যোগাযোগ ব্যবস্থা
অ্যান্ড্রয়েড-১৪ ফোনে সরাসরি স্যাটেলাইট সংযোগ: যোগাযোগ ব্যবস্থায় নতুন অধ্যায়
অ্যান্ড্রয়েড-১৩-এর চমকের রেশ কাটতে না কাটতেই অ্যান্ড্রয়েড-১৪ নিয়ে কাজ শুরু করে দিয়েছে গুগলের প্রকৌশলীরা। নতুন চমকগুলোর মধ্যে অ্যান্ড্রয়েড-১৪-এর যে ফিচারটি নিয়ে ইতোমধ্যে সমূহ সম্ভাবনার উঁকি দিচ্ছে তা হলো সরাসরি স্যাটেলাইট সংযোগ। গুগল প্ল্যাটফর্ম ও ইকোসিস্টেমের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট হিরোশি লকহেইমার টুইটারে ঘোষণা করেছেন যে, গুগল অ্যান্ড্রয়েড-১৪ ফোনে সরাসরি স্যাটেলাইট সংযোগ তৈরিতে কাজ করছে। চলুন, এ ব্যাপারে আরো কিছু জেনে নেয়া যাক।
কবে নাগাদ আসবে অ্যান্ড্রয়েড-১৪ ফোন
শুরু থেকেই বিভিন্ন ধরনের মিষ্টির নামে নাম রাখার প্রবণতাটা গুগলের এই অপারেটিং সিস্টেমগুলোর জন্য রীতিমত প্রথা হয়ে দাড়িয়েছে। সেই ধারাবাহিকতায় এই ১৪ নাম্বার সংস্করণটিরও নাম রাখা হয়েছে আপসাইড ডাউন কেক। এটি মুলত একটি আমেরিকান কেক যা প্যানে উল্টো করে বেক করা হয়।
২০২৩-এর মে মাসে গুগল ডেভেলপারদের বার্ষিক সম্মেলন গুগল আই/ও ২০২৩-এ অ্যান্ড্রয়েডের নতুন ভার্সনের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা হতে পারে। তবে এর ডেভেলপার প্রিভিউ বিল্ড ফেব্রুয়ারিতে এবং বেটা বিল্ড এপ্রিলে মুক্তি পেতে পারে। কিন্তু পূর্ণাঙ্গ অ্যান্ড্রয়েড-১৪-এর মুক্তি হতে হতে আগস্ট মাস লেগে যেতে পারে।
পড়ুন: জাপানে ছোট দোকানগুলোতে ব্যবহার করা হচ্ছে বুদ্ধিমান রোবট
অ্যান্ড্রয়েড-১৪ ফোনে সরাসরি স্যাটেলাইট সংযোগ-এ কি সুবিধা পাবেন ব্যবহারকারীরা
অ্যান্ড্রয়েড-১৪ ব্যবহারকারীরা বিশ্বের যে কোনও জায়গা থেকে একটি নেটওয়ার্কের সাথে সংযোগ করতে সক্ষম হবেন। এমনকি প্রত্যন্ত এলাকায়ও নেটওয়ার্ক সংযোগ না থাকার মতো কোন পরিস্থিতির অবকাশ থাকবে না। নেটওয়ার্কটি ডাটা প্রসেস করতে পারবে প্রতি সেলুলার জোনে প্রায় ২ এমবিপিএস(মেগাবাইট-পার-সেকেন্ড) থেকে ৪ এমবিপিএস হবে। এটি বেশ ধীর গতির হলেও কয়েক হাজার টেক্সট লেনদেনের জন্য যথেষ্ট।
স্যাটেলাইট নেটওয়ার্কের সাথে সংযুক্ত অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহারকারীরা এমএমএস(ছবি/ভিডিও ম্যাসেজ) সহ যে কোন টেক্সটিং, ভয়েস কল করতে এবং মোবাইল ডাটা ব্যবহার করে ইন্টারনেট ব্রাউজ করতে পারবেন। এই নেটওয়ার্ক ব্যান্ডউইথ প্রত্যন্ত অঞ্চল সহ পৃথিবীর যে কোন স্থানে ১ থেকে ২ হাজার ভয়েস কলের জন্য যথেষ্ট হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
