শ্রমিক
বরগুনায় পরিবহন শ্রমিকের ধর্মঘট প্রত্যাহার
বরগুনায় বাস ধর্মঘট প্রত্যাহার করেছে জেলা দূরপাল্লার যাত্রীবাহী পরিবহন পরিচালনা কমিটি। মঙ্গলবার রাতে পরিবহন শ্রমিকরা তাদের ধর্মঘট প্রত্যাহার করে।
বুধবার সকাল থেকে বরগুনা জেলায় বাস চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে।
মিনিবাস ও কোচ মালিক সমিতির সভাপতি কিসলু বলেন, ‘মঙ্গলবার রাতে আমরা জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেছি এবং তারা আমাদের সব দাবি পূরণের আশ্বাস দিয়েছেন।’
আরও পড়ুন: বরগুনায় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে ৩ জনের মৃত্যু
ইউনিয়ন নেতাদের মতে, জেলা প্রশাসন তাদের দাবি পূরণের আশ্বাস দিলে সংক্ষুব্ধ পরিবহন শ্রমিকরা তাদের আন্দোলন প্রত্যাহার করে।
বরগুনার পরিবহন পরিচালনা কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক এ কে আজাদ বাবলু বলেন, সোমবার সকাল থেকে আমরা অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্মঘটের ডাক দিয়েছিলাম। এ তথ্য জানার পর জেলা প্রসাশক আমাদের বরিশাল বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ে সভায় ডাকেন।
তিনি আরও বলেন, বরিশাল বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয় টানা তিন ঘণ্টার বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয় বুধবার থেকে বাস চলাচল করবে। এছাড়াও বরিশাল বিভাগীয় আঞ্চলিক সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সভাপতি সিটি মেয়র সাদিক আব্দুল্লাহর সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। তিনিও সম্মতি দিয়েছেন, তাই আমরা ধর্মঘট প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি বরগুনা-বাকেরগঞ্জ সড়ক দিয়ে ঢাকা-বরগুনা রুটের বাস চলাচল বন্ধ করে দেয় বরিশাল রুপাতলী বাস মালিক সমিতি। ফলে বাসগুলো পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ এবং বরগুনার আমতলী ফেরি পার হয়ে বরগুনা থেকে ঢাকা এবং ঢাকা থেকে বরগুনা যাওয়া-আসা শুরু করে।
আরও পড়ুন: বরগুনায় ছাত্রলীগের ওপর লাঠিচার্জ: ১৩ পুলিশের বিরুদ্ধে শাস্তির সুপারিশ
বরগুনায় ছাত্রলীগকে লাঠিপেটা: অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মহরম আলী প্রত্যাহার
পোশাক শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধির দাবি ‘যৌক্তিক’: বাণিজ্যমন্ত্রী
বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ ও ক্রমবর্ধমান মূল্যস্ফীতির প্রেক্ষাপটে পোশাক শ্রমিকদের বেতন বৃদ্ধির দাবি যৌক্তিক।
মুন্সী বলেন, ‘একটি মজুরি কমিশন গঠন করা এবং শ্রমিকদের জীবনযাত্রার ব্যয়,পণ্যের দাম,উৎপাদন ব্যয়ের সামগ্রিক দিকগুলোর ওপর একটি সমীক্ষা করা প্রয়োজন।’
শুক্রবার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত জাতীয় গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের ১৬তম দ্বিবার্ষিক সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, শ্রমিক ও মালিকদের আন্তরিক প্রচেষ্টায় পোশাক খাত আজ বর্তমান অবস্থায় পৌঁছেছে। তাই শ্রমিক ও মালিক উভয়ের স্বার্থ নিশ্চিত করতে হবে।
