেন বলেন, তিনি চুলার সঙ্গে গ্যাস সিলিন্ডারে সংযোগ দেয়া মাত্রই বিস্ফোরণ ঘটে। মুহূর্তের মধ্যেই পুরো রান্নাঘরে আগুন লেগে যায়।
শেরপুর হাসপাতালে জরুরি বিভাগে দায়িত্বরত চিকিৎসক ডা. মামুনুর রশিদ বলেন, আহতদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বগুড়া শজিমেক হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তাদের শরীরের ৩৫ শতাংশ পুড়ে গেছে বলে জানান এই চিকিৎসক।