যোগাযোগ ব্যবস্থার এই নতুন পথচলায় শুরুর দিকে সংযোগ স্থাপন গতি হয়ত আশানুরুপ না হতে পারে। কিন্তু এটি জরুরী পরিস্থিতিতে, দুর্গম জায়গা বা প্রযুক্তির স্পর্শ না পাওয়া কোন গ্রামে নেটওয়ার্ক না পাওয়ার অবস্থার চূড়ান্তভাবে পরিসমাপ্তি ঘটাবে।
পড়ুন: দেশের মোবাইল সিম বিদেশের মাটিতে ব্যবহার করার উপায়
স্যাটেলাইট সংযোগ সমর্থিত স্মার্টফোনের অগ্রযাত্রা
অ্যান্ড্রয়েড ফোনের আগের সংস্করণটিকে আপগ্রেড করলেই এই নেটওয়ার্ক সুবিধা পাওয়া যাবে নাকি একদম নতুন অ্যান্ড্রয়েড-১৪ ফোন কিনতে হবে সে ব্যাপারটি এখনো নিশ্চিত নয়। তবে ইলন মাস্কের স্পেসএক্স এবং স্ট্র্যান্টনের টি-মোবাইল এই দিক থেকে এগিয়ে গেছে। এদের ডিভাইসটি আসন্ন স্টারলিঙ্ক ভি(ভার্সন)-২ স্যাটেলাইট দ্বারা সমর্থিত হবে।
এমনকি বিগত সংস্করণের ফোনগুলোতেও এই নেটওয়ার্ক কাজ করবে কারণ এটি পিসিএস(পার্সনাল কমিউনিকেশন সার্ভিস) স্পেকট্রামে পুরনো ব্যান্ড বা রেডিওকে কাজে লাগাবে। ফলে বেশিরভাগ টি-মোবাইল গ্রাহকদের আসন্ন পরিষেবা উপভোগ করতে নতুন ডিভাইস কিনতে হবে না। প্রতিষ্ঠান দুটি তাদের স্মার্টফোনগুলোকে সরাসরি স্যাটেলাইটের সাথে সংযুক্ত করার পরিকল্পনা ঘোষণা করার পরেই প্রকাশিত হয় এই তথ্যটি।
স্যাটেলাইট স্থাপনের সাথে যোগাযোগ শিল্পের সহ-পরিষেবা এখন পর্যন্ত খুব একটা স্বাভাবিক বিষয় নয়। কিন্তু এ কথা নিশ্চিত করে বলা যায় যে, ২০২৩ সালের শেষের বিশ্ববাসী মানিয়ে নিতে শুরু করবে এরকম পরিষেবার সাথে। আর গুগলও ঠিক সে সময়েই আনতে যাচ্ছে তাদের নতুন ফোনটি। সর্বসাকূল্যে ২০২৩ সালটি হবে স্যাটেলাইট সংযোগ সমর্থিত স্মার্টফোনের অগ্রদূত।
পড়ুন: অরিজিনাল ফোন চেনার উপায়: ফোন কেনার আগে যে বিষয়গুলো খেয়াল রাখা জরুরি
শেষাংশ
গোটা বিশ্বকে এক নেটওয়ার্কের আওতায় আনতে অ্যান্ড্রয়েড-১৪ ফোনে সরাসরি স্যাটেলাইট সংযোগ এক যুগান্তকারি পদক্ষেপ হতে যাচ্ছে। সেলুলার ডেড জোনের বিড়ম্বনা আর পোহাতে হবে না স্মার্টফোন ব্যবহারকারীদের।
নতুন প্রযুক্তি হিসেবে প্রকল্পটির বিকাশের জন্য যে যথেষ্ট সময়ের প্রয়োজন তা বলার অপেক্ষা রাখে না। সেই সাথে নির্মাণাধীন অ্যান্ড্রয়েড-১৪-কেও এর সিস্টেম সফ্টওয়্যারগুলোর সাথে মানিয়ে নেয়ার চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হবে। এর উপরই নির্ভর করছে অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহারকারীদের ইতিবাচক অভিজ্ঞতা, যা নতুনত্বের আবির্ভাব এবং গ্রহণযোগ্যতার মধ্যে সামঞ্জস্য বিধান করবে।
পড়ুন: ফোন ফ্যাক্টরি রিসেট করার সঠিক পদ্ধতি
পদ্মা সেতু: শরীয়তপুরে মৎসখাতে সোনালি সম্ভাবনার হাতছানি