তিনি বলেন, ‘এ জন্য শ্রমিকদের ন্যায্য মজুরির পাশাপাশি পণ্যের ন্যায্য মূল্য নিশ্চিত করা প্রয়োজন। শিল্পকে টিকিয়ে রাখার জন্য এই দুটি জিনিস খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’
মন্ত্রী বলেন, শ্রম আইন অনুযায়ী একটি শ্রমিক সংগঠন গড়ে তুলতে হবে। ‘শ্রমিক সংগঠন ও নেতা উভয়কেই শিক্ষিত ও দায়িত্বশীল হতে হবে।’
টিপু মুনশী সবাইকে সংগঠনের স্বার্থে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে বলেন,‘কোম্পানি টিকে না থাকলে শ্রমিক বা মালিক কেউই বাঁচবে না।’
আরও পড়ুন: এলডিসি থেকে বেরিয়ে শুল্কমুক্ত বাণিজ্য সুবিধা চায় বাংলাদেশ: ডব্লিউটিও’র এমসি-১২তে বাণিজ্যমন্ত্রী
তিনি আরও বলেন, সরকার শ্রমিক ও মালিকদের প্রয়োজনীয় সব ধরনের সহায়তা প্রদান অব্যাহত রাখবে।
মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতির শক্ত ভিত্তির জন্য শ্রমিকদের অবদান অনেক।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় এক কোটি তালিকাভুক্ত পরিবার ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে সাশ্রয়ী মূল্যে তেল, মসুর ডাল ও চিনিসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় কিছু পণ্য কিনছে।
টিসিবির বিক্রয় কার্যক্রমে চালও যোগ করার চেষ্টা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, দেশের প্রায় পাঁচ কোটি মানুষ এতে উপকৃত হচ্ছেন।
ওই তালিকায় পোশাক শ্রমিকদের একটি অংশকে অন্তর্ভূক্ত করার চেষ্টা করা হচ্ছে বলেও তিনি জানান।
আরও পড়ুন: ভারতের সঙ্গে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে: বাণিজ্যমন্ত্রী
পোশাক শিল্পের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় দায়িত্বশীল হতে হবে: বাণিজ্যমন্ত্রী
বরিশালে দুর্গাসাগর দিঘীর নির্মাণাধীন গেট ধসে ২ শ্রমিক আহত
বরিশালের বাবুগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী দুর্গাসাগর দিঘীর নির্মাণাধীন ২২ ফুট উঁচু গেট ধসে পড়েছে। এতে দুই নির্মাণশ্রমিক আহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে উপজেলার মাধবপাশা ইউনিয়নের দুর্গাসাগরে এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, এই ঘটনা তদন্তে তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করছে জেলা প্রশাসন।
আহত আনিসুর রহমান বলেন, ‘গেট নির্মাণের কাজ চলছিলো। আমি মাঝখানে ছিলাম। গেটটি হঠাৎ করে ভেঙে পড়ে। এতে আমি সহ আরও একজন আহত হয়েছি।’স্থানীয় এক বাসিন্দা অভিযোগ করে বলেন, নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী দিয়ে কাজ করছিলো ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানটি। প্রবেশ পথের গেট ঢালাই দেয়ার সময় ভেঙে পরে।’
গণপূর্ত প্রকৌশল অধিদপ্তর বরিশালের নির্বাহী প্রকৌশলী কামরুল হাসান বলেন, ‘গেটটি অনেক উঁচুতে। উল্টা-পাল্টা ঢালাই দেয়ার কারণে এই ঘটনা ঘটেছে। ঘটনাস্থলে আমি গিয়েছিলাম। আপাতত কাজ বন্ধ রাখা হয়েছে।’
আরও পড়ুন:বরিশালে ৩টি ডায়াগনস্টিক সেন্টার সীলগালা
