আসামি
সোনারগাঁওয়ে মনির হত্যা: ৪ আসামির সাজা কমিয়ে যাবজ্জীবন
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে আলোচিত মনির হোসেন হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত চার আসামির সাজা কমিয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে নিম্ন আদালতে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত দুই আসামির সাজা বহাল রাখা হয়েছে। এ মামলার ডেথ রেফারেন্স ও আসামিদেও আপিলের ওপর চূড়ান্ত শুনানি করে রবিবার বিচারপতি মো. হাবিবুল গনি ও বিচারপতি কাজী ইবাদত হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নওরোজ মো. রাসেল চৌধুরী ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল এম মো: গোলাম সারোয়ার পায়েল। আসামিপক্ষে ছিলেন আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন, এস এম শাহজাহান ও এম মাসুদ রানা।
জানা যায়, সবজি ব্যবসায়ী মনির হোসেন সোনারগাঁ উপজেলার জামপুর ইউনিয়নের মুসারচর গ্রামের আক্কাস আলীর ছেলে। পাওনা টাকা চাইতে গিয়ে ২০০৭ সালের ১৮ জুন রাতে আসামিরা মনির হোসেনকে ডেকে নিয়ে একটি মাঠে ছুরিকাঘাত করে পাশের ডোবায় ফেলে দেয়। এরপর কচুরিপানা দিয়ে লাশ ঢেকে রাখে।
আরও পড়ুন: হত্যা মামলায় ৯ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
এ ঘটনার বিচার শেষে ২০১৭ সালের ৩০ মার্চ নারায়ণগঞ্জ দ্বিতীয় জেলা ও দায়রা জজ কামরুন্নাহার চার জনের মৃত্যুদণ্ড এবং দুই জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- আতাউল হামিদ পরাগ, আলমগীর হোসেন, এরশাদ হোসেন ভুট্টু ও রতন ইবনে মাসুদ।
যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- গোলজার হোসেন ও শাহীন। এর মধ্যে আসামি শাহীন পলাতক।
পরে মৃত্যুদণ্ডাদেশ অনুমোদনের জন্য ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে পাঠানো হয়। পাশাপাশি আসামিরা আপিল করেন। আজ আদালত চারজনের মৃত্যুদণ্ডাদেশ কমিয়ে যাবজ্জীবন দণ্ড দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: এক হত্যা মামলায় ৫ ভাইয়ের যাবজ্জীবন!
নারায়ণগঞ্জে নববধূ হত্যা মামলায় স্বামীর যাবজ্জীবন
মাগুরায় সাজাপ্রাপ্ত আসামি গ্রেপ্তার
মাগুরার সদর উপজেলায় সাজাপ্রাপ্ত পলাতক এক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার উপজেলার বেলনগর গ্রাম থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার সজীব মোল্লা উপজেলার পারনান্দুয়ালী মুন্সীপাড়া গ্রামের রাজ্জাক মোল্লার ছেলে।
মাগুরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোস্তাফিজুর রহমান জানান, তার নেতৃত্বে উপপরিদর্শক (এসআই) সৈয়দ ফরহাদ আলী একদল পুলিশ নিয়ে মাগুরা সদর থানার বেলনগর গ্রাম থেকে সাজাপ্রাপ্ত আসামি সজীব মোল্লাকে গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: মানবতাবিরোধী অপরাধ: সাভারে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি গ্রেপ্তার
কন্যা দিবসে ঘুমন্ত শিশুকন্যাকে পুকুরে ডুবিয়ে হত্যা, বাবা গ্রেপ্তার
সিলেটে ‘নারীর ছদ্মবেশে থাকা যুবক’ খুনের ঘটনায় গ্রেপ্তার ৬
মানবতাবিরোধী অপরাধ: সাভারে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি গ্রেপ্তার
নেত্রকোণায় মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামিকে রাজধানীর সাভার থেকে গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
গ্রেপ্তার খলিলুর রহমান (৬৮) নেত্রকোণা জেলার দুর্গাপুরের নবী হোসেনের ছেলে।