পদ্মার দক্ষিণ পাড়ের শরীয়তপুরের মানুষকে 'পদ্মা সেতু' স্বপ্ন দেখাচ্ছে সোনালি সম্ভাবনার। পদ্মা সেতু চালু হলে শরীয়তপুরসহ পুরো দক্ষিণাঞ্চলের যোগাযোগ ব্যবস্থায় এক বৈপ্লবিক পরিবর্তন সাধিত হবে। যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো হওয়ায় দেশের অন্যতম মৎস্য উৎপাদনকারী শরীয়তপুর জেলার মৎস্য খাতের সম্ভাবনার দুয়ার খুলে যাবে।
মৎসজীবীরা বলছেন, পদ্মা সেতু খুলে দিলে বছরে পাঁচশ থেকে ছয়শ কোটি টাকার মাছ ঢাকার বাজারে বিক্রি করতে পারবেন। পরিবহন খরচ কম ও দামে বেশি হওয়ায় লাভ বেশি হবে বলে ধারণা তাদের। বিশেষ করে পদ্মা নদীর সুরেশ্বর পয়েন্ট থেকে আহরণকৃত ইলিশসহ যে কোন মাছ খুব সহজেই পাঠানো রাজধানী ঢাকাসহ দেশের অন্তত ৪০টি জেলায় পাঠানো যাবে। এতে উপকৃত হবেন মৎস খামারি, ব্যবসায়ী ও প্রান্তিক জেলেরাও।
জেলা মৎস্য বিভাগ সূত্রে জানা যায়, পদ্মা ও মেঘনায় ঘেরা শরীয়তপুর জেলার ১৫ হাজার ৮৪০ হেক্টর এলাকাজুড়ে নদীতে মাছ ধরা হয়। এছাড়া ২ হাজার ৬২৬ হেক্টর জমিতে ১৫ হাজার ১৮২টি মাছের খামার রয়েছে। জেলার ছয়টি উপজেলা থেকেই মাছ সড়ক পথে নিয়ে যাওয়া হয় ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে। আগে শরীয়তপুর থেকে ঢাকায় যেতে ফেরিঘাটে দীর্ঘসময় অপেক্ষা করতে হতো। অপেক্ষমাণ সময়ে গাড়িতে থাকা মাছ অনেক সময় নষ্ট হয়ে যেত। কিন্তু পদ্মা সেতু উদ্বোধন হলে আমূল পরিবর্তন আসবে মৎস্য ব্যবসায়। খুব দ্রুত নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ঢাকার বাজারে পৌঁছে যাবে মাছ। ফলে সময় ও খরচ সাশ্রয়ের মাধ্যমে ব্যবসার প্রসার ঘটবে অনেক বেশি।
পড়ুন: বাংলাদেশের উন্নয়নে পদ্মা সেতু এক অবিস্মরণীয় মুহূর্ত: ইইউ রাষ্ট্রদূত
সাতক্ষীরা থেকে যশোর বিমানবন্দরে ইউএস-বাংলার শাটল সার্ভিস
সাতক্ষীরা থেকে যশোর বিমানবন্দরে এসি মাইক্রোবাস সার্ভিস চালু করতে যাচ্ছে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স। আগামী ২১ ফেব্রুয়ারি (সোমবার) থেকে প্রতিদিন দু’বার এই মাইক্রো বাস সার্ভিস চলবে।
মঙ্গলবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এয়ারলাইন্সটির পক্ষ থেকে জানানো হয়, প্রতিদিন সকাল সাড়ে ৭টায় ও বিকাল সোয়া ৪টায় সাতক্ষীরার ভারতীয় ভিসা সেন্টার থেকে যশোর বিমানবন্দরের উদ্দেশে মাইক্রো বাস ছেড়ে যাবে।
মাইক্রো বাস সেবা গ্রহণকারীদের যথাক্রমে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের বিএস-১২৪ ও বিএস-১৩২ যশোর–ঢাকা ফ্লাইটে ভ্রমণ করার সুযোগ থাকছে।
আরও পড়ুন: যাত্রী রেখে ফ্লাইট, ইউএস বাংলার বিরুদ্ধে অভিযোগ