তিনি আরও বলেন, ‘গেটটি নির্মাণে কোনো ত্রুটি রয়েছে কিনা সেটি আমরা দেখছি।’বরিশাল এয়ারপোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কমলেশ চন্দ্র হালদার বলেন, ‘খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। দুইজন আহত হয়েছে, তাদের বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিককেল কলেজ হাসপাতালে (শেবামেক)পাঠানো হয়েছে।বাবুগঞ্জ উপজেলার সহকারি কমিশনার (ভূমি) সুব্রত বিশ্বাস দাস বলেন, ‘১৬ কোটি টাকার একটি প্রজেক্ট চলছে দুর্গাসাগরের উন্নয়নে। প্রবেশ পথের গেট তারই একটি অংশ। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান খান বিল্ডার্স এই কাজটি করছিলো। এখানে কারও গাফলতি রয়েছে কিনা সেটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’
বরিশালের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক গৌতম বাড়ৈ বলেন, ‘এই ঘটনায় অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে প্রধান করে বাবুগঞ্জ উপজেলার সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও গণপূর্ত প্রকৌশল অধিদপ্তরের এসডিকে সদস্য করে তিন সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হচ্ছে। কেন রডসহ ঢালাই ধসে পড়বে সেটা তদন্ত করা হবে। কেউ দোষী হলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
আরও পড়ুন:বরিশালে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২
বরিশালে আত্মহত্যা প্ররোচনা মামলায় যুবক গ্রেপ্তার
আগস্টে রেমিটেন্স ২ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে
বৈদেশিক মুদ্রা সংকটের মধ্যে আগস্টে দেশে রেকর্ড পরিমাণ ২ দশমিক ০৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার রেমিটেন্স এসেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলতি ২০২২-২৩ অর্থ বছরের জুলাইতে অভিবাসী শ্রমিকরা ২ দশমিক ০৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার দেশে পাঠিয়েছিল।
জুলাইতে রেমিটেন্স প্রবাহ ছিল ১ দশমিক ৮৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং ২০২১-২২ অর্থবছরের আগস্টে ছিল ১ দশমিক ৮১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
চলতি ২০২২ অর্থবছরে বাংলাদেশ ২১ দশমিক ০৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার রেমিটেন্সন্স আহরণ করেছে, যা ২১ অর্থবছরে আহরিত ২৪ দশমিক ৭৭ মার্কিন ডলারের তুলনায় ১৫ শতাংশ কমেছে।
চলতি অর্থবছরের প্রথম দুই মাসের রেমিটেন্স প্রবাহ বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে আশার আলো দেখালেও ক্রমবর্ধমান আমদানি চাহিদা মেটানো কঠিন হয়েছে।
পড়ুন:দেশের অর্থনীতির জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক গভর্নরের ৩ অগ্রাধিকার
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. সিরাজুল ইসলাম ইউএনবিকে বলেন, ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে রেমিটেন্স পাঠাতে আগ্রহ তৈরিতে প্রক্রিয়াগুলোকে সহজীকরণ করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
তিনি বলেন, সরকার রেমিটেন্স প্রণোদনার পাশাপাশি নীতিগত সহায়তা প্রদান করছে। এখন ডলারের মূল্যহার বৃদ্ধি পাচ্ছে।
এই খাত সংশ্লিষ্টরা বলছে, মহামারি পরবর্তী বাংলাদেশের জনশক্তি রপ্তানি ও চাকরির সুযোগ ও রেমিটেন্স প্রবাহ গত অর্থবছরের তুলনায় আরও বাড়াবে।
জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) তথ্যমতে, ২০২২ অর্থবছরে ৯ লাখ ৮৮ হাজার কর্মী বিদেশে গেছে যা ২০১১ অর্থবছরে ছিল ২ লাখ ৭১ হাজার।