বুধবার র্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে র্যাব সদর দপ্তরের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের এএসপি ইমরান খান বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-১৪ এর একটি দল সাভারে অভিযান চালিয়ে মঙ্গলবার রাতে খলিলুরকে আটক করে।
এএসপি ইমরান জানান, খলিলুর ২০১৫ সাল থেকে পলাতক এবং গ্রেপ্তার এড়াতে তিনি দক্ষিণখান, তুরাগ ও উত্তরাসহ শহরের বিভিন্ন স্থানে অবস্থান করছিল।
তিনি বলেন, গ্রেপ্তার এড়াতে সে মোবাইল ফোন ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকলেও তার পরিবারের সদস্যরা প্রায়ই তার সাথে যোগাযোগ করে টাকা ও অন্যান্য জিনিস সরবরাহ করত।
আরও পড়ুন: একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধে নেত্রকোণার খলিলুরের মৃত্যুদণ্ড
২০১৭ সালের ৩০ জানুয়ারি প্রসিকিউশন মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগে খলিলুর রহমানসহ নেত্রকোণার পাঁচজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
২০২২ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর একটি ট্রাইব্যুনাল মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য পাঁচ অভিযুক্তকে মৃত্যুদণ্ড দেন।
তাদের বিরুদ্ধে ২২ জনকে হত্যা, ধর্ষণ, নির্যাতন, অপহরণ ও অগ্নিসংযোগের অভিযোগ আনা হয়েছে।
অন্য চার আসামি বিচার চলাকালীন মারা যান।
আরও পড়ুন: মানবতাবিরোধী অপরাধ: গফরগাঁওয়ের ৩ জনের আমৃত্যু, ৫ জনের ২০ বছর করে দণ্ড
মানবতাবিরোধী অপরাধ: রাজধানী থেকে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি গ্রেপ্তার
ছাত্রলীগ নেতা হত্যার ঘটনায় ৮ বছর পর পলাতক আসামি গ্রেপ্তার
ঢাকায় ২০১৪ সালে ছাত্রলীগের এক নেতা হত্যার ঘটনায় বৃহস্পতিবার রাতে পলাতক একজনকে গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছে র্যাব।
গ্রেপ্তার মো. ইকবাল হোসেন তারেক (৩৮) চাঁদপুরের বাসিন্দা।
র্যাব-৩ এর অতিরিক্ত সুপার বীণা রানী দাস জানান, রাজধানীর দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ এলাকায় অভিযান চালিয়ে ইকবালকে গ্রেপ্তার করে র্যাব।
২০১৪ সালের ২৩ জানুয়ারি রমনা থানা ছাত্রলীগের তৎকালীন সহ-সভাপতি মাহবুবুর রহমান ওরফে রানা ক্যাবল টিভি ব্যবসা নিয়ে বিরোধের জেরে নগরীর মগবাজার এলাকায় ইকবালসহ তার প্রতিপক্ষের হাতে খুন হন।
একই বছরের ২৪ জানুয়ারি অজ্ঞাত পরিচয়ে রমনা থানায় হত্যার এফআইআর দায়েরের পরপরই ইকবাল আত্মগোপন করেন।
আরও পড়ুন: কক্সবাজারে ছুরিকাঘাতে ছাত্রলীগ নেতা খুন
এর আগে সুইফট ক্যাবল লিমিটেডের মালিক কামরুল ইসলামকে অস্ত্রসহ আটক করে পুলিশ।
২০১৫ সালের ৩০ জুন চার পলাতকসহ ১৪ আসামির বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হয়।
২০২০ সালের ১১ নভেম্বর ইকবালের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানাও জারি করা হয়েছিল।
র্যাব জানিয়েছে, আসামিকে সংশ্লিষ্ট থানায় সোপর্দ করার জন্য আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
আরও পড়ুন: গাইবান্ধায় শিশু হত্যা: এক আসামির মৃত্যুদণ্ড বহাল, ২ জন খালাস
হত্যা মামলায় ৯ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
গাইবান্ধায় শিশু হত্যা: এক আসামির মৃত্যুদণ্ড বহাল, ২ জন খালাস
গাইবান্ধায় এক শিশুকে হত্যার ঘটনায় বিচারিক আদালতে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত এক আসামির দণ্ড বহাল রেখেছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত অপর দুই আসামিকে খালাস দেয়া হয়েছে।