একইভাবে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের বিএস-১২৩ ও বিএস-১৩১ ঢাকা থেকে যশোর ফ্লাইটের যাত্রীরা যশোর বিমানবন্দরে অবতরণের পর সাতক্ষীরায় যাতায়াত করতে পারবে।
সাতক্ষীরা থেকে যশোরে যাতায়াতের জন্য ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে প্রতিজনের জন্য ৩৫০টাকা।
সাতক্ষীরা-যশোর-সাতক্ষীরা রুটে শাটল সার্ভিসের সেবা পেতে যোগাযোগ করুন- ০১৭০১২১০৮৭০।
আরও পড়ুন: ইউএস বাংলার ঢাকা-দোহা ফ্লাইট পুনরায় শুরু হচ্ছে ৩১ আগস্ট
ফের চালু হচ্ছে সিলেট-চট্টগ্রাম বিমান ফ্লাইট
আগামী ৮ জানুয়ারি থেকে আবারও সিলেট-চট্টগ্রাম-সিলেট রুটে বিমানের ফ্লাইট চালু হচ্ছে। এ রুটে সপ্তাহে দুটি ফ্লাইট চলবে বলে জানিয়েছে বিমান কর্তৃপক্ষ।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স জানায়, আগামী ৮ জানুয়ারি থেকে শনিবার ও বুধবার সপ্তাহে দু’দিন এ রুটে বিমানের ফ্লাইট চলবে। ফ্লাইটটি চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে বেলা সোয়া ১১টায় ছেড়ে যাবে। সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে দুপুর ১টার দিকে পুনরায় এটি ছেড়ে আসবে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ বিমানের সৌদিগামী সব ফ্লাইট বাতিল
সংস্থাটি জানায়, স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী ও বঙ্গবন্ধুর জন্মশত বার্ষিকী উপলক্ষে ২০২১ সালের ১৭ মার্চ এ রুটে বিমানের ফ্লাইট চালু করা হয়। কিন্তু করোনা মহামারি ব্যাপক আকার ধারণ করায় ফ্লাইট চালুর দুই মাসের মধ্যে একই বছর এপ্রিলে সেটি বন্ধ হয়ে যায়।
এ ব্যাপারে সিলেট নগরীর লতিফ ট্রাভেলসের পরিচালক আজহারুল কবির চৌধুরী সাজু জানান, সিলেট ও চট্টগ্রামের মানুষের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরেই ব্যবসা- বাণিজ্য রয়েছে। দুই অঞ্চলের মানুষের ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারণে এ ফ্লাইট ভূমিকা রাখবে। এটি বিমানের লাভজনক রুট।
তিনি জানান, এ রুটে ফ্লাইটের সর্বনিম্ন ভাড়া চার হাজার ২০০ টাকা।
আরও পড়ুন: ইতিহাসে প্রথমবারের মতো শান্তিরক্ষীদের বহন করল বাংলাদেশ বিমান
সংশ্লিষ্টরা জানান, গত ২ নভেম্বর থেকে সিলেট-কক্সবাজার-সিলেট রুটে বর্তমানে বিমানের ফ্লাইট অপারেট হচ্ছে। ২০২০ সালের ১২ নভেম্বর থেকে এই রুটে ফ্লাইট চালিয়ে আসছিল বিমান। তবে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ ও সারা দেশে সরকারি বিধিনিষেধ জারির কারণে এপ্রিল থেকে ফ্লাইট বন্ধ ছিল। এরপর গত নভেম্বরে এ রুটে আবারও ফ্লাইট চালু হয়। এ ফ্লাইটের সর্বনিম্ন ভাড়া চার হাজার ৫০০ টাকা।
চাঁদপুর-সিলেট আন্তনগর ট্রেন এখনও স্বপ্ন!