পড়ুন: মেগা প্রকল্প অর্থনীতিতে বিরূপ প্রভাব ফেলবে না: প্রধানমন্ত্রী
গত সাত বছরে বার্ষিক বৈদেশিক চাকরির এটি সর্বোচ্চ সংখ্যা।
কর্মকর্তারা আশা করছেন, মালয়েশিয়ার সমঝোতা চুক্তি অনুযায়ী পুনরায় জনশক্তি নেয়া শুরু করলে এই অর্থবছরে কর্মীদের বিদেশে যাওয়ার সংখ্যা আরও বাড়বে।
পরিসংখ্যানে দেখা যায়, ২০২১ অর্থবছরে করোনা মহামারির মধ্যে ২ লাখ ৭১ হাজার ৪৪৫ জন চাকরি পেয়েছে, যা ২০২০ সালে ছিল ৪ লাখ ৯৮ হাজার ৯৮৩ জন, ২০১৯ সালে ছিল ৬ লাখ ৫৯ হাজার ৪৪ জন, ২০১৮ সালে ছিল ৮ লাখ ৬৬ হাজার ৪১৭ জন, ২০১৭ সালে ৮ লাখ ৯৩ হাজার ৭৩৬ জন এবং ২০১৬ সালে ৬ লাখ ৭২ হাজার ৭২১ জন।
আরও পড়ুন: ৫০ বছরে বাংলাদেশের অর্থনীতির উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি
শ্রমিকদের দু’পক্ষের সংঘর্ষ, ভোমরা স্থলবন্দরের সব কার্যক্রম বন্ধ
ব্যবসায়ীরা শ্রমিকদের দাবিকৃত লেবার বিল দিতে রাজি না হওয়ায় ও শ্রমিক কর্তৃক সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট কর্মচারীদের মারধরের ঘটনায় সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দরের সব ধরনের কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। রবিবার (২৮ আগস্ট) সকাল থেকে স্থলবন্দরে এই অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে।
সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট কর্মচারী অ্যাসোসিয়েশনের সাংগঠনিক সম্পাদক হাদিউজ্জামান বাদশা জানান, শনিবার অযৌক্তিক দাবিতে হঠাৎ করে পণ্য খালাস বন্ধ করে দেন শ্রমিকরা। শনিবার সন্ধ্যায় ভারত থেকে বন্দরে আসা একটি ফলবাহী ট্রাক থেকে কিছু পণ্য অন্য ট্রাকে লোড করছিলেন আন্দোলন না মানা কিছু শ্রমিক ও সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট কর্মচারীরা। এ সময় অপর পক্ষের শ্রমিকরা তাদের ওপর হামলা করেন।
তিনি বলেন, ওই ঘটনায় সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট কর্মচারী অ্যাসোসিয়েশনের দু’জন সদস্য গুরুতর আহত হন। বর্তমানে তারা হাসপাতালে ভর্তি। এই ঘটনার সঠিক বিচার ও হামলাকারীদের গ্রেপ্তার না করা পর্যন্ত আমরা কলম বিরতির ঘোঘণা দিয়েছি।
ভোমরা স্থলবন্দরের শ্রমিক ইউনিয়নের এক পক্ষের নেতা হাফিজুল ইসলাম বলেন, আমরা পণ্য খালাস বাবদ ট্রাক প্রতি ১২শ টাকা দাবি করে গতকাল কাজ বন্ধ রেখেছিলাম। কিন্ত সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট কর্মচারীরা আমাদের কিছু শ্রমিককে সঙ্গে নিয়ে কয়েকটি ট্রাক থেকে নিজেরাই পণ্য খালাস শুরু করেন। এ সময় বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা তাদের বাধা দিলে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।
ভোমরা স্থলবন্দর সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সহ-সভাপতি এজাজ আহম্মেদ স্বপন বলেন, প্রতি ট্রাক পণ্য খালাসে লেবার বিল বাবদ ৮শ’ থেকে ১ হাজার টাকা পর্যন্ত পরিশোধ করা হয়। তবে শ্রমিকদের দাবির প্রেক্ষিতে আমরা ১১শ টাকা পর্যন্ত দিতে রাজি হয়েছি। ৪টি শ্রমিক সংগঠনের মধ্যে ২টি সংগঠন এটি মেনে নিয়ে গতকাল কাজ শুরু করে। কিন্তু অপর দুটি সংগঠনের শ্রমিকরা ১২শ টাকা দাবি করে কাজ বন্ধ করে দেয়। এ বিষয়ে শ্রমিকদের সঙ্গে আলোচনা চলছে। এর মধ্যে গতকাল বিকালে হঠাৎ করে কিছু শ্রমিক সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট কর্মচারীদের মারধর করেছে। তাদের মধ্যে দু’জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