মৃত্যুদণ্ডাদেশ অনুমোদনের সংক্রান্ত ডেথ রেফারেন্স এবং আসামিদের আপিল শুনানি শেষে মঙ্গলবার (২০ সেপ্টেম্বর) বিচারপতি এএনএম বশির উল্লাহ ও বিচারপতি মুহম্মদ মাহবুব-উল ইসলামের হাইকোর্ট বেঞ্চ রায় দেন।
আদালতে আসামিপক্ষে ছিলেন আইনজীবী এস এম শাহজাহান ও এ কে খান উজ্জল।
রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সুজিত চ্যাটার্জি বাপ্পী।
আরও পড়ুন: একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধে নেত্রকোণার খলিলুরের মৃত্যুদণ্ড
তিনি জানান, তিন আসামির মধ্যে জাহিদের মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখেছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে পাভেল ও রুবেলকে খালাস দিয়েছেন।
২০১০ সালের ২৭ জুলাই সদর উপজেলার লক্ষ্মীপুর গ্রামের আমিনুল ইসলাম রোমেলের ছেলে পাঁচ বছর বয়সী তাছিন মিয়া ওরফে অর্ণব পাশের পীরগাছা গ্রামের নানা নজরুল ইসলাম মধু মিয়ার বাড়ি বেড়াতে যায়।
তাছিনের নানার সঙ্গে পূর্ব বিরোধের জেরে জাহিদ, পাভেল ও রুবেল ওই দিন তাছিনকে অপহরণ করে। ওই রাতেই তাছিনের মাকে ফোন করে জহিদ ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন। মুক্তিপণ না পেয়ে তারা তাছিনকে শ্বাসরোধে হত্যা করে ওই গ্রামের এক ব্যক্তির পুকুরের কচুরি পানার নিচে তাছিনের লাশ লুকিয়ে রাখেন তারা।
ঘটনার পরদিন ২৮ জুলাই তাছিনের বাবা সদর থানায় ১০ জনের নামে মামলা করেন। এ মামলায় ২০১৭ সালের ২৬ জানুয়ারি তিনজনকে মৃত্যুদণ্ড দেন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক রত্নেশ্বর ভট্টাচার্য। বাকি ৭ জনকে খালাস দেন।
বিচারিক আদালতে দণ্ডিতরা হলেন, গাইবন্ধা সদর উপজেলার সাহাপাড়া ইউনিয়নের খামার পীরগাছা গ্রামের সিদ্দিক মিয়ার ছেলে জাহিদ, একই গ্রামের মজিবর রহমানের ছেলে পাভেল ও একই উপজেলার বল্লমঝাড় ইউনিয়নের সোনাইডাঙ্গা গ্রামের বিল্টু মিয়ার ছেলে রুবেল।
পরে মৃত্যুদণ্ডাদেশ অনুমোদনের ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে পাঠানো হয়। পাশাপাশি আসামিরা বিচারিক আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল ও জেল আপিল করেন।
আরও পড়ুন: সাতক্ষীরায় স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামীর মৃত্যুদণ্ড
ফরিদপুরে যৌতুকের দাবিতে স্ত্রীকে হত্যা, স্বামীর মৃত্যুদণ্ড
কুষ্টিয়ায় হত্যা মামলার ৩ আসামি গ্রেপ্তার
কুষ্টিয়ার কুমারখালীর ভূমি অফিসের এক কর্মচারী হত্যা মামলার পলাতক তিন আসামিকে রাজধানীর দক্ষিণখান থানা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। রবিবার বেলা সাড়ে ১১ টায় র্যাব-১২ কুষ্টিয়া ক্যাম্পের কমান্ডার স্কোয়াড্রন লিডার ইলিয়াস খান এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান।
নিহত আব্দুর রাজ্জাক (৫৫) কুষ্টিয়ার কুমারখালীর শেরকান্দি গ্রামের ভূমি অফিসের কর্মচারী ছিলেন।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন- কুষ্টিয়ার কুমরাখালী উপজেলার শিলাইদহ ইউনিয়নের কোমরকান্দী গ্রামের মৃত আকরাম বিশ্বাসের ছেলে শহিদুল বিশ্বাস(৪৭), মৃত আকবর শেখের ছেলে ছদ্দিন শেখ(৪০) ও লাচেন জোয়াদ্দারের ছেলে রাশেদ জোয়াদ্দার (৩৫)।