চাঁদপুর ও সিলেট রুটে আন্তনগর ট্রেন সার্ভিস দেশের দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষের দীর্ঘদিনের দাবি।
এ অঞ্চলের শত শত মানুষ চাঁদপুর থেকে হযরত শাহজালাল ও শাহ পরানের পবিত্র মাজার জিয়ারত করতে যান। এছাড়াও সিলেটের মেডিকেল কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়া শিক্ষার্থী রয়েছে। বিপুল সংখ্যক পর্যটকও এর প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে উত্তর-পূর্ব জেলায় যান। তাই এই রুটে চলাচলে ঝুঁকিপূর্ণ ও সময়সাপেক্ষ হওয়ায় দিন দিন ভোগান্তিতে পড়েন যাত্রীরা।
আরও পড়ুন: দেশি প্রকৌশলীদের চেষ্টায় সচল গঙ্গা-কপোতাক্ষ সেচ প্রকল্পের পাম্প
রেলওয়ে কর্মকর্তাদের মতে, ২০০০ সালে চাঁদপুর থেকে লাকসামগামী একটি কমিউটার ট্রেনে সিলেটগামী যাত্রীদের জন্য বেশ কয়েকটি বগি সংযুক্ত ছিল। লাকসাম জংশনে পৌঁছার পর এসব কোচ জালালাবাদ এক্সপ্রেস ট্রেনের সাথে লিংক করা হতো। এতে করে অনেক আরামে ও সাশ্রয়ী মূল্যে ঝামেলা ছাড়াই সিলেটে ভ্রমণ করতে পারতেন যাত্রীরা।
২০০০ সালে ২০ সেপ্টেম্বর মেঘনা নদীর ভয়াবহ ভাঙনে চাঁদপুর বড় রেল স্টেশনের বেশ কিছু অংশও নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায়। পরে বিলীন হওয়া স্থানটি বালু দিয়ে ভরাট করা হলেও লাকসাম হয়ে সিলেটে ট্রেন চলাচল পুনরায় চালু করেনি রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। ফলে এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ ও সিলেট বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যয়নরত শিক্ষার্থী, ব্যবসায়ী, মাজারে ভক্ত ও পর্যটকরা সিলেটে যাতায়াতের সময় নানা অসুবিধার সম্মুখীন হন।
এমনকি চাঁদপুর রেলস্টেশন থেকে সিলেটের টিকিটও দেয়া হয় না বলে জানিয়েছেন স্টেশন মাস্টার শোয়াইবুল সিকদারসহ বেশ কয়েকজন টিটি।
আরও পড়ুন: ধোঁয়া-ওঠা গরম গরম পিঠা খাওয়ার ধুম পড়েছে খুলনায়
তিনি বলেন, চাঁদপুর ও সিলেটের মধ্যে নির্বিঘ্নে যাতায়াতের জন্য আন্তনগর ট্রেন চালু করা খুবই প্রয়োজন। আগের তুলনায় সিলেটগামী যাত্রীর সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় এটা এখন সময়ের দাবি।
সড়ক খুঁড়ে বিদ্যুৎ লাইন সংযোগ, পথচারীদের দুর্ভোগ
সড়ক খুঁড়ে বিদ্যুৎ লাইন সংযোগের কাজ চলায় খুলনা মহানগরীর খালিশপুর নতুন বিআইডিসি সড়কের কয়েক কিলোমিটার জুড়ে বড় বড় গর্ত সৃষ্টি হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে এই খানা খন্দে কারণে বর্ষায় মৌসুমে বৃষ্টির পানি জমে এবং কাদা মাটির কারণে পথচারীদের দুর্ভোগ বেড়েছে। আর এই কারণে প্রায় ছোট বড় দুর্ঘটনা ঘটেই চলছে।
সংশ্লিষ্টরা জানান, সাময়িকভাবে সড়কটির বিভিন্ন বড় বড় গর্তগুলো ইটের টুকরো দিয়ে সংস্কার করলেও ভারি যানবহন চলাচলের সময়ে আবারও গর্ত সৃষ্টি হচ্ছে। যে কারণে সড়কে চলাচলে প্রায় সময়ে ইজিবাইক, অটোরিকশসহ ছোট ছোট যানবহন উল্টে গিয়ে দুর্ঘটনার কবলে পড়ছে।
আরও পড়ুন: সৌরবিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন: কাঁটাতারে বাঁধা শিক্ষক-শিক্ষার্থী!