আরও পড়ুন:নারায়ণগঞ্জে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে ২ শ্রমিকের মৃত্যু
ভোমরা স্থলবন্দর সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মাকসুদ খান বলেন, শনিবার বিকালে বন্দরের ভেতরে প্রবেশ করে কর্মরত এক পক্ষের শ্রমিক ও সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট কর্মচারীদের মারধর করে কাজ বন্ধ করে দেয় অন্য পক্ষ। ওই ঘটনায় আজ সকাল থেকে সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট কর্মচারীরা কলম বিরতির ঘোষণা দিয়েছেন। ফলে বন্দরের সব ধরনের কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গেছে।
তিনি বলেন, এ ঘটনায় আহত সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট কর্মচারীরা মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছে। আমরা প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেব।
আরও পড়ুন:বেশি পারিশ্রমিকের চেয়ে ভালো কাজের গুরুত্ব সবসময় বেশি: সুনেরাহ
প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক: চা-শ্রমিকদের মজুরি ১৭০ টাকা নির্ধারণ
মজুরি বৃদ্ধি নিয়ে শনিবার চা বাগান মালিকদের সঙ্গে বসবেন প্রধানমন্ত্রী
দেশের ১৬৭টি চা বাগানের শ্রমিকদের মজুরি ১২০ টাকা থেকে ৩০০ টাকা করার দাবিতে শুক্রবার ১৮তম দিনের মতো অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট অব্যাহত থাকায় শনিবার চা বাগান মালিকদের সঙ্গে আলোচনায় বসবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
দেওরাছড়া চা বাগান পঞ্চায়েত কমিটির সভাপতি সুবোদ কুর্মি বলেন, শ্রমিকরা আজ কাজে যোগ দেননি, তবে তারা কোনো বিক্ষোভ দেখায়নি।
আরও পড়ুন: মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে সিলেটে ২৩ চা বাগানে কর্মবিরতি পালন
তিনি বলেন, শুক্রবার জেলার ৯২টি বাগানে পঞ্চায়েত কমিটি নিজ নিজ বাগানের নাচঘরে বৈঠকে বসবেন। ওই বৈঠকে মজুরি ও পরবর্তী শ্রমিক আন্দোলনের বিষয়ে আলোচনা হবে।
চা শ্রমিকদের ধর্মঘট অব্যাহত, মৌলভীবাজারে সড়ক অবরোধ
মজুরি বৃদ্ধির আন্দোলনের ১৭তম দিনেও ধর্মঘট অব্যাহত রেখেছেন মৌলভীবাজারের চা-শ্রমিকেরা। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত শ্রমিকেরা ঢাকা-মৌলভীবাজার আঞ্চলিক মহাসড়কের বেরীর পার মোড়ে রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন।
এদিন জেলার দেওরাছড়া চা বাগান, প্রেমনগর চা বাগান, মৌলভী চা বাগান, মাজদিহি চা বাগান ও হামিদিয়া চা বাগানের কয়েক হাজার শ্রমিক একত্রিত হয়ে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে মৌলভীবাজার জেলা সদরে আসেন।
এছাড়াও, ৯টি বাগানের শ্রমিকেরা চা বাগানের ভেতর বিক্ষোভ করেছেন।
এদিকে শ্রমিকরা যাতে কাজে যোগ দেন এ লক্ষ্যে জেলা প্রশাসন ও জেলা পুলিশ বিভিন্ন বাগানে গিয়ে পঞ্চায়েত কমিটির সঙ্গে বৈঠক করে কাজে যোগদানের আহ্বান করেছেন।