লিখিত বক্তব্যে ইলিয়াস খান জানান, গত ১০ সেপ্টেম্বর তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে আব্দুর রাজ্জাককে কুপিয়ে হত্যা করে অভিযুক্তরা। এ ঘটনায় নিহত রাজ্জাকের স্ত্রী রেবেকা খাতুন বাদী হয়ে কুমারখালী থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। ঘটনার পর থেকেই মামলার আসামিরা সবাই পালিয়ে ছিল। আসামিদের গ্রেপ্তারের জন্য মেহেরপুর ও পাবনাসহ কয়েকটি জায়গায় অভিযান চালায় র্যাব-১৩ ।
কুষ্টিয়া ইউনিটের কোম্পানি কমান্ডার স্কোয়াড্রন লিডার মোহাম্মদ ইলিয়াস খান জানান,গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আমরা জানতে পারি পলাতক কয়েকজন আসামি ঢাকায় পালিয়ে আছেন। এরপর র্যাব সদর দপ্তরের সহোযোগীতায় শনিবার রাতে রাজধানীর দক্ষিণখান থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে তিন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবদে তারা হত্যাকাণ্ডে অংশ নেয়ার কথা স্বীকার করেছে বলে জানায় র্যাব।
র্যাব আরও জানায়, রবিবার দুপুরে প্রেপ্তার আসামিদের কুমরাখালী থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হলে পুলিশ তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠান।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে ৫ হাজার পিস ইয়াবা জব্দ, গ্রেপ্তার১
ডাকাতি মামলায় সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান গ্রেপ্তার
চট্টগ্রামে মাটি খুঁড়ে ২ লাখ ২০ হাজার পিস ইয়াবা ও আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার, গ্রেপ্তার ২
ডিবি পরিচয়ে ছিনতাই: ২ মাস পর প্রধান আসামি গ্রেপ্তার
গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) পুলিশের পরিচয়ে ছিনতাইয়ের দুইমাস পর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর থেকে মামলার প্রধান আসামি রাসেল মিয়াকে (৩৫) গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শুক্রবার রাত ১২ টায় উপজেলার বিটুই গ্রামে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
রাসেল মিয়া সরাইল উপজেলা সদর ইউনিয়নের পূর্ব কুট্টাপাড়া গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে।
পুলিশ জানায়, গত ১৯ জুলাই রাতে নরসিংদীর রায়পুর এলাকার সুমন ও তার বন্ধু মিলে সরাইলের শাহবাজপুর আশিকের চা-দোকানে নানা রংঙের বিখ্যাত চা খেতে আসেন। ফেরার পথে সরাইল বিশ্বরোড মোড়ে ডিবি পরিচয়ে ৩/৪ জন ব্যক্তি তাদের ৫টি মোটরসাইকেলের পথরোধ করেন। পরে অস্ত্রের মুখে তাদের কাছ থেকে মোবাইল ফোন, স্বর্ণের চেইন, নগদ টাকাসহ প্রায় সাড়ে চার লাখ টাকা মালামাল ছিনিয়ে নেয়।ে
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে ইয়াবা জব্দ, গ্রেপ্তার১
এ ঘটনায় ছিনতাইয়ের শিকার নরসিংদীর রায়পুরার হাটুভাঙ্গা গ্রামের ভুক্তভোগী সুমন মিয়া সরাইল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
তার অভিযোগের ভিত্তিতে পর দিন ডাকাত ও ছিনতাইকারী চক্রের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট থাকার অভিযোগে গাফফার মিয়া নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়। গাফফারের দেয়া তথ্যমতে ও গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শুক্রবার রাতে সরাইল থানার পুলিশ নাসিরনগর উপজেলার বিটুই গ্রাম থেকে অভিযুক্ত রাসেল মিয়াকে গ্রেপ্তার করে।
সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসলাম হোসেন বলেন, রাসেল মিয়ার বিরুদ্ধে সরাইল থানায় ডাকাতি ও দস্যুতার একাধিক মামলা রয়েছে।
ওসি বলেন, শনিবার দুপুরে রাসেল মিয়াকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে পশু চোরদের গ্রেপ্তারের দাবীতে মানববন্ধন!