স্থানীয় বাসিন্দা ইমন মোল্লা জানান, খুলনার মধ্যে ব্যস্ততম একটি সড়ক হচ্ছে এই নতুন রাস্তা থেকে বিআইডিসি সড়ক। তবে বর্তমান সময়ে সড়কটির মধ্য খানে কাটা থাকায় গর্ত সৃষ্টি হয়েছে। বিশেষ করে এই বর্ষার মৌসুমে বৃষ্টির পানি জমে সড়ক জুড়ে পিচলা কাদামক্ত হয়ে আছে। সড়কটি আগে ভালোই ছিল। তবে সড়কটি খুড়ে বিদ্যুৎ লাইন সংযোগ স্থাপন করার জন্য পুরো সড়ক গর্তে পরিণত হয়েছে।
স্থানীয় ব্যবসায়ী আকমল আহসান বলেন, ‘এই বিআইডিসি সড়কটি একটি গুরুত্বপুর্ণ সড়ক। বাজার, বিদ্যুৎ কেন্দ্র, পাটকলসহ এখানে তিনটি তেলের ডিপো রয়েছে। যার কারণে প্রতিদিন প্রায় শতাধিক ট্যাংক লড়ি ও বিভিন্ন যানবহন চলাচল করে। খুলনাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সরবারাহের জন্য জ্বালানি তেলবহনকারী যান এই রুট ব্যবহার করে থাকে। তাছাড়া বেশ কয়েকটি স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীসহ পাটকল শ্রমিকরা এই সড়কটি দিয়ে যাতায়াত করে। যে কারণে সড়কটি সব সময়ে ব্যস্ত থাকে অথচ বর্তমানে সড়কটি অবস্থা খুবই বেহাল দশা।
আরও পড়ুন: মামলা জটিলতায় স্কুল ভবনের নির্মাণ কাজ বন্ধ, ঝুঁকিতে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা
তিনি বলেন, ‘বিশেষ করে বর্ষা মৌসুমে সামান্য একটু বৃষ্টি হলেই কাদা-পানিসহ নানা ধরনের সমস্যা হয়। তাছাড়া শুষ্ক মৌসুমে সড়কটিতে ধুলো বালি উড়তে থাকে। আমরা এই সড়কটি দ্রুত সংস্কার করারা জন্য মেয়রের নিকট জোর দাবি জানাচ্ছি।’
খুলনা সিটি করপোরেশনের (কেসিসি) ৭নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর সুলতান মাহমুদ (পিন্টু) বলেন, বিআইডিসি সড়কটির অবস্থা খুবই বেহাল। তবে বর্তমান বর্ষা মৌসুমে সংস্কার করা সম্ভব হচ্ছে না। কারণ বর্ষার পানিতে যা করব, সেসব নষ্ট হয়ে যাবে। তবে একটু বর্ষা কমলে সাময়িকভাবে সংস্কার করা হবে। সড়কটি নতুনভাবে স্থায়ী সংস্কারের জন্য মেয়র খুবই গুরুত্ব দিয়ে দেখছেন।
আরও পড়ুন: ৫০০ পরিবারের একমাত্র ভরসা নড়বড়ে বাঁশের সাঁকো!