প্রসঙ্গত, দেশের ১৬৭ চা বাগানে শ্রমিকের সংখ্যা দেড় লাখেরও বেশি। বর্তমানে দৈনিক মজুরি ১২০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৩০০ টাকা করার দাবিতে আন্দোলন করছেন তারা।
গত ৯ আগস্ট এ আন্দোলন শুরু হয়। শুরুতে প্রথম কয়েকদিন কেবল ২ ঘণ্টা করে কর্মবিরতি পালন করা হয়। সে সময় মজুরি বৃদ্ধি ও মজুরি চুক্তি বাস্তবায়নের দাবিতে শ্রমিক ইউনিয়নগুলোর পক্ষ থেকে বাগান মালিকদের সাত দিনের আলটিমেটাম দেয়া হয়।
কিন্তু মালিক পক্ষ এই সময়ের মধ্যে বৈঠক বা সমঝোতায় না আসায় ১৩ আগস্ট থেকে লাগাতার পূর্ণ দিবস কর্মবিরতি পালন শুরু করেন শ্রমিকরা। এরপর দফায় দফায় বৈঠক করেও এখন পর্যন্ত কোনো সঠিক সমাধানে যায়নি এই সংকট।
২ দফা মজুরি বাড়িয়ে ১৪৫ টাকা করা হলেও চা শ্রমিকরা তা প্রত্যাখান করেন।
এরপর গত ২১ আগস্ট রাতে মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় কমিটির নেতাদের সঙ্গে এক বৈঠকে জানানো হয়, প্রধানমন্ত্রী আসন্ন দুর্গাপূজার আগে নতুন মজুরি ঘোষণা করবেন। তার আগ পর্যন্ত চলমান ১২০ টাকা মজুরি রেখেই কাজে যোগ দেয়ার অনুরোধ করা হয় চা শ্রমিকদের।
সেই প্রস্তাব মেনে প্রথমে আন্দোলন প্রত্যাহারের ঘোষণা দিলেও একদিন পর আবারও কর্মবিরতিতে নামেন শ্রমিকরা।
তাদের দাবি তিনশ’ টাকা মজুরি দিতে হবে অথবা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছ থেকে পরবর্তীতে মজুরি বৃদ্ধির সুস্পষ্ট ঘোষণা জানাতে হবে।
আরও পড়ুন: চা শ্রমিকদের মজুরি ২০১৯ সালেই বৃদ্ধি করা উচিৎ ছিল: গবেষক আশ্রাফুল
চা শ্রমিকদের অবরোধে সারাদেশের সঙ্গে সিলেটের রেল যোগাযোগ বন্ধ
আলোচনা ছাড়াই রাত ৩টায় চুক্তি সাক্ষর: আন্দোলন অব্যাহত চা শ্রমিকদের
গোয়ালন্দে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে শ্রমিকের মৃত্যু
রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে পৌরসভায় পানি নিষ্কাশনের নালা নির্মাণ করতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে রেজাউল মণ্ডল (৩৫) নামের এক শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত রেজাউল মণ্ডল গোয়ালন্দ পৌরসভার দুই নম্বর ওয়ার্ড দেওয়ান পাড়ার মৃত লোকমান মণ্ডলের ছেলে।
গোয়ালন্দ পৌরসভা সূত্রে জানা যায়, শহরের পানি নিষ্কাশনের জন্য বিভিন্ন সড়কের পাশে নালা নির্মাণ করা হচ্ছে। প্রায় ৯ কোটি ৬০ লাখ টাকা ব্যায়ে বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে কাজটি পেয়েছে কেকেআর এন্টারপ্রাইজ নামক ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। এপ্রিল মাস থেকে নালার নির্মাণ কাজ শুরু হয়।
শ্রমিক মতিউর রহমান ও রাজু শেখ জানায়,গোয়ালন্দ বাজার বড় মসজিদের কাছে স্থানীয় বিএনপি নেতা শহিদুল ইসলাম বাবলুর বাড়ির সামনে খননকৃত নালায় তারা লোহার রডের জাল বিছানোর কাজ করছিলেন। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে কাজটি শেষ হলে রেজাউল মণ্ডল বাড়ির ঘরের আর্থিং রড ধরে নালার ওপর উঠতে গেলে বিদ্যুতায়িত হয়ে গুরুতর আহত হয় রেজাউল। পরে গোয়ালন্দ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন:কুমিল্লায় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে একই পরিবারের ৩ জন নিহত