‘ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত’ দিয়ে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেয়ার অভিযোগে কুষ্টিয়ায় যুবক গ্রেপ্তার
ফেনীতে ১৯ বছর পর মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি গ্রেপ্তার
ফেনীর সোনাগাজীতে মায়ের সামনে মেয়েকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ মামলার ১৯ বছর পর মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। রবিবার রাত সাড়ে ৮ টায় শহরের মিজান রোডের সামনে থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি জাহাঙ্গীর আলম (৪৫) সোনাগাজী উপজেলার নবাবপুর ইউনিয়নের নাজিরপুর গ্রামের আবুল কালামের ছেলে।
পুলিশ জানায়, ২০০৩ সালের ১৩ মে রাতে সোনাগাজী উপজেলার নবাবপুর ইউনিয়নের সুলতানপুর গ্রামের সনাতন ধর্মের একটি পরিবারের মা ও মেয়েকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে স্থানীয় ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কেন্দ্রের সামনে মায়ের সামনে কিশোরী মেয়েকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করে দুর্বৃত্তরা।
আরও পড়ুন:দামুড়হুদায় মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে বাবা আটক
এ ঘটনায় ওই ভুক্তভোগীর মা বাদী হয়ে পরদিন চারজনের নাম উল্লেখ করে সোনাগাজী থানায় মামলা দায়ের করেন।
গত ১৪ জুলাই ৯ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য শেষে ফেনীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক ওসমান হায়দার তিন আসামির মৃত্যুদণ্ড ও এক আসামিকে খালাসের রায় ঘোষণা করেন। একইসঙ্গে প্রত্যেক দণ্ডপ্রাপ্তকে দুই লাখ টাকা করে জরিমানার আদেশ দেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- সোনাগাজী উপজেলার নবাবপুর ইউনিয়নের ফকির আহমদের ছেলে আবুল কাশেম, আবদুর রশিদের ছেলে মো. লাতু ও আবুল কালামের ছেলে জাহাঙ্গীর আলম।
অভিযোগ প্রমাণ না হওয়ায় একই এলাকার রসুল আহম্মদের ছেলে মোহাম্মদ ফারুককে বিচারক এ মামলা থেকে খালাস দিয়েছেন।
রায় ঘোষণার সময় মোহাম্মদ ফারুক আদালতে উপস্থিত থাকলেও মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত তিন আসামি পলাতক ছিলেন।
জাহাঙ্গীর আলম আদালতে আত্মসমর্পণ করতে আইনি পরামর্শ নিতে রবিবার সন্ধ্যায় তার ভগ্নিপতিকে সঙ্গে নিয়ে আইনজীবী করিমুল হক দুলালের চেম্বারে যান। সেখান থেকে ফেরার পথে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে।
সোনাগাজী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ খালেদ হোসেন দাইয়্যান তাকে গ্রেপ্তারের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, সোমবার সকালে আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন:সিলেটে ধর্ষণের অভিযোগে কবিরাজ গ্রেপ্তার
ফুলবাড়ীতে তিন বছরের শিশুকে ধর্ষণ, প্রতিবেশী আটক
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আসামি ছিনতাই, ২ পুলিশ গুলিবিদ্ধ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলায় ‘মাদক কারবারি’দের গুলিতে দুই পুলিশ কর্মকর্তা আহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে উপজেলার বড়িকান্দি ইউনিয়নের নূরজাহানপুর গ্রামে পুলিশের কাছ থেকে আসামি ছিনিয়ে নেয়ার সময় গোলাগুলির এই ঘটনা ঘটে।
আহত পুলিশ কর্মকর্তারা হলেন- নবীনগর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মোহাম্মদ সোহেল ও উপপরিদর্শক (এসআই) রনি সোরে রানা।
এ ঘটনায় শুক্রবার সকালে চারজনের নাম উল্লেখসহ আরও ৩/৪ জন অজ্ঞাতকে আসামি করে একটি পুলিশ এ্যাসল্ট মামলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: খুলনায় গুলিবিদ্ধ হয়ে চার্জশিটভুক্ত আসামির মৃত্যু