এ ব্যাপারে কেসিসির প্যানেল মেয়র-১ আমিনুল ইসলাম মুন্না বলেন, ‘সড়কটি বেহাল ছিল তবে কিছুদিন আগে ইট দিয়ে রোলিং করেছি তারপরও আমি বিষয়টি দেখছি। দ্রুত সংস্কার করার জন্য বিষয়টি নিয়ে মেয়রের সাথে কথা বলে সাময়িকভাবে চলাচলের জন্য একটি ব্যবস্থা করা হবে। পরবর্তীতে নতুন দরপত্র করে একটি মডেল সড়ক তৈরি করা হবে।’
৯ অক্টোবর থেকে তিন রুটে ফের বিমানের ফ্লাইট চালু
ঢাকা থেকে মদিনা, কুয়েত ও কাঠমান্ডু রুটে ফের ফ্লাইট চালু করতে যাচ্ছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স।
আগামী ৯ অক্টোবর থেকে ঢাকা-কাঠমান্ডু রুটে, ১০ অক্টোবর থেকে ঢাকা-মদিনা ও ঢাকা-কুয়েত রুটে পুনরায় সরাসরি ফ্লাইট পরিচালন করবে। যাত্রীরা এখন থেকেই এসব রুটের টিকেট ক্রয় করতে পারবেন বলে জানিয়েছে বিমান কর্তৃপক্ষ।
বুধবার সংস্থাটির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: দিল্লি, কলকাতা রুটে বিমানের নতুন ফ্লাইট সূচি ঘোষণা
তথ্য অনুযায়ী, আগামী ৯ অক্টোবর ঢাকা থেকে প্রতি শনিবার ও বৃহস্পতিবার বিমানের ফ্লাইট বিজি০৭১ স্থানীয় সময় সোয়া ৯টায় কাঠমান্ডুর উদ্দেশে ছেড়ে যাবে এবং কাঠমান্ডু থেকে প্রতি শনিবার ও বৃহস্পতিবার ফ্লাইট বিজি০৭২ স্থানীয় সময় ১১টা ২৫ মিনিটে ঢাকার উদ্দেশে যাত্রা করবে।
এদিকে, আগামী ১০ অক্টোবর ঢাকা থেকে প্রতি রবিবার ও বুধবার ফ্লাইট বিজি৪০৩৭ স্থানীয় সময় সোয়া ২টায় মদিনার উদ্দেশে ছেড়ে যাবে এবং মদিনা থেকে প্রতি রবিবার ও বুধবার ফ্লাইট বিজি৪০৩৮ স্থানীয় সময় সাড়ে ৭টায় ঢাকার উদ্দেশে যাত্রা করবে।
আরও পড়ুন: দেশে ফিরেছে ভারতে জরুরি অবতরণকারী বিমানের যাত্রীরা
এছাড়াও আগামী ১০ অক্টোবর বিমানের ফ্লাইট বিজি০৪৩ ঢাকা থেকে প্রতি রবিবার স্থানীয় সময় ৭টা ৪৫ মিনিটে ও প্রতি মঙ্গলবার ৬টা ৪০ মিনিটে কুয়েতের উদ্দেশে ছেড়ে যাবে। কুয়েত থেকে প্রতি সোমবার স্থানীয় সময় ১২টা ১ মিনিটে ও প্রতি মঙ্গলবার ১০টা ৫৫ মিনিটে ফ্লাইট বিজি০৪৪ ঢাকার উদ্দেশে যাত্রা করবে।
১১ আগস্ট থেকে খুলনার ৫টি ট্রেন চলবে
আগামী ১১ আগস্ট থেকে অর্ধেক আসনে যাত্রী নিয়ে খুলনাসহ সারাদেশে ট্রেন চলাচল শুরু হচ্ছে। এদিন খুলনা থেকে বিভিন্ন রুটের ট্রেন ছেড়ে যাবে।
সংশ্লিষ্টরা জানান, স্বাস্থ্যবিধি ও বিভিন্ন শর্ত মেনে দু’টি ট্রেন বাদে সব রুটে ট্রেন চলবে। স্টেশনে মিলবে না আন্তঃনগর ট্রেনের টিকিট, বন্ধ থাকবে কাউন্টার। তবে নন কম্পিউটারাইজড স্টেশনের টিকিট ওই স্টেশন কাউন্টার থেকে ক্রয় করতে হবে। আর চলমান লকডাউন আগামী ১০ আগস্টের পর বর্ধিত করা হলে ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকবে।
আরও পড়ুন: ক্যাটেল স্পেশাল ট্রেনে রাজধানীতে পৌঁছাল ৮০০ গরু