তাদের অভিযোগ, প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা সরঞ্জমাদি না থাকায় দুর্ঘটনাটি ঘটেছে।
তারা জানান, তিন-চার দিন আগে ভেকু (এস্কেভেটর) দিয়ে নালা খনন করে গর্ত করা হয়। এ সময় বাড়ির আর্থিং রডের সঙ্গে খননযন্ত্রের ঘর্ষণে আগুন ধরে। অথচ বিষয়টি আমাদের কোনো শ্রমিককে জানানো হয়নি। এছাড়া আমাদের কাজ করার সময় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান থেকে কোনো নিরাপত্তা সরঞ্জাম দেয়া হয়নি।
উপজেলা নির্মাণ শ্রমিক ইউনিয়নের সহসভাপতি ওয়াজেদ্দিন খান বলেন,‘আমরা শ্রমিকের নিরাপত্তা সরঞ্জমাদি ব্যবহারের দাবি জানিয়ে আসছি। ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানে কাজ করতে গেলে তাদের অবশ্যই প্রয়োজনীয় সরঞ্জমাদি দিতে হবে। না হলে রেজাউলের মতো অকালে অনেক শ্রমিক মারা যাবেন।’
ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি সালাহ উদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘শ্রমিকদের প্রশিক্ষণ প্রদানসহ প্রয়োজনীয় সকল নিরাপত্তা সরঞ্জমাদি দেওয়া হয়েছে। অথচ তারা কেউ এসব সামগ্রী ব্যবহার করতে আগ্রহী না। এ নিয়ে মাঝেমধ্যে রাগারাগি হয়। যখন কোনো কর্মকর্তা আসেন তখন তারা ওই সব সামগ্রী ব্যবহার করেন।’
এ প্রসঙ্গে গোয়ালন্দ ঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) স্বপন কুমার মজুমদার বলেন, ‘পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ না পাওয়ায় সুরতহাল শেষে পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর করেছি। এ বিষয়ে থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।’
আরও পড়ুন:গোলাপগঞ্জে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে নির্মাণ শ্রমিকের মৃত্যু
বগুড়ায় খুঁটি স্থাপনের সময় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে ক্রেনের চালক নিহত
সিলেটে চা বাগান শ্রমিকদের কর্মবিরতি অব্যাহত
সিলেট ভ্যালির সকল বাগানের চা শ্রমিকদের কর্মবিরতি অব্যাহত রয়েছে। বুধবার (২৪ আগস্ট) পূর্ণদিবস ধর্মঘটের ১৬তম দিনে শ্রমিকরা বিভিন্ন বাগানে সভা-সমাবেশ ও মানববন্ধন পালন করছে।
বিভিন্ন বাগান ঘুরে দেখা গেছে, বাগানগুলোতে চা উত্তোলন বন্ধ রয়েছে। বাগানের বিভিন্ন স্থানে দলে দলে বিক্ষোভ করছে শ্রমিকরা।
এর আগে মঙ্গলবার চা-শ্রমিক ইউনিয়নের নেতাদের সাথে বৈঠক শেষে কর্মবিরতি চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন পঞ্চায়েত প্রতিনিধিরা। তাদের সাথে ৩০০ টাকা মজুরির দাবিতে একমত পোষণ করেন ইউনিয়নের নেতারাও।
আরও পড়ুন: মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে সিলেটে ২৩ চা বাগানে কর্মবিরতি পালন
প্রসঙ্গত, ৩০০ টাকা মজুরি আদায়ে ৯ থেকে ১১ আগস্ট পর্যন্ত দৈনিক দুই ঘণ্টা করে কর্মবিরতি পালন করে শ্রমিকরা। পরে ১১ আগস্ট সন্ধ্যায় শ্রীমঙ্গলে অবস্থিত বিভাগীয় শ্রম দপ্তরে কর্মকর্তারা বৈঠকে বসলেও আলোচনা ফলপ্রসূ হয়নি।
পরে ১৩ আগস্ট থেকে টানা ধর্মঘটের ডাক দেয় শ্রমিকরা। এর মধ্যে দফায় দফায় সভা ও বৈঠক হয়েছে। অবশেষে ১২০ টাকায় কাজ যোগা দেয়ার কথা হলেও শ্রমিকরা তা মেনে নেয়নি। পরিবর্তে তারা ধর্মঘট অব্যাহত রেখেছে।