পুলিশ জানায়, উপজেলার বড়িকান্দি ইউনিয়নের নূরজাহানপুর গ্রামের মৃত সুধন মিয়ার ছেলে মাদক কারাবারি মন্নাফ (৫০) ওরফে মনেকের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় ডাকাতি, চুরি, হত্যা, ধর্ষণসহ ১৫টি মামলা রয়েছে। গত ১৯ এপ্রিল মাদক ও দেশীয় অস্ত্রসহ তাকে গ্রেপ্তার করে জেলে পাঠায় পুলিশ। কিছুদিন আগে জেল থেকে জামিনে বেরিয়ে আবারও মাদক বেচাকেনা ও সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে লিপ্ত হয় সে।
তার ছেলে শিপন ডাকাতি ও মাদক মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি। তারা বাবা-ছেলে এলাকায় অবস্থান করছে, এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রাতেই নূরজাহানপুর গ্রামে অভিযান চালিয়ে মনেককে আটক করে পুলিশ।
নবীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুদ্দিন আনোয়ার জানান, আটক মনেককে ছাড়িয়ে নিতে তার ছেলে শিপন ও তার সহযোগীরা পুলিশের ওপর গুলি ছুঁড়ে। এ সময় পুলিশও আত্মরক্ষা করতে পাল্টা গুলি ছুঁড়ে।
আরও পড়ুন: খুলনায় বিএনপি নেতা ও তার সহযোগী গুলিবিদ্ধ
তবে সন্ত্রাসী মহলটি দুই পুলিশ সদস্যকে গুলিবিদ্ধ করে মনেককে নিয়ে পালিয়ে যায়।
মাদককারবারিদের গুলিতে নবীনগর থানা পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মোহাম্মদ সোহেল ও উপপরিদর্শক (এসআই) রনি সোরে রানা গুলিবিদ্ধ হন। তাদের উদ্ধার করে নবীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে মাথায় গুলিবিদ্ধ রনিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য কুমিল্লায় পাঠানো হয়। এ ঘটনায় একটি পুলিশ এ্যাসল্ট মামলা হয়েছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোল্লা মোহাম্মদ শাহীন জানান, মাদক কারাবারি ও ডাকাত মন্নাক ওরফে মনেক ও তার ছেলে শিপনসহ তার সহযোগীদের গ্রেপ্তার করতে পুলিশের অভিযান চলছে।
আরও পড়ুন: টঙ্গীতে ব্যবসায়ী হত্যা: অভিযানে গ্রেপ্তার ৪, একজন গুলিবিদ্ধ, ৩ পুলিশ আহত
সিরাজগঞ্জে পুলিশ-বিএনপি সংঘর্ষের ঘটনায় ১১০ জনকে আসামি করে মামলা, গ্রেপ্তার ২
সিরাজগঞ্জে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনায় বিএনপির ১১০ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। পুলিশের ওপর হামলা, সরকারি কাজে বাধা ও বিস্ফোরক আইনে বৃহস্পতিবার রাতে উপপরিদর্শক (এসআই ) শাহা আলম বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন। ইতোমধ্যে এ মামলায় দুই জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন- পৌর এলাকার যুবদল ও ছাত্রদলের খায়রুল ইসলাম নবিন (১৯) ও মেহেদী হাসান (২৮)।
আরও পড়ুন:নেত্র নিউজ এর বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হুমায়ন কবির এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, ‘বৃহস্পতিবার সকালে বিএনপির প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে সমাবেশ শেষে বিএনপির নেতাকর্মীরা পুলিশের ওপর হামলা, সরকারি কাজে বাধা দেয় ও ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। একপর্যায়ে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ, ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া টিয়ার শেল ও ব্যাপক ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে।’
আরও পড়ুন:যুবদলকর্মী শাওন হত্যা মামলা: আসামি ৫ হাজার!
তিনি আরও জানান, ‘এ সময় পুলিশ ৫২ রাউন্ড রাবার বুলেট ও ৫ রাউন্ট টিয়ার শেল নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এতে সাতজন পুলিশসহ কমপক্ষে ২৭ জন আহত হয়। বৃহস্পতিবার সকালের এ ঘটনার পর ওইদিন রাতে বিএনপির ১১০ নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ করে সংশ্লিষ্ট থানায় এ মামলা দায়ের করা হয়েছে।’
ওসি বলেন, এ ঘটনায় ইতোমধ্যে দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বিকালে তাদেরকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: খুলনায় দুর্নীতির মামলায় সাবেক ওসির জামিন নামঞ্জুর