খুলনা রেলস্টেশনের মাস্টার মানিক চন্দ্র সরকার জানান, আগামী ১১ আগস্ট সকাল থেকে ট্রেন চলাচল শুরু হবে। বন্ধ থাকবে বেনাপোলগামী বেতনা ও রাজশাহীগামী কপোতাক্ষ ট্রেন।
এছাড়া চিত্রা, সুন্দরবন, রূপসা, সীমান্ত, সাগরদাড়ী, এই পাঁচটি আন্তঃনগর ট্রেনসহ সকল লোকাল ট্রেন চলাচল করবে। এবারও ৫০ শতাংশ টিকিট বিক্রি করা হবে, যার পুরোটাই দেয়া হবে অনলাইনে। বন্ধ থাকবে কাউন্টার। তবে যাত্রীদের কোনও অতিরিক্ত ভাড়া প্রদান করতে হবে না।
আরও পড়ুন: ঢাকা-গাজীপুর রুটে বিশেষ ট্রেন চলাচল শুরু
ঢাকা-গাজীপুর রুটে বিশেষ ট্রেন চলাচল শুরু
করোনা ও লকডাউনের কারণে প্রায় তিন মাস বন্ধ থাকার পর গাজীপুর-ঢাকা রুটে তিনটি ট্রেন আবারও চালু করেছে কর্তৃপক্ষ।
রবিবার সকালে প্রথমেই ছেড়ে গেছে গাজীপুর থেকে তুরাগ ট্রেন। এরপর টাঙ্গাইল থেকে ছেড়ে এসে ঢাকার উদ্দেশে যাচ্ছে টাঙ্গাইল কমিউটার। আর বিকাল সাড়ে ৫টায় ডেমু ট্রেন গাজীপুর থেকে ঢাকা উদ্দেশে ছাড়ার কথা রয়েছে।
আরও পড়ুন: আরও ১৩ জোড়া ট্রেন চালু
সংশ্লিষ্টরা জানান, ঢাকা- ময়মনসিংহ মহাসড়কে গত কয়েকদিন ধরে চরম দুর্ভোগের কারণে এসব ট্রেন আবারও চালু হয়। এর ফলে কর্মজীবী মানুষ দারুণভাবে উপকৃত হয়েছে।
হাজার হাজার মানুষের চাহিদার কারণে বগি ও আসন সংখ্যা কম থাকায় ট্রেন যাত্রায় স্বাস্থ্যবিধি সম্পূর্ণভাবে মানা সম্ভব হয়নি। ট্রেন চালু হওয়ায় কর্মজীবীসহ নানা শ্রেণি-পেশার লোকজনের মধ্যে স্বস্তি ফিরেছে।
জেলা শহরের জয়দেবপুর রেলওয়ে জংশনের ভারপ্রাপ্ত স্টেশন মাস্টার জানান, এবার দেয়া হয়েছে দশটা বগি। এর ফলে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলাচল করালে মাত্র ২৫০ জনের স্থান হবে। কিন্তু যাত্রী সংখ্যা অনেক বেশি হয়ে যাওয়ায় স্বাস্থ্যবিধি মানা সম্ভব হচ্ছে না। তবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চালানোর চেষ্টা রয়েছে তাদের।
আরও পড়ুন: আরও ১১ জোড়া যাত্রীবাহী ট্রেন চালু
ট্রেন যোগে ঢাকায় আসা যাওয়া করার জন্য প্রতিদিন গাজীপুর থেকে কমপক্ষে ১০ হাজার কর্মজীবী লোকজনের চাহিদা থাকলেও বর্তমানে যে তিনটি ট্রেন চালু হলো তাতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলাচল করলে মাত্র সাড়ে তিনশত লোকজন চলাচল করার সুযোগ পাবে। এ কারণে বগির সংখ্যা বাড়ানো ও সকল আন্তঃনগর ট্রেন জেলা শহরের জয়দেবপুর স্টেশনে থামানোর দাবি স্থানীয়দের।
পাবনায় অনির্দিষ্টকালের পরিবহন ধর্মঘট শুরু, দুর্ভোগে যাত্রীরা
শাহজাদপুরে পাবনা বাস শ্রমিকদের মারধরের প্রতিবাদসহ ছয় দফা দাবিতে বৃহস্পতিবার থেকে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট চলবে।