আরও পড়ুন: চা শ্রমিকদের অবরোধে সারাদেশের সঙ্গে সিলেটের রেল যোগাযোগ বন্ধ
ট্রলারডুবি: দেশে ফেরা অনিশ্চিত ভারতে উদ্ধার হওয়া ৪৪ জেলের
গভীর সমুদ্রে মাছ ধরতে গিয়ে ঝড়ের কবলে পড়ে ট্রলারডুবির ঘটনায় ভারতে উদ্ধার হওয়া ৪৪ জেলের দেশে ফেরা নিয়ে অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েছে ট্রলার মালিক সমিতি, শ্রমিক ইউনিয়ন ও স্বজনরা।
স্বজন ও ট্রলার মালিকরা বলেন, সাগরে থাকলে হয়তো ভাসতে ভাসতে এলেও অন্তত লাশটাও আসতো। এখন তো বেঁচে থেকেও না বাঁচার মতো। এযাবৎকাল বাংলাদেশি জেলে জলসীমা অতিক্রম করে ভারতীয় সীমানায় অনুপ্রবেশ করলে ফেরতের বিপরীতে স্থান হয় কারাগারে। যার কারণে বরাবরের মতো এবারও পার্শ্ববর্তী রাষ্ট্র ভারতের প্রতি ক্ষোভ জানিয়েছেন তারা।
কিছুদিন আগে সাগর উত্তাল হওয়ায় অনেক ট্রলার ডুবি এবং জেলে নিখোঁজের ঘটনা ঘটে। এ পর্যন্ত পাওয়া তথ্যে পাথরঘাটার ৪৪ জন জেলে ভারতে অবস্থান করছেন।
এসব জেলেদের ফিরিয়ে আনতে জেলে এবং ট্রলার মালিকদের পক্ষে বরগুনা জেলা মৎস্যজীবী ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী ভারতে আছেন। কিন্তু জেলেদের ফিরিয়ে আনা তো দূরের কথা, অসুস্থ জেলেদের দেখতেও দেয়নি। আপাতত জীবিত উদ্ধার হওয়া ৪৪ জেলে দেশে ফিরিয়ে আনা অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।
মৎস্যজীবী নেতাদের মতে, বিগত বছরের অভিজ্ঞতার আলোকে এ যাত্রায়ও ভারত বাংলাদেশি জেলেদের প্রতি মায়া দেখাবে না।
বিগত বছরে নানা দুর্যোগে সীমানা পেরিয়ে যাওয়ার অপরাধে শত শত জেলে এখনও ভারতের কারাগারে আছে। অথচ ঠিক এমন দুর্যোগে ভারতীয় জেলেরা বাংলাদেশে এলে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পাঠিয়ে দেয়া হয়।
বরগুনা জেলা মৎস্যজীবী ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী মোবাইল ফোনে জানান, সাগরে ট্রলারডুবির ঘটনার পর পরই আমি ভারতে আসি জেলেদের ফিরিয়ে নিতে। অথচ এখন পর্যন্ত আমাদের দেখাও দিতে দেয়নি। বরাবরের মতো এবারও তারা একই আচরণ করছে।
আরও্র পড়ুন:ডাকাতিয়ায় ট্রলারডুবির ঘটনায় ৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা
ভারতীয় এক পুলিশ কর্মকর্তার নাম প্রকাশ না করার শর্তে তিনি আরও বলেন, জেলেদের আকুতি দেখে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী জেলেদের দেশে পাঠানোর ব্যাপারে আন্তরিক। তবে দু'দেশের পররাষ্ট্র পর্যায়ে আলাপ-আলোচনা জরুরি বলে মতামত দেন।
তিনি আরও বলেন, আমরা বহু বছর ধরে ভারতে আটকে থাকা জেলেদের ফেরত দিতে অনেক আন্দোলন, স্মারকলিপিও দিয়েছি। কিন্তু কোনো কাজ হয়নি।
বরগুনা জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো.হাবিবুর রহমান বলেন, আমরা মৎস্য বিভাগ এবং ট্রলার মালিক সমিতিতে জেলেদের তালিকা চেয়েছি। তালিকা পেলেই আমরা তাদের আনার জন্য আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে জেলেদের দেশে ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করবো।
আরও পড়ুন:ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ট্রলারডুবির ঘটনায় মৃত্যু সংখ্যা বেড়ে ২৩
রোহিঙ্গারা অবৈধভাবে পালিয়ে যেতে চেয়েছিল: ট্রলারডুবির ঘটনায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী